জীবনটাকে শক্ত ভাবে গড়ে তুললেই তো জীবনটা সহজ।

in আমার বাংলা ব্লগlast month

আজ- ২৭শে বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, গ্রীষ্মকাল


আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।




education-6623844_1280.jpg
ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।

কেমন আছেন সকলে? আশা করছি ভাল আছেন। আমি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। এতদিন গরম নিয়ে অতিষ্ঠতা থাকলেও এই কয়েকদিন ধরে আবহাওয়া অনুকূলে রয়েছে। তবে হঠাৎ করে এই গরমের পর একটু ঠান্ডা পড়ার কারণে মানুষের অসুস্থতার অনেকখানি কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে । চারপাশের মানুষের অসুস্থতা অনেকাংশে বেড়ে গিয়েছে। আসলে সব সময় দুই মাসের মাঝামাঝি সময়টাতে আমাদের অসুস্থতা সবথেকে বেশি দেখা দেয়। এমনকি আমাদের বাসায় অন্যান্য সদস্যরা কিছুটা অসুস্থ। তবে আমি এখনো পর্যন্ত আলহামদুলিল্লাহ সুস্থ।

যাইহোক সকলে একটু সচেতন থাকবেন এবং ঠান্ডা গরম এই বিষয়টা মেনে চলার চেষ্টা করবেন। খুব বেশি গরম বলে আমরা যে অস্থিরতাটা করে থাকি এই অস্থিরতাটাই আমাদের অনেক সময় অসুস্থতা হয়ে দাঁড়ায়। যেকোনো তাপমাত্রায় নিজেদের সহনীয় করার ঐ অভ্যাসটি গড়ে তোলা অবশ্যই প্রয়োজন। তা না হলে ওয়েদারের এদিক ওদিক পরিবর্তন হলে শরীরের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে সময় লাগে যায় অনেকখানি।

প্রতিটি সন্তান তার মা-বাবার কাছে খুবই আদরে। ধনী দরিদ্র এসব কিছুর জন্য তাদের বাবা-মায়ের আদর এতোটুকু কমতি হয় না কখনো । যে যার সমর্থ্য অনুযায়ী চেষ্টা করে তার সন্তানদের শখ আহ্লাদ এবং আবদার গুলো পূরণ করতে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে বাবা-মার কিংবা অভিভাবকদের এই অতিরিক্ত আদর যত্নের ফলে সন্তানদের জন্য আত্মনির্ভরশীল হতে বাধাগ্রস্ত সৃষ্টি করে।

একটি শিশু যখন হাঁটতে শিখে তখন শিশুটি অবশ্যই পড়বে, ব্যথা পাবে এটাই স্বাভাবিক। তবে শিশুটি যদি ব্যথা পাবে এই ভেবে তার অভিভাবক কিংবা বাবা-মা তাকে হাঁটতে না দেয় তাহলে সে কিভাবে সামনে আগাবে আর কিভাবেই বা হাঁটা শিখবে। হাঁটা শেখার জন্য অবশ্যই তাকে পড়তে হবে এটাই স্বাভাবিক আর এই এ সামান্য বিষয়টা তো আমরা সকলেই বুঝতে পারি। কিন্তু জীবনে এমন কিছু কিছু বিষয় আছে যেগুলোই এই হাঁটা শেখার মতই। বাবা মা যখন সন্তানের কষ্ট হবে এই ভেবে ঐ সকল বিষয়গুলো থেকে দূরে রাখে তখন সন্তানদের শিক্ষার বাকি থেকে যায়। কিছু কিছু বিষয় আসলে বাবা-মা তাদের সন্তানকে এমন ভাবে আগলে রাখে যে তাকে শিখার সেই সুযোগটাই দেয় না।

আমি মনে করি একজন মানুষকে এমন ভাবে গড়ে তোলা প্রয়োজন যাতে সে বাস্তব অভিজ্ঞতা নিয়ে শিখে। যতদিন না মাঠ পর্যায়ে ওই পরিস্থিতিতে মানুষ না পড়ে ততদিন ওই পরিস্থিতিটাকে মানুষ কখনোই উপলব্ধি করতে পারে না। কঠিন পরিস্থিতি গুলোর সম্মুখীন মানুষ জীবনে যত বেশি বার শিকার হবে তত বেশি মানুষটি শিখবে।

অতিরক্ত আহ্লাদে আদরে রাখা সন্তান গুলোই দিনশেষে কিন্তু সব থেকে বেশি কষ্ট করে। কেননা আগলে রাখার মানুষগুলো তো সারা জীবন থাকে না। এক সময় নিজেকে পথ চলতে হয় তখন ঐ শিখে না আসার কারণে তাকে অনেকটাই সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তাই বলছি একজন সন্তানকে তার বাবা-মার উচিত যত শক্তভাবে সব পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে বড় করা এতে করে তার পরবর্তী জীবনের পথ চলাটা সহজ হবে।

আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী দিন আবারো ভিন্ন কোন আলোচনা নিয়ে আল্লাহ হাফেজ।

সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Sort:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

This post has been upvoted by @italygame witness curation trail


If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness




CLICK HERE 👇

Come and visit Italy Community



Hi @moh.arif,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.

Come and visit Italy Community

 last month 

প্রতিটা মানুষের জীবনে অনেক প্রতিকূলতা পার করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হয় । তাহলে জীবন অনেক সহজ এবং সুন্দর হয়। বর্তমান আবহাওয়া ঠান্ডা হলেও টানা প্রচন্ড গরম পড়ায় অতিষ্ট জনজীবন। এখন স্বস্তির নিশ্বাস পেয়েছে তার পাশাপাশি অসুস্থতার বিষয়টিও বেশি পরিলক্ষিত। ঠান্ডা জ্বর কাশি এগুলোই বেশি হচ্ছে। সেজন্য সব ধরনের প্রতিকূলতায় নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। অনেক সুন্দর কথা বলেছেন ভাই প্রতিটা সন্তান তার বাবা-মায়ের কাছে সবচেয়ে বেশি মূল্যবান। তবুও তাদেরকে সব ধরনের প্রতিকূলতা মানিয়ে নেওয়ার বিষয়টি ভাবনায় রাখতে হবে। ভালো লাগলো আপনার পোস্ট পড়ে।

 last month 

আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ নির্ভর করে আমরা তাদের সাথে বসবাস করি বেড়ে উঠি তাদের উপরেই অনেকটা। তারা যেভাবে ছোট থেকে গাইড করবে সেভাবেই সে নিজেকে তৈরি করতে সক্ষম হবে। যথার্থ বলেছেন ভাইয়া মা-বাবা যেমনই হোক সন্তানের প্রতি আদর মহাব্বত কখনো কমেনা। পরিবেশের সাথে নিজেকে মানিয়ে নেওয়াটাই আমাদের সর্বদা কাম্য হওয়া উচিত। গতানুগতিক একটি পোস্ট করেছেন আপনি ভাইয়া যেটা পড়ে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগলো ধন্যবাদ।

 last month 

কিছুদিন আগে একটি কথা শুনেছিলাম। সন্তান কে মানুষ করতে চাইলে তাকে অভাব শিখাতে হবে। ঠেক তেমনি একটি পোস্ট আজ আপনার কাছে দেখলাম। ‍সুন্দর বলেছেন ভাই। প্রতিটি মা বাবার উচিত ছেলে বেলা থেকেই সন্তান কে শক্ত হাতে গড়ে তোলা। তাহলে এক সময়ে দেখা যাবে জীবন টা অনেক সহজ হয়ে গেছে। ধন্যবাদ এমন সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

 last month 

আসলে মানুষের জীবন যেমন সহজ না, তেমনি একেবারে কঠিনও না। আর আমরা যদি আমাদের জীবনকে একবার কঠিনভাবে গড়ে তুলতে পারি, তবেই তো জীবনটা সহজ হবে। আমাদের জীবনে অনেক সময় অনেক রকম পরিস্থিতি আসবে। সব রকমের পরিস্থিতির মোকাবেলা করে তারপরে আমাদেরকে এগিয়ে যেতে হবে। সব সময় পরিবেশের সাথে নিজেকে মানিয়ে নিতে হবে আমাদের। আজ অনেক সুন্দর একটা টপিক নিয়ে লিখেছেন লেখা গুলো। আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে পড়তে।

 last month 

ওয়েদার এখন কিছুটা ঠান্ডা বলে অনেকেই জ্বর ঠান্ডায় ভুগছে। যাইহোক দারুণ একটি টপিক নিয়ে পোস্ট শেয়ার করেছেন ভাই। মা বাবার কাছে প্রতিটি সন্তান আদরের হলেও, অতিরিক্ত আদর সন্তানের জন্য কখনোই মঙ্গলকর নয়। মুখে মুখে আমরা জীবনটা ছোট বললেও,প্রকৃত অর্থে জীবনটা কিন্তু বেশ লম্বা। আর জীবনে নানান ধরনের বাঁধা বিপত্তি অতিক্রম করতে হয় আমাদেরকে। তাই সব ধরনের বাস্তব অভিজ্ঞতা থাকা প্রয়োজন। বাড়তি আদর দিয়ে মা বাবা যদি সন্তানদেরকে শো পিসের মতো সাজিয়ে রাখে,তাহলে একটা সময় সন্তানেরাই ভুক্তভোগী হয়। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 last month 

জীবনে চলার পথে অনেক কিছুই শিখার জন্য, রপ্ত করার জন্য অনুশীলন প্রয়োজন। কেউ একটি বেশি নিবেদিতপ্রাণ হয়, তারাই যেকোন ক্ষেত্রে নির্দিষ্টভাবে এগিয়ে থাকে যেটা মঙ্গলজনক।
তবে সবার চাওয়া পাওয়া এক থাকে না, তাই মানুষ কেউ সফল হয়, কেউ ব্যর্থ হয়ে সফল হয়।
একটি সময়োপযোগী ও বাস্তবভিত্তিক বিষয় এত সহজে তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ ।
এতে একটি বড় শিক্ষা লুকিয়ে আছে, যারা বুঝতে পারে তারা সে অনুসারে সফল হয়।

 last month 

প্রচন্ড গরমের পর হঠাৎ করে ঠান্ডা বৃষ্টি হওয়ার কারণে এখন সবারই কম বেশি শরীর খারাপ হচ্ছে দাদা। যাইহোক, আপনার প্রসঙ্গে ফিরে আসি, আসলে বাবা মায়ের অতিরিক্ত যত্নের ফলে সন্তানরা আরো বেশি বিগড়ে যায়। আমিও মনে করি যে, একজন মানুষ যতদিন না পর্যন্ত মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে কিংবা বাস্তবতার সম্মুখীন হচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত সে কিছু শিখতে পারেনা। একটা বাচ্চা হাঁটবে তারপর পড়ে যাবে, তারপর আবার হাঁটা শুরু করবে, এভাবেই তো সে হাঁটা শিখবে। আসলে এই ব্যাপারটা এখনকার অনেক বাবা-মা বুঝতেই চায় না। তারা তাদের সন্তানকে এতটা আদর যত্ন করে মানুষ করে, যার কারণে ভবিষ্যতে তাদের আরো বেশি কষ্ট হয়।

Coin Marketplace

STEEM 0.23
TRX 0.12
JST 0.029
BTC 66195.81
ETH 3505.33
USDT 1.00
SBD 3.18