প্রিয় ঋতুর আগমনী বার্তা।
আজ- ২২শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, হেমন্তকাল
আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।
ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।
আসলে এইতো কিছুদিন আগে ও গরমে অতিষ্ঠ হয়ে যাওয়ার মত একটা ওয়েদার ছিল আর এখন মুহূর্তের মধ্যে যেন শীতের সে আভাটা এসে পড়েছে । আর শীতের পূর্বাভাস এখন থেকেই একটু একটু ভাবে লক্ষণীয়। ভোর বেলার দিকে কাঁথা গায়ে দিয়ে ঘুমাতে হয়। তাছাড়া রাতের দিকেও কিছুটা ঠান্ডা পড়ে। আর এখন থেকে ত্বকের মধ্যে একটা রুক্ষ শুষ্ক ভাব চলে এসেছে। সবকিছু মিলিয়ে শীতের আগমনে বার্তাটা বেশ লক্ষণীয়। গাছের পাতাগুলো লাল বর্ণের হয়ে ঝরতে শুরু করেছে। বাজারে শীতের সবজি আগমন ঘটেছে। কলের পানি গুলো ঠান্ডা হয়ে উঠেছে।
আজকে ভোর বেলার দিকে ঘুম থেকে উঠে পানিতে আর হাত দিতে পারছিনা পানিগুলা এতটা ঠান্ডা হয়ে ছিল। তাছাড়াও সকালের পুরো পরিবেশটা একেবারে অন্ধকার আচ্ছন্ন ছিল অথচ অন্য দিনগুলোতে যেখানে এই সময়টাতে সূর্যের আলো একেবারে সরাসরি গায়ে এসে পড়ে সেখানে আজ নিস্তব্ধ নিরিবিলি এবং ঠান্ডা একটা পরিবেশ। যদিও বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা খুব একটা নেই তারপরও শীতল ওয়েদার বিরাজ করছে। আর এত বেলা হয়ে গিয়েছে তবু ও এখনো পর্যন্ত সূর্য ওঠার কোন নাম নেই। বোঝাই যাচ্ছে শীত বেশ ভালোভাবেই আসছে।
এমনিতেই সাধারণত নভেম্বরের দিকে শীত পড়তে শুরু করে। তবে শহরাঞ্চলে এই শীতের পরিমাণটা একটু কম এবং শীত একটু দেরি করে আছে তবে এবার মনে হচ্ছে শীতের পরিমাণটা বেশ বাড়বে। এবার গরমের পরিমাণটা যেমন বেশি ছিল তাই হয়তো পরিমাণটাও বেশি থাকবে। শীতকাল আসলে মনের মধ্যে একটা ভালো লাগা কাজ করে। ঘোরাফেরা মজার মজার খানা পিনা এইসব কিছুই জেন শীতকালের সাথে খুব গণিষ্ঠা ভাবে সম্পর্কিত। তো আমার মত আপনারাও এখন থেকে প্ল্যান করে নেন আপনারা এই শীতে কে কোথায় বাড়াতে যাবেন। কি কি করবেন না করবেন।
আর কিছুদিন পরে যদিও গ্রাম অঞ্চল গুলো মেহমান একেবারে ভরপুর হয়ে উঠবে কেননা শহর থেকে সকলে চলে যাবে গ্রামের শীতকালটাকে উপভোগ করতে।
আসলে ছোটবেলায় শীতকালের সে সময় গুলোর কথা খুব বেশি মনে পড়ে। যখন কিনা স্কুলে বার্ষিক পরীক্ষা শেষে চলে যেতাম বেশ লম্বা একটা সময় যেন নানু বাড়ি বেড়াতে। এরপর সেখানে যাওয়া এবং কাজিনরা একত্র হওয়া অন্যরকম একটা সময় পার করা হত । তবে সময় পরিক্রমণে জিনিসগুলো অনেকটাই পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে। তারপরও এত পরিবর্তন এর মধ্যে দিয়ে ছোটখাটো আনন্দ গুলোকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করি।
সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
শহরে শীতের পরিমাণটা একটু কম কিন্তু গ্রামে শীতের সময়টা বেশ দারুন অনুভব করা যায়।সত্যি ভাই আপনার পোস্টটি পড়ে ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল আমরাওপরীক্ষা শেষ হলেই অপেক্ষা করতাম কবে গ্রামের বাড়িতে যাব।আর গ্রামে সবার সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ হতো অনেক আনন্দ হতো। শীতকাল মানেই ঘরে ঘরে পিঠাপুলি খাওয়ার ধুম, মেহমান অন্যরকম আনন্দ। ধন্যবাদ ভাই পোস্টি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ভাই কলকাতা শহরের শীত পালিয়ে গেছে।। মনে হয় এ বছর আর আসবে না। কি প্রচন্ড গরমে হাঁসফাঁস করছি আমরা। তবু আপনার পোস্টে শীতের কথা দেখে ভালো লাগলো। মনকে বোঝালাম শীত আসছে। শীতের আগমন বার্তা খুব সুন্দর করে ঘোষনা করলেন এই পোস্টে। আর শীতকাল সত্যিই আমারও প্রিয় কাল।
বৃষ্টির পর আমাদের এখানেও হালকা ঠান্ডা পড়েছে ভাই। সামনেই শীতকাল চলে আসছে, এটা ভাবতেই খুব ভালো লাগে। কারণ শীতকাল আমার খুবই পছন্দ। ছোটবেলায় শীতকালে তো ভীষণ মজা করতাম। তাছাড়া এখনও শীতকালটা বেশ উপভোগ করে থাকি। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
দীর্ঘ দিন ধরে গরমের তাপমাত্রা সহ্য করার পর আমরা আমাদের প্রিয় ঋতু শীতকাল কে পেয়েছি। আমার কাছে প্রতিটি ঋতুর থেকে শীত ঋতু একটু বেশি ভালো লাগে।আর এবছর শীতকাল একটু তাড়াতাড়ি চলে এসেছে। সময়ের পরিক্রমায় সকল কিছু পরিবর্তন হচ্ছে। আশা করছি এবছর শীতকাল আপনার বেশ ভালোই কাটবে।