ফটোগ্রাফি পোস্ট || 📸সাতটি রেনডম ফটোগ্রাফি📸
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি ফটোগ্রাফি পোস্ট শেয়ার করবো। বেশিরভাগ সময় আমি ফুলের ফটোগ্রাফি শেয়ার করি আপনাদের সাথে। তবে আজকে ভিন্ন ধরনের কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করবো। যাইহোক আজকে আমি আপনাদের সাথে সাতটি রেনডম ফটোগ্রাফি শেয়ার করার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ। ফটোগ্রাফি গুলো আমি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জায়গা থেকে ক্যাপচার করেছিলাম। যেমন দুটি ফটোগ্রাফি রমনা পার্ক থেকে ক্যাপচার করেছি,একটি ফটোগ্রাফি কক্সবাজার থেকে, একটি ফটোগ্রাফি রাঙ্গামাটির পলওয়েল পার্ক থেকে,একটি ফটোগ্রাফি শীতলক্ষ্যা নদী থেকে এবং দুটি ফটোগ্রাফি বিআইডব্লিউটিসি ২ নং ডকইয়ার্ড এর ভিতর থেকে ক্যাপচার করেছিলাম। যাইহোক ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করি আপনাদের কাছে খুব ভালো লাগবে।
📸১নং ফটোগ্রাফি📸
What 3 Words Location
Device Name- Samsung Galaxy S9 Plus
এই ফটোগ্রাফিটা আমি ডকইয়ার্ড এর ভিতর থেকে গত সপ্তাহে ক্যাপচার করেছিলাম। ডকইয়ার্ড এর ভিতর গেলেই এই জায়গাটা চোখে পড়ে। এই জায়গায় একসময় খেলার মাঠ ছিলো। কিন্তু এখন প্রজেক্ট তৈরি করা হচ্ছে। মূলত ডকইয়ার্ড এর কিছু কিছু কাজের সুবিধার্থে এই প্রজেক্টটি তৈরি করা হচ্ছে।
📸২নং ফটোগ্রাফি📸
What 3 Words Location
Device Name- Samsung Galaxy S9 Plus
এই ফটোগ্রাফিটাও ডকইয়ার্ড এর ভিতর থেকেই ক্যাপচার করেছিলাম। আমরা বিকেলে হাঁটতে হাঁটতে যখন শীতলক্ষ্যা নদীর পাড়ের দিকে যাচ্ছিলাম,তখন দেখলাম যে বেশ কয়েকজন ছেলে ছোট্ট জায়গার মধ্যে ফুটবল খেলছে। এটা দেখে আমার খুব ভালো লেগেছিল বলে,আমি ফটোগ্রাফি করে নিয়েছিলাম।
📸৩নং ফটোগ্রাফি📸
What 3 Words Location
Device Name- Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g
এই ফটোগ্রাফিটা কক্সবাজারের রেজু খালের পাশ থেকে ক্যাপচার করেছিলাম। কক্সবাজারের রেজু খাল আসলেই খুব সুন্দর। এই ব্রিজে এবং ব্রিজের আশেপাশে দাঁড়িয়ে সেখানকার মনোমুগ্ধকর দৃশ্য দারুণভাবে উপভোগ করা যায়। সেখানে বোটে চড়ার ব্যবস্থাও রয়েছে।
📸৪নং ফটোগ্রাফি📸
What 3 Words Location
Device Name- Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g
এই ফটোগ্রাফিটা রাঙ্গামাটির পলওয়েল পার্কের ভিতর থেকে ক্যাপচার করেছিলাম। এই ভাস্কর্য গুলো একেবারে নিখুঁতভাবে তৈরি করা হয়েছে। সামনা-সামনি এই ভাস্কর্য গুলো দেখে ভীষণ ভালো লেগেছিল। তাছাড়া পলওয়েল পার্ক এমনিতেও খুব সুন্দর।
📸৫নং ফটোগ্রাফি📸
What 3 Words Location
Device Name- Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g
এই ফটোগ্রাফিটা রমনা পার্কের ভিতর থেকে ক্যাপচার করেছিলাম। আমরা এই বছর পহেলা বৈশাখের দিন রমনা পার্কে ঘুরতে গিয়েছিলাম। তো রমনা পার্কে ঘুরাঘুরি করে, রমনা কালী মন্দিরের দিকে যখন যাচ্ছিলাম,তখন এই চমৎকার দৃশ্যটা চোখে পড়ে। আর তখনই এই চমৎকার দৃশ্যটা ক্যামেরাবন্দী করেছিলাম। দূর থেকে স্বাধীনতা স্তম্ভটা দেখতে দারুণ লাগছিল।
📸৬নং ফটোগ্রাফি📸
What 3 Words Location
Device Name- Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g
এই ফটোগ্রাফিটা কালী মন্দিরের সামনে থেকে ক্যাপচার করেছিলাম। বাচ্চা গুলো বেশ মজা করে লাফালাফি করছিলো। আসলে এখনকার বেশিরভাগ বাচ্চারা তো খেলাধুলা করার সুযোগ খুব কম পায়,তাই সুযোগ পেলে আনন্দ করতে ভুল করে না।
📸৭নং ফটোগ্রাফি📸
What 3 Words Location
Device Name- Samsung Galaxy S9 Plus
এই ফটোগ্রাফিটা ট্রলার দিয়ে শীতলক্ষ্যা নদী পার হওয়ার সময় ক্যাপচার করেছিলাম। আসলে বর্ষাকালে শীতলক্ষ্যা নদীর পানি একেবারে পরিষ্কার থাকে,কিন্তু ইতিমধ্যেই নদীর পানি কিছুটা কালো এবং দুর্গন্ধযুক্ত হয়ে গিয়েছে। নবীগঞ্জ ঘাট খুবই ব্যস্ততম একটি ঘাট।
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | ফটোগ্রাফি |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy S9 Plus |
তারিখ | ১৮.১১.২০২৪ |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
ডেইলি টাস্ক প্রুফ:
X-promotion
সবগুলো ফটোগ্রাফি বেশ দারুন হয়েছে। তবে আমার কাছে বেশি ভালো লেগেছে ভাস্কর্যগুলোর ছবি এবং কালী মন্দিরের সামনে তোলা ছবিটা। এটা দেখতে একদম একটা বাল্বের মত লাগছে। এর ভেতরের বাচ্চাগুলো বেশ মজা করছে দেখা যাচ্ছে। যাই হোক এত সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
হ্যাঁ আপু সেটা দেখতে অনেকটা বাল্বের মতোই লাগছে। যাইহোক ফটোগ্রাফি গুলো দেখে এতো সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে পাশে থাকার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
ভিন্ন স্বাদের কিছু ফটোগ্রাফি নিয়ে আজকের অ্যালবামটি সাজিয়েছেন। ফটোগ্রাফির মাধ্যমে বিভিন্ন স্থানের সৌন্দর্য তুলে ধরেছেন। পার্কের থেকে ক্যাপচার করা ভাস্কর্যগুলো আসলেই নিখুঁত। দেখতে ভারী সুন্দর লাগছে। ছবি সমেত বিস্তারিত সহকারে বর্ণনা করে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
বেশ ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য পেয়ে। যাইহোক ফটোগ্রাফি গুলো দেখে এমন প্রশংসনীয় মন্তব্যের মাধ্যমে পাশে থাকার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বিগতবার বাংলাদেশে গিয়ে রমনা কালীমন্দিরে বেশ কিছুটা সময় কাটিয়েছিলাম ভাই। তবে তখন একুশে বইমেলা চলছিল। তাই মাঠ ফাঁকা পাইনি। আপনার ছবিগুলি দেখে বেশ ভালো লাগলো। রমনা মাঠের পাশে বিজয় স্তম্ভটি দেখা যাচ্ছে। একদম শুরুতে ডক ইয়ার্ডের যে ছবি শেয়ার করেছেন সেগুলিও খুব ভালো হয়েছে।
একুশে বইমেলার সময় আমিও গিয়েছিলাম ভাই। যাইহোক ফটোগ্রাফি গুলো দেখে এতো চমৎকার মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
বিভিন্ন জায়গা থেকে করা সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন ভাইয়া। প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি খুবই সুন্দর হয়েছে। অসংখ্য ধন্যবাদ প্রাকৃতিক দৃশ্যসহ কিছু সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
চেষ্টা করেছি সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করতে। যাইহোক ফটোগ্রাফি গুলো দেখে এমন প্রশংসনীয় মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ আপু।
ভাইয়া আপনি তো এলোমেলোভাবে অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি ধারণ করেছেন। আপনার ধারণ করা প্রতিটি ফটোগ্রাফি দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনাদের কাছে ভালো লাগলেই পোস্ট করার সার্থকতা আপু। যাইহোক ফটোগ্রাফি গুলো দেখে এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ আপু।
৬ নং ফটোগ্রাফি টা বেশ ভালো লাগলো দেখে। ভিন্ন ধরনের একটা জিনিস ছিল এটা। বাচ্চার অনেক আনন্দ করছে এটার ভিতর। বাকি সবগুলো ফটোগ্রাফি ও দারুন ছিল। খুব সুন্দরভাবে প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি ক্যাপচার করেছেন। ধন্যবাদ ভাইয়া।
ষষ্ঠ ফটোগ্রাফিটা আমার কাছেও খুব ভালো লেগেছে। যাইহোক ফটোগ্রাফি গুলো দেখে এতো চমৎকার মন্তব্যের মাধ্যমে পাশে থাকার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।