আসসালামু আলাইকুম/নমস্কার
আমি @monira999 বাংলাদেশ থেকে।আজ আমি "আমার বাংলা ব্লগ" সম্প্রদায়ে আমার একটি খুবই প্রিয় একটি রেসিপি শেয়ার করতে যাচ্ছি। বাঙালিরা মাছ ভাত খেতে খুবই পছন্দ করে। মাছ বাঙ্গালীদের একটি প্রিয় খাবার। তাই বাঙ্গালীদের প্রিয় কাতলা মাছের একটি মজাদার রেসিপি আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করছি আমার তৈরি করা ফুলকপি ও বেগুন দিয়ে কাতলা মাছের ঝোল রেসিপি আপনাদের ভালো লাগবে।
🍲ফুলকপি ও বেগুন দিয়ে মজাদার কাতলা মাছের ঝোল রেসিপি:🍲
Device-OPPO-A15
ফুলকপি ও বেগুন আমার খুবই প্রিয় সবজি। বিশেষ করে শীতকালে সবজি খেতে বেশি ভালো লাগে। ফুলকপি ও বেগুন দিয়ে মাছ রান্না করলে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়। তাই আজ আমি ফুলকপি ও বেগুন দিয়ে কাতলা মাছের ঝোল রেসিপি তৈরি করেছি। বাঙালিরা মাছের বিভিন্ন রেসিপি খেতে পছন্দ করে। মাছ ভুনার পাশাপাশি সবজি দিয়ে বিভিন্ন ধরনের মাছের রেসিপি তৈরি করা হয়। তাই আজ আমি আমার পছন্দের কাতলা মাছ দিয়ে মজাদার রেসিপি তৈরি করেছি। ফুলকপি ও বেগুন দিয়ে কাতলা মাছের ঝোল রেসিপি খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। ভোজনরসিক বাঙালিরা বিভিন্ন ধরনের মাছের রেসিপি পছন্দ করে। তাই সব সময় নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করা হয়। মাছ দিয়ে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আশা করছি আমার তৈরি ফুলকপি ও বেগুন দিয়ে কাতলা মাছের ঝোল রেসিপি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে।
🍲ফুলকপি ও বেগুন দিয়ে কাতলা মাছের ঝোল রেসিপি তৈরি করতে প্রয়োজনীয় উপকরনসমুহ:
১. কাতলা মাছ ৩ পিচ।
২. বেগুন ২০০ গ্রাম।
৩. ফুলকপি ১০০ গ্রাম।
৪. রসুন বাটা ১ চামচ
৫. জিরা বাটা ১ চামচ
৬. হলুদের গুঁড়া ১ চামচ
৭. মরিচের গুঁড়া ২ চামচ
৮. পেঁয়াজ
৯. লবণ
১০. সয়াবিন তেল
১১. ধনেপাতা
রেসিপি তৈরীর ধাপসমূহ:
🍲ধাপ-১🍲
ফুলকপি ও বেগুন দিয়ে কাতলা মাছের ঝোল রেসিপি তৈরি করার জন্য প্রথমে আমি মাছগুলো ভালোভাবে ধুয়ে নিয়েছি। এবার মাছগুলো ভাজার জন্য প্রথমে হলুদের গুঁড়া, মরিচের গুঁড়া ও সামান্য পরিমাণে লবণ নিয়েছি। এরপর খুব ভালোভাবে এগুলো মাছের সাথে মাখিয়েছি।
🍲ধাপ-২🍲
কাতলা মাছ খুব ভালোভাবে ভাজার জন্য একটি কড়াই চুলার ওপর দিয়ে খুব ভালোভাবে গরম করেছি। কড়াই গরম হলে তেল দিয়ে মাছগুলো খুব ভালোভাবে ভেজে নিয়েছি। মাছ ভাজা হলে একটি প্লেটে তুলেছি।
🍲ধাপ-৩🍲
ফুলকপি ও বেগুন দিয়ে কাতলা মাছের ঝোল রেসিপি তৈরি করার জন্য এবার আমি একটি কড়াই প্রস্তুত করেছি। এরপর কড়াইয়ের মধ্যে সয়াবিন তেল দিয়েছি। এবার পেঁয়াজ কুচি, রসুন বাটা ও জিরা বাটা দিয়েছি। এবার পরিমাণ অনুযায়ী হলুদের গুঁড়া, মরিচের গুঁড়া ও লবণ দিয়েছি।
🍲ধাপ-৪🍲
এবার এগুলো চামচ দিয়ে মিশিয়েছি। মসলা মেশানো হলে মসলা ভুনা করার জন্য পানি দিয়েছি।
🍲ধাপ-৫🍲
কিছুক্ষণ পর মসলা ভুনা হলে ফুলকপি ও বেগুন এর মধ্যে দিয়েছি। ফুলকপি ও বেগুন ভালোভাবে ভুনা করার জন্য আমি এগুলো ভুনা মসলার মধ্যে দিয়েছি।
🍲ধাপ-৬🍲
এরপর ধীরে ধীরে চামচ দিয়ে ভুনা মসলার সাথে ফুলকপি ও বেগুনের টুকরোগুলো মিশিয়েছি। ফুলকপি ও বেগুন খেতে মজাদার করার জন্য আমি বেশ কিছুক্ষণ সময় ধরে মসলার সাথে এগুলো ভুনা করেছি।
🍲ধাপ-৭🍲
এবার ফুলকপি ও বেগুন ভালো ভাবে সেদ্ধ করার জন্য পরিমানমত পানি দিয়েছি। এরপর চামচ দিয়ে নেড়েচেড়ে পানির সাথে ফুলকপি ও বেগুন ভালোভাবে মিশিয়েছি।
🍲ধাপ-৮🍲
এবার ভেজে রাখা কাতলা মাছের টুকরোগুলো কড়াইয়ের মধ্যে দিয়েছি। আমি যেহেতু ফুলকপি ও বেগুন দিয়ে কাতলা মাছের ঝোল রেসিপি তৈরি করবো তাই আমি ভাজা মাছ গুলো আরো ভালোভাবে রান্না করার জন্য ফুলকপি ও বেগুনের মধ্যে দিয়েছি। এরপর ধনেপাতা দিয়েছি।
🍲ধাপ-৯🍲
এবার মাছগুলো ভালোভাবে রান্না করার জন্য এবং ধনেপাতা, ফুলকপি ও বেগুনের সাথে ভালোভাবে মেশানোর জন্য হালকাভাবে চামচ দিয়ে নাড়াচাড়া করেছি।
🍲শেষ ধাপ🍲
এভাবে বেশ কিছুক্ষন সময় ধরে রান্না করার পর বেগুন ও ফুলকপি যখন সিদ্ধ হয়ে গেছে এবং খেতে ভালো হয়েছে তখন আমি খাবারের স্বাদ পরীক্ষা করে নিয়ে ফুলকপি ও বেগুন দিয়ে কাতলা মাছের ঝোল তরকারি চুলার উপর থেকে নামিয়ে রেখেছি।
🍲পরিবেশন🍲
Device-OPPO-A15
ফুলকপি ও বেগুন দিয়ে কাতলা মাছের ঝোল রেসিপি খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। কারণ ফুলকপি ও বেগুন কাতলা মাছ দিয়ে খেতে খুবই ভালো লাগে। শীতকালে ফুলকপি ও বেগুনের স্বাদ দ্বিগুণ বৃদ্ধি পায়। শীতকালীন সবজিগুলো খেতে অনেক বেশি মজা লাগে। আর সাথে যদি হয় কাতলা মাছ তাহলে খাবারের স্বাদ অনেক বেড়ে যায়। তাই আমি আমার পছন্দের কাতলা মাছ দিয়ে ফুলকপি ও বেগুনের মজাদার একটি রেসিপি তৈরি করে আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করেছি। আশা করছি আমার তৈরি এই রেসিপি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে।
❣️ধন্যবাদ সকলকে❣️
বাহ আপু অনেক সুন্দর একটা রেসিপি শেয়ার করেছেন আপনি কাতলা মাছের ঝোল। কাতলা মাছ আমার অনেক প্রিয়। এই মাছ খেতে অনেক টেস্টি লাগে। আপনার রান্নার ধরণ টা অনেক সুন্দর হয়েছে তা থেকে বোঝা যাচ্ছে, কতটা টেস্টি হয়েছিল খেতে। ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য সুন্দর একটা রেসিপি।
দারুন একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন তো। কালার দেখেই খেতে ইচ্ছে করছে। দারুন হয়েছে ফুলকপি বেগুন দিয়ে কাতলা মাছের ঝোল। ধন্যবাদ।
আমার রেসিপি আপনার কাছে ভালো লেগেছে এটা জেনে অনেক ভাল লাগল ভাইয়া। অনেক সুন্দর একটি মন্তব্য করেছেন এ জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
ফুলকপি বেগুন দিয়ে কাতলা মাছের ঝোল রেসিপি দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে। আপনি খুবই সুন্দরভাবে রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার উপস্থাপনা আমার খুবই ভালো লেগেছে। আপনার জন্য রইল শুভকামনা
ফুলকপি দিয়ে কাতলা মাছ এভাবে খাওয়া হয়নি আপু। দেখে মনে হচ্ছে বেশ মজার হয়েছে রেসিপিটা। রেসিপির কালারটা লোভনীয়। ধন্যবাদ আপু আপনাকে।
ওয়াও আপু অসাধারণ সুন্দর একটি রেসিপি আপনি আমাদের উপহার দিয়েছেন। কাতলা মাছ এমনিতে খেতে অনেক সুস্বাদু লাগে। আপনার পোস্টটি পড়ে মনে হচ্ছে ফুলকপি এবং বেগুনের সাথে কাতলা মাছ অনেক সুস্বাদু এবং মজাদার হয়েছিল।
আপনার রেসিপিটি অনেক সুন্দর হয়েছে। রেসিপির কালারটি দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু ও মজাদার ছিল।
কাতলা মাছ এমনিতেই অনেক মজাদার হয় তার পর যদি ফুলকপি দিয়ে রান্না করা হয় তাহলে তো কোন কথাই নেই, শুধু মন চাইবে খেতে আর খেতে। মজাদার এবং লোভনীয় দেখতে কাতলা মাছের রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ফুলকপি ও বেগুন দিয়ে কাতলা মাছের ঝোল রেসিপি দারুণভাবে তৈরি করেছেন। খুবই ভালো লাগলো। প্রয়োজনীয় উপকরণ গুলো সঠিক মাত্রায় দিয়েছেন। প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইল
অনেক সুন্দর একটি মন্তব্য করেছেন এ জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাইয়া। আপনার জন্যও শুভকামনা রইল।
শীতকালে ফুলকপি সবজি আমার সবচাইতে বেশি ভালো লাগে। আর আপনি আজকে ফুলকপি এবং বেগুন দিয়ে মাছের ঝোল রান্না করেছেন যা সত্যি আমাকে অনেক আকর্ষণ করেছে। অনেক সুন্দর হয়েছে আপু আপনার রেসিপিটি আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।
শীতকালীন সবজির মধ্যে ফুলকপি আমার খুবই প্রিয়। শীতকালীন সবজি ফুলকপি ও বেগুন দিয়ে মাছের ঝোল খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। আপু আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
ফুলকপি ও বেগুন দিয়ে আপনি অনেক সুস্বাদু এবং লোভনীয় কাতলা মাছের রেসিপি রান্না করেছেন আপু ।আপনি বরাবরই আমাদের মাঝে রেসিপি উপস্থাপন করে থাকেন, আপনার রেসিপি গুলো সত্যিই আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আজ আপনি যে রেসিপিটা আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন সেটি দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু এবং লোভনীয়। কাতলা মাছ বরাবরই আমার কাছে খুবই সুস্বাদু লাগে, আর এই কাতলা মাছ যদি ফুলকপি দিয়ে রান্না করা হয় তাহলে তো আর কোন কথাই নেই ।ধন্যবাদ আপনাকে এত মজাদার এবং লোভনীয় একটি রেসিপি আমাদের সকলের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
আমার রেসিপি গুলো আপনার কাছে ভালো লাগে এটা জেনে অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া। অনেক সুন্দর একটি মন্তব্য করেছেন এ জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।