ঈদের দিনটাকে স্মৃতির পাতায় জমা রাখা
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আজকে শুক্রবার, এপ্রিল ১২/২০২৪
আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন আমিও ভালো আছি আজকে আপনাদের মাঝে পুনরায় আরও একটা নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম। প্রথমে আপনাদের সকলকে জানাই ঈদের শুভেচ্ছা ঈদ মোবারক। হয়তোবা সকলেই ঈদের এই দিনটাকে কেন্দ্র করে অনেক ব্যস্ত সময় পার করছেন। যেহেতু এবার সকলেই একটু বেশি পরিমাণে ছুটি পেয়েছেন তাই সকলেই খুব ভালোভাবে স্বাচ্ছন্দের সাথে ঘোরাঘুরি করতে পারছে। আজকে আমি আপনাদের মাঝে ঈদগাহে ঈদের নামাজের মুহূর্তের বিষয়টা শেয়ার করতে হাজির হয়ে গেলাম।
যেহেতু আমাদের গ্রামের আকৃতি তুলনামূলকভাবে একটু বড় তাই আমাদের ঈদগাহের আকৃতি টাও অনেক বড়। আর আমাদের গ্রামের মানুষদের মধ্যে অনেক মিল রয়েছে যার কারণে সকলেই এখানে এসে একত্রিত হয়ে ঈদের নামাজ আদায় করে থাকে। যেহেতু সকাল 8 টার সময় আমাদের গ্রামের ঈদগাহ ময়দানে ঈদের নামাজের সময় নির্ধারণ করা হয়েছিল তাই আমরা সকলেই আগে থেকেই সেখানে উপস্থিত হয়ে গিয়েছিলাম। আমাদের গ্রামের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দান টা আমাদের বাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরের রাস্তা।
আমরা নির্ধারিত সময়ে ঈদের নামাজ শুরু করেছিলাম। এবারের ঈদের নামাজে আমার একটা বিষয় খুবই খারাপ লেগেছে সেটা হচ্ছে আমাদের গ্রামের তিনটা মসজিদের মধ্যকার ইমামদের মধ্যে প্রত্যেক ঈদে একজন করে ইমাম ঈদের নামাজ পড়ান। কিন্তু এবার যে ইমামের নামাজ পড়ানোর কথা ছিল সে ঈদের ঠিক পাঁচ-ছয়দিন আগে এক্সিডেন্ট করেছে। আর শেষ পর্যন্ত নামাজ পড়ানো তো দূরের কথা সে নিজেও নামাজ পড়ার জন্য ঈদগাহ ময়দানে উপস্থিত হতে পারিনি। আর একটা বিষয় আমার কাছে ভালো লেগেছে যে ইমাম মোনাজাত করেছিল সে ওই অসুস্থ ইমামের জন্য দোয়া করেছেন। আসলে এটাই তো হবার কথা মুসলমান হিসেবে একজন যদি আরেকজনের আসে না দাঁড়ানো যায় তাহলে কে দাঁড়াবে।
ঈদের নামাজ শেষ হয়ে যাবার পরে আমরা সকলে একে অন্যের সাথে কোলাকুলি করতে শুরু করেছিলাম। সেই মুহূর্ত টাই আমি এই ফটোগ্রাফি টা ধারণ করেছি শুধুমাত্র আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
প্রত্যেক ঈদে আমরা একটা জিনিস করে থাকি সেটা হচ্ছে দলগতভাবে ফটোগ্রাফি করা। এই বছরেও তার ব্যতিক্রম করিনি। এবারে অন্যান্য বছরে থেকে আমাদের ফটোগ্রাফিতে মানুষের সংখ্যা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। স্মৃতির পাতায় এটা জমা রাখার জন্য আপনাদের মাঝে ও শেয়ার করে রাখলাম। এবছর লক্ষ্য করে দেখেছি আমাদের এই গ্রুপ ফটোগ্রাফিতে অনেক বড় মানুষ ও অংশগ্রহণ করেছে। আপনারা যদি একটু ভালোভাবে লক্ষ্য করেন তাহলে দেখতে পাবেন সামনের দিকে দুজন বড় মানুষ দৌড়ে এসে বসে পড়েছে শুধুমাত্র আমাদের সাথে ফটোগ্রাফিতে অংশগ্রহণ করার জন্য। সত্য কথা বলতে ঈদগাহ ময়দানের এই ফটোগ্রাফির মুহূর্ত টা আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। কারণ আজকে যারা এই ফটোগ্রাফিতে অংশগ্রহণ করেছে না জানি আগামী ঈদে তারা এই ফটোগ্রাফিতে অংশগ্রহণ করতে পারবে কিনা। তাই এই ছবিগুলো সব সময়ই আমাদের স্মৃতির পাতায় জমা হয়ে থাকবে।
আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবাসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে। আমি ২০১৭ সালে প্রথম এই প্লাটফর্মে যুক্ত হয়েছিলাম সেই থেকে আজ পর্যন্ত এই প্লাটফর্মের সাথেই রয়ে গিয়েছি। আশা করি ভবিষ্যতেও এই প্লাটফর্মের সাথেই থেকে যাব।
আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুক টুইটার
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Posted using SteemPro Mobile
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
স্মৃতির পাতায় ধরে রাখতে ঈদের দিন টা অনেক সুন্দর করে ফটো ধারণ করেছে ঈদগায়ে নামাজ পড়ার মুহূর্তে। আমার কিন্তু বেশ ভালো লাগলো গ্রামবাসীর সাথে অনেকগুলো ফটো ধারণ করেছে দেখে। আমিও অবশ্য অনেকগুলো ফটো তুলেছি চেনা পরিচিত মুখগুলোর সাথে। কারণ এভাবে তো সবসময় একত্রিত হওয়া সম্ভব নয়। যাই হোক অনুভূতিটা বেশ ভালো লাগলো।
জানিনা প্রিয় মুখগুলোর মাঝে এভাবে আর কোনদিন একত্রিত হতে পারব কিনা।
শুনে অনেক খারাপ লাগলো ভাইয়া যে ইমাম প্রতিবার নামাজ পড়ায় সেই ইমাম অ্যাক্সিডেন্ট হওয়ার কারণে এবার নিজেই নামাজ পড়তে আসতে পারিনি ।ধন্যবাদ ভাইয়া ঈদের দিনের কিছু মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
বিষয়টা আবারো অনেক খারাপ লেগেছে অনেক কষ্ট পেয়েছিলাম সংবাদ পরে।
বিষয়টা জানতে পেরে আমার কাছে প্রথমে একটু খারাপ লেগেছে যে ঈদের আগে ইমাম সাহেব এক্সিডেন্ট করেছে। আশা করি পরবর্তী বছরে সে আবারো আপনাদের সাথে ঈদের জামাতে অংশগ্রহণ করতে পারবে। ঈদের দিনে অনেক মানুষের সাথে ছবি তুলেছেন আর সেটা স্মৃতির পাতায় জমা রেখেছেন এটা দেখে ভালো লাগলো।
ইমাম সাহেবের এক্সিডেন্ট এর কথা যখনই শুনেছিলাম তখনই খুবই খারাপ লেগেছিল কেননা সে অনেক বৃদ্ধ হয়ে গিয়েছে।
বাহ তাহলে তো চমৎকার একটি সময় কাটালেন ঈদের দিন। যেহেতু আপনারা সবাই এক সাথে জামাতের সাথে ঈদের নামাজ আদায় করেন। সব আত্মীয়-স্বজন ভাই বন্ধু এক সাথে মিলিত হয়। নামাজ শেষে অনেক মধুর একটি সময় কাটে বিশেষ করে ছেলেদের। ঈদের দিনের এমন সুন্দর অনুভূতি আপনি শেয়ার করলেন ভালো লাগলো পড়ে।
এবার আবহাওয়া কিছুটা ভালো থাকার কারণে ঈদটাকে খুব ভালোভাবে উপভোগ করা গেছে।