Better Life with Steem|| The Diary Game||26 November 2024||
Made by Canva |
শুভ সকাল
সৃষ্টিকর্তার উপহার দেয়া সুন্দরতম একটি দিন পার করে এলাম । আশা করি স্টিমিট পরিবারের সকল বন্ধুরা খুব ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমাদের যে দিনটি চলে যায় সেই দিনটি ভালো যায় ।মনে হচ্ছে সামনের যে দিনগুলো আমরা অতিক্রম করব তা আরো কঠিন এবং ভয়াবহ হবে ।
আমার প্রিয় বন্ধুরা, তোমাদের সাথে আমার প্রতিদিনের ডাইরি খেলা নিয়ে আবার হাজির হলাম ।তবে চলো ২৬ তারিখে কাটানো দিনটির কিছু কিছু অংশ আমি তোমাদের সাথে শেয়ার করছি।
আজকের সকাল |
---|
সংসারের নানা ধরনের ব্যস্ততা তার সাথে মানসিক চিন্তা যেন ঘিরে ধরে আছে আমাদেরকে। টিভি কিংবা অনলাইন মাধ্যম গুলোতে যে সকল খবরগুলো আমরা দেখছি তা সত্যি আমাদেরকে আশাহত করে। জানিনা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম কিভাবে তাদের দিনগুলো অতিক্রম করবে। আজও ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে সকলের প্রার্থনা করে নিয়েছি। আজ ব্যালকনিতে অনেকগুলো অপরাজিতা ফুল ফুটেছিল ।
আজ দেবতার চরণে কিছু ফুল নিবেদন করি এবং কিছু ফুল রেখে দেই ।অনেক দিন পরে আজ আবার অপরাজিতা ফুলের চা তৈরি করেছিলাম । হালকা হালকা শীত পড়েছে, শরীরটা ভালো ছিল না তার সাথে মনটাও ভালো ছিল না । অপরাজিতা ফুলের চায়ের রেসিপি আমি বিগত পোস্টে তোমাদের সাথে শেয়ার করেছি ।
জারা মামনীর জন্য মনটা খুব খারাপ লাগছিল ।ছোট্ট ওই মুখে এক মায়া আছে। নানু বাড়ি থেকে কবে আসবে সেই অপেক্ষায় আছি। সৃষ্টিকর্তার দেয়া সবথেকে শ্রেষ্ঠ উপহার হলো একটি সন্তান ,একটি শিশু। ওরা হলো পবিত্র ফুল।এই ফুলের স্পর্শে সবাইকে পবিত্র করে , এমন এক মায়া বেঁধে ফেলে যে মায়া সহজে ছেঁড়া যায় না ।
আজকের দুপুর |
---|
বাসায় কোন সবজি ছিল না তাই কিছু সবজির কিনতে নিচে গেলাম ।সবজি কি কিনব ! শীতের মৌসুম এখন , কাঁচাবাজেরে বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজি ভরপুর থাকবে আর এই সময় সবজির দামও অনেক কম থাকবে কিন্তু বর্তমান সময়ে সকল সবজির এত মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে যা সাধারণ বা মধ্যবিত্তদের পক্ষে ক্রয় করা সত্যিই অনেক কঠিন ।
বাজার গুলোতে নতুন আলু এসেছে তোও পুরনো আলুর মূল্য কিছু কম হবার কথা । কিন্তু এখনো পুরাতন আলু ৮০ টাকা কিলো। এবং নতুন আলু ১৩০ থেকে ১৫০ টাকা কিলো ।বেগুন ১০০ টাকা কিলো ,করোল্লা ৮০ থেকে ৯০ টাকা কিলো । ৮০ টাকার নিচে কোন সবজি পাওয়া যাচ্ছে না ।আগের দিনগুলোতে এ দিনে ফুলকপির পিস থাকতো দশ টাকা অথরা পনেরো টাকা। এখন কিনতে হচ্ছে ৫০ টাকা করে পিস করে ।
যাই হোক তারপরও টুকিটাকি সবজি কিনে নিলাম ।তবে এখানে সবজিগুলো একদম ফ্রেশ পাওয়া যায় ।সবজি নিয়ে আসার সময় লিফটে রহমান ভাবির সাথে দেখা হল । সেই ২০১৪ সালে খাগড়াছড়ি ক্যান্টনমেন্ট প্রথম পরিচয় হয়েছিল ।অল্পদিনের পরিচয় ছিল তারপর আমরা আবার ঢাকাতে চলে আসি।
আজ ভাবিকে অন্যরকম লাগছিল ,মনে হচ্ছে অসুস্থ , কোন বিষয় নিয়ে চিন্তিত। ভাবীর তিনটি সন্তান , প্রথম সন্তান হলো অটিজম। অন্য সন্তান দুটো স্বাভাবিক । প্রথম সন্তান কে নিয়ে বেশি চিন্তা করে । বাবা চিন্তা করে কিন্তু দেখা যায় বাবারা বেশিরভাগ সময় অফিসের কাজে বাইরে থাকে তাই প্রকাশ পায় না। মা সারাক্ষণ বাসায় থাকেন , সারাক্ষণ তার সাথে থাকে তাই তো তাদের মনের ভিতর অনেক চিন্তা থাকে। মেয়েদের বুক ফাটে তো মুখ ফাটে না। আমি দুপুরে রান্নার আয়োজন করি । খাওয়া-দাওয়া শেষে ফ্রেশ হয়ে কিছু সময় বিশ্রাম নেই।
আজকের আজকের বিকেল |
---|
জারার মায়ের সাথে ফোনে কথা বলি। মন অনেকটা ভালো হয়ে গেল ।ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে গরম গরম এক কাপ আদা চা করে নেই এবং সাথে কিছু পপকন ভেজে নিয়েছি।
আজকের সন্ধ্যা ও রাত |
---|
সন্ধ্যা কালীন প্রার্থনা শেষে কোল্ড কফি ও একটি ডেজার্ট বানিয়ে নিলাম ।মামনী ডেজার্ট খুব পছন্দ করে । আর্মি বাবু অফিস থেকে চলে আসলেন । তিনি সে এইসব খাবার পছন্দ করেন না ।তিনি একদম সাদামাটা পুরোপুরি বাঙালি। তিনি বাঙালি খাবার পছন্দ করেন তাই এগুলো তাকে খেতে অনুরোধ করা যাবে না।
যাই হোক এভাবে কেটে গেল আমার ২৬ তারিখে দিনটি ।আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে । এই শীতের দিন আপনাদের ভালো কাটুক । পরিবারের সাথে সুন্দর সময় পার করুন। আজ এখানে বিদায় নিচ্ছি ।
Device | Description |
---|---|
Smartphone | Redmi |
Smartphone Model | Redmi Note 13(2024) |
Photographer | @muktaseo |
@muktaseo খুব বেশি হাতে সময় আমিও পাই না, তাই লেখা পড়া হলেও মন্তব্যের বিশেষ সময় করে ওঠা তাও আবার সকলের ক্ষেত্রে বেশ কষ্টসাধ্য হয়ে যায়।
অনেকদিন বাদে আপনার লেখায় মন্তব্য করতে উপস্থিত হয়েছি, আর শুরুতেই অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য দুঃখিত।
তবে আপনার চা পাতা ছাড়া অপরাজিতা ফুলের চায়ের রেসিপি আমাকে বেশ অবাক করেছে তার কারণ একদিকে আপনি স্বাস্থ্যের কথা বলে যদি আরেকদিকে চিনি খাওয়ান তাহলে সবটাই জলে গেলো!🤣
ওই চা যদি গ্রীন টি ব্যবহার করে করা যায় চিনি ছাড়া তাহলে বোধহয়, বেশ কার্যকর হতে পারে স্বাস্থ্যের জন্য।
যাইহোক, সেটা অন্য একটি লেখার বিষয়, আজকের যে বিষয়টি আপনার লেখায় তুলে ধরেছেন সেটা আমাকেও বেশ ভাবায় মাঝেমধ্যে।
সত্যি বলতে কোনো সুস্থ্য মানসিকতা বোধহয় অশান্তি, বিভাজন, সন্ত্রাস, ধর্ম বিরোধিতা ইত্যাদি নেতিবাচক বিষয়গুলোকে সমর্থন করেন না!
শান্তির রাস্তায় এগুলো সবচাইতে বড় বাঁধা বলে আমি মনে করি! প্রতিবাদের ভাষাও শান্তিপূর্ণ ভাবে সম্পাদন করা যায়।
আরও একটি প্রবাদ এই সুবাদের মনে পড়ল, আপনার উল্লেখিত বাজার দর দেখে!
রাজায় রাজায় যুদ্ধ হয়, উলু খাগড়ার প্রাণ যায়!
বর্তমান পরিস্থিতি যদি দেখেন তাহলে মানুষের দৈনন্দিন জীবনের অবস্থা খানিক সেই রকম হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ভাবুন সেই মানুষগুলোর কি অবস্থা যারা দিন আনে দিন খায়! মন খারাপ হয়ে যায় বিষয়গুলো ভাবতে বসলে। ভালো থাকুন আর আশীর্বাদ ধন্য থাকুন সবসময়।
দিদি আমার সশ্রদ্ধ প্রণাম নিবেন ।এত বড় একটি মন্তব্য পেয়ে আমি সত্যিই অভিভূত হলাম। স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে যুক্ত হবার পরে আমি এই প্রথম এত বড় একটি মন্তব্য পেলাম।
আমরা সকল কথা প্রকাশ করতে পারিনা , নীরবে চেয়ে দেখতে হয় সবকিছু। আমরা প্রথম বিশ্বযুদ্ধ দেখিনি, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ দেখিনি ,পলাশী যুদ্ধ দেখিনি, দেশভাগের যুদ্ধ দেখিনি, এমনকি ১৯৭১সালের মুক্তিযুদ্ধ দেখেনি তবে বর্তমান পরিস্থিতি আমাদেরকে কোন দিকে নিয়ে যাচ্ছে তাও বুঝতে পারছি না।
অপ্রিয় হলেও কথাগুলো সত্যি, আমরা সকলেই নিজের ক্ষমতার বড়াই করে দুর্বলের উপরে আঘাত করতে বেশি ভালোবাসি ।শুধু আমাদের দেশে নয় আরও বিশ্বের বিভিন্ন দেশ আজ রক্ত খেলায় মেতে উঠেছে। এই যুদ্ধ কবে শেষ হবে সেই অপেক্ষায়।
সুন্দর সাজানো শহর গুলো ভাড়ি ভাড়ি বোমার আঘাতে দুমড়ে যাচ্ছে ,হাজার হাজার শিশু জীবন এখানেই শেষ হয়ে যাচ্ছে ।আজ মানুষে মানুষের যুদ্ধ , হানাহানি, হিংসা ।তারা কি একবারও ভাবেনা? এই ছোট্ট শিশুটি এই সুন্দর পৃথিবী দেখা এখনো তার হলো না ।
বাস্তব একটা কথা বলেছেন।
আমার মত সাধারণ জনগণ সকলেরই একই প্রার্থনা থাকবে সৃষ্টিকর্তার কাছে যে, রাজার রাজার যুদ্ধ বন্ধ হোক উলু খাগড়ার প্রাণ ফিরে পাক।