কিছু ক্ষয়ে যাওয়া অনুভূতি || কিছু আবেগ || কিছু ভালোবাসা
"আমার বাংলা ব্লগে আপনাদের সকলকে জানাই আমার সালাম"
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ পরিবারের সকলের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা রেখে শুরু করছি আমার আজকের এই ব্লগ।আশা করি আমি আমার দক্ষতার মাধ্যমে আপনাদের সকলের নিকট ভালো কিছু উপস্থাপন করতে সক্ষম হবো,এবং আপনাদের ও ভালো লাগবে।
একটা সময় ফেসবুক প্রচুর লেখালেখি করতাম। বিশেষ করে যখন করনায় লকডাউন চলছিল ওইসময় ফেসবুকে খুব বেশিই সময় ব্যায় করতাম আর হুদাই লেখালেখি করতাম। এটা ওটা শেয়ার দিতাম নিজের ভিতরে চেপে রাখা কথাগুলো ঝেড়ে লিখতাম ফেসবুকে। বিভিন্ন নিউজপোর্টাল থেকে তথ্য কালেক্ট করে সেগুলা আবার একটু সমালোচনা করে শেয়ার ও করতাম। যাইহোক ওইসময় টাইম পাস করার ও কোনো অপশন ছিল না তাই ফেসবুকে বেশ ভালই সময় খরচ করতাম। আমার লেখা গুলা আবার আমার বন্ধুর বেশ পছন্দ হলো। ও প্রায় বলতো ফ্রি কামলা দিয়ে কোনো লাভ নাই। এর থেকে একটা সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম আছে সেখানে তোর নিজের ক্রিয়েটিভ লেখাগুলো শেয়ার করতে পারিস। এক্সপিরিয়েন্স ও বাড়বে সাথে তোর পকেট খরচ ও চলবে। ওর অফারটা বেশ লোভনীয় ছিল। আসলে ছাত্র বয়সে কার না টাকার দরকার বলেন! আমারও ছিল। কারণ প্রতিমাসে বাসা থেকে যেটা পাচ্ছিলাম সেটা প্রয়োজনের তুলনায় একটু কমই পড়ে যাচ্ছিল আমার কাছে। আর সত্যি কথা বলতে মেস লাইফে বাসা থেকে যত টাকাই দেক না কেনো মাস শেষ হবার পূর্বেই টাকা আগে ফুরাবে। এটা সবার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।
যাইহোক ওকে বললাম আচ্ছা ঠিক আছে একদিন দেখা করি তাহলে। ব্যাপারটা শেখায় দিস কেমনে শুরু করবো। কিন্তু তখন চলে লকডাউন বাসা থেকেও বের হওয়া যায় না। তারপর ব্যাপারটা গুরুত্বহীন থেকে গেলো আমার কাছে। ও আর তেমন আগ্রহ দেখালো না। এমনেই ফেসবুক আর নিউজফিড হাকাহাকি করতেই কেটে গেলো পুরো 19-20 সাল। এরপর হুট করে খুলে গেলো সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তারপর দিনাজপুর মেসে গেলাম । আমার সেই ফ্রেন্ড এর সাথে দেখা। আমি আর আমার ফ্রেন্ড অবশ্য একসাথেই থাকতাম। তারপর সে পরিচয় করিয়ে দিলো আমার বাংলা ব্লগ এর সাথে। আর তখন থেকেই আমার বাংলা ব্লগ এর সাথে আমার যাত্রা শুরু আর এখনো চলছেই।
আমি যখন আমার বাংলা ব্লগে আসি তখন যতদূর মনে পড়ে ১৫-১৬ হ্যাংআউট চলে। তো discord এ ঢুকে পড়লাম হাঙ্গআউটে সেখানে শুনতে পেলাম শুভ ভাইয়ের সেই এক্সাইটমেন্ট ভরা কণ্ঠ। তারপর বেশ উপভোগ করলাম পুরো শো টি। গান,সাথী আপুর কবিতা সব মিলিয়ে ব্যাপারটা বেশ মনে ধরেছিল আমার। এরপর একে একে অনেগুলো শো পেরিয়ে গেছে কিন্তু সাহস করেও কখনো গান বলতে পারি নি। অনেকবার নিয়ত করেও শেষে গিয়ে আর গাওয়া হয়ে উঠে নি। সাগর, আমার বন্ধু আমাকে বার বার বলতো। আরেহ! তুই তো ভালই গান শুনিস আর গাইতেও পারিস একদিন সাহস করে বলেই ফেল দেখবি সবাই তোর প্রশংসা করবে। আমি আসলে ভাবতাম এমন ফাটা বাঁশের গলা নিয়ে গান গাইলে সবাই খালি মজাই নিবে আমাকে নিয়ে। যাইহোক আমার এই ধারণাকে ভুল প্রমাণ করে ওইদিন যেদিন, আমি প্রথম গান গেয়েছিলাম গান শেষে শুভ ভাই বলে উঠলো আউটস্ট্যান্ডিং, হোয়াট এ রকিং পারফরম্যান্স। ওইদিন বেশ ভালো লেগেছিলো সবার উৎসাহে খুব বেশি উত্সাহিত হয়েছিলাম ওইদিন। তারপর থেকে শুধু পারফর্ম করার জন্যে হলেও এই হ্যাংআউট এর অপেক্ষায় থাকতাম। একে একে অনেগুলা ভালো পারফরম্যান্স উপহার দিয়েছি সবাইকে আবার খারাপ ও দিয়েছি। কিন্তু আমার বাংলা ব্লগ কখনই আমাকে নিরুৎসাহিত করে নাই বরং আরো বেশি অনুপ্রেরণা দিয়েছে। আর এই ব্যাপারটা সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে। এখন পর্যন্ত যতজনই পারফ্রম করছে সবাইকে উৎসাহ দিয়েছেন বাহবা দিয়েছে। আমিও ধীরে ধীরে পরিপক্ব হয়েছি জড়তা কাটিয়ে এখন আগের থেকে বেশ ভালো ও সাবলীল পারফরম্যান্স উপহার দেই। আর এটা কেবল সম্ভব হয়েছে সবার পজেটিভিটির জন্য। ওই প্রথমদিন যদি কোনোভাবে আমি ডি-মোটিভেট হইতাম তবে হয়তো ওটাই হতো আমার লাস্ট পারফরম্যান্স। যাইহোক আমার বাংলা ব্লগ এর প্রত্যেকেই পজেটিভ চিন্তার মানুষ। আর তাই হয়তো এত জনের যাওয়া আসার ভিড়ে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে আমার বাংলা ব্লগ
আজ এত দূরে।
যাইহোক 50 তম তেও ছিলাম 100 তম তেও আছি এবং সামনে মাইলস্টোন গুলোতেও থাকতে চাই। আর বাংলা ব্লগ ধারাবাহিকতা বজায় রেখে এভাবেই এগিয়ে যাক সেই কামনায় করি।
ঠিক বলেছেন ভাই আসলে আমাদের স্বপ্নের মত পূরণ হয়েছে ১০০ তম হ্যাংআউট। আপনি ১৫ কিংবা ১৬ তম হ্যাংআউট থেকে আমার বাংলা ব্লগের যাত্রা শুরু করেছিলেন জেনে খুবই ভালো লাগলো। আসলে আমরা সবাই চাই এভাবে আমার বাংলা ব্লগ এর সাথে জড়িত থাকবো। ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আমার বাংলা ব্লগের শুরু থেকে আজ অব্দি রয়েছি এবং যতদিন আছি এই ধরায় ততদিন থাকতে চাই এই পরিবারের সাথে।।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া পর না লকডাউনের সময় সবাই খুব লেখালেখি করত সোশ্যাল মিডিয়ায়। প্রফিট হিসেবে দু চারটা লাইক ছাড়া আর কিছু মিলতো না।। কিন্তু এখন আমার বাংলা ব্লগের কল্যাণে যেমন মনের কথা সব প্রকাশ করতে পারছি তেমনি সাথে কিছু রোজগারের ব্যবস্থা হচ্ছে।। বিশেষ করে আপনাদের লেখা সুন্দর সুন্দর কবিতা গল্প এবং ফটোগ্রাফি দেখে প্রতিনিয়ত মুগ্ধ হয়ে যায়।।
আর এত সুন্দর একটি গোছানো পরিবার হয়তো পৃথিবীতে খুঁজে পাওয়া যাবে না এই পরিবারের সাথে থাকতে পেরে আপনার মত আমিও নিজেকে ধন্য মনে করি।।
ভাই, আপনার কিছু খয়ে যাওয়া অনুভূতি পড়তে পড়তে নিজের সঙ্গে যেন গুলিয়ে ফেলছি। কেননা আপনার অনুভূতিগুলো আর আমার অনুভূতিগুলো ঠিক বরাবর মিলে যাচ্ছে। কেননা আমিও যেদিন প্রথম হ্যাংআউটে যুক্ত হয়েছিলাম, তখন দেখেছিলাম অনেকেই খুব সুন্দরভাবে হ্যাংআউটে পারফ্রম করেছিল। তখন আমার পরিবারের লোকজন আমাকে বলতে লাগলো সবাই এত সুন্দরভাবে গান, কবিতা বলছে, তাহলে তুমি কেন গান গাও না। ওই যে মনের মধ্যে একটা ভয় ছিল, হয়তোবা আমার গান কেউ পছন্দ করবে না। তবে যখন প্রথম হ্যাংআউটে ভয়ে ভয়ে গান করেছিলাম, তখন শুভ ভাই মাইন্ডব্লোইং কথাটা বলে আমাকে খুবই উৎসাহ দিয়েছিল। সেই থেকে আজ অবধি হ্যাংআউটের বিনোদনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করার চেষ্টা করে এসেছি। আর ইচ্ছে আছে যতদিন আমার বাংলা ব্লগ পরিবার থাকবে, ততদিন পর্যন্ত এই পরিবারের সাথে যুক্ত থাকব।
আপনি কিন্তু আজকের পোস্টটা বেশ ভালোই লিখেছেন। এই প্লাটফর্মের সাথে কিভাবে পরিচিত হয়েছিলেন এবং হ্যাংআউটের বিষয়টা খুবই সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন। আসলে আমার বাংলা ব্লগ শুধু অনুপ্রেরণা দিয়ে গিয়েছে সবাইকে। কখনো কাউকে নীরুৎসাহিত করেনি আমার বাংলা ব্লগ। আপনি আগে বিশেষ করে লকডাউনের মধ্যে প্রচুর লেখালেখি করতেন ফেসবুকে। দেখতে দেখতে খুবই সুন্দরভাবে ১০০ তম হ্যাংআউট চলে গিয়েছে আশা করছি এভাবে আরো অনেক হ্যাংআউটে আমরা একসাথে থাকব। ভালোই লিখেছেন সম্পূর্ণটা।
কিছু ক্ষয়ে যাওয়া অনুভূতি আপনি খুবই সুন্দর ভাবে এই পোস্টের মাধ্যমে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন এবং সম্পূর্ণভাবে খুবই সুন্দর ভাবে লিখে তুলে ধরেছেন যা পড়ে আমার কাছে অসম্ভব ভালো লেগেছে। আসলে এই বাংলা ব্লগের কারণে আমরা অনেক কিছুই জানতে এবং শিখতে পারতেছি এবং না জানা না চেনা মানুষদের সাথেও অনেক পরিচিত হচ্ছি। কিছু আবেগ, কিছু ভালোবাসা সম্পূর্ণ পোষ্টের মাধ্যমে আমাদের মাঝে এত সুন্দর ভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লাগলো।