ধীরগতি সম্পন্ন মানুষ। কবিতা নং :- ১২৯
কেমন আছেন " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই। আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আপনারা সবাই সুস্থ আছেন। মহান সৃষ্টিকর্তা এবং আপনাদের আশীর্বাদে আমিও সুস্থ আছি। আজ আপনি আপনাদের সাথে আমার লেখা একটি কবিতা পোস্ট করলাম । আশাকরি আপনাদের খুব ভালো লাগবে।
সোর্স
আমরা সবাই ছোটবেলায় খরগোশ এবং কচ্ছপের গল্পটি শুনেছি। প্রথমে যখন আমরা ছোট ছিলাম এবং এই গল্পটি প্রথম শুনেছিলাম তখন গল্পের আগে মনে হয়েছিল যে খরগোশ এই দৌড় প্রতিযোগিতায় জয়ী হবে এবং কচ্ছপ পরাজয় স্বীকার করবে। কিন্তু গল্পটি যখন পড়া সম্পন্ন করলাম তখন আমরা বুঝতে পারলাম যে আমাদের চিন্তা ভাবনা সম্পূর্ণ উল্টো ধরনের। আসলে আমরা যদি মনে করি যে সব কাজ আমাদের দ্বারা হবে তাহলে হয়তোবা সেই কাজগুলোর কোনটি আমাদের দ্বারা কখনো হবে না। আর আমরা যদি কোন কিছু করে বুঝতে পারি যে এই কাজের কোথায় সমস্যা এবং কিভাবে কাজটি করলে সমাধান হবে তাহলে আমরা সেই কাজটি অবশ্যই সমাধান করতে পারব। কিন্তু অনেকে আছে যারা ওভার কনফিডেন্ট নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য চেষ্টা করে।
আসলে সামনের দিকে যারা এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে তারা যদি ভালোমন্দ চিন্তাভাবনা না করে শুধুমাত্র নিজেদের মনের মর্জি মতো সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার চিন্তা করে তাহলে তারা তাদের গন্তব্যস্থলে কখনো পৌঁছাতে পারে না। অর্থাৎ যারা আস্তে আস্তে এগুলোর চেষ্টা করে এবং প্রতিটা পদে পদে চিন্তাভাবনা করে তাহলে তারা এই জীবনে সঠিক স্থানে পৌঁছে যেতে পারবে। আমাদের এই সমাজে আমরা বিভিন্ন ধরনের মানুষ দেখতে পাই। একটা জিনিস আপনি খেয়াল করে দেখবেন যেকোন একটা কাজ যখন আপনি আলাদা আলাদা ধরনের মানুষকে দেবেন তখন সেই কাজটি এক একজন মানুষ এক এক ধরনের করে থাকবে। কোন মানুষের কাজের সাথে কোন মানুষের কাজের কখনো মিল আমরা খুঁজে পাবো না। কিন্তু কোন কাজটি ভালো হয়েছে এবং কোন কাজটি মন্দ হয়েছে এটা আমরা বুঝতে পারবো।
দ্রুত কোন কাজ সম্পন্ন করলে যে সেই কাজটি ভালো হবে এমন কোন কথা নেই। আপনি যদি আস্তে আস্তে কোন একটি কাজ মন দিয়ে করতে চেষ্টা করেন তাহলে দেখবেন যে সেই কাজটি অনেক বেশি নিখুঁত হবে। কিন্তু এই ধরনের শান্ত মস্তিষ্কের মানুষ এই পৃথিবীতে খুঁজে পাওয়া বড়ই কঠিন। কেননা মানুষ এখন শুধুমাত্র অর্থের জন্য কাজ করে এবং কাজ সম্পন্ন হলে তারা অর্থ পাবে এজন্য তারা সব কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার চেষ্টা করে। একটা জিনিস আপনি সবসময় খেয়াল করেন দেখবেন যে আপনি যদি দ্রুত কোন কাজ সম্পন্ন করেন এবং কেউ যদি সেই কাজটা আস্তে আস্তে করতে করতে আপনার থেকে অনেক সুন্দর ভাবে সেই কাজটি সম্পন্ন করে তাহলে সে কিন্তু বেশি প্রশংসার পাত্র হবে। আর এই জন্য আমাদের সকল কাজ ধীরে সুস্থে করা উচিত।
✠ ধীরগতি সম্পন্ন মানুষ ✠
ধীরে ধীরে যারা সামনে এগোয়,
তাদেরকে কেউ দুর্বল ভেবোনা।
তাড়াহুড়ো করে সামনে এগোলে,
সবকিছু ঠিকঠাক কখনো হয় না।
ভেবেচিন্তে তাই কাজ করতে হবে,
কাজকে অবশ্যই ভালবাসতে হবে।
কাজে যদি একবার থমকে গেলে,
সেই কাজটা প্রথমে বুঝতে হবে।
দ্রুত কাজ করে জীবনে কখনো,
দ্রুত সামনে এগোনো যায় না।
সব কাজে তাদের ভুল থাকে,
সঠিক কাজ কখনোই হয় না।
লোকে তাদেরকে কচ্ছপ বলে,
তারা কচ্ছপের গল্পটা জানে না।
ধীরে ধীরে সামনে যারা এগোয়,
কোন কাজে তারা বাঁধা পায় না।
জ্ঞান অর্জন করে যারা জীবনে,
প্রতিষ্ঠিত হতে চায় সব ক্ষেত্রে।
তারা সঠিক চিন্তাভাবনা নিয়ে,
আস্তে আস্তে এগোতে চায় জীবনে।
তাড়াহুড়ো করে কাজ করলে,
সেই কাজ সঠিক কখনো হয়না।
আস্তে আস্তে কঠিন কাজগুলো করলে,
তেমন বেশি জটিল আর থাকে না।
সবাইকে তাই জীবনে এগোতে হলে,
ধৈর্য ধরে কাজ করতে হবে।
তাড়াহুড়ো করে যারা কাজ করে,
তাদের কাজ কখনো নাহি হবে।
ঠান্ডা মাথা নিয়ে চিন্তা করলে,
সব কাজের সমাধান পাওয়া যায়।
তাড়াহুড়ো যারা করে ভুবনে,
কাজগুলো পড়ে থাকে ঘরের কোণে।
আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে আজকের পোস্টটি। ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করতে ভুলবেন না।
আজ এই পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।
ধীর গতি সম্পূর্ণ মানুষ গুলো কখনোই দুর্বল হয় না বরং তারা ধীরে ধীরে নিজে কাজ
গুলো করে সেই কাজে ভুল সংশোধন করতে পারে। আর যারা কোনো কাজে গিয়ে খুবই তাড়াহুড়া করে তাদের কাজ কখনোই ভালোভাবে শেষ হয় না। আর সেই কাজ দুইবার করতে হয়। অসাধারণ একটি কবিতা লিখেছেন ভাইয়া। পড়ে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
ধীর গতির কাজগুলো সঠিক হয়। আজকে আপনি খুব সুন্দর করে কবিতা লিখেছেন।ধীরগতি সম্পন্ন মানুষ কবিতাটি পড়ে বেশ ভালো লাগলো। আসলে তাড়াহুড়া করলে কাজ ভালো হবে এমন কোন গ্যারান্টি নেই। তবে আপনার কবিতাগুলো অসাধারণ হয়। সুন্দর অনুভূতি দিয়ে কবিতা লিখে শেয়ার করেছেন আমাদের মাঝে।