" বীর চট্টলা " পর্ব - ২ ও অন্তিম পর্ব।

🌼 হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন? আশাকরছি সকলে ভালো আছেন,আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি ।

গতকাল আমি বীর চট্টলা রেস্তোরাটির ইন্টেরিয়র নিয়ে আপনাদের সাথে একটি লেখা শেয়ার করেছিলাম।আসলে এই পোস্টটি দুইটি পর্ব আকারে শেয়ার করার একটিমাত্র কারণই হল আমি চাই সবগুলো ছবি এখানে শেয়ার করি। কারণ সেদিন বেশ অনেকগুলো ছবি আমি ক্যাপচার করেছিলাম। আমি চেয়েছিলাম আপনাদের সাথে সব ছবিই শেয়ার করি। সে কারণেই মূলত দুইটি পর্ব করা। আশা করি আপনাদের ছবিগুলো দেখে ভালোই লাগবে।

এই ছবিটি তুলেছিলাম ওই সময়টাতে হুট করে কারেন্ট চলে গিয়েছিলো অর্থাৎ আজকাল লোডশেডিং কতো বেশি হচ্ছে তা তো আর কারো অজানায় নয়। আর তখন সামনের দরজাটিও খোলা ছিল। তো কারেন্ট চলে যাওয়ার পরে আসলে জায়গাটি আরো বেশি সুন্দর লাগছিলো। আর তা আমি সে সুযোগ একেবারেই হাতছাড়া করতে চাইনি।

যখন কারেন্ট চলে গেলো তখন আসলে আশেপাশে জায়গা গুলো আরো বেশি সুন্দর লাগছিলো। বিশেষ করে লেখাগুলো যেনো আরও বেশি ফুটে উঠেছিল।

এরপরে যে বিষয়টা আবার খুব বেশি নজরে পরেছে তা হলো বিভিন্ন ধরনের ক্যাসেট। যেগুলা বর্তমানে একেবারেই পাওয়া যায় না বললেই চলে।

এই ক্যাসেট গুলোর মধ্যে একটি ক্যাসেট হয়তো আমি আমার বাড়িতে দেখেছিলাম তাও খুব ছোটবেলায়। এরপরে আসলে আর কোনো ক্যাসেট আমি সাধারণত দেখিনি। তাই এখানে এগুলো দেখে আমার বেশ ভালোই লাগছিল।

ওই যে বললাম কারেন্ট চলে যাওয়ার পরের মুহূর্তগুলো আরো বেশি সুন্দর লাগছিলো।তা আসলে আপনারা ছবি দেখলেই বুঝতে পারবেন।

এরপরে মেনুটি দিতে বললাম। কারণ অনেক খিদে লেগেছিলো। আর লাঞ্চ করতেই সেখানে গিয়েছিলাম আসলে আমরা।

এরপরে খাবারগুলো অর্ডার দিলাম। আর তারা বিল বানিয়ে এনে টেবিলে দিয়ে গেলো।আমরা পরেই দিয়েছিলাম অর্থাৎ বিল সাথে সাথে পেমেন্ট করতে হয় না। তবে তারা অর্ডার দেওয়ার পরেই বিল বানিয়ে টেবিলে এসে দিয়ে যায়। অর্ডার করেছিলাম, ভুনা খিচুড়ি - ২২০ টাকা। চিকেন জালি কাবাব - ৬০ টাকা। পানি - ১৫ টাকা। চিংড়ি ভর্তা - ৭৫ টাকা। পেপসি - ২০ টাকা। মিট - ২২০ টাকা।

একটু পরেই সালাদ আর তাদের আচারটা এনে দিলো। এই চারটা আবার অসম্ভব মজা লাগে তাদের এই চাটনি টা।

খাবারগুলো আনতে আনতে আমি আরো কিছু ইন্টেরিয়র এর ছবি তুলে নিলাম।

এরপরে খাবারগুলো সব এনে দেওয়া হল।

ভুনা খিচুড়িটা দেখতে খুবই লোভনীয় লাগছিলো।

চিংড়ি ভর্তাটা এনেছিলো একটু পরে।ভর্তাটা জাস্ট অমৃত ছিলো।

এরপর আমরা দ্রুত খাওয়া শেষ করলাম।কারণ অসম্ভব খিদে পেয়েছিলো।

এরপর তো একটু ঘুরোঘুরি করে বাড়িতে চলে এলাম।