বাচ্চাদের পরীক্ষা দেখার অনুভূতি
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরি করেছি আজকের পোস্ট।
বাচ্চাদের পরীক্ষা দেখার অনুভূতি
বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। আসলে আজ এসেছি একটা অনুভূতি মূলক পোস্ট নিয়ে। আসলে কিছু অনুভূতি কখনো বলে প্রকাশ করা যায় না। আপনারা সবাই জানেন এখন সব স্কুলে বার্ষিক পরীক্ষা চলছে। আসলে কয়েক বছর ধরে তেমন পড়াশোনা হচ্ছে না বলেই চলে। তবে এবার মোটামুটি সব স্কুলে একটু পড়াশোনার দিকে নজর দিচ্ছে। আসলে আমাদের জীবনে পড়াশোনা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এবার শেষের দিকে শিক্ষাব্যবস্হার কিছুটা পরিবর্তন এসেছে।আসলে এমন পরিবর্তন আমার মনে হয় সবাই চাই।বাচ্চারা কিছু শিক্ষে ওপরে উঠুক।আজ কয়েক দিন ধরে বড় মেয়ের পরিক্ষা শুরু হয়েছে তবে বড় মেয়ে পরীক্ষা অনেক বার দিয়েছে তাই তাকে নিয়ে তেমন টেনশন ছিল না। কিন্তু গতকাল থেকে ছোট মেয়ের পরিক্ষা চলছে।সে এই প্রথম পরীক্ষা দিচ্ছে।তাহলে চলুন শুরু করি আজকের পোস্ট
বাচ্চাদের পরীক্ষা ছিল সকাল দশটাই।মেয়েকে সাড়ে নয়টায় পাঠিয়ে দিয়ে আমি ঠিক দশটার দিকে গিয়েছি।আসলে আমার ছোট মেয়ে পরীক্ষার চিন্তায় রাতে ঘুমাতে পারেনি।সে রাতে কয়েক বার জেগে বলতেছে এখন কয়টা বাজে।এভাবে রাত শেষ হলে ভোরে ছয়টার দিকে জেগে গিয়েছে। তারপর হাত মুখ ধুয়ে পড়তে বসেছে।আসলে সে খুব নার্ভাস হয়ে পড়েছে।এদিকে আমার বাড়িতে অনেক গুলো ধান মাড়াই করার কৃষক আছে তাদের না রান্না করে আমি মেয়ের সাথে যেতে হশ।যাইহোক স্কুলে গিয়ে সরাসরি চলে গিয়েছি পরীক্ষার হলে।আসলে পরীক্ষা শুরু হবার পরে কাউকে ওপরে যেতে দেয়নি।কিন্তু আমি শুধু গিয়েছি দেখা করতে যাতে বাচ্চাটা ভয় না পায়।
তারপর গিয়ে দেখি মেয়ে প্রথম বেঞ্চে বসে লিখছে। ম্যাডামকে বলে কয়েকটি ফটোগ্রাফি করে নিলাম। তারপর বললাম অনেক ভয় পাচ্ছে একটু সাহস দিবেন।আসলে ম্যাডাম আবার আমার জা হয়। তখন ভাবি বললো তুমি নিচে চলে যাও ওপরে থাকলে সমস্যা হবে।আসলে বাচ্চাদের কাছে থাকা মোটেও উচিত নয়। ইচ্ছে করলে থাকতে পারতাম কিন্তু নিজেই চলে আসলাম। তারপর চলে আসলাম স্কুল মাঠের ভিতরে। আসলে সবাই মাঠের ভিতরে বসে আছে।কিছু সময় বসার পরে মেয়ে পরীক্ষা দিয়ে চলে এসেছে। তারপর এসে বললো আম্মু পরীক্ষা অনেক ভালো হয়েছে। আমি ভেবেছিলাম পরীক্ষা অনেক কঠিন কিন্তু আসলে অনেক সহজ।আসলে বাচ্চারা পরীক্ষার থেকে ভয় বেশি পায়।তারপর ছোট মেয়েকে বাড়িতে রেখে আবার চলে গিয়েছি স্কুলে।
বড় মেয়ের যদিও পরীক্ষা কয়েকটি হয়েছে কিন্তু গতকাল অংক পরীক্ষা ছিল। তারপর আবার অনেক ঠান্ডা লেগেছে পরীক্ষা দিতে বেশ কষ্ট হচ্ছিল। তারজন্য গিয়ে মাঠে বসে ছিলাম। আসলে গার্ডিয়ানরা স্কুলে গেলে বাচ্চাদের অনেক সাহস হয়। যদিও আমার বড় মেয়ে অংকে মোটামুটি ভালো। তাই তেমন টেনশন ছিল কিন্তু অসুস্থতার জন্য বেশি খারাপ লেগেছিল। যাইহোক ওদের পরীক্ষা দেওয়া দেখে কিছু সময় শৈশব থেকে ঘুরে এসেছি।সত্যি এমন অনুভূতি গুলো কখনো প্রকাশ করা যায় না। বেশ ভালো একটা সময় কাটিয়েছি। আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় | তথ্য |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | redmi note 12 |
লোকেসন | ফরিদ পুর |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।
https://x.com/MimiRimi1683671/status/1866493850476548444?t=OCYHyo0Cgz8Jf_0mXVxi7A&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
সুন্দর অনুভূতি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। বাচ্চাদের পরীক্ষা দেওয়ার দেখতে গেলে দুই দিকে লাভ রয়েছে। একদিকে বাচ্চাদের সাহস এবং পরীক্ষা দেওয়ার সুবিধা হয়। অন্যদিকে স্কুল টিচাররা দায়িত্বশীল হয়ে দায়িত্ব গ্রহণ করে।
পোস্ট পড়ে মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
এটা অবশ্য ঠিক বলেছেন আপু বাচ্চারা পরীক্ষা দেখলে অনেক ভয় পায়। ছোটবেলায় আমরা এরকম ভয় পেতাম। এই সময় সব স্কুলেই পরীক্ষা শুরু হয়েছে। পরীক্ষা দেখার অনুভূতি তুলে ধরেছেন দেখে ভালো লাগলো আপু।
আপু আপনার ভালো লেগেছে জেনে অনেক ভালো লাগলো, ধন্যবাদ আপনাকে।
ডিসেম্বর মাস মানেই বাচ্চাদের জন্য ভয়ের একটা মাস। কারণ ডিসেম্বর মাস আসলেই বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হয়। বাচ্চাদের পরীক্ষা দেওয়ার সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন দেখে বেশ ভালো লাগলো। পরীক্ষার সময় বাচ্চদের সাথে স্কুলে গেলে তারা অনেক সাহস পায় এবং সৎ সাহস নিয়ে পরীক্ষা দিতে পারে।
সাবলীল মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।