জেনারেল রাইটিং :-দায়িত্ব যে করে তার সব সময় থাকে
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরি করেছি আজকের পোস্ট।
বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে । আসলে অনেক ব্যস্ত সময় পার করছি। তারপর সব সময় চেষ্টা করি আপনাদের মাঝে আসার জন্য। আর পোস্ট এর ভিন্নতা আনার জন্য সপ্তাহে একটি করে জেনারেল রাইটিং লেখার চেষ্টা করি। আর সেই চেষ্টা থেকে আজ ও এসেছি একটা জেনারেল রাইটিং নিয়ে।আসলে দাদা আমাদের এমন একটা কমিউনিটি দিয়েছে যেখানে আমরা আমাদের মনের কথা সহজে বলতে পারি। আসলে আমাদের সমাজে এমন কিছু ঘটনা ঘটে যা সহজে বলা যায় না। আর যারা দায়িত্ব পালন করে তাদের যদি একটু ভুল হয় তাহলে ধরার মানুষের অভাব নেই। তবে কাজ করার কোন লোক থাকে না।সত্যি সমাজের লোকজন শুধু খারাপ জিনিস গুলো ধরে কিন্তু ভালো জিনিস গুলো ধরতে পারে না। তাহলে চলুন শুরু করি আজকের পোস্ট।
আমাদের পাশের বাড়ির এমন একজন লোক আছে। যদিও চাচা বেঁচে আছে তার তিন ছেলে দুই মেয়ে। মেয়ে দুটির বিয়ে হয়েছে। তবে চাচার তিন ছেলে তেমন কিছু করে না। বড় ছেলে বিয়ে করেনি তবে ছোট দুজন বিয়ে করে তাদের ছেলেমেয়ে হয়েছে। যাইহোক মেজ ছেলে বাড়ির সকল কাজ করে থাকে আর দুইজন বাড়ির কোন কাজ করে না।মেজ ছেলের নাম সবুজ । এবার বাড়িতে অনেক ধান এসেছে মেজ ছেলে ধান কাটা থেকে শুরু করে কৃষকদের সাথে সব সময় থাকে। কিন্তু আর দুজন ছেলে তেমন কিছু করে না। তবে ভাগের সময় সব ঠিক। এদিকে সারাদিন ছেলেটা কাজ করে থাকে বিনিময়ে কিছুই পায়। সব টাকা পয়সা তার বাবার কাছে।আসলে সারাদিন মানুষের বাড়িতে কাজ করলেও বর্তমান ছয়শ টাকা দেয় কিন্তু সবুজ বাবার কাছ থেকে কোন কিছু পায় না।শুধু তিনবেলা খাবার খাওয়া ছাড়া আর তার বাবার সব দায়িত্ব পালন করে।
এদিকে কাজে কোন ভূলত্রুটি হলে বাবাসহ সবুজের আর দুই ভাই তাকে অনেক কথা বলে।এদিকে সবুজের ছেলের জন্য বাড়তি কিছু খাবার কিনবে তার কোন উপায় নেই।একদিন প্রায় বিশ মণের মতো ধান বিক্রি করেছে কিন্তু সবুজ দুই হাজার টাকা চাইলে তার বাবা দেয় না। আসলে সবুজের বাবা দিলেও তার ভাইয়েরা দেবে না।তবে সে সারাদিন কাজ করে সেটা কেউ দেখে না। আর সংসারে যত কাজ আছে তার কমতি হলে সবুজের খবর আছে।এভাবে বেশ কিছু দিন চলে গেল। একদিন সবুজের বউ বললো এভাবে পেটে ভাতে থেকে আমাদের কি লাভ। তোমার দুই ভাই কিছু না করে না তবে খেতে পারে।
এই নিয়ে দুজনের মধ্যে বেশ ঝামেলা হলো।আসলে স্বামী কৃষি কাজ করলে তার স্ত্রীকে সংসার কাজ তো করতেই হবে।এভাবে সবুজের স্ত্রীর সবুজকে বুঝিয়ে নিল।তারপর তারা দুজন ঢাকায় গিয়ে চাকরি নিল।আর ছেলেটা বাসায় থাকে আর তারা দুজনে চাকরি করে বেশ ভালোই আছে।এদিকে সবুজের বাবা আর সংসারে কিছু করতে পারছে।আসলে তার বয়স হয়েছে আর দুজন ছেলে কিছু করে না।এখন চাচা বুঝতেছে সবুজের সাথে আসলে খারাপ করেছে।তবে সবুজ সব দায়িত্ব পালন করেছিল কিন্তু বিনিময়ে কিছু পেল না।যদিও সবাইকে ছেড়ে সবুজ একটু কষ্টে আছে তবে শান্তিতে আছে। এখন সবুজ বেশ ভালোই আছে।
প্রয়োজনীয় | তথ্য |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | redmi note 12 |
লোকেসন | ফরিদ পুর |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।
https://x.com/MimiRimi1683671/status/1865386267019743322?t=VhYlN945L60TwVIQvrgdoA&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আমি সবসময় একটা কথা বলে থাকি,যার মনে মায়া বেশি তার জীবনে দুঃখ দেখি। সবুজের বড় ভাই ছোট ভাই পরিবারের হাল ধরল না। সবুজ পরিবারের দুঃখ বুঝল কাজ করল সবই করল কিন্তু বাবার ভুলের কারণে অবশেষে সবকিছু থেকে বঞ্চিত হলো। তবে শহরে গিয়ে এসে স্ত্রীর সাথে বেশ কষ্টের মধ্যে সুখে আছে। এখন যদি তার বাবা ভুল বুঝতে পারে সেটাই বেটার। তবে কুলাঙ্গার দুই ভাইকে দিয়ে সংসারে ভালো কিছু হবে আশা করা যায় না। কারণ যাকে দিয়ে ভালো কিছু হবে তাকেই বাবা বুঝেনি এটাই তার বড় ভুল ছিল।
জি ভাইয়া কষ্ট হলেও সুখে আছে ধন্যবাদ আপনাকে পোস্ট পড়ে মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
এটা আপনি ভুল বলেননি আপু খুব সুন্দর টপিক্স নিয়ে আলোচনা করলেন। আমাদের সমাজ এমন যাদের উপর দায়িত্ব চেপেদেওয়া হয় তাদের আবার ভুল হতে পারে না। যাদের উপর দায়িত্ব দেওয়া হয় অন্যরা মনে করেন তাদের অনেক বেশি সময় হাতে থাকে। কিন্তু সবার সময় তো এক রকমই। আসলেই যারা বেশি পরিশ্রম করে তাদেরকে সবাই আরও বেশি পরিশ্রম করাতে চাই।
গঠন মূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু।
এটা মোটেই ঠিক না সবুজ হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করে তার কোন মূল্য পাবে না। ঠিক বলেছেন আপু আমাদের সমাজে এমন মানুষ অনেক আছে যারা শুধু খারাপ দিকগুলোই দেখে ভালো দিকগুলো তাদের চোখে পরেনা। সবুজের উচিত নিজে কিছু করা। ধন্যবাদ সুন্দর একটি বাস্তব ঘটনা শেয়ার করার জন্য।
জি আপু শুধু খারাপ দিক সবাই বেশি দেখে, ধন্যবাদ আপনাকে।
সবুজের জন্য আসলেই খুব খারাপ লাগলো। সবুজ ছিলো তাদের সংসারের কলুর বলদ। তাইতো গাধারখাটুনি খেটেও সবুজ নাম পায়নি। সবুজ এবং তার স্ত্রী ঢাকায় গিয়ে খুব ভালো করেছে। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া গাধার খাটুনি খেটে অনেক লাভ হয়নি সবুজের বিনিময়ে শুধু অপমান।
আপু আপনার পোস্টটি পড়ে সবুজের জন্য খারাপ লাগলো। কথায় আছে ফ্যামিলিতে মানুষ থাকে খাওয়ার জন্য কাজের জন্য না। সবুজ সবসময় কাজ করে বিনিময়ে ভাত খাই। তবে এরকম ফ্যামিলি আমাদের এইদিকেও আছে। তবে তারা ভালো করেছে ঢাকায় গিয়ে কাজ করতেছে। আর ফ্যামিলির বাবা এখন বুঝতেছে সবুজের কদর। বাস্তবিক একটি পোস্ট করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
এমন লোক অনেক দেখা যায় বর্তমান ধন্যবাদ আপু পোস্ট পড়ে মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
সবুজের জন্য অনেক খারাপ লাগছে৷ সে তার পরিবারের জন্য এত কিছু করার পরেও তার পরিবারের কাছে সে কোন দাম পায়নি৷ সে প্রতিনিয়ত অবহেলার স্বীকার হয়েছে৷ আসলে আমরা এরকম অনেক ঘটনায় দেখতে পাই সবসময়৷ বেশ ভালো লাগলো আপনার কাছ থেকে সুন্দর পোস্ট পড়ে। অসংখ্য ধন্যবাদ৷
আসলে ভাইয়া যে যত করে কিন্তু বিনিময়ে শুধু অপমান পায়, ধন্যবাদ আপনাকে।
একদমই সঠিক কথা বলেছেন।