ভালোবাসার কোন বয়স হয় না তৃতীয় বা শেষ পর্ব

in আমার বাংলা ব্লগ14 days ago

আসসালামু আলাইকুম

আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরি করেছি আজকের পোস্ট।

ভালোবাসার কোন বয়স হয় না তৃতীয় বা শেষ পর্ব

1000019694.webp

Source

বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। আসলে আজ এসেছি একটা গল্প নিয়ে। গল্প লিখতে ও পড়তে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। তাই তো সপ্তাহে একটি করে গল্প লিখার চেষ্টা করি। গল্প মানে আমাদের চারপাশে ঘটে যাওয়া অনেক ঘটনা। আসলে বাস্তবতা থেকেই গল্প হয়ে থাকে। তবে বর্তমান ইন্টারনেট এর মাধ্যমে ভালোবাসা এমন হয় যা বলার মতো নয়।যাইহোক আজ এসেছি ভালোবাসার কোন বয়স হয় না গল্পের তৃতীয় বা শেষ পর্ব নিয়ে। আসলে ভালোবাসা অন্ধ তবে কিছু কিছু ভালোবাসায় অন্ধ হওয়া ঠিক নয়।

সাঈদ ভাই যখন তার বউয়ের এই ঘটনা জানলো তখন অনেক ক্ষিপ্ত হয়ে গেল। তারপর সাঈদ ভাই ভাবতে লাগলো জীবনে সব কিছু এলোমেলো হয়ে গেল। তখন সে নিজেকে অনেক দোষী মনে করলো। আসলে আমি যদি এমন না করতাম তাহলে হয়তো রুপা হয়তো এমন করতো না।তখন সাঈদ মনে মনে ভাবলো আসলে আমি যদি ভুল না করতাম তাহলে হয়তো রুপা এমন করতো না।তারপর সাঈদ সিদ্ধান্ত নিল আমি হয়তো ভুলবশত করেছি কিন্তু রুপা তো ইচ্ছে করে করতেছে।যাইহোক রুপাকে এই পথ থেকে সরাতে উঠে পড়ে লাগলো।

সাঈদ প্রথমে রুপার চাকরি ছেড়ে দিতে বললো।যদি ও রুপা কিছুতেই চাকরি ছাড়বে না।তারপর সাঈদ এর কড়া নির্দেশ চাকরি মুহূর্তে ছেড়ে দিতে হবে। রুপা কোন উপায় না পেয়ে চাকরি ছেড়ে দিল।তারপর কয়েক দিন চলে গেল রুপার কাছ থেকে সাঈদ ফোন নিয়ে নিল।কারণ সাঈদ বললো তার এখন ফোনের কোন প্রয়োজন নেই। রুপা এখন সাঈদের কথা শোনতে বাধ্য। এদিকে সাঈদের মেয়েকে তার শশুর বাড়ি থেকে আসতে দেয় না তেমন। সাঈদ গিয়ে মাঝে মাঝে দেখে আসে। এভাবে চলছিল। ইতিমধ্যে সাঈদ এর বিয়াই হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লো।একথা শোনে রুপাকে সাঈদ একাই দেখে আসলো।

রুপা বসে বসে শুধু তার অতিতের কথা ভাবছে।সাঈদ এসে রুপাকে জানালো তার বিয়াইয়ের ব্লাড ক্যানসার হয়েছে। এ কথা শোনে রুপা যে আকাশ থেকে পড়লো।তখন রুপা ভাবতে লাগলো সে কি ভুল করতে চলছে।এভাবে বেশ কিছু দিন চলে গেল। আস্তে আস্তে রুপার বিয়াই বেশি অসুস্থ হতে লাগলো। এদিকে সাঈদ এর ছেলে ও ভালো চাকরি করে বিয়ে করেছে।আর রুপা আর সাঈদ এখন দুজনে বেশ সুখে আছে। ঠিক আগের মতো প্রথমে যেভাবে তারা ভালোবেসে বিয়ে করেছিল। এখন তারা অনেক ভালো আছে।এখন তাদের দেখলে মনে হয় তারা দুজন নতুন করে প্রেমে পড়েছে। যদিও তাদের বয়স কিছুটা হয়েছে কিন্তু তাদের ভালোবাসা দেখলে মনে হয় তাদের জীবন কেমন শুরু। যাইহোক সাঈদ ভাই এখন আর স্ত্রীকে নিয়ে বেশ সুখে আছে। আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয়তথ্য
ফটোগ্রাফার@parul19
ডিভাইসredmi note 12
লোকেসনফরিদ পুর

1000000176.gif

আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।

1000000175.png

আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।

1000000177.gif

1000000178.png

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 14 days ago 

1000020117.jpg

1000020116.jpg

 14 days ago 

রুপা এবং সাইদের জীবনের গল্প সম্পর্কে জানতে পেরে খুবই ভালো লাগলো। আসলে মাঝে মাঝে ভালোবাসা গুলো পূর্ণতা পায়। আবার মাঝে মাঝে সম্পর্ক গুলো ফিকে হয়ে যায়। অসাধারণ লিখেছেন আপনি। অনেক ভালো লাগলো।

 12 days ago 

আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে অনেক ভালো লাগলো, ধন্যবাদ আপু।

 14 days ago 

কোনো মানুষই ভুলের উর্ধ্বে নয়। অবশেষে রূপা তার ভুল বুঝতে পেরেছে এটাই অনেক।এখন তারা সুখে শান্তিতে সংসার করেছে জেনে ভালো লাগলো। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি গল্পের শেষ তম পর্ব শেয়ার করার জন্য।আপনার গল্পের আগের পর্ব গুলোও আমি পড়েছি। বেশ ভালো ছিলো।

 12 days ago 

ভুল বুঝতে পারাটাই অনেক ধন্যবাদ আপু

 14 days ago 

আপু আপনি খুব সুন্দর একটি গল্প শেয়ার করেছেন। আপনার এই গল্পের সবগুলো পর্বই পড়েছিলাম আর খুব ভালো লেগেছিল। সবশেষে দু'জনেই ভালো পথে ফিরে এসে নতুন ভাবে সংসার শুরু করেছে জেনে ভালো লাগলো। প্রতিটা মানুষ একটা বয়সে খারাপ হয়ে যায় আর সে পথ থেকে কিন্তু নিজেদেরই বের হয়ে আসতে হয়। তাহলেই হয়তো ভালো কিছুর দেখা পাওয়া যায়। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি গল্প শেয়ার করার জন্য ‌

 12 days ago 

জি আপু ভুল পথে যেতেই পারে কিন্তু সেখান থেকে ফিরে আসাটাই অনেক, ধন্যবাদ আপু।