||আমার শৈশবকালের শীতের সকালের স্মৃতি||
"সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি" |
|---|
 |
|---|
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর ভাই ও বোনেরা, মুসলিম ভাই ও বোনদের জানাই আসসালামু আলাইকুম সনাতন ধর্মালম্বী ভাই ও বোনদের জানাই আদাব এবং অন্যান্য ধর্ম অবলম্বনকারী ভাই ও বোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।প্রতি দিনের মত আজকেও আপনাদের মাঝে আরেকটি বিষয় নিয়ে উপস্থিত হলাম। আজকের বিষয় হচ্ছে জেনারেল রাইটিং:-আমার শৈশব কালের শীতের সকালের স্মৃতি আমি সব সময় আপনাদের মাঝে নতুন কিছু শেয়ার করার চেষ্টা করি।তো আজকে ভাবলাম আপনাদের মাঝে আমার শৈশবের এক স্মৃতি শেয়ার করি।কারন সেই স্মৃতি টি এখনো অনেক মিস করি।এই জন্য হুট করে মনে পড়লো আর সাথে সাথে পোস্ট লিখতে বসে পড়লাম।তাহলে দেরি না করে শুরু করা যাক।
আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন আমাদের সবার অনেক স্মৃতি রয়েছে।আমরা কিন্তু বর্তমান সেই শৈশবকাল গুলো অনেক মিস করি। তবে যতদিন যাচ্ছে ততই কিন্তু আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।কোনভাবেই সম্ভব না যে আমরা আবার শৈশবকালে ফিরে যাবো।যাইহোক প্রতিটা শৈশবকালের মুহূর্ত আমাদের স্মৃতির পাতায় লেখা রয়েছে। তো আমার শৈশবকালে শীতের সকালে একটি মজার স্মৃতি রয়েছে।আমি এখনো সেই শীতের সকালটি অনেক মিস করি।যখন মাঝে মাঝে সেই শীতের সকাল টি মনে পড়ে তখন মনে মনে কেমন যেনো লাগে।
তো বিশেষ করে শীতের সকালে আমি ভোরে আরবি পড়ার জন্য মসজিদে যেতাম।তখন প্রচণ্ড ঠাণ্ডা এবং শীত ছিলো, তারপরেও কিন্তু এলাকার বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে শীতের সকালে মসজিদে আরবী পড়তে যেতাম।এই সময় আমরা অনেক আনন্দ করতাম এবং অনেক মজা করতাম।আপনারা সেই সময়টি কাটিয়েছেন কিনা আমি জানিনা।তবে আমার শৈশবকালে এই শীতের সকালটি অনেক সুন্দর ছিলো।কোনদিন যেতাম না আবার কোনদিন মসজিদে পড়তে যেতাম।তবে সেই ছোটবেলায় কিন্তু আমার বাবা দুই টাকার করে চানাচুর নিয়ে আসতো।আমি সেই দুই টাকার চানাচুর পকেটে করে নিয়ে মসজিদে পড়তে যেতাম।
আসলে এই দিনটির কথা এখনো মনে পড়লে আমার কেমন যেন লাগে।কতই না আনন্দ করতাম এবং মজা করতাম।কিন্তু সেই শৈশব কালের বন্ধু এবং সময় গুলো আর ফিরে পাবো না।এমনও দিন গিয়েছে যখন আমার আরবি পড়া হতো না আমি মাঝ রাস্তা থেকে বাসায় চলে আসছি।কারণ ওখানে পড়া দিতে না পারলেই কিন্তু ওস্তাজী অনেক মার দিবে।আমি যখন এই মায়ের খাবো তখন আবার এলাকার বন্ধু গুলো বাসায় এসে বলে দিবে।এই জন্য আমি মাঝে মাঝে রাস্তার মাঝ পথ থেকে চলে আসি।যদিও এটা কেমন ছিলো কিন্তু নিজের প্রান বাঁচানোর জন্য এমন কাজটা করতে হয়
আসলে শৈশবকালে যেই কাজ গুলো করছি ওটা তখন ভালো কি খারাপ তখন কিন্তু এগুলো ভাবার টাইম ছিলো না।তো যাই হোক এখনও কিন্তু যারা আমার এলাকার ছোট ভাই-বোনরা আছে তারা কিন্তু ভোরে মসজিদে আরবি পড়তে যায়।তাদের এই সুন্দর দিন গুলো দেখেই আমার শৈশবকালের শীতের সকাল মনে পড়লো।যাইহোক আপনাদেরো শৈশকালের এইরকম আরবি পড়তে গিয়ে কোন ঘটনা ঘটছে কিনা সেটা আপনার অবশ্যই জানাবেন।শৈশবকাল তো আর ফিরে পাবো না তাই নিজের অনুভূতি গুলো শেয়ার করার চেষ্টা করলাম।আজকের মতো এখানেই বিদায় নিলাম। আপনারা সবাই ভালো থাকবেন ও সুস্থ থাকবেন।
| ডিভাইস | Tecno camon 20 |
|---|---|
| ফটোগ্রাফার | @polash123 |
| লোকেশন | দিনাজপুর |
 |
|---|
You can also vote for @bangla.witness witnesses
 |
|---|
আজকের ডেইলি টেস্ক প্রুফ
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
শীতকাল কে নিয়ে কম বেশি সকলেরই বিভিন্ন ধরনের স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে।আর এই স্মৃতি গুলো কখনো ভোলার মতো নয়। আজকে আপনার শেয়ার করা শীতকালের স্মৃতি গুলো পড়ে বেশ ভালো লাগলো। আপনার শৈশবের শীতকালের সাথে আমার শৈশবের শীতকালের কিছু টা মিল রয়েছে ভাইয়া।
ধন্যবাদ ভাই এতো সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
সুন্দর একটি স্মৃতি চারণ করলেন আপনি সেই শীতকালের। শীতকাল অনেক সুন্দর ভাবে কেটেছে গ্রামে। বিশেষ করে শীতের দিনে সবাই মিলে আনন্দ করতাম। আমরা যখন বড় হয়ে যাই সেই আনন্দগুলো দিনদিন কোথায় হারিয়ে যাই। আপনার সেই ছোটবেলার স্মৃতি পড়ে অনেক ভালো লেগেছে।
ধন্যবাদ আপু সব সময় সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
শীতকালের সঙ্গে শৈশবের স্মৃতি গভীরভাবে জড়িয়ে আছে। শীতের সকালের স্মৃতি এখনো মনে পড়ে আমার। তবে আপনি তো নিজের প্রান বাঁচানোর জন্য রাস্তার মাঝ পথ থেকে ঘুরে আসতেন। এই বিষয়টি আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। আমিও ছোটবেলায় এরকম করতাম। দিন চলে যায় এবং স্মৃতিগুলো হারিয়ে যায়। ধন্যবাদ আপনাকে শৈশবকালের শীতের সকালের স্মৃতি এবং অনুভূতি শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই এতো সুন্দর মন্তব্য করে আমাকে উৎসাহিত করার জন্য।