|| লাইফ স্টাইল : আজ মন্দিরে পূজা দিতে গিয়ে ||
নমস্কার বন্ধুরা
আজ আমি আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি আবারও নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। প্রতি সপ্তাহের মতো এই সপ্তাহেও একটি লাইফ স্টাইল পোস্ট করব। সাপ্তাহিক ধারাবাহিকতা থেকেই আমার আজকের এই পোস্ট। চলুন তাহলে বেশি কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক।
গতকাল রাতে ঠিক করেছিলাম আজ মায়ের পুজো দিতে যাব। প্রতিবছর শীতকালে সাত ভাই কালিতলাতে আমরা পূজা দিতে যাই। তখন এখানে একমাস ধরে মেলাও হয়। বহু জায়গা থেকে বহু মানুষের সমাগম ঘটে ওই সময়ে। এখানে অবশ্য দুটো কালী মন্দির রয়েছে। একটা নদীর এপারে আর একটা ওপারে। তবে শীতকালে প্রচন্ড ভিড় থাকাই, আমরা প্রতিবছর নদীর ওপারের কালী মন্দিরটি থেকে পুজো দিয়ে বাড়ি চলে আসি। আর যে কোনো আলাদা সময়ে এপারের এই মন্দিরটি থেকে পুজো দিয়ে আসি। ওপারের ওই মন্দিরটাতে যতটা পরিমাণ ভিড় হয় মোটামুটি আমাদের ১ ঘন্টা বা দু'ঘণ্টার মধ্যে পুজো দেওয়া কমপ্লিট হয়ে যায়। ওপারের ওই কালী মন্দিরটি ডাকাতি কালিবাড়ি নামে পরিচিত। কিন্তু এপারের এই মন্দিরটিতে শীতকালে পুজো দিতে গেলে মোটামুটি তিন থেকে চার ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। তারপর একটু ৩ থেকে ৪ সেকেন্ডের মতো মায়ের মুখ দেখার সুযোগ পাওয়া যায়। মানে বুঝতেই পারছেন কতটা ভিড় হয়। সেই জন্য ওই সময় আর এখানে পুজো দেওয়ার রিক্সটা নেই না। পরবর্তী এরকম সময় গিয়েই পুজো দিয়ে আসি।
যাইহোক সকাল হতেই মা তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ডেকে দিয়েছিল , আর দ্রুত রেডি হয়ে নিতে বলেছিল। তাও আমাদের বাড়ি থেকে বেরোতে বেরোতে প্রায় ৯:০০ টা বেজে গিয়েছিল। আমাদের বাড়ি থেকে এখানে যেতে মোটামুটি ৩০ মিনিট মতো লাগে। ৯:৩০ এর দিকে আমরা মন্দিরের সামনে পৌঁছে গিয়েছিলাম। কিন্তু সেখানে গিয়ে আমি দেখলাম বেশ মানুষের ভিড়। এরকম সময়েও এখানে এতটা ভিড় হবে বুঝতে পারিনি। বাড়ি থেকে আমরা প্রসাদ নিয়ে গিয়েছিলাম । তাও ওখান থেকে মায়ের পূজোর একটা ডালা কিনে নিয়েছিলাম। তারপর মন্দিরের ভেতরে প্রবেশ করে দেখলাম পুজো শুরু হয়ে গেছে। তাই পরের বারের পূজো দেওয়ার জন্য আমাদেরকে অপেক্ষা করতে বলা হয়েছিল। দেখলাম আরো বহু মানুষ অপেক্ষা করছে পরের বারের পুজো দেওয়ার জন্য। প্রায় দুই ঘন্টা বসেই ছিলাম।তারপর দেখলাম প্রথমবারের পুজো আর সাথে প্রসাদ দেওয়া কমপ্লিট হয়ে গেল। তারপর জায়গাটা মুছে দেওয়ার পর আমরা পুজো দেওয়ার চান্স পেয়েছিলাম।
প্রায় বারোটা নাগাদ আমরা পুজো দেওয়ার জন্য বসার জায়গা পেয়েছিলাম। যেটা অনেকটাই দেরি হয়ে গিয়েছিল। তারপর সমস্ত সকলের ডালা গোছানোর পর , ঠাকুর মশাই পূজো করে তারপর অঞ্জলি দিতে দিতে প্রায় ১:৩০ এরও বেশি বেজে গিয়েছিল। তারপর আবার ডালা সংগ্রহ করার জন্য বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছিল। যেহেতু সকাল থেকে উপোস করেছিলাম , তাই পূজো দেওয়ার পর প্রচন্ড খিদে পেয়ে গিয়েছিল। তাই বাইরে একটা হোটেল থেকে খাওয়া-দাওয়া সেরে ফেলেছিলাম। বাড়ি ফিরতে ফিরতে প্রায় তিনটে বেজে গিয়েছিল। তখন প্রচন্ড ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম। প্রচন্ড ঘুমও পাচ্ছিল। কিন্তু ঘুমানোর কোনো উপায় ছিল না , যেহেতু এই কিছুদিন অন্যদের পরীক্ষার জন্য অনলাইনে ক্লাস হচ্ছে আমাদের , আর সেটা শুরু হয় দুপুর তিনটে থেকে আর শেষ হতে হতে প্রায় সাতটা। যাইহোক, বহু কষ্টে ক্লাসটা শেষ করলাম।
ক্লাস শেষ হতে না হতেই ঘুমানোর প্ল্যান করছিলাম। তখন আবার সন্ধ্যা বেলার টিফিন খাওয়ার জন্য মা ডেকে দিল। তারপর ভাবলাম একেবারে পোস্ট লিখে রাতের খাবার খেয়ে তারপরে এই ঘুমিয়ে যাব। যাইহোক সবশেষে এখন পোস্ট লিখছি। আশা করি আমার আজকের পোস্টটি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে।
পোস্ট বিবরণ | লাইফ স্টাইল |
---|---|
ডিভাইস | poco m6 pro |
ফটোগ্রাফার | @pujaghosh |
https://x.com/GhoshPuja2002/status/1817249193120911580?t=CbGdUDBYlkxgAUAq0JqAUg&s=19
অনেকদিন পর মা কালীর ছবি দেখলাম। প্রণাম ও করলাম। আপনি একটি সুন্দর দিনের কথা জানলাম। এভাবেই ভালো থাকুন এবং আনন্দে থাকুন