|| রেসিপি : এঁচোড় চিংড়ি ||
নমস্কার বন্ধুরা
আজ আমি আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি আবারো নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজকে একটি রেসিপি পোস্ট করব। সময় সুযোগ পেলেই ভিন্ন ধরনের রেসিপি গুলো নিজের হাতে তৈরি করতে আমার কিন্তু বেশ ভালো লাগে। বেশ কিছুদিন আগে এই রেসিপিটা আমি তৈরি করেছিলাম। তখন সবেমাত্র এঁচোড় হিসেবে কাঁঠাল বাজারে উঠেছিল। কাঁঠাল আমার খুব বেশি একটা প্রিয় নয়, তবে এঁচোড় খুবই প্রিয়। আর সেই এঁচোড় যদি হয় চিংড়ি মাছ দিয়ে তাহলে তো কোনো কথাই নেই। গরম গরম ভাতের সাথে এঁচোড় চিংড়ি অসাধারণ লাগে খেতে। যাইহোক গত সপ্তাহে কোনো রেসিপি পোস্ট করা হয়নি সময়ের অভাবে। তবে এই সপ্তাহে এঁচোড় চিংড়ির এই সুস্বাদু রেসিপিটি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। আশা করি এই রেসিপিটি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। চলুন তাহলে আর কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক।
প্রয়োজনীয় উপকরণ :
এঁচোড় | ১ টি |
---|---|
আলু | ৩ টি |
পেঁয়াজ | ২ টি |
রসুন | ১ টি |
আদা | ছোট সাইজের একটি টুকরো |
কাঁচা লঙ্কা | ১০-১২ টি |
চিংড়ি মাছ | ৩০০ গ্রাম |
গোটা জিরে | সামান্য |
তেজপাতা | ২ টি |
লবণ | পরিমাণ মতো |
হলুদ | ১ চামচ |
জিরে গুঁড়ো | ১ চামচ |
ধনে গুঁড়ো | ১ চামচ |
শুকনো লঙ্কা গুঁড়ো | ১ চামচ |
গরম মসলা গুঁড়ো | ১ চামচ |
চিনি | ১ চামচ |
সাদা তেল | পরিমাণ মতো |
রন্ধন প্রণালী :
প্রথমেই নিয়ে নিয়েছি আমার প্রয়োজনীয় উপকরণ গুলি - এঁচোড়, চিংড়ি মাছ, আলু, পেঁয়াজ, রসুন, আদা, কাঁচা লঙ্কা, গোটা জিরে, তেজপাতা, লবণ, হলুদ, জিরে গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো, শুকনো লঙ্কা গুঁড়ো,চিনি, গরম মসলা গুঁড়ো আর সাদা তেল।
এরপর চিংড়ি মাছ গুলোকে ভালোভাবে কেটে ধুয়ে নিলাম । এঁচোড় টাকেও ভালোভাবে কেটে ধুয়ে নিয়েছি। আর পেঁয়াজ, রসুন ছোট ছোট করে কুচি করে নিয়েছি। আদা বেঁটে নিয়েছি, আর কাঁচা লঙ্কা কেটে নিয়েছি।
একটি কড়াইতে বেশ কিছুটা জল দিয়ে আর সামান্য হলুদ দিয়ে এঁচোড়টাকে ভালোভাবে সিদ্ধ করে নিয়েছি। সেদ্ধ করা হয়ে গেলে একটি থালায় জল ঝরাতে দিয়েছিলাম।
এরপর ওই একই কড়াইতে সামান্য জল নিয়ে, জল ফুটে উঠলে তাতে সামান্য লবণ আর হলুদ দিয়ে চিংড়ি মাছগুলোকে দিয়ে একটু সেদ্ধ করে নিয়েছিলাম।
এরপর কড়াইতে তেল দিয়ে দিয়েছি।তেল গরম হয়ে গেলে তাতে সিদ্ধ করে রাখা চিংড়ি মাছ গুলো ভেজে তুলে নিয়েছি। ওই একই তেলে তেজপাতা আর জিরে ফোঁড়ন দিয়ে দিয়েছি।
এরপর তাতে আলু গুলোকে দিয়ে দিয়েছি। আলু ভাজা হয়ে গেলে একটি পাত্রে নামিয়ে নিয়েছি। ওই একই তেলে দিয়ে দিয়েছি কুচানো পেঁয়াজ। পেঁয়াজ ভাজা হয়ে গেলে দিয়ে দিয়েছি রসুন কুচি।
তারপর তাতে দিয়ে দিয়েছি আদা বাটা। এরপর মসলা গুলোকে ভালোভাবে ভেজে, মসলা থেকে তেল বেরোলে তাতে দিয়ে দিয়েছি ভেজে রাখা চিংড়ি মাছগুলো। তারপর সেটাকেও বেশ কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করে দিয়ে দিয়েছি ভেজে রাখা আলু।
এরপর তাতে দিয়ে দিয়েছি সেদ্ধ করে রাখা এঁচোড়। তারপর দিয়েছি লবণ, হলুদ আর কেটে রাখা কাঁচা লঙ্কা।
এরপর বেশ কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করে,তাতে দিয়ে দিয়েছি সামান্য চিনি। তারপর দিয়ে দিয়েছি জিরেগুঁড়ো, লঙ্কাগুঁড়ো আর গরম মসলা গুঁড়ো।
সমস্ত মসলা নেড়ে চেড়ে নিয়ে তাতে দিয়ে দিয়েছি সামান্য পরিমাণ জল। জল শুকিয়ে এলে নামিয়ে নিয়েছি। এরপর একটি প্লেটে রেসিপিটি পরিবেশন করে নিয়েছি।
পোস্ট বিবরণ | রেসিপি |
---|---|
ডিভাইস | poco m6 pro |
ফটোগ্রাফার | @pujaghosh |
https://x.com/GhoshPuja2002/status/1815780257602892090?t=EFcBP0vCXUm-JbRXIN4-mg&s=19
আপু আপনি অনেক সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার তৈরি করার রেসিপিটি দেখে অনেক ভালো লাগলো। চিংড়ি মাছ আমার অনেক প্রিয়। এঁচোড় ও কম বেশি খাই তবে ততটা না।আগে কখনো এঁচোড় দিয়ে চিংড়ি মাছ রান্না খাওয়া হয়নি। রেসিপিটি আমার কাছে পুরাই ইউনিক। তবে আপনার রান্নাটি দেখে মনে হচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। আপনি রান্নার প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন আমাদের মাঝে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর একটি রেসিপি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
চিংড়ি মাছ আমারও অনেক প্রিয় আপু। তবে এই রেসিপিটি দেখছি আপনার কাছে একেবারে ইউনিক। কখনও তৈরি করে দেখবেন এই রেসিপিটি আশা করি আপনার কাছেও খেতে খুব ভালো লাগবে।
জ্বি আপু সময় করে অবশ্যই একদিন রান্না করে দেখবো খেতে কেমন লাগে।
কাঁঠালের এঁচোড় আমার অনেক পছন্দের একটি খাবার। ফলের মৌসুমে প্রতিবছরে কম বেশি কাঁঠালের এঁচোড় খাওয়া হয়। তবে কাঁঠালে এঁচোড় আর চিংড়ি মাছ দিয়ে একসাথে রান্না করে কখনো খাওয়া হয়নি। আপনার পোস্টে এঁচোড় ও চিংড়ি মাছ দিয়ে রান্না করা দেখে বেশ ভালো লাগলো। রেসিপিটা দেখে মনে হচ্ছে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। কোন একদিন এই ভাবে এঁচোড় রান্না করে খেয়ে দেখবো। ধন্যবাদ আপু অনেক মজাদার একটি খাবারের রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।