গল্প (পরিবর্তন-২য় পর্ব )

in আমার বাংলা ব্লগ29 days ago
১৯ই বৈশাখ , ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

৩ ই মে ২০২৪খৃস্টাব্দ ।


আজ রোজ শনিবার

মার বাংলা ব্লগের সকল বাংলাভাষী সদস্যগনকে আমার সালাম এবং আদাব। সবাই কেমন আছেন ? আশা করি, সবাই মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে অনেক ভাল আছি। সবাইকে আন্তরিকভাবে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের ব্লগ



ai-generated-8523945_1280.jpg

source

তখন আর কি করার মেয়ে মামী তার বোনকে বললো তার ননসের একটা মেয়ে আছে চাইলে তারা দেখতে পারে।আসলে তার বোনও বলে রাখছিলো তার ছেলের জন্য ভালো একটা মেয়ে দেখতে।আসলে গ্রামের মেয়ে তো এস এস সি পাশ করার পর বিয়ে না দিলে নানান মানুষ নানান কথা বলে।

এরমধ্যে রিয়ার মামী তার নিজের কাজিনের ছেলের জন্য রিয়ার জন্য প্রস্তাব নিয়ে আসলো। প্রথমে রাজি না হলেও ছেলে দেখে পছন্দ হওয়াতে তারা রাজি হলো।ছেলে আবার বেশ ধার্মিক। ধার্মিক বলতে মাদরাসা লাইনে পরেছে তো তাই। যাই হোক দুই পক্ষেরই বেশ পছন্দ হয়েছে। ছেলে পক্ষ বলছে এখন কাবিন হোক পরে প্রোগ্রাম হবে।কারন রিয়ার এখনও আঠারো বছর পূরন হয়নি।আর তাদের কোন চাওয়া পাওয়া নেই।


শুধু মাএ মেয়ে তাদের মত করে চললেই হবে।ছেলেদের আর্থিক অবস্থা মেয়েদের থেকে অনেক ভালো।ঢাকাতে নিজস্ব ফ্ল্যাট এবং জায়গা রয়েছে। ছোট খাট আয়োজনে কাবিন হলো। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো যেইদিন কাবিন তার ১৫ দিন পরেই রিয়ার ১৮ বছর পূর্ণ হবে।ছেলে তো রিয়ার জন্মদিন উপলক্ষে অনেক কিছু গিফট নিয়ে আসলো। রিয়ার নানী বেশ খুশি ভালো একটা ছেলের হাতে রিয়াকে তুলে দিতে পেরেছে তারচেয়ে বড় কথা রিয়াকে অনেক ভালোবাসে।


বেশ কিছু দিন ভালোই যাচ্ছে। এই দিকে রিয়াকে যেহেতু তুলে আনেনি তাই রিয়াকে তার বাবার বাড়ির এখানে কলেজে ভর্তি করানো হয়।কিন্তু রিয়া চেয়েছিলো তাকে যেন তার শশুর বাড়ির এখানে ভর্তি করানো হয়,কিন্তু তার স্বামী করায় নি তাদের বাসা থেকে নাকি কলেজ অনেক দূর তাই।কিন্তু প্রত্যেক সপ্তাহে রিয়াকে দেখতে যাওয়া এবং রিয়ার বন্ধ পরলে ছেলের বাড়িতে নিয়ে আসা চলতো।রিয়ার ও ছেলের বাড়িতে থাকতে ভালো লাগতো।শাশুড়ী বেশ আদর করতো আবার কোন কাজ করতে হতো না যেভাবে খুশি সেই ভাবেই চলতে পারতো।


এখন আর কিছুতেই আর গ্রামে আসবে না রিয়া তখন তার স্বামী ভালো করে বুঝিয়ে দিয়ে গেলো।এর কিছুদিন পর রোজা এসে গেলো তখন তার স্বামী আবার রিয়াকে নিয়ে আসলো।এখন থেকেই সমস্যা শুরু।সে শহরে এসে অহংকার বেরে গেলো।সে তার স্বামীর সাথে খারাপ ব্যবহার করে।এমনকি শাশুড়ির সাথেও।


স্বামী যতই ভালো আচরন করে ততই সে খারাপ ব্যবহার করে।দিন দিন তার অহংকার বেরে যায়। যেই মামী তাকে দেখে শুনে বিয়ে দিলো তাকেই সে চিনে না।শাশুড়ী কোন কাজ করতে বললে করে না। ছেলে যেহেতু মাদরাসায় লাইনে পড়েছিলো তাই চেয়েছিলো পর্দা করার জন্য কিন্তু সে করবে না।অনলাইন থেকে থেকে সে অর্ডার করে ওয়েস্টার্ন পোশাক।


এক পর্যায়ে তাদের সাথে ঝগড়া হয়।সে ঝগড়াতে সে অনেক গুলো ঘুমের ঔষধ খায় যার জন্য সে অসুস্হ হয়ে যায়।পরে যখন তাড়াতাড়ি করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।তারপর চিকিৎসা করে তাকে তার মায়ের হাতে তুলে দিয়ে বলে ও যে আচরন করছে তাতে তার সাথে সংসার করা যাবে না।সে যদি ভালো হতে পারে তাহলে তাকে তারা গ্রহণ করবে আর তা না হলে ওর এই উগ্র চলা নিয়ে সংসার করতে পারবে না।


আসলে কিছু কিছু মানুষ হঠাৎ করে নিচু জায়গা থেকে উপরে উঠলে নিচের সিঁড়ির কথা ভুলে যায়।যাইহোক আজকেএই পর্যন্তই ছিল। আশাকরি আপনাদের ভালো লেগেছে । আর ভালো লাগলে অবশ্যই একটি কমেন্ট করতে ভুলবেন না।

আবার আসবো অন্য কোনো দিন ,অন্য কোন ব্লগ নিয়ে ,সেই অব্দি ভালো থাকবেন ,সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায়।

Coin Marketplace

STEEM 0.28
TRX 0.11
JST 0.030
BTC 67659.51
ETH 3800.90
USDT 1.00
SBD 3.55