বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে মোটর বাইক গতি.........
হে লো আমার বাংলা ব্লগ বাসী। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। আবার ও হাজির হলাম একটি পোস্ট নিয়ে। আশা করি সবার ভালো লাগবে।
সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের পোস্ট। দিন কাল কেমন যাচ্ছে আপনাদের? কয়দিন এর বৃষ্টি পরিবেশটাকে অনেকটাই ঠান্ডা করে দিয়েছে। ফলে এখন গরম একটু কমই লাগে। তবে আবার যে কবে আবার গরম পরা শুরু হয় কে জানে। যাক আজ মোটর বাইক এর গতি নিয়ে আলোচনা করবো। আশা করি ভালো লাগবে আপনাদের।
মোটর সাইকেল বা বাইক বলতে গেলে ছোট্ট এক বাহন। তবে জ্যামের এই শহরে এর ভূমিকা অনেক। স্পেশালি বলতে গেলে আমাদের ঢাকা সিটি তে বাইক এর গুরুত্ব অনেক বেশি। খুব সহজেই কম সময়ে গন্তব্যে পৌঁছে যাওয়া যায় বাইক এর মাধ্যমে। কিন্তু যত আইন যেনো ছোট্ট এই বাহনটির ক্ষেত্রেই। আমার মতে মোটর বাইক হচ্ছে বন্ধু বাহন। কিছু ছাপরি বাইকার দের জন্য সবার উপর এমন উলটা পালটা আইন কখনোই মানান সই নয়। বাইক ছোট বাহন হওয়াতে সহজেই জ্যাম এড়িয়ে গন্তব্যে পৌঁছে যাওয়া যায়। এতে সময় বেচে যায়। আমি আমার উদাহরণ দিয়েই বুঝাতে চাই। আগে যখন আমি বাস দিয়ে অফিস যাতায়াত করতাম তখন আমার জ্যাম এর কারণে অফিসে আসতে যাইতে সময় লাগতো প্রায় ৩ ঘন্টার উপরে। মাঝে মাঝে এর থেকেও বেশি সময় লেগে যেতো। কিন্তু এখন সেটা দেড় থেকে দুই ঘন্টায় নেমে এসেছে। অর্থাৎ প্রতিদিন আমার ১ ঘন্টার উপর সময় বেচে যাচ্ছে। অথচ আগে কতই না সময় যেতো জ্যাম এ পরে থেকে। কিন্তু দিন দিন যা নিয়ম কানুন প্রয়োগ হচ্ছে বাইকের ক্ষেত্রে তাতে বাইক রাইড করা সত্যি মুশকিল হয়ে যাবে। সব নিয়ম কানুন যেনো শুধু মাত্র বাইকের জন্য। আজ এই নিয়ম তো কাল ঐ নিয়ম। কিছু মহল এসব নিয়ম এর মার প্যাচ এ মোটর বাইক বিলুপ্ত করে দিতে চাচ্ছে মনে হচ্ছে।
নতুন নিয়ম হলো দেখলাম বিভিন্ন যানবাহনের বিভিন্ন রকম গতি। যেখানে বাংলাদেশে এখনো লেন মেনেই কেউ চলে না সেখানে কিভাবে ভিন্ন ভিন্ন যানবাহনের জন্য ভিন্ন ভিন্ন গতি করতে পারে? কোনো প্রযুক্তিগত দিকই বিবেচনা করা হয়নি। একটা কথা সাধারন ভাবে চিন্তা করেন যেকোনো গাড়ি যে কোনো লেন এ চলতেছে এখন। তো যখন আমরা লেন মানিনা তো গতি কিভাবে মানবো। দেখা গেলো এখন হাইওয়েতে বাসের গতি ৮০ কিলোমিটার প্রতিঘন্টায়। তো এখন যদি সেই বাসের সামনে ৬০ কিলোমিটার বেগ এর ট্রাক বা বাইক আসে তো স্পিড মিলবে কিভাবে? আবার সিটিতে বাইকের গতি দেখলাম ৩০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায় নির্ধারন করা হয়েছে। কথা হচ্ছে এই গতি দিয়ে আসলেই কি চালানো সম্ভব বাইক? যেখানে রাস্তা ফাঁকা থাকলেই সিএনজি গুলো ৬০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায় ছুটে চলে। প্রাইভেট কার গুলো ৮০ - ৯০ কিলোমিটার প্রতিঘন্টায় ছুটে চলে সেখানে কিভাবে বাইকে দিয়ে এই সামঞ্জস্য করা হবে? আসলে মূর্খ লোকদের উপরের চেয়ারে বসালে এমন নিয়ম কানুনই আসবে এটা আর বলতে হয়না।
এমনি বাংলাদেশের রাস্তার যা অবস্থা। জ্যাম আর জ্যাম। সেখানে একটু ফাঁকা পেলে টেনে না চালালে আর গাড়িতে উঠে লাভ কি? হেটে যাওয়াই তো শ্রেয় মনে হচ্ছে। ৩০ কিলোমিটার ঘন্টায় বাইক চালানো সহজ মনে হচ্ছে? এতে তো তেল খরচ আরো বাড়বে। কারণ আমি আমার সর্বোচ্চ গিয়ার এ পৌঁছাতে পারবোনা। পরিবেশ দুষন ও বৃদ্ধি পাবে। আর রইলো পুলিশ এর মামলার কথা। এখন তো এটা আয়ের আরেকটা সুযোগ তাদের জন্য। মোটর বাইক ধরবে আর বলবে লাগা মামলা। আমার এলাকার অটো আলারাও ৩০ এর বেশি স্পিডে তাদের অটোচালায়। কি আর বলবো। কোনো কিছু ঠিক না করেই এই নিয়ম করা হয়েছে।
তো আজ এই পর্যন্তই। আশা করি ভালো লেগেছে। কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেননা। ভালো থাকবেন সবাই। আবার দেখা হবে নতুন এক পোস্ট এ।
░▒▓█►─═ ধন্যবাদ ═─◄█▓▒░
আমি রাজু আহমেদ। আমি একজন ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছি সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি থেকে। আমি বাঙ্গালী তাই বাংলা ভাষায় লিখতে ও পড়তে পছন্দ করি। ফোন দিয়ে ছোটখাট ছবি তোলাই আমার সখ। এছাড়াও ঘুরতে অনেক ভালো লাগে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
খবরটি আমার চোখেও পড়েছে, ঢাকা শহরে বাইকের গতি হবে ৩০ কিলোমিটার বেগে। আপনি বাইকের গতি নিয়ে সমসাময়িক আলোচিত একটি পোস্ট শেয়ার করেছন ভাইয়া। যাটজট থেকে বাচতে, সময় বাচাতে বাইকের বিকল্প নেই একদম সত্য। আবার এটাও সত্য বাইক এক্সিডেন্ট দিন দিন বাড়ছে। কর্তা ব্যক্তিদের উচিত বাইকের গতির চেয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স এ কঠোর হওয়া ও ট্রাফিক আইন যথাযথ ভাবে কার্যকর করা। আমাদের দেশের ট্রাফিক ব্যবস্থার অবস্থা হ য ব র ল। পোস্টটি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
বাইক বন্ধুবাহন। এর জন্য এতো নিয়ম কানুন সত্যি প্যারা দায়ক।
সত্যি বলতে কি ভাইজান বর্তমান যে হারে আমাদের দেশে এক্সিডেন্ট বেড়ে চলেছে, বেশিরভাগ মানুষের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানো বা চার চাকার গাড়ি চালানোর কারণে।আর এই সমস্ত কারণকে মাথায় রেখে যখন নতুন আইন পাস করছে তখন ভোগান্তির শিকার হবে আমাদের মত মানুষ যারা সচেতন ভাবে গাড়ি চালায়। এখন তেল খরচ বেশি হোক আর টাকা খরচ বেশি হোক এটা তো তাদের দেখা দেখি নাই। নতুন আইন হয়েছে সেটা কিছুক্ষণ আগে দেখলাম আমি।
নতুন আইনে দূর্ঘটনা আরো বৃদ্ধি পাবে।
বিষয়টা সত্যিই খেয়াল করার মতো বিষয়। বাইকের উচ্চগতির জন্য দুর্ঘটনা যেমন ঘটে,তার পাশাপাশি এতে সাধারণ মানুষের জন্য সময় বাঁচে,কর্মঘণ্টা ব্যায় হয় না।
তবে চিন্তার বিষয় যে আইন করা হচ্ছে, তার প্রয়োগ কতটা হবে আর বাইকের নির্ভরকারীরা তার দ্বারা ভোগান্তিতে কতটা পড়বে।
যা হোক, তবে আশা করি এমন পরিস্থিতি না তৈরি হোক যাতে করে খুব বেকায়দায় পড়তে হয়। একটি সময়োপযোগী বিষয় তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ।
এটি খুব ঝামেলার ও বটে। আসলে উচ্চগতিতে দূর্ঘটনা ঘটে ঠিক আছে। কিন্তু এতো কম গতিও দূর্ঘটনা ঘটাবে।
আমার বাইক নেই চালাতেও পারি না। তবে বাংলাদেশ যে সরকার মোটরসাইকেলের গতি নিয়ে যে প্রজ্ঞাপন টা জারি করছে এটা পুরো একটা বোকামি ছাড়া আর কিছু না। হ্যা হতে পারে অতিরিক্ত গতি মানুষের জন্য ঝুকিপূর্ণ সেক্ষেত্রে তারা সর্বোচ্চ গতির একটা সীমা করে দিতে পারে। কীবোর্ড কোথাও ৩০ কোথাও ৪০ এটা একেবারে মানা যায় না।
চরম লেভেল এর বোকামি ভাই। যেখানে লেন ঠিক মতন মানেনা বা অমন আইন নাই সেখানে কিভাবে এক রাস্তায় ৪ ধরনের গতি ঠিক করে ।
আসলেই ভাই বাইক আমাদের অনেক সময় বাঁচিয়ে থাকে। একটা বাইক থাকলে অনেক সুবিধা পাওয়া যায় এবং সাথে অনেক সময়ও বেঁচে যাই। তবে সমস্যা হচ্ছে অল্প বয়সী ছেলেরা অর্থাৎ যাদের বয়স এখনো খুব বেশি হয়নি, তারা হাতে বাইক পেলেই যেন ইচ্ছেমতো টান দিতে থাকে। আর যার কারণে এক্সিডেন্টও অনেক বেড়ে যায়। তো এর জন্যই হয়তোবা এই নতুন আইন পাস করেছে। তবে গতিশীমা একেবারেই ৩০ রাখা উচিত হয়নি কারণ অন্তত বাইকের লাস্ট গেয়ার অব্দি যাওয়ার মতো স্পিড রাখা উচিত ছিল। আসলে কিছু কিছু মানুষের জন্য সবাইকে দায়ভার দেওয়া কখনো উচিত হয়নি আর এমনিতেও বাংলাদেশের বাইক চালানোর জন্য রুলস তো আর কম নেই।
সত্যি ভাই বাইক থাকাতে অনেক সময় বেচে যায় আমার।
একটা কথা কি জানেন তো ভাই, যারা যত নিয়ম ভাঙ্গে তাদের জন্য আরো বেশি করে নিয়ম তৈরি হয়। এই যে লেন না মেনে গাড়ি চালানো, এটা একদিকে অন্যায়, অন্যদিকে আবার এক্সিডেন্ট হওয়ার সম্ভাবনাও বেশি থাকে এই কারণে। তবে আলাদা আলাদা যানবাহনের জন্য আলাদা আলাদা গতি নির্ধারণ করা কিন্তু আরো বেশি ভয়ংকর। এগুলো কারা করে আমি বুঝি না, এর ফলে তো আরো এক্সিডেন্ট বেশি হবে।
লেন এর নিয়ম করে নি ঠিক মতন কিন্তু আলাদা আলাদা গতি নির্ধারন করে দিয়েছে।
এরকমটা করার পেছনে তারা কি যুক্তি খুঁজে পেয়েছে, আমি তো সেটা বুঝতে পারলাম না ভাই।🤔