ভাবির এলাহি কান্ড
আসসালামু আলাইকুম,
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই সুস্থ আছেন।ভালো আছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আজ আমি আবারও আপনাদের মাঝে নতুন একটা ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি।আশা করি আজকের ব্লগটি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
গত পোস্টে আমি আপনাদের সাথে আমার বাবা মার সাথে ঢাকা জার্নির কিছু মুহূর্ত শেয়ার করেছি। আজ ঢাকার প্রথম দিনের কিছু অংশ আপনাদের সাথে শেয়ার করব। নিজের ভাই ছাড়া আমাদের সব আত্মীয়-স্বজন সবাই ঢাকায় থাকে। তাই ঢাকায় আসলে একটা সমস্যা হয় সবাই সবার বাসায় যেতে বলে আমরা যেতে পারি না। কারণ অত বেশি সময় নিয়ে ঢাকায় আসা হয় না সবারই বাসায় ফেরার তারা থাকে। একবার আসলে কারো না কারো মন খারাপ হবে এই কারণ দুই একজনের বাসায় যাওয়া হয় বাকিদের বাসায় যাওয়া হয় না। আমাদের আত্মীয়-স্বজন সবার মধ্যে আন্তরিকতা টা অনেক বেশি এজন্য আমি আমার পরিবার নিয়ে খুবই গর্ববোধ করি। আমাদের পরিবারের সবাই সবাইকে এত সম্মান করে এতটা ভালোবাসে যেটা অনেক কম পারিবারিক দেখা যায়। আমার ভাই বোনেরা অনেক সবাই অনেক যত্নশীল অনেক ভালোবাসা আমাদেরকে। মাঝে মাঝে আমার কাছে মনে হয় আমি বোধহয় ওদেরকে এতটা ভালবাসতে পারি না ওরা আমাদেরকে যতটা বেশি ভালোবাসে। ওদের ভালোবাসা ওদের ব্যবহার প্রতিটা মুহূর্তে মুহূর্তে আমাকে মুগ্ধ করে। আমি ওদের থেকে অনেক কিছু শেখার চেষ্টা করি। প্রতি মুহূর্তে আমার ভাই বোন ভাবিদের কাছ থেকে অনেক কিছুই শেখার আছে। তাদের মনটা এত বড় তারা এত উদার মনের যা বলে বোঝানোর মত নয়। আমরা ঢাকা পৌঁছার আগে আমাদের আমার বড় ভাইয়া গাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছে সাথে একজন লোক পাঠিয়ে দিয়েছেন যাতে করে আমরা খুব সুন্দরভাবে ট্রেন থেকে নেমে ওনাদের বাসায় যেতে পারি। আমাদের সাথে যেহেতু অনেক ব্যাগ ছিল এজন্য একজন লোকও দিয়েছেন যাতে করে আমাদের কোন রকম কোন অসুবিধা না হয়। তারপরও একটা সমস্যা হয়েছিল ড্রাইভার অনেক আগে বাসা থেকে রওনা দিলেও রাস্তায় অনেকটা দেরি হয়েছে জ্যামের কারণে।এজন্য তারা যে আমাদের কাছে কতবার সরি বলেছে তার হিসেব নেই। তাদের এই ম্যানার্স গুলো আমার কাছে আরো বেশি ভালো লাগে। অল্প শিক্ষিত মানুষেরও কত সুন্দর ব্যবহার।
আমার ভাইয়া দুলাভাই সবাই বেশি ভাগে ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। নিজেদের অনেক কাজ আছে নিজেরাও অনেক কাজে ব্যস্ত থাকে। কিন্তু তারপরও তারা এত সময় দেয় আমাদেরকে। প্রত্যেকদিন সকালে ও রাতে ডাইনিং এ একসাথে খাবে।আড্ডা দিবে অনেক রাত পর্যন্ত এটা আমার কাছে অনেক ভালো লাগে ।
আমরা বাসায় গিয়ে দেখি ভাবি আমাদের জন্য আলাদা আলাদা বেডরুমের সুন্দর ব্যবস্থা করেছেন। ভাইয়াদের বাসায় সাততলায় গেস্ট রুম আছে।আর আমি গেস্ট রুমে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।আমার যেহেতু দুজন বেবি ছিল আমি চাচ্ছিলাম না আমার কারনে ভাবিদের কোন অসুবিধা হোক।বাচ্চারা তো অনেক সময় কান্নাকাটি করে। ফ্রেশ হয়ে দেখি ভাবি ডাইনিং এলাহি কারবার করে ফেলেছে। আমরা জার্নি করেছি আগেই বলে রেখেছিলাম তেমন কোন কিছু খাব না রাস্তায় অনেক খাবার খেয়েছি। তা ছাড়া আর শরীরটা বেশি ভালো ছিল না অনেকটা লম্বা সময় আমরা জার্নি করেছি প্রায় ১০ ঘণ্টার মতন। আমি তো তেমন কিছু খাব না কিন্তু ভাবি তো কিছুতেই ছাড়বে না। সেই ডাইনিং এত এত খাবারের ব্যবস্থা করেছে দেখে আমার তো আরো পেট ভরে গেছে ভাবি ধরে ধরে এত জোর করে করে খাইয়েছে কি বলবো পোলাও, মাংস, টিকিয়া,আলুর চপ,রোস্ট,সাদা ভাত,শিং মাছ,রুই মাছ ছোট মাছ সব একসাথে রেখেছে টেবিলে।
আমি তো অনেক রিকোয়েস্ট করে মোটামুটি একটু একটু করে নিয়ে উঠে যাব এর মধ্যে ভাবি পুডিং পায়েস নিয়ে হাজির।ভাবি তো নাছোড়বান্দা বান্দা না খাইয়ে ছাড়বে না।
সেদিনের মতো খাবার খেয়ে আমরা তাড়াতাড়ি রুমে চলে যাই। যেহেতু অনেকটা জার্নি করেছি।
আজকের মতো এখানেই বিদায় নিচ্ছি।পরবর্তীতে আবারও নতুন কিছু নিয়ে হাজির হবো ধন্যবাদ সবাইকে।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আজকাল এতো সময় দেয়ার মতো সময় নেই কারও। আর ঢাকায়তো আরও সময় দেয়া সম্ভব না। তার একটা বড় কারন জ্যাম। ঠিক সময় কোন কাজই করা সম্ভব নয়। তবে আপনার ভাইয়া ভাবী বেশ সময় দিয়েছে আপনাদের। সেই সাথে আপ্যায়নেরও বড় আয়োজন করেছে। খাবারের চেয়ে সম্মানটাই বড় । যা আজকাল পাওয়া কঠিন। ভালো থাকবেন আপু।
আমার দাদুর বাড়ির পরিবারের সকল ভাই বোনের মধ্যে সব ছোট বোন হচ্ছে আমি। তারপরও সবাই এত বেশি ভালোবাসে এত প্রায়রিটি দেয় এজন্য অনেক বেশি ভালো লাগে। অনেক এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
আপনার ভাবির আপ্যায়নের বেশ আয়োজন করেছে। এতো ধরনের খাবার তৈরি করতে বেশ সময়ের প্রয়োজন হয়েছে নিশ্চয়ই । সবাইর সাথে সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন। এতো সুন্দর অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
সুন্দর একটি পরিবারের সদস্য হওয়ার জন্য আমি নিজেকে ধন্য মনে করি।অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
সত্যি তো দেখছি এলাহী কান্ড খাবারের টেবিলে।আসলে এরকমই হয় ব্যাস্ততার জন্য কারো বাসায় যাওয়া হয় না আর যদি কেউ যায় তাহলে এক বছরের খাবার একদিনে রান্না করে খাওয়ায়।আপনি সব গুলো খারাব একটু একটু করে খেয়েছেন জেনে ভালো লাগলো।ধন্যবাদ সুন্দর পোস্ট টি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
নিজের কাছের মানুষগুলো যদি আন্তরিক না হয়,তাহলে খুবই খারাপ লাগে। আপনাদের আত্নীয় স্বজনরা খুবই আন্তরিক, জেনে খুব ভালো লাগলো আপু। যাইহোক আপনার ভাবী তো দেখছি আসলেই এলাহি কান্ড করে ফেলেছে। এতো রান্না করতেও তো ভীষণ কষ্ট হয়েছে। তবে বাসায় কেউ আসলে, তাদেরকে ভালোভাবে আপ্যায়ন করতে পারলে নিজের কাছেই খুব ভালো লাগে। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।