সখের সাইকেল
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যরা কেমন আছেন সবাই? নিশ্চয়ই সবাই ভালো আছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। প্রতিদিনকার মতো আজও আমি নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি।আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
সামনেই মেয়ের জন্ম দিন আসছে। এবার তার জন্মদিনে জাহিরা সাইকেল নেবে বলেছে। আমার মেয়েটা অনেকদিন ধরে সাইকেলে বায়না করছিল এবার তার বাবা তাকে কথা দিয়েছে এবারের জন্মদিনে তাকে সাইকেল কিনে দেয়া হবে। আমরা তো গোবিন্দগঞ্জে থাকি এখানে তেমন ভালো সাইকেলের দোকান দেখতে পাচ্ছিলাম না। কিছুদিন আগে পূজার ছুটিতে গাইবান্ধায় গিয়েছিলাম। গাইবান্ধা যাওয়ার আগেই ঠিক করে রেখেছিলাম গাইবান্ধার কিছু দোকানে গিয়ে সাইকেল দেখব। আর কোন সাইকেল আমার মেয়ে পছন্দ করে কয়েকটা দোকানে ঘুরাঘুরি করে একটি মানসম্মত সাইকেল পছন্দ করে আসব। পরে জন্মদিনে ওর মামা সাইকেল নিয়ে যাবে।
সাইকেল দেখার উদ্দেশ্যে আমি আর আমার মেয়ে আমার ছেলেকে আমার আম্মুর কাছে রেখে সন্ধ্যাবেলা বেরিয়ে পড়ি। বাড়ি থেকে খুব বেশি দূরে না সাইকেলের দোকান কিন্তু পূজার জন্য রাস্তায় অনেক জ্যাম ছিল তাই যেতেও একটু সময় লেগেছে।আমার মেয়ের তো ধৈর্য কুলার ছিল না সে কখন সাইকেলের দোকানে যাবে আর সাইকেল দেখবে। পরে সাইকেলের দোকানে যাওয়ার পর সে প্রথম একটা সাইকেলে পছন্দ করেছে।আর সাইকেলের নাম দিয়েছে শিবা সাইকেল।তার কথার সেই এই শিবা সাইকেল কিনবে।
আমার কাছেও সাইকেলটি মোটামুটি ভালোই লেগেছে। তার এই সাইকেল পছন্দ করার পিছনে কয়েকটি কারণ আছে এ সাইকেলের পিছনে আরেকটা এক্সট্রা সিট আছে সে এই সিটে তার ভাইকে বসাবে এজন্য তার এই সাইকেল পছন্দ। এই সিটে বসিয়ে সে তার ভাইকে বসিয়ে সামনে নিজে বসে সাইকেল চালাবে। এজন্য আর কোন সাইকেলের দিকে তাকাচ্ছিল না।মেয়েকে সাইকেল চালাতে দিয়ে আমার ছেলের জন্য কিছু গাড়ি দেখছিলাম আসলে এসব দোকানে গেলে তো হরেক রকমের গাড়ি সাইকেল দেখে আমার মন চাচ্ছিল ছেলের জন্য কিছু একটা নিয়ে নেই।আমার ছেলে তো অনেকটা ছোট এখনো হাঁটতেই পারে না তো ওকে আগামীতে সুন্দর দেখে একটা সাইকেল কিনে দেবো।
আমরা দুই তিনটা দোকানে ওই একই সাইকেলে দেখেন যাচাই করে বাসায় ফিরছিলাম। আর একটা জিনিসই শুধু চিন্তা করছিলাম আমার মেয়েটার অনেকটা ধৈর্য আছে। কারণ সে সাইকেল এত বেশি পছন্দ করে যা বলার মত না। কিন্তু সে সাইকেল দেখে সেটা সেদিন কেনার জন্য কোন প্রকার জেদ করে নি। আমি তাকে যেটা বলেছি যে তার জন্মদিনের দিন এই সাইকেলটাকে দিব সে তাই শুনেছে।আমার কাছে এই জিনিসটা খুবই ভালো লেগেছে অন্য কোন বাচ্চা হলে ঠিকই জেদ করতো যে তাকে সেদিনে সাইকেলে দিতে হবে কিন্তু আমার মেয়ে একটুও জেদ করেনি।
সবাই আমার ছেলে মেয়ে ও পরিবারের সবার জন্য অনেক অনেক দোয়া করবেন।আজকের মতো এখানে বিদায় নিচ্ছি। ধন্যবাদ সবাইকে। ❤️❤️
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
সন্তানদের জন্য সব পিতামাতা চাই ভালো লাগার একটা সাইকেল কিনে তাদের মুখে হাসি ফফোটাতে। ঠিক তেমনি একটা পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। যাইহোক আপনার বাবু সাইকেলের জন্য ওই মুহূর্তে জিদ করেনি এটা কিন্তু ভালো একটা বিষয়। কারণ সব ছেলে মেয়েরা তো একরকমের আলা হয় না। আপনার কাছে সাইকেল টা ভালো লেগেছে। যাই হোক অনেক অনেক দোয়া রইল আপনার সন্তানদের জন্য।
এত সুন্দর একটি মন্তব্য করে আমার পাশে থাকার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
আধুনিক প্রযুক্তি অনেক উন্নত হয়েছে। সময়ের সাথে সাথে যেমন চাহিদা বেড়েছে আর চাহিদাকে পূরণ করার জন্য অনেক সুন্দর ব্যবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। তাই এমন সাইকেল যদি বাচ্চাদের কিনে দেওয়া হয় দেখা যাচ্ছে নিজে চালাতে পারলেও পাশাপাশি নিজের ভাই-বোনদের গাড়িতে নিতে পারল। যাই হোক আপনার বাবু যে কোন জিদ করে নাই এ বিষয়টা আমার কাছে ভালো লেগেছে।
আমার পুরা পোস্টটি পড়ে এত সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।