চোখ ❤️ বাংলা নাটক রিভিউ
@rjnasim001
#amarbanglablog
দেশঃ বাংলাদেশ
হ্যালো.......
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। আমি @rjnasim001 বাংলাদেশ থেকে বলছি।আমি আমার বাংলা ব্লগ নতুন এবং ভেফাই মেম্বার।
ইউটিউব ভিডিও থেকে স্কিনশট নেওয়া।
আসলামু আলাইকুম আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের বন্ধু গন আশা করি আপনারা ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আর আল্লাহ রহমতে আমিও অনেক ভালো আছি। আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি নাটক রিভিউ। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে ভেরিফাই হবার পর এটা আমার প্রথম পোস্ট । আশা করছি আমার পোস্ট আপনাদের ভালো লাগবে।
নাটকের নাম | চোখ |
---|---|
প্লাটফর্ম | ইউটিউব |
পরিচালক | জাহিদ হাসান |
অভিনয়ে | তৈসিফ মাহবুব, তানজিন তিশা,তাহসিন আফসোরা অহনা |
প্রকাশিত | ৭মে ২০২২ |
সময় | ৩৮:৪৭ মিনিট |
ইউটিউব ভিডিও থেকে স্কিনশট নেওয়া।
নাটকের প্রথমেই দেখা যাই একটা মেয়ে একটা ছেলেকে ভালোবাসে। আর মেয়েটি সেটা কল্পনাতে ছেলেটার সাথে কথা বলতে থাকে। কল্পনার এই সময় হঠাৎ অন্য একটা মেয়ে তাদের মধ্যে চলে আসেন এবং মেয়েটা বুঝতে পারেন ছেলেটা এবং অন্য মেয়েটা একে অপরকে ভালোবাসে।
ইউটিউব ভিডিও থেকে স্কিনশট নেওয়া।
উপরের ছবিতে লক্ষ করলে আপনারা দেখতে পাবেন ছেলেটা এবং অন্য মেয়েটাকে। এখানে একটা কথা আপনাদের জানিয়ে রাখতে চাই ছেলেটা এবং দুই মেয়ে একই অফিসে চাকরি করেন। আর কল্পনাতে ঘটে যাওয়া ঘটনা সত্যি।ছেলেটা এবং মেয়েটা দুইজন দুইজনকে ভালোবাসে।
ইউটিউব ভিডিও থেকে স্কিনশট নেওয়া।
মেয়েটা ছেলেটাকে অনেক ভালবাসতো। মেয়েটা মনে মনে অনেক কষ্ট পেতে। কিন্তু ছেলেটিকে নিজের মনের কথা বলতে সাহস পেতো না। কারন মেয়েটা জানতো ছেলেটি অন্য মেয়েটাকে ভালোবাসে। ছেলেটা এবং অন্য মেয়েটা বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেই। অফিসের কলিক হয়াতে মেয়েটিকে বিয়ের দাওয়াত দেই।
ইউটিউব ভিডিও থেকে স্কিনশট নেওয়া।
বিয়ের দাওয়াতের কার্ড পেয়ে মেয়েটা অন্য মনস্ক হয়ে ভাবতে ভাবতে একা একা হাটতে হাটতে বাসার দিকে যেতে থাকে। পিছন থেকে একটা গাডি এসে মেয়েটিকে ধাক্কা দিতে যাই এমন অবস্থাতে একটা বৃদ্ধ লোক মেয়েটিকে সেভ করেন। বৃদ্ধ লোকটি মেয়েটিকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথার মাধ্যমে উপদেশ দেই। মেয়েটি চলে যেতে লাগলে মেয়েটিকে ডাকেন এবং একটা পাথর দিতে চাই কিন্তু মেয়েটি সেটা নিতে চাই না। বৃদ্ধ লোকটি মেয়েটিকে জানান এই পাথর নিলে ৩টি মনের আশা পুরন হবে। পরে মেয়েটিকে জোর করে হাতে দিয়ে দেই।
ইউটিউব ভিডিও থেকে স্কিনশট নেওয়া।
বিয়ের দিন সকালে মেয়েটি সেই পাথর নিলে ছেলেটিকে পাওয়ার জন সাধনা করতে থাকে। কিন্তু দেখা গেলো বৃদ্ধ লোকের কথার সাথে কাজের মিল পাওয়া গেলো। ছেলেটি অন্য মেয়েটাকে বিয়ে না করে মেটির কাছে চলে আসলো। মেয়েটি আর ভালোবাসার ছেলেটিকে পেয়ে গেলো। তারা এখন নতুন ভালোবাসার গল্প সাজাতে থাকলো।
ইউটিউব ভিডিও থেকে স্কিনশট নেওয়া।
পরে একদিন ছেলে আর মেয়ে অফিসে আসেন। তাদের ভালোবাসা দেখে অন্য মেয়ে মানতে পারেন না। তখন অফিসের অন্য একটা রুমে গিয়ে অন্য মেয়েটি তাদের ভালোবাসার কথা বলেন। কিন্তু কোন কিছুতেই ছেলেটি বুঝতে নারাজ। মেয়েটি পরে কান্না করতে করতে চলে গেলো।
ইউটিউব ভিডিও থেকে স্কিনশট নেওয়া।
পরে দেখা গেলো অন্য মেয়েটা বন্দুক হাতে করে ছেলেটাকে খুন করার জন্য এলো। পিছন থেকে ছেলেটিকে গুলি করে দিলো। ছেলেটি মারা গেলো।
ইউটিউব ভিডিও থেকে স্কিনশট নেওয়া।
গল্প কিন্তু এখানেই শেষ নয়। গল্প আবার শেষ থেকে শুরু হলো নতুন একটা মোড় নিয়ে। ছেলেটি মারা যাবার পরে আবার ফিরে এলো বিকৃত চেহারার আত্তা হয়ে। মেয়েটির রুমের কলিং বেলের সাড়া দিয়ে দরজা খুলে দেখেন ছেলেটির হিংস্র আত্তাকে। মেয়েটিকে আক্রমণ করতে চাইলো। টেবিলের উপর থাকা বতলের পানির ফোটা গায়ে পড়ে ছেলেটির আত্তা ঠান্ডা হয়ে গেলো। ছেলেটির আত্তা যখন উত্তেজিত হয় মেয়েটি তখন পানি ছিটিয়ে দেই গায়ে। ছেলেটির আত্তা মেয়েটিকে বলতে থাকে ওর মরার জন্য মেয়েটি দায়ি। কারন মেয়েটি যদি পাথরের সাহায্যে ছেলেটির সাথে সম্পর্ক না করতো তাহলে ছেলেটা আজ মারা যেতো না।
ইউটিউব ভিডিও থেকে স্কিনশট নেওয়া।
মেয়েটা একদিন অফিসে চলে গেলে। মেয়েটির মা তালা ভেঙ্গে মেয়েটির রুমে প্রবেশ করেন। রুমে প্রবেশ করে বাজে একটা গন্ধ অনুভব করেন। এখানে একটা কথা আপনাদের জানিয়ে রাখতে চাই ছেলেটার আত্তা যে রুমে আছে মেয়েটির মা জানেন না। মেয়েটির মা রুমের সকল জাইগা খুজতে থাকে। বিকৃত চেহারার ছেলের সাথে দেখা হয়ে যাই। ছেলেটা মেয়েটির মায়ের উপর ঝাপিয়ে পড়েন এবং মেরে ফেলেন।
ইউটিউব ভিডিও থেকে স্কিনশট নেওয়া।
মেয়েটি অফিস থেকে এসে দেখেন তার রুম খোলা। রুমে প্রবেশ করে দেখেন তার মাকে মেরে ছেলেটা পালিয়ে গিয়েছে। মেয়েটা তখন পাথরের দিকে চেয়ে থাকে এবং মনে মনে তার মরার জন্য পার্থনা করতে থাকেন। পরে দেখা গেলো মেয়েটি গাড়ির নিচে চাপা পড়ে মারা গেলো। নাটকের গল্প এখানেই শেষ হয়ে গেলো।
প্রকৃত ভালোবাসা গুলো সব সময় অমর হয়ে থাকে। জোর করে বা খারাপ পথ অবলম্বন করে কোন দিন কারোর কাছ থেকে ভালোবাসা আদায় করা যাই না। আর যদিও কোন দিন সেটা সম্ভব হয়ে যাই তাহলে সেটার ফলাফল কোন না কোন একদিন খারাপের দিকে চলে যাই। তাই আমাদের উচিত এমন পথ বেচে না নেওয়ার। ভালোবাসা সহ যে কোন কাজে জোর অথবা খারাপ পথ বেচে না নেওয়ার।
আমি মোঃ নাসিম আহম্মেদ। আমার স্টিমেট আইডির নাম @rjnasim001। বাংলাদেশের মেহেরপুর জেলার গাংনী থানার প্রকৃতির রূপে সাজানো জুগীরগোফা গ্রামে আমার বসবাস।। আমি অনার্স লেখাপড়া করছি। লেখাপড়ার পাশাপাশি একটা কম্পানিতে চাকরি করি। নতুন নতুন কিছু শিখতে জানতে অনেক ভালো লাগে।নিজের জীবনের সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনা থেকে লিখতে ভালোবাসি। প্রকৃতিকে খুব ভালোবাসি তাই সময় পেলে নতুন কিছু জানা ও উপভোগ করার জন্য ভ্রমণ করি এবং ছবি আঁকি।
১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য
Tweet link
ছোট ভাই প্রথমে তোমাকে অভিনন্দন জানাই আমার বাংলা ব্লগে ভেরিফাইড মেম্বার হওয়ার জন্য। আজকে তুমি খুব সুন্দর একটি নাটক রিভিউ করেছো। বাংলাদেশের প্রতিটা নাটক গুলো দেখতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। এই নাটকটির শেষের অংশটি খুবই মর্মাহত। নাটকের নায়িকা মাকে মেরে ফেলে এবং এটা দেখে স্তব্ধ হয়ে যায় অবশেষে নিজেও মারা। নাটকটি মনে হচ্ছে খুব সুন্দর চেষ্টা করব কোন একটা সময় দেখে নেয়ার জন্য ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
নাটকের শেষের দিকে নায়ক মারা যাই কিন্তু আবার ফিরে আসে বিকৃত চেহারার এক আত্মা হয়ে। নাটকটি শেষ থেকে আমার নতুন গল্প নিয়ে শুরু হয়। দেখলে ভালো লাগবে। ধন্যবাদ ভাইয়া আমার পোস্ট ভিজিট কারার জন্য।
খুব সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ দিয়েছেন আপনি। পুরো নাটকের রিভিউ পড়ে আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। যদিও নাটকটি এখনো দেখিনি। তবে সময় করে নাটকটি দেখার চেষ্টা করব। এত সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
ধন্যবাদ আপু আমার পোস্ট ভিজিট করে আপনার সুন্দর একটা মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য।
চোখ নাটকটার রিভিউ আপনি অনেক সুন্দর করে লিখেছেন, যা পড়ে আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। এই নাটকটা যদিও আমার দেখা হয়নি তবে সর্বপ্রথম আপনার রিভিউ পোস্টের মাধ্যমে দেখে খুব ভালো লেগেছে। আমি তো সময় পেলে অবশ্যই নাটকটা দেখার চেষ্টা করব। কারণ এই নাটকটার সম্পূর্ণ কাহিনী আমার কাছে অসম্ভব ভালো লেগেছে। খুবই সুন্দর করে আপনি পুরো কাহিনীটা তুলে ধরেছেন।
নাটকের কাহিনি যেমন সুন্দর তেমনি তানজিন তিশা আর তৈসিফ মাহবুব দারুন অভিনয় করেছে। নাটকটি দেখলে বেশ ভালো লাগবে। ধন্যবাদ ভাইয়া আমার পোস্ট ভিজিট করে কমেন্ট করার জন্য।
তৌসিফ মাহবুব এবং তানজি তিশা অভিনীত “চোখ” নাটকটি আপনি খুবই সুন্দর ভাবে রিভিউ করেছেন ভাইয়া।যদিও নাটকটি আমি এখনো দেখিনি তবে আপনার রিভিউ দেখে মনে হচ্ছে নাটকটি খুব ইন্টারেস্টিং এবং একটু ভয়ানক। ধন্যবাদ জানাচ্ছি এত সুন্দর একটি রিভিউ পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আসলে এই নাটকের গল্প খুব ইন্টারেস্টিং। ভিন্ন ধরনের একটা গল্প সেটা সচারাচর নাটকে দেখতে পাওয়া যাই না। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার সুন্দর মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য। শুভকামনা আপনার জন্য।
আমি নাটক দেখতে যেমন পছন্দ করি, নাটকের রিভিউ পোস্ট করতেও আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। এই রিভিউ আপনি অনেক সুন্দর করে লিখেছেন। মেয়েটা ছেলেটাকে মারার পরে দেখছি ছেলেটা আবারও বিকৃত চেহারা নিয়ে আত্মা হয়ে ফিরে এসেছিল। তারপরে সবাইকে খুন করতে থাকে। সবশেষে মেয়েটাও গাড়ি এক্সিডেন্টে মারা গিয়েছিল। অনেক সুন্দর করে নাটকটার রিভিউ লিখেছেন দেখে ভালোভাবে পড়তে পেরেছি। পুরোটা খুব সুন্দর ছিল।
মেয়েটির কাছে একটা পাথর ছিলো। আর এই পাথর তিনটি মনের আশা পূর্ণ করবে এমন গুনসম্পন্ন ছিলো। মা মারা যাওয়ার পরে মেয়েটি সেই পাথর সামনে নিয়ে নিজের মৃত্যুর জন্য পার্থনা করেন। যেই কারনে মেয়েটি মারা গেলো। ধন্যবাদ আপু আমার পোস্ট ভিজিট করে কমেন্ট করার জন্য।
তোসিফ মাহবুব এর নাটক কম বেশি দেখা হয় খুব ভাল লাগলে আপনি চোখ নাটক টি সুন্দর ভাবে রিভিউ উপস্থাপন করেছেন শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার পোস্ট ভিজিট করে আপনার মূল্যবান মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য।
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে দারুন একটি নাটক রিভিউ এর মাধ্যমে শেয়ার করেছেন। আসলে এই নাটকটি আমিও দেখেছি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছিল। এই নাটকটির মূল উদ্দেশ্য ছিল হচ্ছে চোখে চোখে ভালবাসার পরিপূর্ণ বিজয় ঘটানোর। মেয়েটার মাকে মেরে ছেলেটা যখনপালিয়ে চলে যায় মেয়েটাও তখন মরার জন্য প্রার্থনা করতে থাকে। ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর ভাবে নাটকটি রিভিউ এর মাধ্যমে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
চোখ নিটক নিয়ে আপনি কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য শেয়ার করেছেন। আর নাটকটি আপনি দেখেছেন শুনে অত্যান্ত খুশি হলাম। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য।