বছরের প্রথম বৃষ্টিতে ভেজার অনুভূতি শেয়ার
বহুদিন বৃষ্টিতে ভেজা হয় না । এবছর আমাদের ভারতের পশ্চিমবঙ্গে তীব্র খরা চলছে । একটুও বৃষ্টি নেই । আষাঢ় মাস শেষ হতে চললো তাও বৃষ্টির দেখা নেই । ছিঁটে ফোঁটা কখনো কথনো মিনিট পাঁচেকের এক পশলা বৃষ্টি হয় মাঝে মধ্যে । তবে তাতে মাটিই ভেজে না ঠিকমতো ।
আজকেও তেমনি গুঁড়ি গুঁড়ি একটু বৃষ্টি নেমেছিল । এই একটু আগে । ইলশেগুঁড়ি বৃষ্টি যাকে বলে । আমি বেডে শুয়ে শুয়ে ভাবছিলাম আজকে কি পোস্ট করবো এমন সময়ে ভীষণ চেঁচামেচিতে ধড়মড়িয়ে বেড থেকে উঠে ব্যালকনিতে ছুটে গেলাম । চেঁচামেচিটা ওখান থেকেই আসছিলো ।
গিয়ে কি দেখতে পেলাম ? গিয়ে দেখলাম যে আমাদের টিনটিনবাবু ভীষণ হুল্লোড় জুড়ে দিয়েছে । বৃষ্টি পড়ছে । আর হাওয়ায় সেই বৃষ্টির রেণু এসে ভিজিয়ে দিচ্ছে পুরো ব্যালকনিটা । বৃষ্টির ছাঁট গায়ে লাগতেই ভীষণ ছটফটিয়ে উঠছে টিনটিনবাবু । সে বৃষ্টি ভীষণ লাইক করে । ঠিক আমার মতোই ।
পুরো ব্যালকনি জুড়ে নাচছে আর গান গাইছে । মাঝে মাঝে ভীষণ জোরে চেঁচিয়ে উঠছে - "বিট্টি বিট্টি " । দেখলাম গায়ে, মাথায় জল ঝরছে । হাত বাড়িয়ে একটু বৃষ্টির জল টাচ করলাম । মনটা ভীষণই হঠাৎ আনচান করে উঠলো । ভুলে গেলাম আমি অসুস্থ । ভয়ানক সর্দি, কাশি, মাথা ব্যাথা আমার । কোনো কিছুই আর আমাকে দমিয়ে রাখতে পারলো না ।
তাই, হঠাৎ টিনটিনকে পাঁজকোলা করে নিয়ে ছুটলাম ছাদে । আহা! কি যে শান্তি । ঝির ঝিরে ইলশেগুঁড়ি বৃষ্টি নেমেছে । শুরু করলাম বাপ ব্যাটা মিলে ছোটাছুটি , খুনসুটি । বিশাল ছাদ আমাদের । এ মাথা থেকে ও মাথা অব্দি ছোটাছুটি করতে থাকলাম আমরা দুজনে বৃষ্টিতে ভিজে ।
প্রায় কুড়ি মিনিট ধরে ভিজলাম দু'জনেই । কয়েকটি ছবি তুলেছি, এর মধ্যে টিনটিনের মা হাজির । তার বিশাল ধমকানিতে আমরা দু'জনে সুড়সুড় করে নিচে নেমে এলাম । আরেকটু সময় ধরে ভেজার খুব সাধ ছিল মনে । কিন্তু, তনুজার জন্য তা আর হলো না । মনের দুঃখ মনে চেপেই নিচে নেমে এলুম ।
বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে সেলফি
তারিখ : ১০ জুলাই ২০২২
সময় : বিকেল ৪ টা ১৫ মিনিট
স্থান : কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
বছরের প্রথম বৃষ্টিতে ভিজতে পেরে খুব খুশি আমাদের গোলটুবাবু
তারিখ : ১০ জুলাই ২০২২
সময় : বিকেল ৪ টা ১৫ মিনিট
স্থান : কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
ক্যামেরা পরিচিতি : OnePlus
ক্যামেরা মডেল : EB2101
ফোকাল লেংথ : ৫ মিমিঃ
RME, Thank You for sharing Your insights...
god bless you
Hi @rme,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Come and visit Italy Community
দাদা ভালোবাসার এই শাসন না মেনে উপায় নেই। তবে সত্যি বলতে কি বৃষ্টিতে ভিজতে আপনার মত আমারও ভীষণ ভালো লাগে। ছোট বেলায় বৃষ্টি নামলেই ঘর থেকে বেরিয়ে পড়তাম ভিজবো বলে। তবে এখন বজ্রপাতের ভয়ে তেমন একটা বের হই না। আপনাদের ওদিকে এই ভরা বর্ষার সিজনেও বৃষ্টি হয়নি শুনে দুশ্চিন্তায় পরে গেলাম। মনে হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সব জায়গায় পড়তে শুরু করেছে। যাইহোক আমাদের এই পবিত্র আনন্দের দিনে টিনটিন বাবু, বৌদি এবং আপনার পুরো পরিবারের জন্য রইল অফুরন্ত ভালোবাসা। ঈদ মোবারক।
Thank You for sharing Your insights...
গল্টু বাবুকে দেখে আমারও ইচ্ছে করছিল সব চিন্তা ঝেড়ে ফেলে যদি আপন মনে এভাবে বৃষ্টিতে ভিজতে পারতাম! আর আপনিও দাদা, শরীরের এই হাল তবু ছুটে গেছেন ভিজতে 🤪। আসলে বৃষ্টি জিনিসটাই এমন। বড্ড নেশা ধরিয়ে দেয়। খুব কাছে টানে। আমি শুধু দিদিভাই এর এক্সপ্রেশন এর কথা চিন্তা করছি , কেমন করে ঝেরেছে 😂😂। ভালোবাসার এই শাসন মানতেও অনেক মজা লাগে সত্যি 😊😊।
ছোট বেলার স্মৃতি মনে পরে গেল।মায়ের হাতে কত মার খেয়েছি এই বৃষ্টি তে ভেজার জন্য।
আহারে দাদা বৌদি নিয়ে একটু ভিজতেন।কি মজাই না হতো😉😉।তবে ঠিক হয়নি ঠান্ডায় ভুগছেন তারপর এমন।যাক সুস্থ থাকেন এই প্রত্যাশা করি।ধন্যবাদ
দাদা আমি লেভেল ওয়ানের ছাত্র। আমি আপনার অনেক গুলো পোস্ট পড়েছি। কিন্তু কমেন্ট করতে সাহস পাই না,যদি ভুল কিছু হয়ে যায়। কিন্তু আজ আপনি আর টিনটিন বাবুর বৃষ্টিতে ভিজতে দেখে,বিশেষ করে টিনটিন বাবু কে দেখে আমার ছোট বেলার কথা মনে পড়ে গেল। যখন বৃষ্টি হত এক,দুই,ঘন্টা ধরে হতো।আমি বন্ধুদের সাথে ফুটবল খেলতাম। জীবনে অনেক আনন্দ উপভোগ করেছি। আপনি, বৌদি এবং টিনটিন বাবুর প্রতি সুভ কামনা রইল।
Thank You for sharing Your insights...
কিছুদিন আগে দাদা আমার এমন ভাবে ভেজার সৌভাগ্য হয়েছিল, তবে সেইবার হীরা আমাকে বেশ ঝাড়ি দিয়েছিল । তবে আপনাদের বাপ বেটার এমন মুহূর্ত দেখে আমারও মন আবার চাচ্ছে পুনরায় আরেকবার ভিজি । টিনটিন কে বেশ প্রাণবন্ত ও সুন্দর লাগছে ।
দাদা একেতো অসুস্থ, এরমধ্যে আবার বৃষ্টিতে ভিজলেন 😕 আবার বড় কিছু বাঁধিয়ে না ফেলেন। বৌদি ভালো কাজ করেছেন আপনাদের ছাদ থেকে নামিয়ে দিয়ে। যাক বেশ আনন্দ করেছে দেখলাম টিনটিন সোনা 🤗
দাদা সুস্থ থাকুন এই কামনা করছি 🤲
Thank You for sharing...