শৈশবের স্মৃতিচারণ : বর্ষার দিনে ফুটবল খেলতে গিয়ে বিপদ!
বন্ধুরা,
তোমরা সবাই কেমন আছো? আশা করি, সবাই অনেক অনেক ভাল আছো। আমি তেমন একটা ভালো নেই কারণ আমার তিন দিন ধরে জ্বর । এই জ্বর নিয়েই আজকের ব্লগটি লিখতে বসলাম। |
---|
বর্ষার দিনে ফুটবল খেলা নিয়ে শৈশবের অনেক স্মৃতি রয়েছে আমার। তার মধ্যে থেকে একটি স্মৃতি আজকের ব্লগে শেয়ার করব।
শৈশবে গ্রামেই বেড়ে উঠেছি আমি। একটা গ্রামের ছেলে যেভাবে তার শৈশব কাটায়, সমস্তটাই আমি কাটিয়েছি। আমাদের গ্রামের বাড়িটি খুব বেশি বড় ছিল না তবে আমাদের বাড়ির সামনে বড় একটি উঠান ছিল। এই উঠানে আমরা ক্রিকেট, ফুটবল থেকে গ্রামীন যত প্রকারের খেলা হয় সবগুলোই আমরা ইনজয় করতাম আমার শৈশবের বন্ধুদের সাথে। বন্ধুদের নিয়ে যখন চিৎকার চেঁচামেচি করে খেলাধুলো করতাম বাড়ির লোকজন বেশ অতিষ্ঠ হয়ে যেত এবং অনেক বকাও দিত মাঝে মাঝে । তবে সেগুলোকে আমরা পাত্তা দিতাম না।
শৈশব টা পুরোপুরি ইনজয় করতাম আমরা সেই সময়টাতে। বর্ষার সময় যখন বাড়ির উঠান কাদা কাদা হয়ে যেত সেই সময় এক ফুটবল ছাড়া আর অন্য কোন খেলা করার কোন সুযোগ পেতাম না। এই জন্য বর্ষার সময়গুলোতে আমরা বাড়ির উঠানে ফুটবল খেলতাম শুধু। আমার একটি ফুটবল ছিল যেটা আমার মামা কিনে দিয়েছিল । আমাদের প্রত্যেকের ফুটবল টিমে চার জন করে প্লেয়ার থাকতো। আমাদের যে সাইজ উঠান ছিল তাতে খুব বেশি প্লেয়ার নিয়ে ফুটবল খেলার সুযোগ ছিল না । তাই বাড়ির আশেপাশের বন্ধুদের নিয়েই এই ফুটবল খেলার আসর বসাতাম আমরা।
এই ফুটবল খেলা আমি খুব ভালো করেই পারতাম ।আমাকে গোলকিপারে রেখে দেওয়া হলেও আমার কাছে বল আসলে আমি সেই বল নিয়ে অন্য পাশে গিয়ে গোল করে দিয়ে আসতাম। তবে ফুটবল খেলার ক্ষেত্রে আমার একটা সমস্যা ছিল সেটা হলো আমি কাউকে পাশ দিয়ে খেলতাম না। একাই খেলতে বেশি পছন্দ করতাম । আমার পায়ে বল থাকলে পুরো ব্যালেন্স থাকতো আমার এবং সেই বল নিয়ে খুব সহজে গোল করে দিতে পারতাম।
একবার ফুটবল খেলার সময় আমি গোলকিপারের ভূমিকায় ছিলাম, বর্ষার শেষে উঠানে কাদা কাদা হয়ে গেছিল । সেই সাথে পিচ্ছিলও হয়ে গেছিল উঠানটা এই বর্ষার কারণে। যাইহোক গোলকিপার-এ থাকা অবস্থায় গোল আটকাতে গিয়ে আমার পায়ের হাঁটুতে কেটে যায়। হাঁটুতে কেটে যাওয়ার কারণ ছিল কাদার মধ্যে ধারালো পাথর ছিল। আমি যখন পা ঘেঁষে বলটাকে ঠেকাতে গেছিলাম তখন হঠাৎ করেই অনেকটা কেটে গেছিল। যদিও প্রথমে আমি বুঝতে পারিনি কতটা কেটে গেছিল। প্রচন্ড পরিমাণে রক্ত বের হচ্ছিল দেখে বাড়ির লোকজনরা আমাকে নিয়ে স্থানীয় এক ডাক্তারের কাছে গেছিল। ৯ টি সেলাই দিতে হয়েছিল সেই দিন হাঁটুর কেটে যাওয়া অংশে। সেই দাগ এখনো রয়েছে হাঁটুতে। হাঁটুর সেই কেটে যাওয়া দাগটা দেখে স্মৃতিটা মনে পড়ে গেল তাই তোমাদের সাথে শেয়ার করলাম ঘটনাটি।
আপনার শৈশবের স্মৃতি মনে পড়েছে দেখে অনেক ভালো লাগলো। আসলে ভাইয়া শৈশবের এমন কিছু স্মৃতি আছে যা কখনো ভুলার মতো নয়।আসলে বৃষ্টির দিনে ফুটবল খেলার মজাই অন্য রকম। তবে আপনি অনেক বড় বিপদ থেকে বেঁচে গেছেন মনে হচ্ছে। ধন্যবাদ আপনাকে শৈশব স্মৃতি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
বিপদ থেকে আর কই বাঁচতে পারলাম আপু! হাঁটু তো অনেকটা কেটে গেছিল, ন'টা সেলাই দিতে হয়েছিল শেষ পর্যন্ত এই ফুটবল খেলতে গিয়ে।