সাইকেল কিনতে যাওয়া
নমস্কার,
তোমরা সবাই কেমন আছো? আশা করি, সবাই অনেক অনেক ভাল আছো। আমিও বেশ ভালো আছি। |
---|
বন্ধুরা, আজকের নতুন একটি ব্লগে তোমাদের সবাইকে স্বাগতম। আজকের এই ব্লগে কেনাকাটা রিলেটেড একটি পোস্ট শেয়ার করবো। তবে আজকের কেনাকাটা একটু অন্য ধরনের। অন্যান্য সময় যে ধরনের টুকটাক কেনাকাটা হয় আজকের ব্লগে কিন্তু সেই ধরনের কেনাকাটা শেয়ার করবো না। আজ আসলে আমি আমার এক বন্ধুর বোনের জন্য সাইকেল কিনতে গেছিলাম। তার বোন এবার ক্লাস নাইনে উঠেছে বিভিন্ন জায়গায় টিউশনি পড়ার জন্য তার একটা সাইকেলের দরকার ছিলো। আসলে বাড়ির আশেপাশে সেভাবে টিউশনি আমাদের এইখানে খুব বেশি দেখা যায় না। আর যেহেতু বিভিন্ন ধরনের সাবজেক্ট থাকে আর আলাদা আলাদা সাবজেক্টে টিউশনি নেওয়ার জন্য সবাইকেই আশেপাশের বিভিন্ন জায়গায় যেতে হয়।
আমি যখন পড়াশোনা করতাম আমিও এমনটাই দেখেছি। যাইহোক, যেহেতু নতুন নতুন অনেক টিউশনি সে ধরেছে তাই জন্য একটা সাইকেলের বিশেষ প্রয়োজন ছিল আমার সেই বন্ধুর বোনের। এই ব্যাপারটা আমার বন্ধু আমাকে জানায় তারপর বন্ধুর সাথে পরামর্শ করে সাইকেল কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় তার বোনের জন্য।তবে কোন সাইকেল ভালো কোন সাইকেল কিনলে টাকাও কমে পাওয়া যাবে সেই নিয়ে দুই বন্ধু আমরা আলোচনা করি। অবশেষে আমরা মধ্যম গ্রামের একটি সাইকেলের দোকানে চলে যাই এই সাইকেল কেনার জন্য। আমার বন্ধুর বাজেট মোটামুটি ৬০০০ টাকার মধ্যেই ছিল। ৬০০০ টাকার মধ্যে ভালো সাইকেল সাধারণত হয়ে যায় আমাদের এইখানে। যাইহোক, দোকানে গিয়ে অনেক ধরনের সাইকেল দেখা হয়। বিভিন্ন কালার বিভিন্ন প্যাটার্ন হাতল সবকিছুই দেখা হয় অবশেষে একটা সি গ্রীন কালারের সাইকেল আমাদের পছন্দ হয়। সাইকেল পছন্দ হওয়ার পর সেই সাইকেলের ছবি তুলে আমার সেই বন্ধু তার বোনের কাছেও পাঠিয়ে দেয়। তার বোন যখন রিপ্লাই দেয় যে তারও সাইকেলটি পছন্দ হয়েছে তখন সাইকেল কেনার ব্যাপারে আমরা একমত হই।
যাইহোক, সাইকেল কেনার সাথে সাথে নিয়ে যাওয়া যায় না। আসলে সাইকেলের সব ফিটিংস গুলো সেই সময় করা থাকে না। সেজন্য আমাদের কিছু সময় সেখানে অপেক্ষা করতে হয়। এক এক করে পায়ের প্যাটেল সাইকেলের সামনের ঝুড়ি পিছনে আরও অনেক কিছু লাগানোর ব্যাপার ছিল সেগুলো লেগেছিল।তারপর সাইকেল হাওয়া দেওয়া সবকিছু এক এক করে করতে থাকে।এভাবে পুরো সাইকেলের প্রসেসিং শেষ হতে প্রায় এক ঘন্টার মত সময় লেগে যায়। আসলে এত সময় লাগার কথা ছিল না।দোকানে আরও কিছু কাজ ছিল সেগুলো এই ফিটিংস করার সাথে সাথে করছিল এজন্য সময়টা একটু বেশি লেগেছিল। আমরা এই সময় সেখানে একটু ঘোরাঘুরি করছিলাম আশেপাশ একটু দেখছিলাম সবকিছু এই করে আমরা আমাদের সময়টা কাটিয়েছিলাম। অবশেষে সাইকেল কমপ্লিট হলে আমরা সাইকেল চালিয়েই বাড়ির উদ্দেশ্যে চলে আসি। সাইকেলটি বেশ ভালোই হয়েছিল সাইকেল চালাতেও বেশ সহজ লাগছিল। যদিও নতুন সাইকেল প্রথমে একটু ব্যালেন্স করতে আমাদের কষ্টই হচ্ছিলো। তবে কিছু দূর চালানোর পরে এটা বেশ কমফোর্ট হবে আমরা চালাতে পারি।এটাই ছিল আজকের আমাদের সাইকেল কেনার গল্প।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | লাইফ স্টাইল |
---|---|
ডিভাইস | Samsung Galaxy M31s |
ফটোগ্রাফার | @ronggin |
লোকেশন | মধ্যমগ্রাম, নর্থ চব্বিশ পরগনা, ওয়েস্ট বেঙ্গল। |
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
সাইকেলটা তো দেখছি খুব সুন্দর। আপনার বন্ধুর বোন সাইকেল চালিয়ে এখন টিউশনি পড়তে যেতে পারবে। তাছাড়া কেনার আগে ছবি পাঠিয়ে আপনার বন্ধুর বোনকে দেখিয়েছে বলে,সবচেয়ে বেশি ভালো হয়েছে। নয়তো বাসায় নিয়ে যাওয়ার পর পছন্দ না করলে ঝামেলা হয়ে যেতো। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার এই মন্তব্যটা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।
বন্ধুর বোনের জন্য পছন্দ করে ভালই সাইকেল কিনেছেন। তবে এই সাইকেল গুলো দেখতে এমনিতে ভালো। তবে আপনাদের ওইখানে মেয়েরা সাইকেল চালিয়ে প্রাইভেটে যায়। আমাদের এদিকে সেরকম দেখা যায় না। তবে ভাই এক সময় সাইকেল অনেকে চালাত। সাইকেল চালাতে লাগলে আলাদা একটা অনুভূতি আসে। সাইকেল কিনতে যাওয়ার মুহূর্ত আমাদের মাঝে সুন্দর করে শেয়ার করেছেন।
হ্যাঁ আপু, আপনাদের ওইখানে আর আমাদের এইখানে একটু ভিন্নতা রয়েছে এই ব্যাপারে।