বউ ভাত/ বউয়া ভাত রেসিপি ।। ১০% বেনিফিশিয়ারি @shy-fox এর জন্য
আসসালামু ওয়ালাইকুম,
সবাই কেমন আছেন? আশা করি ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
ছোট বেলায় মায়ের হাতের এমন অনেক খাবার খেতাম যা বড় হবার পর তেমন খাওয়া হয়নি। কিন্তু খাবার গুলো একদন মনে রাখার মতো স্বাদ ছিল। মাঝে মাঝে সেইসব খাবার গুলো খেতে খুব ইচ্ছে হয়। আর খেলেই মনে হয় ছোট বেলায় ফিরে গিয়েছ। আজ খুব বৃষ্টি ছিল তাই ইচ্ছে হচ্ছিল মায়ের হাতের তৈরি সেই বউয়া ভাত/ বউ ভাত খাই। তো তারাতারি আম্মুকে কল করলাম আর বললাম আমাকে বল তোমার সেই যাদুর রেসিপি। আম্মু আমাকে বলে দিল। আমি ঠিক সেই ভাবেই রান্না করে ফেললাম। আর আপনারা হলেন আমার প্রিয় ভাইবোন আপনাদের সাথে আমি এই মজার রেসিপিটি কি করে শেয়ার না করে পারি বলেন। আমাকে কিন্তু অবশ্যই জানাবেন এই রেসিপিটির সাথে আপনারা কে কে পরিচিত?
কে কে ছোট বেলায় মায়ের হাতে এই রান্না খেয়েছন আর এখনও খান?
আমার কিন্তু এই বউ ভাত / বউয়া ভাত খুব খুব প্রিয়। এই বউয়া ভাতের সাথে ২/ ৩ রকমের ভর্তা হলে আর কিছুই লাগে না আমার। এই খাবারটা ভর্তা দিয়েই বেশি ভালো লাগে।
বউ ভাত হলো গ্রাম বাংলার রান্না তাই শহরে এর নাম তো অনেকেই জানে না এমনও আছে যে খায়নি কখনও। এই রান্না আগের দিনে দাদি নানিরা করতো আমার জানা মতে।
তাহলে চলুন দেখে নেই সহজ আর মজার এই রেসিপিটি তৈরি করতে কি কি লাগছে।
উপকরন ও পরিমানঃ
উপকরন | পরিমান |
চাল | দেড় কাপ |
পেঁয়াজ কুচি | ২ টি |
কাঁচা মরিচ | ৫-৬টি |
তেজপাতা | ২টি |
ধনিয়া গুড়া | হাফ চা চামচ |
আদা বাটা | হাফ চা চামচ |
রসুন বাটা | হাফ চা চামচ |
সয়াবিন তেল | ৩ চা চামচ |
লবন | স্বাদ মতো |
খুব কম উপাদানেই এই রেসিপিটি তৈরি করা যায়।
রন্ধন পদ্ধতিঃ
ধাপ-১
প্রথমে চালগুলো ধুয়ে যে পাত্রে রান্না করবো সে পাত্রে নিয়ে নিবো।
ধাপ-২
আদা বাটা,রসুন বাটা,ধনিয়া গুড়া, পেঁয়াজ কুচি তেজপাতা দিয়ে দিবো।
ধাপ-৩
৫ - ৬ টি কাঁচামরিচ দিয়ে দিবো।
ধাপ-৪
সামান্য পরিমানে তেল দিয়ে দিবো।
ধাপ-৫
পরিমান মতো লবন দিয়ে দিবো।
ধাপ-৬
এবার সবগুলো উপকরন হাত দিয়ে ভালো করে মাখিয়ে নিবো।
ধাপ-৭
আমি চাল নিয়েছি দেড় কাপ তাই পানি দিয়ে দিবো ৩ কাপ এর মতো।
ধাপ-৮
তারপর চুলায় নিয়ে বসিয়ে দিবো।
ধাপ-৯
পানি ফুটতে শুরু করলে একটু নেড়ে দিবো।
ধাপ-১০
পানি একটু শুকিয়ে আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করবো।
ধাপ-১১
পানি এবার অনেকটা শুকিয়ে এলে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিবো। এবং চুলার আঁচ একদম কমিয়ে দিবো। যেভাবে আমরা পোলাও রান্না করি ঠিক সেই ভাবে।
ধাপ-১২
১৫ মিনিট পর ঢাকনা খুলে চাল গুলো উল্টেপাল্টে দিবো। অপেক্ষা করবো আরও ১৫ মিনিট।
ধাপ-১৩
১৫ মিনিট পর ঢাকনা খুলে চেক করে নিবো চাল সিদ্ধ হয়েছে কিনা৷
ধাপ-১৪
এইতো তৈরি হয়ে গেল মজাদার রেসিপি বউ ভাত/ বউয়া ভাত।
খেতে সত্যি অসাধারণ হয়েছিল। আমি দুই রকমের ভর্তা করেছিলাম বউ ভাত দিয়ে খাওয়ার জন্য মরিচ ভর্তা, আলু ভর্তা আর সাথে রুই মাছ ভাজা তো ছিলোই।
খেতে বেশ মজা হয়েছিল নিজের রান্নার প্রশংসা নিজেই করছি বাড়ির সবাই কতক্ষনে করবে।
আপনাদের ভালো লাগলে বাসায় একদিন তৈরি করে দেখতে পারেন। আশা করি ভালোই লাগবে।
সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
বউ ভাত/ বউয়া ভাত রেসিপি সত্যি চমৎকার একটা রেসিপি শেয়ার করেছেন। ইউনিক রেসিপি দেখে অনেক ভালো লাগলো। অনেক সুন্দর করে সাজিয়ে উপস্থাপনা করেছেন। আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো ভালো থাকুন।
ধন্যবাদ ভাইয়া
এই রেসিপির নাম আমি এর আগে কখনো শুনিনি। বিষয়টা আমার কাছে খুবই ইউনিক লেগেছে। আপনি ঠিক বলেছেন এই ভাতের সাথে দুই তিন ধরনের ভর্তা থাকলে আর কথাই নেই। খুব সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করেছে আমাদের সাথে।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া
এমন রেসিপির নাম আজকেই প্রথম শুনলাম। এর আগে এমন কোনো রেসিপির নাম শুনে নি এবং দেখিও নি। আপনি ঠিকই বলেছেন আপু ভাতের সাথে দুই তিন ধরনের ভর্তা থাকলে আর কথাই নেই। ভর্তা আমার খুবই পছন্দ। সুস্বাদু রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ আপু।
মরিচ ভর্তা অনেকেরই খুব পছন্দ।
সত্য কথা বলতে এই রেসিপিটি সাথে আমি এর আগে পরিচিত ছিলাম না। রেসিপিটি তৈরি করার পদ্ধতি গুলো আপনি খুবই চমৎকার ভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। রেসিপি টির নাম শুনলেই আমার কাছে মজা লাগছে বউ ভাত এমন নামেও যেকোনো রেসিপি হয় তা আমার জানা ছিল না।
হাহাহা ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে
বউ ভাত/ বউয়া ভাত রেসিপি দেখে খুবই মজাদার মনে হচ্ছে। আসলেই এই রেসিপির নাম আমি প্রথম শুনলাম। তবে আপনার রেসিপির উপস্থাপন আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। আমি পরবর্তী তৈরি করব ইনশাল্লাহ।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া
এমন রেসিপি আমার কখনোই দেখা হয়নি।আজকে প্রথম বউ ভাত এর নাম শুনলাম ।দেখে তো মনে হচ্ছে খুব সহজেই তৈরি করা যাবে। আমার কাছে তো এই দৃশ্য দেখে খুবই ভাল লাগতেছে, কারন ভর্তা গুলো খুবই লোভনীয় দেখাচ্ছে।
ঠিক বলেছেন আপু।
বউয়া ভাত রেসিপি টি অনেক ভালো হয়েছে।আপনার রেসিপি টি গুছিয়ে শেয়ার করেছেন।বউয়া ভাত রেসিপি দেখে খেতে ইচ্ছা করছে।শুভকামনা রইল।
রেসিপির নাম কখনো শুনিনি বা খাইনি। দেখে মনে হচ্ছে আপনার এই রেসিপিটি খুবই সুস্বাদু হয়েছে। খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে ধাপে ধাপে উপস্থাপন করেছেন এই রেসিপিটি। এত সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
ধন্যবাদ আপু আপনাকে
আপনি খুবই চমৎকার ভাবে আমাদের মাঝে বৌ ভাতের রেসিপি শেয়ার করেছেন। রেসিপিটি দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক বেশি সুস্বাদু এবং লোভনীয় খুবই চমৎকার ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ
ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া
সত্যি আপু দারুন একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। এই বৌভাত ভর্তা দিয়ে খেতে আমি শুনে বেশ মজার হয়। আমিও কিছুদিন আগে খেয়েছিলাম খেতে আমার কাছে অনেক বেশি ভাল লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকে খুবই সহজ ভাবে উপস্থাপন করার জন্য।
যাক একজন পেলাম যে চিনে এবং জানে এই রেসিপির বেপারে।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে