এক ঢিলে দুই পাখি। বন্ধুর সাথে আড্ডা দেয়া ও বাজার করার অভিজ্ঞতা।
এখন চিন্তা করছি যেহেতু ফেরদৌস এখন থেকে বাইরেই থাকবে তাই আমার এমন একজন সঙ্গী দরকার যার সাথে মাঝে মাঝে ঘোরাফেরা করা যায়। এই চিন্তা ভাবনা করতে করতে গতকালকে হঠাৎ করে স্ত্রী জানালো ঘরে সবজি শেষ হয়ে গিয়েছে বাজারে যেতে হবে। আমি সাধারণত সকাল বেলায় বাজারে যাই। তবে গতকাল সকালে আমি বাজারে যাওয়ার কথা একেবারেই ভুলে গিয়েছিলাম। দুপুরের দিকে মনে পড়লে তখন ঠিক করলাম বিকালে টেপাখোলা বাজারে যাবো সবজি কিনতে। সেখানে গেলে বন্ধু প্রদিপের সাথেও আড্ডা দেয়া যাবে। আর ফেরার পথে সবজিও কিনে নিয়ে আসতে পারবো। টেপাখোলা বাজারের সুবিধা হচ্ছে সেখানে মাছ মাংস সবজি প্রায় এক জায়গাতেই সব পাওয়া যায়। যাই হোক সেই পরিকল্পনা মোতাবেক আসরের নামাজ পড়ে আমি টেপাখোলার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।
সেখানে পৌঁছানোর আগেই আমি বন্ধু প্রদীপকে ফোন দিয়ে জিজ্ঞেস করলাম সে কোথায় আছে? প্রদীপ আমাকে জানালো ও বাজারের উপরেই আছে। আমি তখন প্রদীপ কে বললাম সেখানেই থাকতে। আমি অল্প কিছুক্ষণের ভেতরে সেখানে পৌছাচ্ছি। তারপর সেখানে পৌঁছে আমরা যে চায়ের দোকানটাতে আড্ডা দেই সেখানে গিয়ে বসলাম। সেখানে প্রদীপ আগে থেকেই আমার জন্য অপেক্ষা করছিলো। কিছুদিন আগে আমার এই বন্ধু বিয়ে করেছে। প্রদীপের বিয়ের পর আর ওর সাথে আড্ডা দেয়া হয়নি। তাই ওর সাথে দেখা হলেই জিজ্ঞেস করলাম বিবাহিত জীবন কেমন যাচ্ছে? তারপর দুই বন্ধু মিলে নানা বিষয় নিয়ে আড্ডা দিতে লাগলাম। এর ভেতরে মাগরিবের আজান শুনতে পেলে আমি প্রদীপকে বললাম কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে। তার ভেতরে গিয়ে আমি নামাজ পড়ে এলাম। নামাজ শেষ করে আবার আমি সেই চায়ের দোকানে ফিরে এলাম।
সেখানে এসে দেখি প্রদীপ কোন একটা কাজের জন্য বাইরে গিয়েছে। অবশ্য আমাকে আগেই অপেক্ষা করতে বলেছিলো সেখানে। আমি কিছুক্ষণ বসে থাকার পর প্রদীপকে দেখতে পেলাম। তারপর প্রদীপ এলে দুই বন্ধু মিলে আমি ওকে বললাম চল চটপটি খেয়ে আসি। ট্যাপাখোলায় গেলে সেখানকার একটি দোকানের চটপটি প্রায়ই খাওয়া হয়। আমাদের বন্ধু-বান্ধবদের কাছে সেই দোকানটার চটপটি বেশ পছন্দের। ট্যাপাখোলা বাজার থেকে সেই চটপটির দোকান একেবারে কাছাকাছি অবস্থিত। সেই চটপটির দোকানে গিয়ে দুই প্লেট চটপটি অর্ডার দিয়ে আমরা দুই বন্ধু বসে বসে গল্প করতে লাগলাম। কিছুক্ষণের ভেতরেই আমাদের সামনে চলে এলো গরম গরম চটপটি। বেশ মজা করে দুজন খেতে লাগলাম। আমার বাটি দ্রুত শেষ হয়ে গেলে আমি আরো একবাটির অর্ডার করলাম। তারপর চটপটি খাওয়া শেষ হলে বিল মিটিয়ে আমরা সেই দোকান থেকে বেরিয়ে এলাম।
ইতিমধ্যে প্রায় সাতটা বেজে গিয়েছিলো। তখন আমি প্রদীপকে বললাম চল আমি কিছু সবজি কিনবো বাজার থেকে। তারপর প্রদীপের সাথে সবজি বাজারে গিয়ে সেখান থেকে আমার সবজি কেনাকাটা শেষ করলাম। এর ফাকে একবার টেপাখোলা মাছ বাজার থেকেও ঘুরে এসেছি। পরবর্তী পোস্টে সেই গল্প করবো। সবজি কেনা শেষ হলে আমি প্রদীপের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে একটি রিকশায় উঠে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। আসার সময় প্রদীপ বলছিলো তুই মাঝে মাঝে এখান থেকে বাজার করতে পারিস। তাহলে আড্ডাও দেয়া হবে সাথে তোর বাজারটা করা হবে। প্রদীপের আইডিয়াটা আমার বেশ পছন্দ হয়েছে। তাই আমি ওকে কথা দিয়েছি এরপর থেকে সেটাই করবো। তারপর খুশি মনে বাড়ি ফিরে গেলাম।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা 2i |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | ফরিদপুর |
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বাড়িতে ঘরবন্দি থাকলে যে ভালো লাগে না বিষয়টি একেবারেই ঠিক। আমার সঙ্গেও মাঝে মাঝেই এমনটা হয়। ফেরদৌস ভাই বাইরে থাকায় আপনার ঘোরাঘুরির সঙ্গী নিয়ে ঝামেলা হচ্ছে। আশাকরি দ্রুতই একজন ঘোরাঘুরির জন্য সঙ্গী পেয়ে যাবেন। টেপাখোলা বাজারে সবজি কিনতে গিয়ে বন্ধু প্রদীপ এর সঙ্গে আড্ডা। সময় টা বেশ ভালো কাটিয়েছেন বলতে হয় ভাই। ধন্যবাদ আমাদের সঙ্গে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপনাকে।।
আমি মনে করি সর্বক্ষেত্রেই চলাফেরা করার জন্য একজন পারফেক্ট সঙ্গী দরকার। আর যদি সঙ্গী না থাকে তখন নিজেকে একাই বিচরণ করতে হয় যেটি আপনার পক্ষে ঘটেছে। যাই হোক বাজার থেকে সবজি কেনার আগেই চটপটি খেলেন। পরবর্তীতে আরো একটি বাটির অর্ডার করলেন যেটা জেনে অনেক ভালো লাগলো।আমি নিজেও মাঝে মাঝে কোন কিছু ভালো লাগলে দুবার অর্ডার করি। অবশেষে ভাবির কথামতো বাজার গুলো নিয়েই বাসায় ফিরলেন। ভালো লাগলো আপনার ব্লগটি পড়ে। ধন্যবাদ ভাই।
আসলেই তো এক ঢিলে দুই পাখি মেরেছেন ভাই। আমি এক সপ্তাহের সবজি একসাথে কিনে থাকি। তবে আমি বিকেলে এবং সন্ধ্যার পরপরই যাই সবজি কিনতে। গতকাল দুপুরে আমাদের দাওয়াত ছিলো। ৫ বন্ধু দাওয়াত খেয়ে মালাই চা খেতে খেতে আড্ডা দিলাম মদনপুর বাস স্ট্যান্ডে। তারপর এক বন্ধুকে সাথে নিয়ে সবজি কিনে সন্ধ্যার পর বাসায় ফিরলাম। আপনার সাথে অনেকটাই মিলে গিয়েছে। আড্ডা দেওয়ার পাশাপাশি সবজি কিনেছিলাম। বেশ ভালোই হয়েছে আপনার জন্য, এখন থেকে আপনার বন্ধুর সাথে আড্ডা দেওয়ার পাশাপাশি, টেপাখোলা থেকে বাজার করতে পারবেন। শীতকালে ঘুরাঘুরি করতে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে। বাসায় বেশিক্ষণ থাকতে আসলেই বোরিং লাগে। যাইহোক এতো সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
যাইহোক ভাই এতে করেই তো বুঝা গেল ফেরদৌস ভাইয়ের অনুপস্থিতিতে আপনি প্রদীপ ভাইয়ের সাথে ঘুরাফেরা করতে পারবেন এবং বেশ ভালো সময়ের জন্য আড্ডা দিতে পারবেন একসাথে।সব্জিও কিনতে পারবেন। সবকিছুই তাহলে একসাথেই হয়ে যাবে। যাই হোক মুহূর্তটা পড়ে ভালো লাগলো। সকালবেলা বা বিকেল বেলা সবজি বাজারটা কিন্তু খুব সুন্দর লাগে। চারিদিকে তাকালে হরেক রকমের সবজি দেখা যায়। মাঝে মাঝে আমিও বিকেলে বাজার থেকে যাওয়ার সময় বাজার করে নিয়ে যাই।
বাহ ভাইয়া বেশ মজাই হলো তাহলে। একদিক থেকে বাজারও হলো আবার বন্ধুর সাথে আড্ডা হলো।তবে হ্যাঁ বন্ধুহীন চলাফেরা অনেক কষ্টকর। একা একা চলতে তেমন একটা আমার ভালো লাগেনা। চলার জন্য হলেও একজন সঙ্গী প্রয়োজন থাকে। যাই হোক ভাবীর কথামতো বাজার করার জন্য গেলেন এবং সেখানে বন্ধুর সাথে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বললেন। আবার ডাবল চটপটি অর্ডারও করলেন। আসলে আমি নিজেও চটপটে অনেক বেশি পছন্দ করি। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের মাঝে আজকের ব্লগটা শেয়ার করার জন্য ভালো থাকবেন ভাইয়া।
একা একা কোথাও যাওয়া আসলে ভালো লাগে না।আপনি এক ঢিলে দুই পাখি মারলেন পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো। বন্ধু বিহীন চলা খুব কষ্টের আসলে।ফেরদৌস ভাইয়া শহরের বাইরে থাকার কারনে আপনার খুব কষ্ট হয়ে গেলো।আপনি প্রদীপ ভাইয়ার সাথে নানা বিষয়ে গল্প করে সবজি কেনাকাটা করতে গেলেন।আপনার অনুভূতি গুলো পড়ে খুব ভালো লাগলো ভাইয়া।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।