মায়ের ঋণ গল্পের সপ্তম পর্ব
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনার সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আজ আমি আপনাদের মাঝে এই গল্পের সপ্তম পর্বটি উপস্থাপন করছি। আশা করি, আপনাদের সবার ভালো লাগবে তাই বিলম্ব না করে আমার পোস্ট লেখাটি শুরু করছি।
সোর্স
সকাল হতেই বিজয়ের মা দোকানে বসতে শুরু করে। বেশ কিছুদিন ভালো কেনাবেচা চলছিল তাদের দোকানে। হঠাৎ করে দাদুর শ্বাসকষ্ট উঠে রাতে মারা যায়। বিজয় মা খুবই ভেঙে পড়ে কারণ বিজয়ের বাবার মৃত্যুর পর এই দাদুই তাকে আশ্রয় দিয়েছিল একমাত্র ভরসা ছিল। আজ সেই দাদু চলে গেল তার মা খুবই অসহায় হয়ে পড়ল। বিজয় তখন শহরে থাকতো তাকে খবর দেয়া হয়েছিল কিন্তু বিজয় বাড়িতে আসেনি। মাকে বলে তার এক্সাম চলছে এই মুহূর্তে সে বাড়িতে আসতে পারবে না। বিজয়ের মা তার দাদুর সৎ কাজ করে। সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা বলে বিজয় তার কোন এক্সাম হচ্ছিল না। শুধুমাত্র মিরার কথা শুনে সে থেকে যায় শহরে। মিরার সঙ্গে মেলামেশা করতে করতে বিজয় অমানুষে পরিণত হয়। বিজয় আগের মতন তার মায়ের কোন খোজ খবর রাখে না। বিজয়ের মা গ্রামের একা একা বসবাস করতে থাকে আর বিজয় শহরে ব্যয়বহুল জীবনযাপন করতে থাকে। তার মা তাকে ফোন দিলে ঠিক মতন কথাও বলে না বিজয়।
কয়েক বছর পর বিজয়ের পড়াশোনা শেষ হয় এখন সে চাকরির জন্য ঘুরে বেড়ায় পথে পথে। মিরা একদিন বিজয়কে তার বাবার অফিসে নিয়ে যায় বাবার সঙ্গে পরিচয় করাতে। মিরা আগে থেকে তার বাবাকে বিজয়ের ব্যাপারে সবকিছু বলে। মিরা ছিল একমাত্র মেয়ে তাই তার বাবা তার কোন কথাতে অমত করে না। মিরা তার বাবার অফিসে বিজয়কে একটি চাকরি পাইয়ে দেয়। বেশ ভালোই চলছিল একদিন বিজয়কে মিরার বাবা বাড়িতে নিমন্ত্রণ করে। বিজয় সঙ্গে সঙ্গে নিমন্ত্রণটি গ্রহণ করে। কিন্তু বিজয় জানেনা মিরার বাবা তাকে কেন নিমন্ত্রণ করেছে তার বাড়িতে। যাইহোক, বিজয় মিরার বাড়িতে যায়। বাড়িতে মিরা এবং মিরার বাবা দুজনেই ছিল। মিরা বিজয়কে দেখে মুচকি হাসতে থাকে বিজয় বিষয়টি কিছুই বুঝতে পারে না। বিজয়কে মিরার বাবা বসতে বলেন। পরবর্তীতে বিজয়কে মিরার বাবা বলে। বিজয় তোমার আর মিরার মধ্যে যে সম্পর্কটা আমি জানি। যেহেতু মিরা তোমাকে ভালবাসে আর তুমিও মিরাকে ভালোবাসো। তাই আমি চাই তোমরা সারাটা জীবন একসঙ্গেই থাকো। বিজয় বলে আমি আপনার কথা ঠিক বুঝতে পারলাম না।
মিরার বাবা বলে আমি তোমাদের কে বিবাহ দিতে চাই। আমি তোমার ব্যাপারে সবটাই জানি, তোমার গ্রামে তোমার মা থাকে। কিন্তু বিজয় মিরাকে বিবাহ করতে গেলে তোমার কিছু শর্ত মেনে নিতে হবে। বিজয় বলে কি এমন শর্ত আমাকে মানতে হবে?তখন মিরার বাবা বিজয়কে বলে বিয়ের পর তোমাকে এখানেই থেকে যেতে হবে। আমি চাইনা আমার মেয়ে গ্রামে বসবাস করুক। আমার মেয়েকে আমি আজীবন বিলাসবহুল পরিবেশে মানুষ করেছি। সে কোনদিনও গ্রামের পরিবেশে সাথে মিশতে পারবে না। আর তুমি এখানে থাকলে তুমি আমার সম্পত্তির সব দেখাশোনা করতে পারবে। এখন তুমি বলো তুমি আমার এই শর্তে রাজি ? বিজয় কোন কথায় উত্তর না দিয়ে চুপচাপ বসে থাকে। তখন মিরা বিজয়কে বলে কি হলো তুমি বাবার কথার উত্তর কেন দিচ্ছ না? তুমি কি আমাকে বিবাহ করতে চাও না তুমি কি আমাকে ভালোবাসো না?বিজয় বলে আমাকে কিছুটা সময় দেও ভাবার জন্য। তখন মিরার বাবা বিজয়কে বলে আচ্ছা ঠিক আছে তোমাকে একদিন সময় দিলাম ভেবে বলার জন্য। আশা করব, একদিন পর তোমার সিদ্ধান্তটা পজিটিভ আসবে।