বৃষ্টির সময় ঘোরাঘুরি

in আমার বাংলা ব্লগ21 days ago

হ্যালো বন্ধুরা,

আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভাল আছেন সুস্থ আছেন। আজ আমি আপনাদের মাঝে একটি নতুন পোস্ট উপস্থাপন করছি।আশা করি, আপনাদের সবার ভালো লাগবে তাই বিলম্ব না করে আমার পোস্ট লেখাটি শুরু করছি।



বেশ কয়েকদিন হয়ে গেল বাইরে কোথাও ঘুরতে যেতে পারি না। যখনই বের হব তখনই আকাশটা মেঘলা হয়ে বৃষ্টি পড়তে শুরু করে ।তাই আর কোথাও যাওয়া হয় না ঘরের ভেতরে বসে থাকতে হয়। ঘরের ভিতরে বসে থাকতে থাকতে একটা একঘেয়েমি ভাব চলে এলো। আবার শুনতে পেলাম ঝড় আসছে ঝড়ের নাম দিয়েছে দানা। বেশ কিছুদিন ধরে এর তান্ডব চলবে । এই শুনে মনটা খুব খারাপ হয়ে গেলো ভাবতে লাগলাম ঘর থেকে আর বের হওয়া যাবে না। যাইহোক একদিন ঘরের কিছু মালামাল কেনার জন্য নিলয় দাদা বের হলো। দাদা আমাকে বলল চল বাইরে থেকে ঘুরে আসি। শুনে মনটা খুবই ভালো হয়ে গেল কারণ কোথাও যেতে পারছিলাম না। কথাটা শোনার সঙ্গে সঙ্গে দেরি না করে ঝটপট তৈরি হয়ে বেরিয়ে পড়লাম। বেশ কিছুটা সময় ধরে কেনাকাটা করলাম। কেনাকাটা করতে করতে আমার প্রচুর ক্ষুধা লেগে গিয়েছিল। কারণ আমি সকালে কিছু খাইনি। ভেবেছিলাম দেরি করে খাব। সন্ধ্যা হয়ে যাবে সেটা কখনোই বুঝতে পারেনি।


কেনাকাটা শেষ হওয়ার পর দাদাকে বললাম যে আমি এক পাও আর যেতে পারবো না কিছু খেতেই হবে। দাদা ও খাওয়ার জন্য রাজি হয়েছিল কিন্তু পরবর্তীতে
দাদা আবার বলল না চল বাড়িতে যাই। বাড়ি থেকে অনেক দূরে ছিলাম না খুব কাছেই ছিলাম কিন্তু আমার বাড়িতে ভাত খেতে ইচ্ছা করছিল না। মনটা চাচ্ছিল পিজ্জা খেতে। তাই দাদাকে আবারো বললাম বাড়িতে তো সব সময় খেয়ে থাকি চলো বাইরে কোথাও খেয়ে আসি। দাদাকে খুব জোরাজুরি করার পর দাদা রাজি হল। দাদাকে বললাম পিজ্জা খাব। দাদার আমি চলে গেলাম পিজ্জা খেতে, দ্বিতীয় তালায় ছিল পিজ্জা দোকানটি। গেটটি খুলতেই দেখলাম অনেক কাস্টমার খাওয়া-দাওয়া করছে। কোথাও বসে খাওয়ার জায়গা পেলাম না। কিছুটা সময় দাঁড়িয়ে থাকলাম তারপর একটা কাপল জায়গাটি ছেড়ে দিল আমরা সেই জায়গায় বসলাম। তারপর অর্ডার করলাম বিগ সাইজের একটি পিজ্জা। যেটি প্রায় চারজনে ভালোভাবে খেতে পারবে। কিন্তু আমরা ছিলাম দুজন দাদা আমাকে বলল যেহেতু আমরা দুজন এত বড় পিজ্জা অর্ডার দেওয়ার কোন মানে হয় না। কিন্তু আমি দাদাকে বললাম প্রচুর ক্ষুধা লেগেছে দাদা। আমি সব খাব। অর্ডার দিয়ে কিছুটা সময় আমাদের ওয়েট করতে হলো ১৫-২০ মিনিটের পর আমাদের অর্ডারটি চলে এলো। পিজ্জার ঘ্রাণে পেটটা অর্ধেক ভরে গেল। যাই হোক খাবার সামনে রেখে বেশি কথা বলা আমার পছন্দ হয় না তাই দেরি না করে খাওয়া শুরু করলাম।

IMG20241021172327.jpg

IMG20241021172312.jpg

IMG20241021170933.jpg

IMG20241021171053.jpg
অর্ধেক খাওয়া শেষ হলে পরে আর পেটের ভিতরে ঢুকতে চাচ্ছিল না কারণ ইতিমধ্যে পেট কিন্তু ভরে গিয়েছে। একটা কথা কি পিজ্জা কিন্তু অতিরিক্ত খাওয়া যায় না। যাই হোক অনেক কষ্টে খাওয়া শেষ করে বেরিয়ে পড়লাম বাড়ির উদ্দেশ্যে। যে ভয় পাচ্ছিলাম সেটাই কিন্তু হল বাইরে কিন্তু বৃষ্টি পড়তে শুরু করলো। কিন্তু আমাদের কোন সমস্যা হলো না কারণ গাড়ির ভিতর ছিলাম যার জন্য বৃষ্টি জল গায়ে পড়ল না।
IMG20241024102711.jpg

IMG20241024102626.jpg
ক্যামেরা পরিচিতি : oppo
ক্যামেরা মডেল :oppo A53s 5G
ক্যামেরা দৈর্ঘ্য :3.37mm
তারিখ :২৪.১০.২০২৪
সময়:০৫.৪৮ মিনিট
স্থান: হৃদয়পুর


বাড়িতে আসতে আসতে প্রচন্ড বৃষ্টি শুরু হল। বাড়িতে এসেই দেখি মাংস রান্না হচ্ছে। পড়ে গেলাম আরো বিপদে কারণ পেট ভরে খেয়েছি পিজ্জা। আর এখন রাতে আবার খাবো মাংসের ভুনা। বাড়িতে এসে কিছুই বলতে পারলাম না যে আমি ভাত খেতে পারব না। কারণ আমি যদি বলি যে বাইরে থেকে খেয়ে এসেছি তাহলে মার একটাও নিচে পড়বে না 😊😊😊। তাই খুব কষ্টে রাতের খাবারটা খেলাম। খাওয়া দাওয়া করে আমি না পাচ্ছিলাম বসতে না পারছিলাম দাঁড়াইতে। বেশি খেলে যে অবস্থা হয় আমারও ঠিক একই অবস্থা হয়েছিল। যাই হোক অনেক দিন পর বাইরে ঘোরাঘুরি করে খাওয়া দাওয়া করে বেশ ভালই লেগেছিল।

আজ এখানে শেষ করছি সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন সৃষ্টিকর্তার কাছে এটাই প্রার্থনা করি।