Better Life with Steem|| The Diary Game||17 April 2024||
ব্যস্তময় একটি দিনের গল্প
১৭ ই এপ্রিল
রোজ বৃহস্পতিবার
হ্যালো স্টিমিট বন্ধুরা, |
---|
আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহ পাকের দরবারে লাখ লাখ শুকরিয়া আরো একটি সুন্দর দিন উপভোগ করার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য। আমার পাশের ফ্ল্যাটে বিয়ে ।মনে আছে বন্ধুরা আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম সেই এনগেজমেন্ট কথা। তখন ছিল এনগেজমেন্ট আজ গায়ে হলুদ আর আগামীকাল বিয়ে। স্বাভাবিকভাবেই একটু ব্যস্ততার মধ্যেই কেটেছে আমার আজকের দিনটি। কাজের ফাঁকে ফাঁকে পাশের বাসায় একটু যেতে হয়েছে। পাশের বাসায় কোন অনুষ্ঠান হলে নিজের মধ্যে কিছু দায়িত্ব এসে বর্তায়, এটা মুসলিম হিসেবে আমাদের কর্তব্য।
বন্ধুরা তাহলে কিভাবে কাটল গত কালকের দিনটি আমার ,তারই অংশবিশেষ আপনাদের সাথে এখন শেয়ার করার চেষ্টা করছি। তো চলুন বন্ধুরা শুরু করা যাক।এখন মূল পর্বে প্রবেশ করি।
সকাল বেলা: |
---|
সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে প্রয়োজনীয় কাজ গুলো সেড়ে কিচেনে চলে গেলাম নাস্তা বানানোর জন্য। নাস্তার পর্ব শেষ করে রুমগুলো গুছিয়ে নিলাম। কারণ পাশের বাসায় অনেক মেহমান ,হঠাৎ করে আমার বাসায় চলে আসতে পারে। তাই কিছু জিনিস ক্যাবিনেটের ভেতর ঢুকিয়ে রাখলাম যেগুলো সচরাচর খুব একটা প্রয়োজন হয় না। তারপর ফার্নিচার গুলো মুছে , দুপুরের রান্না করার জন্য পুনরায় কিচেনে চলে গেলাম। রান্নার এক ফাঁকে পাশের বাসার ভাবি একটা ডাব পাঠিয়েছে । ভাবি তার নারকেল গাছ থেকে কিছু নারিকেল পেয়েছে ,সাথে কিছু ডাবল ও ছিল ।কারণ বিয়ে উপলক্ষে অনেক লোকে বাসায় এসেছে তাই।
সেজন্য ভাই লোকদেরকে ডেকে নারিকেল ও ডাব পাড়িয়ে নিয়েছে এবং আমার ছেলেকে একটা ডাব দিয়ে গেল ।আমি আবার আমার বাসার খালাকে দিয়ে ডাবটা কাটিয়ে নিলাম। ভিতরে হালকা নারিকেল হয়েছে আমার কাছে এই জিনিসটা খুব পছন্দ লাগে। আমার এলাকায় এটিকে বলা হয় নারীকেলের আঁশ। বেশ সুস্বাদু লাগে খেতে। ডাবের পানির চেয়েও আমার কাছে এই জিনিসটাই বেশি পছন্দ। তাই আমি অনেকটা সময় ফ্রিজে রেখে একটু যখন ঠান্ডা হয়েছে তখন বের করেছিলাম। খুব ভালো লাগলো আমার কাছে আসলে।
দুপুর বেলা |
---|
এসব কিছু করতে করতে দুপুর ঘনিয়ে এলো। তাই বাথরুমটা মেঝে গোসল করে নামাজের প্রস্তুতি নিয়ে আসলাম। জোহরের নামাজ আদায় করে দুপুরের খাওয়া-দাওয়া শেষ করে ফেললাম। তারপর একটু ইমারজেন্সি জিনিসের প্রয়োজন ছিল, তাই আবার ঘন্টাখানেকের জন্য বাজারে গেলাম।
খুব একটা সময় ব্যয় করিনি কারণ আমার তিনটা থেকে আটটা পর্যন্ত পোস্ট ভেরিফিকেশন কাজ আছে, সেজন্য যতটুকু সম্ভব দ্রুত চলে এসেছিলাম। তারপর বাসায় এসে পুনরায় পোস্ট ভেরিফিকেশন কাজ শুরু করে দিয়েছি।
আজ পোস্ট ভেরিফিকেশন করতে গিয়ে আমার একটা নতুন অভিজ্ঞতা হলো ,আগে কখনো হয়নি একজন ইউজারকে নো ট্যাগ দিতে হয়েছে।
অবশ্য এডমিন ম্যাম আমাকে নিজ হাতেই শিখিয়ে দিয়েছিল বিষয়গুলো তাই খুব একটা বেগ পেতে হয়নি। আসলে মৌলিক অনেক কিছুই আমাকে ম্যাম ও কো-এডমিন ম্যাম শিখিয়ে দিয়েছে ।যাতে করে পোস্ট ভেরিফিকেশন করতে খুব একটা সমস্যা হয় না আমার ইনশাআল্লাহ। আমিও বিষয় গুলোকে খাতায় নোট করে রেখেছি ।যখন কোন সমস্যা হয় খাতা বের করে দেখে নেই। জানার কোন শেষ নেই ।মানুষ প্রতিনিয়তই শিখে আমিও শিখছি এবং নিজের কাজটি সঠিকভাবে করার চেষ্টা করছি।
সন্ধ্যা ও রাতের বেলা: |
---|
দুপুরের দিকে পোস্টের চাপ খুব একটা থাকে না তাই ফাঁকে ফাঁকে অন্যের পোস্টে কমেন্ট করছিলাম ।এমনি করে আসরের ওয়াক্ত হয়ে গেল , তাই আবার আসরের নামাজ পড়ে নিলাম,পোস্ট ভেরিফিকেশনের এক ফাঁকে। তারপর হঠাৎ করে একটু ঝড় শুরু হয়ে গেল পুরো আকাশ অন্ধকার হয়ে ভয়ংকর মূর্তি ধারণ করল ।আমি দ্রুত মোবাইলটা হাত থেকে রেখে ছাদ থেকে কাপড় নিয়ে আসলাম। তারপর বাসার সব জানালা গুলো বন্ধ করে দিলাম।
আর আশপাশ থেকে জানালা ভেঙে পড়া শব্দ আসছিল ।প্রচন্ড ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম আমি কারণ বাসায় আমি ও আমার ছেলে ছাড়া কেউ নেই ।আমার সাহেব জরুরি প্রয়োজনে দেশে গিয়েছেন। তাই মনে মনে আল্লাহকে ডাকতে লাগলাম আর নিরুপায় হয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে রইলাম ।আমার নানু আমাকে একটা দোয়া শিখিয়ে দিয়েছিল, ঝড় শুরু হলে পড়ার জন্য সেই দোয়াগুলো মনে মনে পড়তে ছিলাম আর আকাশের দিকে তাকিয়ে ছিলাম আল্লাহ মেহেরবানীতে একটা পর্যায়ে ঝড় কমে গেল ,কিন্তু কারেন্ট যে গেল আর আসার খবর নেই। আমার অবশ্য খুব একটা সমস্যা হয়নি মোবাইলে এম,বি ঢুকানো ছিল প্রতিকূল অবস্থা মোকাবেলা করার জন্য।
এভাবে প্রায় রাত ১১ টা বেজে গেল তারপর হঠাৎ করে ছেলে বলল যে, লাচ্ছা সেমাই খাবে তাই আবার একটু দুধে ভিজিয়ে দিলাম আমি নিজে ও একটু খেয়ে নিলাম মা ছেলের রাতে আর খাবার খাইনি সেমাই খেয়ে ছিলাম । তারপর রাত বারোটা পর্যন্ত পোস্ট ভেরিফিকেশন করে ,আমার চ্যালেঞ্জ পোস্ট অর্ধেক লেখা ছিল দুপুরের দিকে বাকিটা লিখে মার্ক ডাউন গুলো বসিয়ে পোস্ট সাবমিট করে প্রায় রাত ১.৩০ মিনিটের দিকে শুয়ে পরলাম।
বন্ধুরা এভাবেই কাটলো আমার কালকে দিনটি যা আপনাদের সাথে আমি আমার মত করে শেয়ার করলাম ।জানিনা আপনাদের কতটুকু ভালো লেগেছে যদি ভালো লেগে থাকে, তাহলে কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন। আপনাদের সুন্দর সুন্দর কমেন্ট পড়তে আমার খুবই ভালো লাগে। তাছাড়া আমার কাজের উৎসাহ বাড়ায়।ধন্যবাদ সবাইকে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ,সর্বপরি মনের যত্ন নিবেন।
সত্যি বলতে যে কোন জায়গায় থাকলে পাশের বাসা যেন নিজের প্রতিবেশী হয়ে উঠে। আপনার পোস্ট আমি জানতে পারলাম পাশের বাসার একজনের বিয়ে। বিয়ে উপলক্ষে আপনার উপরও কিছু দায়িত্ব এসেছে।
সকাল বেলা তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠে নিজের কাজকর্ম সেরে নিয়েছেন।
আপনার সারাদিনের দিনলিপিটি খুব ভালো ছিল আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
প্রতিবেশীর বাড়িতে বিয়ে উপলক্ষে আপনিও প্রস্তুত রইলেন তাদের সহযোগিতা করার জন্য। এটাই তো প্রতিবেশীর দায়িত্ব হওয়া উচিত।
বিকেলের দিকে যে প্রচন্ড ঝড় হয়েছে তাতে আপনি বেশ ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন। আসলে এখনকার ঝড় কালবৈশাখী না টর্নেডো এটা বোঝা মুশকিল। আর হঠাৎ ভয়ংকর ঝড়ে সত্যিই অনেক ভয় লাগে।
রাতের খাবারে সেমাই ছাড়া কিছুই খেলেন না। সবমিলিয়ে চমৎকার একটি দিন আপনি পার করলেন।
আপনি অনেক সুন্দর একটি দিন অতিবাহিত করেছেন।আপনি সকাল বেলা নারিকেল খেয়েছিলেন আসলে এই গরমে নারিকেল এর পানি সত্যি অনেক উপকারী।রাত ১১ টায় সেমাই খেয়েছেন তার পরে রাতের খাবার কখন খাবেন..?। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আর পরিবার ও নিজের খেয়াল রাখবেন।
রাতে খাবার না খেয়ে ঘুমানো ভালো না আর সেমাই আপনার অনেক পছন্দের শুনে ভালো লাগলো।আমি সেমাই বেশি খেতে পারি না মিষ্টির জন্য কিন্তু লাচ্ছি সেমাই হলে একটু খাই। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আর পরিবার ও নিজের খেয়াল রাখবেন।
আমি ওজন কমানোর জন্য বেশির ভাগ সময় ই রাতে ভারি খাবার খুব একটা খাই না।তবে ভালো ফল পেয়েছে।এই নিয়ম অনুযায়ী চলে। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।
ওও আচ্ছা এটা জানা ছিলো না তাই বলে ছিলাম।আর ওজন কমানোর জন্য রাতে রুটি খাওয়া টাই বেশি ভালো। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার কমেন্ট এর রিপ্লাই করার জন্য ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
একদম ঠিক কথা বলেছেন পাশের বাসায় কোন অনুষ্ঠান থাকে সেই অনুষ্ঠানের ছোঁয়া এসে নিজের বাসায়ও লাগে। যার কারণে নিজের বাসাকেও পরিপাটি করতে হয় যত্ন নিয়ে কারন যে কোন সময় হুট করে লোক এসে পরতে পারে।
সেই সাথে প্রতিবেশীর বাড়িতে কোন কাজ হলে সাহায্যের প্রয়োজন হলে তাকে সাহায্য করাটাও প্রয়োজন হলে সাহায্য করাটাও দায়িত্বের মাঝেই এসে পড়ে।
ডাবের ভেতরের নরম অংশটা আপনার মত আমারও খুব ভালো লাগে।
সব জায়গাতেই ঝড় বৃষ্টি হচ্ছে মনে হয় শুধুমাত্র ঢাকা ছাড়া। গরমে বলতে গেলে ভাজা ভাজা হয়ে যাচ্ছে সবাই।
ভালো লাগলে আপনার দিনলিপি পড়ে। ভালো থাকবেন সব সময়।