লাইস্টাইলঃ-ফ্রেন্স ফ্রাই খেতে একদিন লাজিজ রেস্টুরেন্টে যাওয়া।
শুভ দুপুর,
কেমন আছেন ভাই ও বোনেরা? আশা করছি আপনারা সবাই ভালো আছেন পরিবারের সবাইকে নিয়ে সুস্থ আছেন? আমিও ভালো আছি আপনাদের দোয়ায় সৃষ্টিকর্তার অসীম রহমতে। আলহামদুলিল্লাহ সুস্থ আছি পরিবারের সবাইকে নিয়ে। বন্ধুরা আবার হাজির হয়ে গেছি আজকে সাপ্তাহের প্রথম দিন বৃহস্পতিবার নতুন একটি ব্লগ শেয়ার করার জন্য। যেহেতু বুধবার আমাদের সপ্তাহের শেষ দিন এবং বৃহস্পতিবার কাজের প্রথম দিন এই কমিউনিটিতে। সেই অনুযায়ী আজকে একটি লাইভে স্টাইল পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। প্রতি সপ্তাহের প্রথম দিন একটি করে দৈনন্দিন জীবনের কাটানো মুহূর্ত নিয়ে শুরু করি যাত্রা। আজকে বৃহস্পতিবার আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। যেহেতু আমরা পুরো সপ্তাহ কাজ করে আমাদের কাজের অগ্রগতি কেমন হলো তা আমরা হ্যাংআউটের মাধ্যমে জানতে পারি। তাই আমরা চেষ্টা করি কাজগুলো যত দ্রুত শেষ করে রাতে হ্যাং আউটে যুক্ত হওয়ার জন্য।
আজকে বন্ধুরা আমি যে বিষয় শেয়ার করব তা অবশ্যই আপনারা শিরোনাম দেখে বুঝতে পারছেন। আমাদের জীবন যাত্রার মান যেখানে যেমন যার কাছে যেমন। যার যার সামর্থ্য অনুযায়ী আমরা ভালো থাকার চেষ্টা করি এবং সময়গুলোকে ভালোভাবে উপভোগ করার চেষ্টা করি। তবে নিজেদের অবস্থান অনুযায়ী আমরা পর্যাপ্ত পরিমাণ চেষ্টা করি ভালো থাকার এবং পরিবারের আশেপাশের মানুষগুলোকে ভালো রাখার। কখনো ভালো সময় যায় আবার কখনো খারাপ সময় যায় এটাই হচ্ছে আমাদের প্রকৃতি এটাই হচ্ছে আমাদের জীবন। মাঝেমধ্যে ঘরে কাটানো সময় গুলো অনেক বেশি বিষন্ন হয়ে ওঠে। তাই আমরা এই বিষন্নতা গুলো কাটিয়ে ওঠার জন্য কিছুদিনের জন্য কোথাও ঘুরে আসি অথবা বাইরে যেয়ে ঘোরাঘুরি করে আসি।
সত্যি কথা বলতে আমরা নিজেরা যখন রান্নাবান্না করে খাই এক সময় এমন মনে হয় যে নিজের রান্না গুলো খুব বোরিং লাগে। তখন মন চাই অন্য কারো খাবার গুলো খাবার অন্য কারোর রান্না খেতে। যখন আমরা কোথায় বেড়াতে যায় অন্যদের রান্না গুলো খেতে খুবই ভালো লাগে। কারণ এক ধরনের নিজের রান্না করা খাবার গুলো নিজের কাছেও একদম একঘেয়েমি চলে আসে। ঠিক তেমনি যখন একঘেয়েমি চলে আসে তখন বাইরে যেয়ে ঘোরাঘুরি করে এবং খাওয়া দাওয়া করে ঘরে আসতে মন চায়। এজন্য মাঝে মাঝে বাচ্চাদেরকে নিয়ে বেরিয়ে পড়ি ঘুরাঘুরি করতে এবং পছন্দের কিছু খাবার খেয়ে আসতে। যদিও ইদানিং তেমন বের হওয়া যাচ্ছে না। বেশি প্রয়োজন না হলে বাইরে একদম বের হওয়া যায় না।
আজকে আমি যে মুহূর্তটি আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি তা কিছুদিন আগের ঘটনা। আমার ছোট মেয়ে সব সময় বলতে থাকে দুই একদিন পরপর ফ্রেন্স ফ্রাই করো বাসায়। আসলে ফ্রেন্স ফ্রাই করাটা আমার কাছে খুবই ঝামেলার মনে হয়। আলো কেটে রাখা সেগুলোকে মেরিনেট করে রাখা আবার তেলের মধ্যে সময় দিয়ে ভাজা বেশ সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। মাঝেমধ্যে ওদের পছন্দের খাবারগুলো ঘরে তৈরি করি। আবার মাঝে মধ্যে মন চাই যে বাহির থেকে কিনে খাওয়াই ফেলি। একদিন ছোট মেয়ে অনেক বেশি আবদার করছিল ফ্রেন্স ফ্রাই খাবে। আমারও ইচ্ছে করছিল না তৈরি করতে। তাই সোজা মেয়েকে নিয়ে চলে গেছিলাম লাজিজ রেস্টুরেন্টে। এর আগে যখন এই রেস্টুরেন্ট থেকে ফ্রেন্স ফ্রাই পেয়েছিলাম বেশ ভালো লাগছিল।
তাই সেই সুবাদে আবারো সেই রেস্টুরেন্টে চলে গেলাম। রেস্টুরেন্ট আমাদের বাসা থেকে কাছাকাছি ছিল তাই আর দূরে যাইতে হইনি। সেই জন্য মেয়েদের নিয়ে মেয়ের বাবাকে নিয়ে চলে গেলাম লাজিজ রেস্টুরেন্টে। সেখানে যেয়ে হালকা কিছু নাস্তার অর্ডার দিলাম। বিশেষ করে মেয়ের জন্য ফ্রেন্স ফ্রাই অর্ডার করেছিলাম। আর আমাদের জন্য চিকেন ফ্রাই। মেয়েরা তো বের হলেই একটা কমন জিনিস চাই সেটা হচ্ছে মিল্ক শেক। বুঝতেই তো পারছেন যদিও এই খাবার ঠান্ডা এবং বাচ্চাদের জন্য তেমন ভালো না বাইরের খাবার। কিন্তু বাইরে গিয়ে মানুষের সামনে এত জেদাজেদি করে না দিয়ে আর পারা যায় না। কারণ চিল্লাচিল্লি করলেই একটা লজ্জার ব্যাপার।
সেজন্য বাধ্য হয়ে বাচ্চাদেরকে আন-স্বাস্থ্যকর খাবারগুলো দিতে হয় অনেক সময়। তো মেয়েকে চকলেট মিল্ক শেক দিলাম। তাছাড়া ফ্রেন্স ফ্রাই দিলাম। আরো অন্যান্য কিছু নাস্তার আইটেম ছিল যেগুলো আসলেই ফটোগ্রাফি করা সম্ভব হয়নি। সব সময় ফটোগ্রাফি করে রাখা খুবই কষ্টকর হয়ে যায় যেহেতু রেস্টুরেন্টের আশেপাশে অনেক মানুষ থাকে। তাই আমাদেরকে অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা করতে হয়। যখন তাদের পছন্দের খাবারগুলো তাদের হাতে তুলে দিই অনেক বেশি আনন্দ পায় তারা। কি আর করব বলেন এই যান্ত্রিক জীবনে মানুষের আসলে ব্যস্ততার শেষ নেই। জীবনটা যতই আধুনিক হয়ে যাচ্ছে মানুষের ব্যস্ততা ততই বেড়ে যাচ্ছে।
এই ব্যস্ততার মাঝে মাঝেমধ্যে যখন একটু সময় পায় সেগুলো নিরিবিলিতে কাটাতে ইচ্ছে করে। মাঝেমধ্যে তো নিজের মনের ইচ্ছা গুলোকে একটু মূল্য দিতে হয়। সব সময় যে কাজের মধ্যে ডুবে থাকবো তা কি করে হয়। একটু মনের ইচ্ছেকে যদি মূল্যায়ন করি তাহলে মনটা ভালো থাকে। সেজন্য মাঝেমধ্যে বাইরে যেয়ে ঘুরে আসা। যদিও বাইরের খাবার স্বাস্থ্যকর নয় তাই বাধ্য হয়ে পছন্দের খাবারগুলো খেতে হয়। সবকিছু মিলিয়ে খুব সুন্দর একটি সময় ছিল সেই দিন। যেহেতু বাচ্চাদের খাবার গুলো খেতে পারে পছন্দ মতো তাই তারা আনন্দে থাকে। আর তাদের আনন্দের চেহারা গুলো দেখতে আমাদেরও ভালো লাগে। এই শহরে জীবন যাপন করা খুবই কঠিন। বিশেষ করে যেমন আয়ের তেমন ব্যয় বলতে হয়। আমরা মানুষেরা আয় বুঝে খরচ করি।
একজন 5000 টাকার বেতনের মানুষ তাদের সংসার চালায়। একজন পাঁচ লক্ষ টাকার ইনকামের মানুষ তাদের সংসার চালাই। তবে জীবন যেখানে যেমন। যার ইনকামের উপর সেই ভার বুঝে চলাফেরা করে থাকেন। সত্যি এত খরচ বলার মত না। শহরে বাচ্চাদেরকে পড়ালেখা করানো মানে টাকার ব্যাংক নিয়ে বসে থাকা। সবকিছু মিলিয়ে যাচ্ছে জীবন খুব সুন্দরভাবে আলহামদুলিল্লাহ। খাওয়া-দাওয়া করে বাসায় ফিরে আসলাম। আজকে সেই সুন্দর মুহূর্তটি আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করে নিলাম বন্ধুরা। সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
সব সময় আমার পোস্টগুলো ভিজিট করেন এবং আমাকে কমেন্টের মাধ্যমে খুব সুন্দর অনুপ্রাণিত করেন তাতে আমি সফল। সবার জন্য শুভকামনা রইল আল্লাহ হাফেজ।
ডিভাইসের নাম | Wiko,T3 |
---|---|
মডেল | W-V770 |
Location | কক্সবাজার |
ফটোগ্রাফার | @samhunnahar |
ক্যাটাগরি | লাইফ স্টাইল |
সবাইকে অনেক ধন্যবাদ সময় দিয়ে আমার ব্লগটি ভিজিট করার জন্য।
আমার পরিচয়
আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি @samhunnahar। আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে। আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে ভালবাসি। আমি রান্না করতে পছন্দ করি। ভ্রমণ আমার প্রিয় একটি নেশা। আমি বিভিন্ন ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত। তার জন্য আমার প্রাণের কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।
#eatingfood #spendingtime-withfamily #feelingsshare #amarbanglablog #steemit #steemexclusive #shy-fox
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
এটা অবশ্য ঠিক বলেছেন আপু আমরা সবাই চেষ্টা করি পরিবারের মানুষগুলোকে ভালো রাখার। আর আপনিও প্রতিনিয়ত তাই করে যাচ্ছেন জেনে ভালো লাগলো আপু। ফ্রেন্স ফ্রাই খেতে রেস্টুরেন্টে গিয়েছিলেন দেখে অনেক ভালো লাগলো। আর খাবারগুলো খুবই লোভনীয় লাগছে।
আমার দ্বারা যদি কপরিবারে মানুষগুলো ভালো না থেকে খারাপ থাকে তাহলে তো সেটা আমাদের জন্য ব্যর্থতা তাই না আপু?
মাঝে মাঝে পরিবারের সকলকে নিয়ে রেস্টুরেন্টে খাবার খেতে খুব ভালো লাগে। ফ্রেন্স ফ্রাই খাওয়ার অনুভূতি বেশ দারুন। রেস্টুরেন্ট পরিবেশ খুবই সুন্দর দেখে ভালো লাগলো আপু। ফ্রেন্স ফ্রাই খেতে রেস্টুরেন্টে যাওয়ার অনুভূতি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া সবাই মিলে যদি বাইরে খাওয়া দাওয়া করা যায় খুব ভালো লাগে।
https://x.com/nahar_hera/status/1854583178885054908?t=IMgAwqGwcgciFUM0cEjmfw&s=19
পরিবারকে নিয়ে বাইরে রেস্টুরেন্টে বা কোথাও খেতে যাওয়ার অর্থই হলো একে অপরকে সামান্য সময় দেওয়া এবং পছন্দের খেয়াল রাখা আপনার আজকের পোস্টটি খুবই ভালো লাগলো।
আপনি যথার্থ কথাগুলো বলেছেন আপু।
আসলে সব সময় আমি চেষ্টা করি আমার মেয়েকে ঘরের তৈরি করা খাবার গুলো খাওয়ানোর জন্য। কারণ ঘরের খাবারগুলো অনেক স্বাস্থ্যকর হয়। আপনিও তৈরি করে খাওয়ান শুনে অনেক ভালো লাগলো। তবে ভালো না লাগার কারণে রেস্টুরেন্টে নিয়ে গিয়েছিলেন তাদেরকে এটা শুনে ভালো লেগেছে। ওখানে আপনার মেয়েরা তো দেখছি বেশ মজা করেই খাচ্ছে। ভালো লাগলো পুরো মুহূর্তটা।
ঘরের তৈরি করা খাবারের কোন বিকল্প নেই আপু। তারপরও আমাদের কেমন জানি বাইরের খাবার গুলো বেশি ভালো লাগে সবার ক্ষেত্রে একই😀😀।
রেস্টুরেন্টে ছোট বাচ্চাদের পছন্দের খাবারই হচ্ছে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই। আমার ছেলে তো রেস্টুরেন্টে গেলেই ফুচকা এবং ফ্রেঞ্চ ফ্রাই নিয়ে পাগল হয়ে যায়। ভালো লাগলো আপনাদের খাওয়া-দাওয়া মুহূর্ত দেখে। আর মামনির হাসিমাখা মুখ দেখে। ধন্যবাদ আপু বাচ্চাদের নিয়ে রেস্টুরেন্টে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই খাওয়ার মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য।
বের হলে সেই ভাজা পুড়া খাবারগুলো খেতে চাই কিন্তু দিতে না চাইলেও কি আর করার।
আলু ভাজা রেস্টুরেন্টে হয়ে যায় ফ্রেন্স ফ্রাই। সেটা খেতে আবার লাজিজ রেস্টুরেন্টে গেলেন। ঘর বানিয়ে নিয়েই তো খেতে পারতেন, হা হা হা। রেস্টুরেন্টের স্বাদ ঘরে পাওয়া যায় না, এটাই বাস্তব এটাই সত্য। ধন্যবাদ।
তা তো ঠিক আছে আলু ভাজা ঘরে তৈরি করলে ফ্রেন্স ফ্রাই হয়ে যায়। কিন্তু এত দেরি হয় ভালো লাগে না সব সময় তৈরি করতে।