রেসিপি পোস্ট ||| মজাদার মোরগ পোলাও ||| original recipe @saymaakter.
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন?প্রত্যাশা করি পরিবারকে নিয়ে এই শীতের হিমেল হাওয়ায় সুস্থ ও সুন্দরভাবে দিন যাপন করছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি।
বরাবরের মতো আজও হাজির হলাম আপনাদের মাঝে নতুন আরেকটি ব্লগ নিয়ে।আমার বাংলা ব্লগ এমন একটি কমিউনিটি যেখানে ইউনিক কিছু নিয়ে হাজির হতে পারলে অনেক ভালো লাগে। তারই ধারাবাহিকতায় আজ আপনাদের মাঝে একটি ইউনিক রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি।
নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করে এবং পরিবারকে খাওয়াতে অনেক ভালো লাগে।কারণ পরিবারের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে মনের ভেতর শান্তি কাজ করে। আমাদের প্রত্যেকের জীবনে পরিবার অনেক গুরুত্বপূর্ণ।এই পরিবারের জন্যই আমরা রাত দিন পরিশ্রম করছি। মা বাবা ভাই বোন সবার মুখে হাসির জন্য। বিপদে আপদে এই পরিবারই আমাদের পাশে দাঁড়ায়।
শীতের আবহাওয়ার অনুভূতিটাই অন্যরকম। চারদিকে প্রকৃতির সতেজতা, নানান রকমের টাটকা সবজি, ফল, আর ফুলের সুবাস।এ যেন এক অন্যরকম আবেগ কাজ করে। আবার শীতের দিনে যদি গরম গরম মুখরোচক কিছু খাবার হয় তাও মন্দ হয় না। মোরগ পোলাও খেতে আমার মনে হয় কমবেশি সবাই পছন্দ করে। আমার যেমন প্রিয় তেমনি আমার ছেলেরও। হঠাৎ করেই কেন জানি মোরগ পোলাও খেতে ইচ্ছে করলো তারপর রেসিপিটি তৈরি করলাম। এত সুন্দর একটি রেসিপি তৈরি করলাম আর আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করব না তা কি হয়।
তাইতো এই "মজাদার মোরগ পোলাও" রেসিপিটি নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হলাম।চলুন আর কথা না বাড়িয়ে "মজাদার মোরগ পোলাও" রেসিপিটি কিভাবে তৈরি করেছি দেখে নেওয়া যাক।
উপকরণসমূহঃ-
১।মোরগ।
২।পোলাওয়ের চাল।
৩।দুধ।
৪।পেঁয়াজ।
৫।রসুন।
৬।আদা।
৭।গুয়া মুড়ি।
৮।রোস্ট মসলা।
৯।জিরা গুঁড়ো।
১০।মরিচ গুঁড়ো।
১১।সাদা এলাচ।
১২।দারচিনি।
১৩।লবণ।
১৪।সয়াবিন তৈল।
১৫। তেজপাতা।
প্রথমে মোরগ সুন্দর করে কেটে পরিষ্কার করে নিয়েছি।
এবার সেই মোরগটি পিচ পিচ করে কেটে নিয়েছি আবারো পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে সুন্দর করে পরিষ্কার করে নিয়েছি।
এবার সেই মোরগের পিছ গুলোতে আদা বাটা, রসুন বাটা ধনিয়া গুঁড়ো, মরিচের গুঁড়ো, লবণ, পেঁয়াজ বাটা , জিরা গুঁড়ো দিয়ে কিছুক্ষণ মেখে রেখেছি।
এবার মেখে নেওয়া মাংসগুলো ফ্রাই পেনে ভেঁজে নিয়েছি।
এবার ফ্রাই পেনে পেঁয়াজ ভেঁজে পেঁয়াজের ব্যারেস্তা করে নিয়েছি।
মাংসগুলো ভেঁজে নেওয়ার পর একটি বাটিতে উঠিয়ে নিয়েছি।
ফ্রাই পেনে আবারো,পেঁয়াজ কুঁচি, আদা বাটা, রসুন বাটা, জিরা বাটা, ধনিয়া বাটা, এলাচ, দারচিনি, রোস্ট মসলা, মরিচের গুঁড়ো, পেঁয়াজ বাটা ও লবণ দিয়ে মসলাটি সুন্দর করে কষিয়ে নিয়েছি।
কষিয়ে নেওয়া মসলার ভেতরে ভেঁজে নেওয়া মাংসগুলো দিয়ে দিয়েছি এবং কিছুক্ষণ রান্না করেছি।
এবার সেই মাংসগুলোতে একটু দুধ দিয়ে দিয়েছি আবারো কিছুক্ষণ রান্না করেছি।
পোলাওয়ের চাল পরিষ্কার করে ধুয়ে নিয়েছি এবং পানি ঝরিয়ে নিয়েছি।
এবার ফ্রাই প্যানে পেঁয়াজ কুঁচি আদা বাটা রসুন বাটা জিরা গুঁড়ো তেজপাতা লবণ এলাচ তৈল দিয়ে চাল গুলো ভালো করে ভেঁজে নিয়েছি।
গরম পানি ও দুধ দিয়ে সেই ভেঁজে নেওয়া চালগুলো রাইস কুকারে চাপিয়ে দিয়েছি এবং কিছুক্ষণ অপেক্ষা করেছি।যখন পোলাও হয়ে এসেছে তখন মোরগের মাংসগুলো সেই পোলাওয়ে দিয়ে দিয়েছি এবং তার উপরে কিছু ব্যারেস্তা দিয়ে দিয়েছি আর এভাবেই হয়ে গেল আমার "মজাদার মোরগ পোলাও"। এবার পরিবেশনের জন্য তার একটি ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করলাম।
আমার পরিচয়।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার।আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি।আমি উদ্যোক্তা জীবনে সব সময় গ্রামের অবহেলিত মহিলাদের নিয়ে কাজ করি।আর এই অবহেলিত মহিলাদের কাজ নিয়ে দেশের স্বনামধন্য কিছু প্রতিষ্ঠানে প্রোভাইড করি এবং দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বর্তমানে বিদেশেও রপ্তানি করছি।আর এসব কিছুর পিছনে আমার এই অবহেলিত মহিলাদের উৎসহ এবং উদ্দীপনায় সম্ভব হয়েছে।তাই সব সময় আমি অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।এজন্যই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।আমি ২০২১ সালের আগস্ট মাসে স্টিমিটে যুক্ত হই।আমার বাংলা ব্লগে শুরু থেকে আছি এবং এখন পর্যন্ত আমার বাংলা ব্লগেই ব্লগিং করে যাচ্ছি।
ঠিক বলেছেন আপু পরিবারের সদস্যদের সুন্দর সুন্দর নতুন রান্না করে খাওয়াতে ভালো লাগে।পরিবারের সুখের জন্য মানুষ এতো রাতদিন পরিশ্রম করে থাকে।আজকে আপনি চমৎকার সুন্দর মোরগ পোলাও রেসিপি করেছেন। দারুণ সুন্দর হয়েছে রেসিপি টি।খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে তা রেসিপিটি দেখেই বুঝতে পারছি।পরিবেশের জন্য লাভ সেভের ডেকোরেশন করেছেন যা নজর কেড়েছে।ধাপে ধাপে রন্ধন প্রনালী চমৎকার সুন্দর করে আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে লোভনীয় রেসিপিটি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
জি দিদি খেতে অনেক মজাদার ও সুস্বাদু ছিল।
জীবে তো জল চলে এলো আজ আপনার লোভনীয় মোরগ পোলাও রেসিপি পোস্টটি দেখে। মোরগ পোলাও আমার পছন্দের খাবারের তালিকায় একটি। নিজের হাতে কখনো রান্না করা হয়নি। আপনার মত এত লোভনীয় করে রান্না করতে পারব কিনা জানিনা। তবে আজ আপনার রেসিপিটি দেখে বোঝা যাচ্ছে আপনি একজন দক্ষ রাধুনী।
অনেক লোভনীয় মোরগ পোলাও রেসিপি তৈরি করেছেন আপনি। এ জাতীয় রেসিপি গুলো আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। মাঝেমধ্যে যদি এভাবে নিজে হাতে রেসিপি তৈরি করা যায় এবং পরিবারের সবাইকে খাওয়ানো যায় এতে অনেক আনন্দ এবং ভালোলাগা খুঁজে পাওয়া যায়।
একদম ঠিক বলেছেন আপু একসঙ্গে খাওয়ার মজাই আলাদা।
https://x.com/mst_akter31610/status/1870854240585093398?t=KZYgPBo0s1wtHBJjaPj6fg&s=19
অনেক মজার একটি রেসিপি তৈরি করলেন আপু। অন্যান্য পোলাও এর তুলনায় মোরগ পোলাও আমার খেতে খুব ভালো লাগে। বিশেষ করে আপনি যে পোলাও তৈরি করলেন মুরগির মাংসের কালার টা দারুণ এসেছে। খুব সুন্দরভাবে রেসিপির উপস্থাপনা করলেন। অনেক ধন্যবাদ আপু সুস্বাদু রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
চেষ্টা করেছি আপু ভালোভাবে সবার সামনে উপস্থাপন করার।
এ রাতের বেলায় মোরগ পোলাও দেখেই তো খিদে লেগে গেল। মোরগ পোলাও খেতে আমি অনেক বেশি পছন্দ করি।আপনার তৈরি মোরগ পোলাও দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। মোরগ পোলাও তৈরি করার পদ্ধতি আমাদের মাঝে এত সুন্দর ভাবে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
এই রেসিপিটি খেতে আপনার বেশি ভালো লাগে। এই বিষয়টি শুনে অনেক ভালো লাগলো।
আপনি ঠিকই বলেছেন ঠান্ডার দিনে এরকম গরম গরম মুখরোচক খাবার গুলো হলে সময় গুলো অত্যন্ত উপভোগ্য হয়।লোভনীয় মোরগ পোলাও রেসিপি শেয়ার করেছেন যা আমার কাছে অত্যন্ত প্রিয় খাবার গুলোর মধ্যে একটি। আপনার তৈরি করা মোরগ পোলাও রেসিপিটি দেখে জিভে জল চলে আসলো। দেখেই মনে হচ্ছে অত্যন্ত টেস্টি হয়েছিল। যাই হোক এরকম ইউনিক একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
জি ভাই খেতে অনেক মজাদার ও টেস্টি ছিল।
একদমই আপু। শীতের দিনে গরম গরম মুখরোচক খাবার খেতে সবারই ভালো লাগে। সে খিচুড়িই হোক আর মোরগ পোলাও হোক। আপনি রান্নাও করেছেন দারুণ৷ দেখেই লোভ হচ্ছে।
মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
মোরগ পোলাও আমার পছন্দের খাবারগুলোর মধ্যে একটি। আমি এবং আমার ছেলে দু'জনেই এই মোরগ পোলাও তৃপ্তি সহকারে খেতে পছন্দ করি। আপনি দূর্দান্তভাবে রেসিপিটি উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছেন। এধরনের রেসিপি ভালো না লেগে পারে বলুন। যাইহোক এতো চমৎকার একটি রেসিপি উপহার দেয়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।।
উৎসাহ মূলক মন্তব্য পেলে আসলেই ভালো লাগে।
এই জাতীয় লোভনীয় রেসিপিগুলো আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। মাঝেমধ্যে ইউনিক রেসিপি খাওয়ার মধ্যে যেমন তৃপ্তি রয়েছে ঠিক তেমনি খাবারের রুচি সৃষ্টি হয়। অনেক ভালো লাগলো আপনার মোরগ পোলাও রেসিপি সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করতে দেখে।
একদম ঠিক বলেছেন ভাই মাঝে মাঝে এরকম লোভনীয় খাবার খেলে রুচির পরিবর্তন হয়।