আজকে উল্লেখিত পরোটা ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যের প্রসিদ্ধ খাবার।
তবে এখন ভারতের অন্যান্য রাজ্যেও যেমন ধরুন দিল্লী, কলকাতা ইত্যাদি রাজ্যেও এই পরোটা মানুষের খাদ্য তালিকার অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেছে।
যদি কলকাতার কথা ধরি তাহলে রবিবার সকলের জলখাবারের তালিকায় এই পরোটা অনেকেই তৈরি করে থাকেন।
এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন একই খাবার তৈরি করবার একাধিক পদ্ধতি রয়েছে, যেমন আজকে আমি আপনাদের মাঝে সল্প সময় কিভাবে তৈরি করা যায়, সেটাই ধাপে ধাপে তুলে ধরবার প্রয়াস করছি।
ইতিপূর্বে আপনাদের মাঝে ভাগ করে নিয়েছি, পরোটা যদি কোনো পুর সহযোগে তৈরি করেন তাহলে সেটি প্রস্তুত করবার একাধিক পদ্ধতি রয়েছে।
আজকে কিভাবে পরোটা তৈরি করেছি, অধিক সময় অতিবাহিত না করে চলে আসুন আমার রান্নাঘরে লেখার হাত ধরে।
উপকরণ:-
আলু | 👈৪টে |
| পেঁয়াজ👉 | ২টো মাঝারি আকারের |
শুকনো লঙ্কা | 👈২-৩টে |
| ম্যাগি নুডলস মশলা👉 | ২প্যাকেট |
ধনেপাতা | 👈১/৪ ভাগ |
| মাখন👉 | প্রয়োজন অনুসারে |
নুন | 👈স্বাদ অনুযায়ী |
| মাল্টিগ্রেইন আটা👉 | সদস্য সংখ্যা অনুযায়ী পরিমাণ মত নিতে হবে |
- আমি একার জন্য পরোটা তৈরি করতে এক্ কাপ আটা নিয়েছি!
তৈরির পদ্ধতি:-
- প্রথমে:- আলু ভালোভাবে সেদ্ধ করে নিতে হবে, সঠিকভাবে আলু সেদ্ধ হয়েছে কিনা দেখবার জন্য একটা ছুরি সেদ্ধ বসানো আলুর মাঝ বরাবর গেথে দেখে নিতে হবে যদি সহজেই সেটি আলুর মধ্যে থেকে পরিষ্কার ভাবে বেরিয়ে আসে, আঁচ বন্ধ করে নামিয়ে নিতে হবে।
- পরবর্তী পর্যায়ে:- আলুর খোসা ছাড়িয়ে, অন্য পাত্রে সরিয়ে রেখে পেঁয়াজ কুচিয়ে নিতে হবে।

একটি ম্যাশার কিংবা হাতার উল্টো দিক এর সহায়তায় সেদ্ধ আলু ভালোভাবে ম্যাশ করে নিতে হবে, কাজটি আলু গরম অবস্থায় করতে হবে, নইলে আলুতে যে মসৃণ ভাব প্রয়োজন সেটি পাওয়া যায়না।
- তৃতীয় ধাপে:- একটি পাত্র মাঝারি আঁচে বসিয়ে তাতে মাখন দিয়ে শুকনো ভেজে তুলে নিয়ে ওই মাখনেই কেটে রাখা পেঁয়াজ দিয়ে আঁচ কমিয়ে পেঁয়াজ ততক্ষণ ভাজতে হবে যতক্ষণ কাঁচা গন্ধ উবে গিয়ে পেঁয়াজ খানিক ট্রান্সপারেন্ট পর্যায় পর্যন্ত ভাজতে হবে।
পেঁয়াজ যেনো বেরেস্তা না হয়ে যায়!
- চতুর্থ পর্যায়ে:- ম্যাশ করে রাখা আলুতে সামান্য নুন দিয়ে ভেজে রাখা শুকনো লঙ্কা গুঁড়ো করে মেখে নিতে হবে। এখানে জানিয়ে রাখি যদি আপনাদের বাড়িতে চিলি ফ্লেকস থাকে তাহলে এই ভাজা লঙ্কার জায়গায় ব্যবহার করতে পারেন।
- পঞ্চম ধাপে:- প্যানে মেখে রাখা আলু এই পর্যায়ে দিয়ে দিতে হবে। এরপর ম্যাগি নুডলস মশলা সংযোগ করতে হবে।
আপনারা চাইলে পিৎসা মশলা ও ব্যবহার করতে পারেন।
যেহেতু এই মশলায় আগে থেকেই নুন এবং অন্যান্য উপাদান থাকে, আর মাখনেও নুন থাকে তাই, সমস্ত উপাদান ভাবভাবে মিশিয়ে, যদি প্রয়োজন হয় দেখে তবেই বাড়তি লবণ দেবেন।
- ষষ্ঠ পর্বে:- আরো খানিক মাখন দিয়ে সমস্ত উপাদান ভালকরে মিশিয়ে নিয়ে, লবণ দেখে নিয়ে পরিশেষে কুচিয়ে রাখা ধনেপাতা দিয়ে সমস্ত আলুর মন্ড একবার ভালো করে মিশিয়ে আঁচ বন্ধ করে পাত্র ঢাকনা চাপা দিয়ে মিনিট দশেক রেখে দিতে হবে।
- সপ্তম পর্যায়ে:- এই দশ মিনিটে আমি আটা মেখে লেচি কেটে নিয়েছিলাম। এরপর মেখে রাখা পুর ঠান্ডা হয়ে গেলে, রুটির মধ্যে পুর দিয়ে তার উপরে আরেকটি রুটি দিয়ে এক একটি পরোটা দু দিক সোনালী করে সেঁকে নিয়ে মাখন দিয়ে ভেজে নামিয়ে নিয়েছিলাম।
এই পরোটার সাথে মেয়োনিজ, টমেটো সস, কিংবা দই সবকিছুই যেমন চলে, তেমনি ভিতরে ব্যবহৃত স্টাফিং বেচে গেলে, সেটি দিয়ে খেতেও ভালো লাগে, যেমনটি আমি করেছি।
আজকে এই ছিল আমার দুপুরের খাবার, আপনারাও এইভাবে একবার তৈরি করে দেখতে পারেন, বেশ অন্য স্বাদের সুস্বাদু আলুর পরোটা।
যদি কখনো বাড়িতে তৈরি করে থাকেন, জানাতে ভুলবেন না, কেমন লেগেছে খেতে কেমন?
Curated by: @dexsyluz
@dexsyluz much appreciated your encouraging support!