লাইফস্টাইলঃ ভাগ্নিকে ডাক্তার দেখানো।
শুভেচ্ছা সবাইকে।
কেমন আছেন সবাই ? আশাকরি ভালো আছেন।প্রত্যাশা করি সবসময় যেনো ভালো থাকেন। আজ ৩রা অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,হেমন্তকাল। ১৮ই নভেম্বর ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ।
বন্ধুরা, আজ আবারও নতুন আর একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হলাম।একটি লাইফস্টাইল ব্লগ। বেশ কিছুদিন যাবত ভাগ্নি আমার অসুস্থ। তাকে নিয়েই ডাক্তারের কাছে যাওয়ার বিষয় নিয়েই আজ আমার ব্লগ। ভাগ্নি আমার বিয়ের পর ঢাকায় থাকে। আর আমার আপারা থাকে চট্টগ্রামে। যেহেতু আমার বাসার কাছাকাছি দূরত্বে থাকে, তাই প্রায়ই ভাগ্নির সাথে দেখা হয়। ও হলো আমাদের বংশের সবার বড় তাই বেশ আদরের। ইউনিভার্সিটির টিচার। বেশ কিছুদিন আগে জ্বর হয়েছিল। জ্বর হওয়ার কিছুদিন পর হঠাৎ করে ওর পা ফুলে গেছে সাথে প্রচন্ড ব্যাথা। তাই তাকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলাম। তার বর যেতে পারেনি অফিসের জরুরি মিটিং থাকায়। গত বৃহস্পতিবার ডাক্তার হরমনের টেস্ট দিয়েছিল। সেই টেস্ট রিপোর্ট নিয়েই গত শনিবার সেই টেস্ট রিপোর্ট নিয়েই আবার ডাক্তা্রের কাছে যাওয়া। রিপোর্ট দেখে ডাক্তার অবশ্য আশার বাণী শুনিয়েছেন, হরমনের কোন সমস্যা নেই। পা ব্যাথার জন্য তিনি একজন বাতের ডাক্তার দেখাতে বললেন। সেই অনুযায়ি ভাগ্নি ইবনে সিনার ধানমন্ডি শাখায় একজন বাত ও ইন্টারনাল মেডিসিন ডাক্তারের সিরিয়াল দিল।সিরিয়াল ছিল ১১ নম্বর। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় যেতে বলল।তাই আমরা ৪টায় রওয়ানা দিলাম। কারন ঢাকা শহরের রাস্তারতো কোন ঠিক ঠিকানা নেই। কোথায় জ্যামে আটকে থাকতে হয়।
আমারা পপুলারে হরমোনার ডাক্তারকে টেস্ট রিপোর্ট দেখানোর পর চলে গেলাম ধানমন্ডি ইবনে সিনায় । বেশি দূরে নয় রিক্সা করেই চলে গেলাম। আমরা যখন হাসপাতে পৌছি তখন ৭ নম্বার রোগী দেখছেন ডাক্তার। আমরা কিছুক্ষন অপেক্ষা করার পরই আমাদের সিয়াল আসায় ডাক্তারের চেম্বারে ঢুকলাম। ডাক্তার বেশ হাসি খুশি। এমন ডাক্তারের কাছে গেলে রোগী অর্ধেক সুস্থ হয়ে যায়। আর এমন কিছু ডাক্তার দেখা যায় যেনো রোগীর সাথে তাদের কথা বলতেই ইচ্ছে করছে না। যাই হোক ডাক্তার সব সমস্যা শুনার পর ভাগ্নির পা পরীক্ষা করে দেখলেন একটি হাতুরীর মতো যন্ত্র দিয়ে। বলল তেমন কিছু সমস্যা উনি দেখছেন না। কিছু ব্যায়াম দেখিয়র দিলেন। আর একটি ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট দিলেন। দু' সপ্তাহ পর যদি না কমে তাহলে রক্তের সিবিসি চেস্টা করে তাকে দেখাতে বললেন। সেই সাথে রোগীকে মেডিকেল স্যু পরার পরা্মর্শ দিলেন।ডাক্তারের ১০০০ টাকা ভিজিট দিয়ে আমরা চেম্বার থেকে বেরিয়ে এলাম।
যেহেতু আমরা বিকালে বে্রিয়ে ছিলাম তাই বেশ খিদে পেয়ে গিয়েছিলো। ইবনেসিনায় একটি ছোট্ট খাবারের কেন্টিন আছে। সেখানে বিভিন্ন স্ন্যক্স ,চা,কফি পাওয়া যায়। আমরা কফি ও চিকেন রোল নিলাম। ওখানে বসে খেয়ে এন জি নিয়ে চলে এলাম বাসায়। বাসায় এসে যখন পৌছালাম তখন দেখি ঘড়ির কাঁটা রাত নয়টা। আপনারা সবাই আমার ভাগ্নির জন্য দোয়া করবেন। ও যেনো তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠে।সবাই ভালো থাকবেন আবার দেখা হবে নতুন কোন ব্লগ নিয়ে।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেনী | লাইফস্টাইল | |
---|---|---|
ক্যামেরা | Redmi Note A-5 | |
পোস্ট তৈরি | @selina 75 | |
তারিখ | ১৮ই নভেম্বর, ২০২৪ | |
লোকেশন | ঢাকা,বাংলাদেশ |
আমার পরিচয়
আমি সেলিনা আখতার শেলী। জন্মসূত্রে বাংলাদেশী। জন্ম,বেড়ে ওঠা চট্রগ্রাম শহরে। চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স-মাস্টার্স। দীর্ঘ দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার রক্ষায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করেছি। স্বামীর বাড়ী দিনাজপুরে,বর্তমানে ঢাকায় থাকি।ঘুরে বেড়ানো,বই পড়া,অজানাকে জানা,নিত্য নতুন রান্না ও বিভিন্ন ধরণের হাতের কাজ করা আমার শখ।দেশাত্ববোধ,দেশীয় শিল্প,সাহিত্য ও সংস্কৃতি আমার অন্যতম ভালো লাগা। এদেশে জন্মগ্রহণ করে আমি গর্বিত।
https://x.com/selina_akh/status/1858558222657089686
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বর্তমান সময়ে ডাক্তারের ভিজিট অনেক বেশি। আমারা যেখানে একটু সেবা পাওয়ার প্রত্যাশা করে সেখানে ভিজিট দিতে গিয়ে হয়ে যায়। যাই হোক সমস্যা হলে তো ডাক্তারের কাছে যেতেই হবে। দোয়া করি আপনার ভাগিনার জন্য। যেন সকল সমস্যার দূর হয়ে দ্রুত সুস্থ হয়ে যান।
ধন্যবাদ ভাইয়া।
ডাক্তারদের ব্যবহার, তাদের উৎসাহমূলক কথা, তাদের পরামর্শ পেলেই রোগীরা অর্ধেক সুস্থ হয়ে যায়। এ বিষয়টা সব ডাক্তাররা বুঝলেও প্রয়োগ করার চেষ্টা করে না। ইবনে সিনা হাসপাতাল বাংলাদেশের নাম কারা একটি হাসপাতাল। ইবনেসিনার প্রশংসা আমি আরো কয়েকজনের কাছে শুনেছি। সেখানে সার্ভিস অনেক ভালো। ধন্যবাদ।