জেনারেল রাইটিংঃভারত-বাংলাদেশের সম্প্রীতির বন্ধন দীর্ঘজীবী হোক।
শুভেচ্ছা সবাইকে।
কেমন আছেন সবাই ? আশাকরি ভালো আছেন।প্রত্যাশা করি সবসময় যেনো ভালো থাকেন। আজ ১৮ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,হেমন্তকাল। ৩রা ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ। আজ একটি জেনারেল রাইটিং আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
{source](narocy71 ভাইয়ের পোস্ট থেকে নেয়া)
জাতীয় পতাকা একটি দেশের পরিচয়। নিজস্ব প্রতীক। স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতীকও বটে।জাতীয় পতাকাকে সম্মান জানানো প্রতিটি মানুষের নাগরিক দায়িত্ব। প্রাণের গভীর থেকেই নাগরিক হিসেবে আমরা সে দায়িত্ব পালন করি।অবশ্য যারা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বে বিশ্বাস করে না, তাদের ব্যাপার আলাদা! সে ধরণের মানুষের সংখ্যা খুব একটা বেশি নেই কোন দেশেই। প্রতিটি দেশের নিজস্ব পতাকার একটা ইতিহাস আছে। আমাদের পতাকা অনেক লড়াই সংগ্রাম করে পাওয়া। পাকিস্তানি শাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করে ৩০ লক্ষ শহীদের বিনিময়ে পাওয়া আমাদের রক্ত পতাকা। আমরা আমাদের পতাকার মান রাখবো।
আমার দেশের পতাকা যেমন আমার কাছে শ্রেষ্ঠ,শ্রদ্ধার ও সম্মানের, তেমনি অন্য দেশের পতাকাও তাদের নাগরিকদের কাছে শ্রেষ্ঠ, শ্রদ্ধার ও সম্মানের।সে বোধ থেকেই আমার দেশের পতাকার পাশাপাশি অন্য দেশের পতাকার প্রতি সমান শ্রদ্ধা ও সম্মান থাকা উচিত। যারা অন্য দেশের পতাকার প্রতি অসম্মান প্রদর্শন করে তারা অনেক নীচ। তাদের দেশ প্রেম নিয়ে সন্দেহ আছে।
সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের দেশে(বাংলাদেশ) ও প্রতিবেশী বন্ধু দেশ ভারতে জাতীয় পতাকা অবমাননা নিয়ে অপ্রিতিকর ঘটনা ঘটেছে। আমরা এই ধরণের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। ঐতিহাসিক ভাবেই বাংলাদেশ ও ভারত একে অপরের পরীক্ষিত বন্ধু। আমার বিশ্বাস সাময়িক বন্ধুত্বের ফারাক তৈরি হলেও দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বের যে বন্ধন তা অটুট থাকবে।
সেই ব্রিটিশ আমল থেকেই ধর্মীয় বিভাজনের রাজনীতির যে বিষবাষ্প রোপিত হয়েছে আমাদের ভারত উপমহাদেশে তা থেকে আমরা বের হতে পারিনি। একটি কুচক্রীমহল সেই বিষবাষ্প সফল ভাবে ছড়িয়েছে বিভিন্ন সময়ে।এবারো সে চেষ্টা করেছিল কিন্তু ভারত -বাংলাদেশের শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ তা রুখে দিয়েছে। কবি রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহর একটি কবিতার লাইন মনে পড়ছে "জাতির পতাকা খামছে ধরেছে আজ পুরানো শকুন'। সেই পুরানো শকুনদের অতীতের মত রুখে দিবে ভারত-বাংলাদেশের অসাম্প্রদায়িক চেতনার লড়াকু মানুষরা।ধর্ম যার যার, পৃথিবীটা সবার। এই পৃথিবীর দুটি দেশ বাংলাদেশ -ভারত।দীর্ঘদিনের সম্প্রীতির যে বন্ধন তাতে সাময়িক মনকষাকষি হলেও এই সম্প্রীতির বন্ধন অটুট থাকবে। দেশে দেশে যে বন্ধুত্ব সেটা ছাড়িয়ে দেশের মানুষে মানুষে বন্ধন আরো দৃঢ় হোক।
ভারত-বাংলাদেশের সম্প্রীতির বন্ধন দীর্ঘজীবী হোক।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেনী | জেনারেল রাইটিং |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @selina 75 |
তারিখ | ৩রা ডিসেম্বর, ২০২৪ ইং |
লোকেশন | ঢাকা,বাংলাদেশ |
আমার পরিচয়
আমি সেলিনা আখতার শেলী। জন্মসূত্রে বাংলাদেশী। জন্ম,বেড়ে ওঠা চট্টগ্রাম শহরে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স-মাস্টার্স। দীর্ঘ দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার রক্ষায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করেছি। স্বামীর বাড়ী দিনাজপুরে,বর্তমানে ঢাকায় থাকি।ঘুরে বেড়ানো,বই পড়া,অজানাকে জানা,নিত্য নতুন রান্না ও বিভিন্ন ধরণের হাতের কাজ করা আমার শখ।দেশাত্ববোধ,দেশীয় শিল্প,সাহিত্য ও সংস্কৃতি আমার অন্যতম ভালো লাগা। এদেশে জন্মগ্রহণ করে আমি গর্বিত।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ভারত আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র, তাদের পতাকার অবমাননা মানে আমাদের সবার অসম্মান। যাইহোক এরকম অতিরঞ্জিত এবং বিকৃত মানসিকতার কাজ করা একদমই ঠিক নয়। আমাদের সবার উচিত মানসিকতা ঠিক রেখে পরস্পরের সাথে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলা। বেশ গুছিয়ে লিখেছেন আপু।
কেবল ভারত নয় কোন দেশের পতাকাই অবমাননা করা উচিত নয়। এটা উদ্দেশ্য প্রনোদিত কিছু মানুষের কাজ।
একটি দেশের পতাকা হল অস্তিত্বের অনেক বড় সম্মানের। সেজন্য সেই সম্মানকে কেউ আঘাত করলে কেউই ঠিক থাকতে পারে না। যার যার জায়গা থেকে প্রতিটা দেশের অনুভূতির জায়গাগুলোকে রেসপেক্ট করা উচিত।
আমরা যদি শিক্ষিত হই তবে এ কাজ কখনই করা ঠিক নয়।
ভারত বাংলাদেশের এই সম্পর্ক এই ভাতৃত্ব এই বন্ধুত্ব অনেক আগে থেকেই। তবে এখন একটা শ্রেণির মানুষ তাদের স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য একটা বিভেদ সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। যার একটা ঘৃণিত দিক পতাকা অবমাননা করা। আমরা মোটেই এটার পক্ষে না। আশাকরি এমন উদ্বেগজনক পরিস্থিতি খুব দ্রুতই ঠিক হয়ে যাবে।
কোন বিবেকবান মানুষেই এর পক্ষে হতে পারে না। পতাকার অবমাননা করা একটি ঘৃনিত কাজ।