🌙 " একজন চা লাভারের চাঁদ রাতের কিছু অনুভূতি "
আমার বাংলা ব্লগ এ সবাইকে স্বাগতম
হ্যালো বন্ধুরা,
মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার প্রিয় "আমার বাংলা ব্লগ"এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ,কেমন আছেন সবাই?আশা করি সবাই ভাল আছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ আল্লাহ্র অশেষ রহমতে বেশ ভাল আছি।আর প্রতিনিয়ত ভালো থাকার চেষ্টা করে যাচ্ছি। আশাকরি আপনারা ও এমনটাই চেষ্টা করে যাচ্ছেন ভালো থাকার।
আমি @shimulakter, আমি বাংলাদেশের একজন নাগরিক।আমার বাংলা ব্লগএর আমি একজন নিয়মিত ইউজার।আমি ঢাকা থেকে আপনাদের সাথে যুক্ত আছি।প্রতিদিনের মতো আমি আজও নতুন একটি ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি।আমি প্রতিনিয়ত চেষ্টা করি পোস্টের ভিন্নতা আনার।আজ ও এর ব্যতিক্রম হয়নি।আজ আমি ঈদের আগের দিন অর্থাৎ চাঁদ রাতের কিছু অনুভূতি শেয়ার করতে চলে এলাম।
একজন চা লাভারের চাঁদ রাতের কিছু অনুভূতিঃ
বন্ধুরা,আজ ঈদের দ্বিতীয় দিন।ঈদের আনন্দ কিন্তু সাত দিনই থাকে।আর সবচেয়ে বেশী আনন্দ উপভোগ করি আমি চাঁদ রাতে।সবাই মিলে হই হুল্লোড় করে সময় কাটাতে ভীষণ ভালো লাগে। যেহেতু এবার মায়ের বাসায় ঈদ করতে এসেছি।তাই রান্নার টেনশন একদমই নেই আমার।তাইতো চাঁদ রাতে বাইরে বেড়িয়েছিলাম শহরের অবস্থা বুঝতে।তারই কিছু অনুভুতি আজ শেয়ার করছি আপনাদের সাথে।আশাকরি আপনাদের কাছে ও ভালো লাগবে।
চাঁদ রাতের সন্ধ্যায় ইফতার শেষ করে নামাজ আদায় করি।এরপর বড় ভাবি চা করলো চা পান করে ভাইয়ের মেয়েকে নিয়ে বের হলাম ওয়ারী এলাকার মানুষের সর্বশেষ কেনাকাটা দেখতে।এই ওয়ারী এলাকায় এতো এতো শোরুম আছে তা বলার মতো নয়।প্রথমে ছাদে গিয়ে চাঁদ দেখি।এরপর রিকশা নিয়ে বেড়িয়ে পরি।সত্যি কথা বলতে গাড়ি থেকে রিকশায় চড়ে ঘুরে বেড়াতে আমার খুব ভালো লাগে।
রাস্তায় বেড়িয়ে দেখি মানুষের ঢল নেমেছে।সব মানুষ মনে হয় বের হয়ে গিয়েছে বাসা থেকে।আমরা রিকশা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিলাম।ঘুরে ঘুরে এপথ ওপথ দেখছিলাম।এমন সময় ভাইয়ার মেয়ে লামিয়া একটি দোকান দেখিয়ে বলল ডেকে,ফুপি এই দোকানের পনির চা ভীষণ মজার।আমিতো আগেই বলেছি আমি চা লাভার।তবে এমনটা কিন্তু নয় যে আমি দিনে অনেকবার চা খেয়ে থাকি।আমি দিনে দু কাপ চা ই পান করি।এর বেশি নয়।তবে চা দুই বেলা খেতেই হবে,অন্য কোন খাবার না খেলে ও। যাই হোক রিকশা নিয়ে ঘুরতে ঘুরতে অন্য কিছু খাওয়ার ইচ্ছে না হলেও চা আর একবার পান করাই যায়।কেননা আমার জীবনী শক্তি হচ্ছে চা।চা পান করলেই আমার ফুল এনার্জি আমি পাই।
এরপর চা এর দোকানে রিকশা থামিয়ে দুকাপ পনির চা নিলাম।এরপর গল্প করতে করতে চা খেতে খেতে ওয়ারী এলাকাটা ঘুরে ঘুরে দেখলাম।ঘন্টা খানেক সময় পার হয়ে গেলো।ভাবলাম বাসায় যাওয়ার পথে ছেলের জন্য পিজ্জা নিয়ে নেই।কারন ছেলে আমার পিজ্জা ভীষন পছন্দ করে।এরপর একটি পিজ্জার দোকানে রিকশা থামিয়ে পিজ্জা নিয়ে নিলাম।এবারের চাঁদ রাতের অনুভূতি অনেকটাই ভিন্ন ভাবে কাটলো।বাসায় থাকলে সন্ধ্যার পর থেকেই ঈদের বেশকিছু আইটেম রান্না করে রাখতে হতো।এবার আর সেই চিন্তা ছিল না।তাই চাঁদ রাতে রিকশায় করে ঘুরে ঘুরে পনিরের চা খেতে ভীষণ ভালো লাগছিলো।চা লাভার আমি।রঙ চা ছাড়া দুধ চা,মালাই চা সব চায়ের স্বাদই ভীষণ মজার।এবার খেলাম পনির চা।এ এক অন্য রকম অনুভূতি।রিকশায় বসে ঘুরে ঘুরে চা খাওয়ার আনন্দ সম্পুর্নই অন্য রকম আমার মতো যারা চা লাভার তারা রিলাক্স মুডে রিকশায় চড়ে চা খেয়ে এই অনুভূতিটা ট্রাই করে দেখতে পারেন।ভীষন আনন্দময় এক অনুভূতি।কারন পরের দিন কিন্তু ঈদ।সবাইকে ঈদ মোবারক বন্ধুরা।
আজ আর নয়।আশাকরি আমার ব্লগ আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে।আপনাদের কাছে মনের অনুভূতি গুলো শেয়ার করতে পেরে ভীষণ ভালো লাগলো।সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন।আবার নতুন কোন ব্লগ নিয়ে হাজির হবো।
পোস্ট বিবরন
শ্রেনি | ভ্রমন |
---|---|
প্রয়োজনীয় ডিভাইস | OPPO Reno 4 Z 5G |
ফটোগ্রাফার | @shimulakter |
স্থান | ঢাকা,বাংলাদেশ |
আমার পরিচয়
আমি শিমুল আক্তার।আমি একজন বাংলাদেশী।বাংলাদেশ ঢাকা থেকে আমি আপনাদের সাথে যুক্ত আছি।আমি এম এস সি ( জিওগ্রাফি) কমপ্লিট করি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। আমি বিবাহিতা।আমি একজন গৃহিণী।আমি একজন স্বাধীনচেতা মানুষ। ভালোবাসি বই পড়তে, নানা রকমের রান্না করতে আর নতুন নতুন রেসিপি করে সবাইকে খাওয়াতে ভালোবাসি।ফটোগ্রাফি করতে আমি ভীষণ পছন্দ করি।বাংলায় লিখতে আর বলতে পারার মধ্যে অনেক বেশী আনন্দ খুঁজে পাই।নিজের মধ্যে থাকা সৃজনশীলতাকে সব সময় প্রকাশ করতে পছন্দ করি।এই বাংলার মাটিতে জন্মগ্রহণ করেছি বলে নিজেকে অনেক ধন্য মনে করি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
💯⚜2️⃣0️⃣2️⃣4️⃣ This is a manual curation from the @tipu Curation Project.
Also your post was promoted on 🧵"X"🧵 by the account josluds
@tipu curate
Upvoted 👌 (Mana: 5/6) Get profit votes with @tipU :)
শুনে অনেক ভালো লাগলো আপু চা দুই বেলায় খেতেই হবে,অন্য কোন খাবার না খেলে ও।ঠিক বলেছেন আপু মায়ের বাসায় বেড়াতে গেলে রান্নার টেনশন থাকে না ।সেই দিনটা মনে হয় আরো আনন্দে কাটে ।ধন্যবাদ আপু চা খাওয়ার কিছু মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু।
খুব সুন্দর একটি অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আগে আমরা চাঁদ দেখার জন্য রাস্তায় জড়ো হতাম। এখন আর সেই দিন নেই তারপরে আপনারা ছাদে উঠে চাঁদ দেখেছেন। এরপর রিকশায় ঘুরে বেড়ানোর অনুভূতি পাশাপাশি খাওয়া দাওয়া আরো বিস্তারিত আমাদের মাঝে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন দেখে অনেক কিছু জানতে পারলাম। বেশ ভালো লাগলো আপনার আজকের এই ব্লগ আশা করি ঈদের দিন খুব সুন্দর ভাবে অতিবাহিত করেছেন। আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
মন্তব্য শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
পনির চা খাওয়া হয়নি তবে আপনার পোস্ট পড়ে মনে হচ্ছে পনির চা এর টেস্ট নেওয়া খুবই জরুরী। চাঁদরাতে রিকশায় একসাথে ঘুরাঘুরি শেষে এরকম চায়ের স্বাদ নেওয়াটাও আলাদা মজা যাইহোক আপনার কাটানো সুন্দর মুহূর্তটা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া পোস্ট পড়ে সুন্দর মন্তব্য শেয়ার করার জন্য।
আপনার মত আমারও রিক্সায় বসে ঘুরতে বেশি মজা লাগে।ঠিক বলেছেন আপু বাবার বাড়িতে ঈদে আসার পর কোন কাজ করতে হয় না এই একটা ঝামেলা মাথা থেকে দূর হয়।আপনার ঘুরাঘুরির মুহূর্ত পরে বেশ ভালো লাগলো সেই সাথে পনির চা খাওয়ার অভিজ্ঞতা জেনে।ধন্যবাদ পনির চা খাওয়া এবং সাথে ঘুরাঘুরির সুন্দর মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য।