ঝটিকা সফরের শেষ মুহূর্ত

in আমার বাংলা ব্লগ11 months ago

যেহেতু শীতকাল চলছে, তাই মোটামুটি কয়েকদিন আগে শ্বশুরবাড়িতে হঠাৎই এসেছি। বলতে গেলে অনেকটা শাশুড়ির অনুরোধে। তাছাড়া যেহেতু, আমাদের বাসা থেকে আমার শ্বশুরবাড়ির দূরত্ব কমপক্ষে ৩০ মিনিটের পথ, তাই খুব একটা সমস্যা হয় না যাতায়াত করতে। বরং যখন ইচ্ছা তখনই যাওয়া আসা করা যায়।

যদিও আমার শ্বশুরবাড়িতে খুব একটা বেশি আসতে ইচ্ছে করে না, তবে বাবুকে নিয়ে আমি আর হীরা কোনভাবেই কুলিয়ে উঠতে পারিনা। কেননা দেখা যায় শহরাঞ্চলে সারাদিন বাবুকে নিয়ে ঘরের মধ্যে বন্দী হয়ে থাকতে হবে, যদিও বিকেল বেলার দিকে টুকটাক ঘোরাফেরা করি, তবে সেটা বাবুর জন্য মোটেও যথেষ্ট নয়। এক কথায় বলতে গেলে, বাবু অনেকটা নিঃসঙ্গ জীবনযাপন করে শহরে।

20231227_164828.jpg

20231227_170344.jpg

20231227_170329.jpg

20231227_164834.jpg

20231227_164800.jpg

20231227_164753.jpg

20231227_164746.jpg

20231227_164718.jpg

20231227_164704.jpg

20231227_170631.jpg

20231227_170613.jpg

20231227_170600.jpg

20231227_183442.jpg

20231227_183349.jpg

20231227_183303.jpg

20231227_181905.jpg

20231227_181902.jpg

20231227_181839.jpg

20231227_181828.jpg

20231227_183718-01.jpeg

আর গ্রামে আসলে বাবু এমনিতেই অনেক খেলার সাথী পেয়ে যায়, যার কারনে গ্রামে আসলে বাবু অনেকটাই স্বাধীন মত থাকতে পারে। তাই বাধ্য হয়ে আমাদের প্রতি মাসের মধ্যে এক-দুবার করে গ্রামে আসতেই হয়। বলতে গেলে শহরে মাসের অর্ধেক সময় আর বাকি অর্ধেক সময় গ্রামে।

এবারও ঝটিকা সফরে গ্রামে এসেছিলাম, এবার মূলত আমার শাশুড়ি আমাদের শীতের পিঠা খাওয়ার দাওয়াত দিয়েছিল। যদিও সেই সংক্রান্ত বিষয় আপনারা হীরার পোস্টে শীঘ্রই দেখতে পারবেন। তবে যেহেতু গ্রামে এসেই গিয়েছে, তাই কিছুটা সময় নিজের মতো করেই কাটাচ্ছিলাম।

আজ বিকাল থেকে সন্ধ্যাবেলা পর্যন্ত, অনেকটা সময় গ্রামের বাজারে ছিলাম। চেষ্টা করেছিলাম পরিচিত এক ছেলের সঙ্গে স্কুলের খেলার মাঠে, মানে যেখানে নতুন শহীদ মিনার তৈরি হয়েছে সেই জায়গাটাতে সময় কাটানোর জন্য এবং পরবর্তীতে কিছুটা সময় রাস্তায় হাঁটাহাঁটি করেছিলাম। তারপর যখন সন্ধ্যা নেমে আসলো , তখন চায়ের দোকানে গ্রামের লোকজনের সঙ্গে কিছুটা সময় কুশল বিনিময় করেছিলাম।

এছাড়াও মাঝবয়সী গ্রামের যে লোকজন গুলো প্রতিনিয়ত যে স্থানে ক্যারাম বোর্ড খেলে সেদিকটাতেও গিয়েছিলাম। অতঃপর বাড়ি ফেরার পথে পুনরায় কিছুটা সময়ের জন্য স্কুল মাঠে গিয়ে দেখি, গ্রামের যুবকরা ব্যাডমিন্টন খেলা নিয়ে বেশ ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। এটা দেখে নিজের কাছে বেশ ভালই লেগেছে, কেননা আজকাল শহুরে জীবনের ছোঁয়া যেন লেগেছে, প্রান্তিক মানুষের জনজীবনে।

যেহেতু আগামীকালই আবারো ফিরে যাবো সেই যান্ত্রিক জীবনে, তাই শেষ মুহূর্তে এসে গ্রামীণ জীবনের এই ব্যাপারগুলো বেশ ভালোভাবেই উপভোগ করলাম।

Banner-16.png

ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht


20211003_112202.gif


JOIN WITH US ON DISCORD SERVER

banner-abb4.png

Follow @amarbanglablog for last updates


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 11 months ago 

সত্যি বলতে ভাইয়া গ্রামের মজা একদমই আলাদা। তবে এটা ঠিক বলেছেন শহরে থাকতে থাকতে বাবু নিঃসঙ্গতায় ভুগতে হচ্ছে। কারণ বাসার মধ্যে কিবা করতে পারে। খেলাধুলারাও তেমন একটা সুযোগ থাকে না শহরে তাই গ্রামই ভালো। পরিশেষে গ্রাম্য বাজারে পরিচিত লোকসহ ভালই সময় কাটিয়েছেন। আর স্কুলের শহীদ মিনারটি চমৎকার হয়েছে।ধন্যবাদ এত চমৎকার একটি অনুভূতি শেয়ার করার জন্য।

মাঝে মাঝে গ্রামীণ পরিবেশে সময় কাটাতে পারলে আসলেই অনেক ভালো লাগে । আর শহরে থাকা বাচ্চারা আসলেই এখন নিঃসঙ্গ জীবন যাপন করছে । খেলাধুলার কোন জায়গা নেই তাদের জন্য ।সেজন্য আপনার শ্বশুরবাড়ির কাছে হওয়াতে বেশ সুবিধা হয়েছে । ইচ্ছে হলেই সেখানে চলে যেতে পারছেন গিয়ে গ্রামীন পরিবেশের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারছেন। সেই সাথে আপনার বাচ্চার ও সময়টা বেশ ভালো কেটেছে । আপনার পোস্টটা পড়ে ভালো লাগলো ভাই। ধন্যবাদ আপনাকে।

 11 months ago 

এটা একদম ঠিক বলেছেন ভাই, কাছে শ্বশুরবাড়ি হওয়াতে এদিক থেকে আমি কিছুটা শান্তিতেই আছি।

 11 months ago 

গ্রামের পরিবেশ ভালোই লাগে। আমি যেহেতু গ্রামের ছেলে গ্রামের পরিবেশই আমার ভালো লাগে। বাবু যেহেতু বাসায় একা ফিল করে এজন্য গ্রামে গিয়ে ভালোই করেছেন। তবে কর্মব্যস্ততার কারণে আমাদের ছুটে চলতে হয় শহরের দিকে

 11 months ago 

বেশ চাপের ভিতরে থাকতে হয় ভাই, বলা যায় এখানে কিছুদিন ওখানে কিছুদিন এভাবেই চলছে জীবন।

 11 months ago 

শায়ান তার নানি মনি এবং খালা মনির কাছে থাকতে অনেক বেশি পছন্দ করে। আর শহরের চার দেয়ালের মাঝে বন্দী থাকতে তার একদমই ভালো লাগেনা। তাই গ্রামের দিকে গেলে সে অনেক খুশি হয়ে যায়। আর এই সময় গ্রামের বাসায় পিঠার উৎসব শুরু হয়ে গেছে। ঘরে ঘরে পিঠা তৈরি করা হচ্ছে। যাই হোক ভাইয়া গ্রামের বাসায় গিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো।

 11 months ago 

এটা সত্য বলেছেন আপু, যে আমার বাবুটা আসলেই তার নানীর বাড়িতে থাকতে বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে।

 11 months ago 

হীরা আপুদের বাসায় তো অনেক মানুষজন রয়েছে এবং খোলামেলা জায়গা অনেক। এমন জায়গায় থাকতে বাচ্চারা অনেক পছন্দ করে। যাইহোক শীতকালে শ্বাশুড়ি তো পিঠা খাওয়ার দাওয়াত দিবেই,তাই ইচ্ছে না থাকলেও যেতে হয় ভাই। আমিও কিছুদিন আগে শ্বাশুড়ির হাতের বিভিন্ন ধরনের পিঠা খেয়েছিলাম বেড়াতে গিয়ে। আজকে সন্ধ্যার পরও পিঠা তৈরি করে বাসায় পাঠিয়ে দিয়েছিল শ্বাশুড়ি। যাইহোক খেলার মাঠটি তো খুব সুন্দর। ছোটবেলায় আমাদের দিকেও বড় বড় মাঠ ছিলো। ক্যারাম খেলা হয় না অনেক দিন হলো। ক্যারাম খেলার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। সবমিলিয়ে বেশ ভালো লাগলো পোস্টটি। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।

Posted using SteemPro Mobile

 11 months ago 

আমিও এক সময় ক্যারাম খেলতাম ভাই,তবে সময়ের বিবর্তনে সব হারিয়ে ফেলেছি।

 11 months ago 

বাচ্চারা শহরের বদ্ধ পরিবেশে একেবারেই থাকতে পারেনা এবং থাকতে চাইনা। সেক্ষেত্রে তারা গ্রামের খোলামেলা পরিবেশ বেশ পছন্দ করে আপনার ছেলে শায়ানের মতো। আর গ্রামের জীবন টা বেশ প্রাণবন্ত বলতে হয়। বিকেলে গ্রাম‍্য পরিবেশে ঘোরাফেরা পাশাপাশি সন্ধ‍্যা হলেই চায়ের দোকানে আড্ডা। এক্ষেত্রে আপনি আবার দেখছি কিছুক্ষণ ক‍্যারাম খেলাটাও উপভোগ করেছেন ভাই।

Posted using SteemPro Mobile