লুকিয়ে দেখবে || @shy-fox 10% beneficiary
আমি খুব একটা ভিড়ভাট্টা পছন্দ করি না। একদম বলতে পারেন, আমি নিরিবিলি থাকতে পছন্দ করি। কারন আমার মাথায় কখন কি খেলে, এটা বলা খুব মুশকিল । কারণ আমি নিজের মতো করে ভাবতে পছন্দ করি । নিজের মতো করে সবটা জায়গায় কাজ করতে পছন্দ করি। এতে কে কি বলল , তাতে আমার কোন যায় আসে না। কারণ দিনশেষে আমি বুঝি যে, আমি কোনটা ঠিক করছি আর কোনটা ভুল করছি। কারণ নিজের মত করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার চেষ্টা, আমি প্রতিনিয়তই করে যাই । আমি বিশ্বাস করি, আমার সিদ্ধান্ত যদি কাউকে কখনো কষ্ট না দেয়, তাহলে আমি মনে করি, দিন শেষে আমি আমার জায়গা থেকে কিছুটা হলেও সফল।
পুরো বাড়ি লোকজন দিয়ে ভর্তি। কি একটা অবস্থা, সবাই প্লেট নিয়ে নিজ নিজ আসনে বসা নিয়ে ব্যস্ত এবং একটু পরেই খেতে দেবে। সবাই মনোযোগ দিয়ে দেখছে, কখন ভাত আসবে কখন তরকারি আসবে। যাইহোক ব্যপারগুলো আমি অনেকক্ষণ থেকে দেখছিলাম । এ ব্যাপারগুলোতে আমার খুব একটা বেশি আগ্রহ থাকে না। তাই আমি কোন মতো করে বড় ভাইকে বললাম যে, ভাই এই জায়গায় আমি খুব একটা বেশি কমফোর্ট ফিল করছি না। তুমি একটু এদিকটা সামলাও, আমি একটু নিজের মতো করে সময় কাটাতে চাই।
সদ্য জন্মানো করোলা গাছটা খুব সুন্দর করে, একদম টিনের বেড়া ধরে বেড়ে উঠেছে। আমি জানিনা কে এই গাছটা লাগিয়েছে বাড়ির পাশে।তবে যখন দাদু ভাইয়ের কাছ থেকে জানার চেষ্টা করলাম, তখন ব্যাপারটাতে আমি কিছুটা হলেও হতবাক হয়ে গিয়েছি। গাছটা যে লাগিয়েছে সে আর পৃথিবীতে নেই কিন্তু তার লাগানো গাছটি এখনো ভালোভাবে সতেজ ও প্রাণবন্ত হয়ে আছে।
আসলে গ্রামের বাড়িতে মোটামুটি, খুব একটা বাহির থেকে সবজি কিনতে হয় না বললেই চলে। কারন ছোট মা মোটামুটি সব কিছুর চারা রোপণ করেছিল বাড়িতে । যেহেতু খামারবাড়ি ছিল, তাই মোটামুটি সময় করেই বিভিন্ন শাক সবজি চাষাবাদ করেছিল আর এই সবজি গুলো চাষাবাদ করতে , খুব একটা বেশি কষ্ট করতে হয় না । এগুলো খুব সহজেই জন্মায় ।
এখনো সদ্য ফোঁটা ফুল গুলো যেন বারবার হিমেল হাওয়ায় দোল খাচ্ছে। সৌন্দর্যতা ছড়াচ্ছে চতুর্দিকে এবং মোটামুটি ভালো ভাবে ধরেছে কয়েকটা করোলা । সেগুলো দেখতেও বেশ সুন্দর হয়েছে। দেখেই বোঝা যাচ্ছে, খুব যত্ন নেওয়া হয়েছিল গাছটার প্রতি । এখন আমার খুব চিন্তা হচ্ছে , এই গাছটা কদিন বাঁচবে কেইবা এই গাছটার যত্ন নেবে, এটা ভেবে ।
কিছু কথা চিন্তা করলে, আসলে মাথার একটা পাশটা ইদানিং একটু ব্যথা করে । যাইহোক খুব করে মনোযোগী হয়ে গিয়েছি ছবি তুলতে ও গাছটার দিকে । বড় ভাইয়া হুট করে ডাক দিয়ে বলল, কিরে শুভ তোর কি কোনো কাজ নেই। বাড়িতে এসেছিস কি, শুধু ছবি ছবি তুলতে নাকি । এদিকটায় একটু সময় দে, লোকজনতো চিল্লাচিল্লি করছে, তাদেরকে তো সঠিক ভাবে খেতে দিতে হবে ।
হুট করে আজ যখন, ছবিগুলো দেখছিলাম। তখন আবার সেই করলা গাছের কথা মনে পড়ে গেল। জানিনা সেই গাছের এখন কি অবস্থা, কে তার যত্ন নেয়, এটাও এখন আর আমার জানা নেই । তবে সম্ভবত চল্লিশ দিন পর, আবারো সেই বাড়িতে যাব। জানিনা গিয়ে দেখবো কিনা, গাছটা আছে কিনা। তবে যে মানুষটা গাছটার যত্ন নিচ্ছিল, হয়তো সে লুকিয়ে লুকিয়ে উপর থেকে দেখবে , তার সাজানো বাগান গুলো , দেখবে তার সাজানো বাগানবাড়িটা ।।
ডিসকর্ড লিংক:
https://discord.gg/VtARrTn6ht
আপনার মতো আমিও ভাই লোকজনের মধ্যে থাকতে পছন্দ করিনা। ছোটবেলা থেকেই আমার নিরিবিলি পরিবেশ পছন্দ।
এবং এটাও ঠিকই বলেছেন গ্রামে সবজি খুব একটা কিনতে হয় না। এই যেমন আমাদের রান্না ঘরের চালে লাউ, কুমড়া, পুইশাক এগুলো হয়। এতে আলাদা কোনো জায়গার কিন্তু প্রয়োজন হয় না।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
💖💖
এই ব্যাপারগুলো ভাবলে খুবই স্বাভাবিক লাগে। কিন্তু যখন ব্যাপারগুলো একটু মনোযোগ দিতে ভাবতে যাই তখন খুব কষ্ট লাগে আসলে। যে এই গাছটা লাগয়েছিলো সে নিশ্চয় ভেবেছিলো এই গাছগুলোর খুব যত্ন নিবো বা এমন কিছু।কিন্তু সে আজকে আর নেই। যাক সেসব, তিনি যেনো ভালো থাকে এটাই চায়। আর আসলেই হয়তো তিনি লুকিয়ে দেখছেন।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
আসলে একটা কথা আমাদের মানতেই হবে, যে নিঃশাস এর কোনো বিস্বাস নেয় , দিন শেষে এটাই সত্য কথা বলে বলে প্রমানীত হয় , আর বাকি সব মিথ্যা , যারা আমাদের ছেড়ে চোলে যায় জানিনা তারা আমাদের দেখতে পাই কিনা , তবে তাদের কিছু করে যাওয়া কাজ আমাদের তাদের কথা সবসময় স্মরণ করিয়ে দেয়। অনেক সুন্দর করে কথা গুলু বললেন ভাইয়া।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
এই ব্যাপারগুলো নিয়ে ভাবলে মনে এক নিদারুণ বিষণ্নতা কাজ করে।মানুষের জীবন কত স্বল্প।আজ যার লাগানো গাছ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে একদিন সেও নুয়ে পড়বে মাটিতে।ধন্যবাদ ভাইয়া।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
ভাই আপনার হৃদয় বিদায়ক এই অনুষ্ঠান এবং অনুষ্ঠানের মাঝেও আপনি একাকীত্ব খুঁজে বেড়িয়েছেন। এবং কি গিয়ে দেখতে পেলেন একটা করলা গাছ জানতে চেয়েছেন কে লাগিয়েছে জানার পরও অবাক হলেন এখন কে দেখবে। আসলে ভাইয়া মানুষ চিরদিন বেঁচে থাকে না মানুষের কর্ম মানুষকে বাঁচিয়ে রাখে। আল্লাহর দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন এবং কি ভালো মন্দ সবকিছু আল্লাহ হাতে। উনি চাইলে এই গাছটা এক বছর নয়, দুই বছর নয়, বহু বছর থাকবে। আর উনি না চাইলে এই গাছটা একদিন থাকবে না। তবে আমাদের মাঝে আপনার এই চিন্তাধারার এবং কি এই গাছের জন্য আপনি যেই চিন্তা করছেন গাছের মালিকের জন্য যে চিন্তা করছেন সেটা খুবই গভীর। এটা আমার পক্ষে ও কল্পনা করা সম্ভব নয়। অনেক সুন্দর করে গুছিয়ে লিখেছেন। আবার ৪০ দিন পর যখন বাড়ি যাবেন অবশ্যই জানাবেন যে গাছটি আছে কি না। আপনার জন্য ভালোবাসা অবিরাম ভাইয়া।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
যিনি এই করলা গাছটি লাগিয়েছেন তিনি আর এই পৃথিবীতে নেই এই কথাটির মধ্যে অনেক গভীর অর্থ রয়েছে। এই পৃথিবীতে আমরা ক্ষণিকের অতিথি। আমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন কাজ কর্মে ব্যস্ত থাকি। নতুন কিছু তৈরি করি সব সময়। আমাদের সৃষ্টিগুলো আজীবন থাকবে কিন্তু আমরা হয়তো একদিন হারিয়ে যাবো। তবে আমরা আমাদের কাজের মাধ্যমে হয়তো বেঁচে থাকব। আমরা যখন একটি বৃক্ষরোপণ করি তখন ভাবতেও পারিনা যে এই গাছের ফল আমরা খেতে পারব। কারণ মৃত্যুর হাতছানি আমাদের জন্য অপেক্ষায় থাকে। তবে আপনার কথাগুলোর মাঝে অনেক কষ্ট খুঁজে পেলাম। হয়তো সেই প্রিয় গাছটির যত্ন নেওয়ার মতো আর কেউ থাকলো না। সময়ের সাথে সাথে হয়তো এই সজীব গাছটিও নির্জীব হয়ে যাবে আমাদের জীবনের মত। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
তাত্ত্বিক মনেই পারে তাত্ত্বিকতা সাজাতে। বহুদর্শিতা জীবনের সবচেয়ে বড় শক্তি। ষা কখনো হারেনা,থামেনা বা আপোষ করেনা। আর উপলব্ধি, সে অন্তর চোখের আগেই চলে। আরও বড় হোন,এই কামনায়....
ভাই আপনার পোস্টটি পড়ে খুবই ভালো লেগেছে আমার। ভাইয়া আমি নিজেও অনেক নিরিবিলি থাকতে পছন্দ করি ভাই আপনার বাগানের করলার ফটোগ্রাফি গুলো খুবই চমৎকার হয়েছে। ভাই আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।