আলমডাঙ্গা বাজার থেকে কেনাকাটার মুহূর্ত
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমি আপনাদের দোয়ায় আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো আছি। সকলকে শুভকামনা জানিয়ে শুরু করছি আজকের একটি পোস্ট। আজকে আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি আলমডাঙ্গা বাজার থেকে সিট কাপড় কেনার অনুভূতি নিয়ে সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করতে।
আপনারা অনেকেই জানেন আমি চুয়াডাঙ্গার অন্তর্গত আলমডাঙ্গা হাট বোয়ালিয়া নামক স্থানের পার্শ্ববর্তী গ্রামের সন্তান। বিবাহের সূত্রে মেহেরপুরের গাংনী থানা আমার পরিচয়। তবে গাংনী থানার লাস্টের গ্রাম এর পাশে আমাদের গ্রামটা। আলমডাঙ্গা থানার লাস্টের গ্রাম গাংনী থানার গ্রামের সাথে যুক্ত। তাই বলতে পারেন দুই থানার মধ্যবর্তী স্থানে আমাদের মায়ের বাসা। আর সে থেকে এই দুই থানাতেই আমার চলাচল লেখাপড়া অথবা কেনাকাটা সহ বিভিন্ন কারণে। বিশেষ বিশেষ প্রয়োজনে আলমডাঙ্গা অথবা চুয়াডাঙ্গা উপস্থিত হতে হয়। ঠিক তেমনি একদিন উপজেলা পরিষদে উপস্থিত হয়েছিলাম বিশেষ প্রয়োজনে। প্রয়োজন শেষে বাজারের দিকে এসেছিলাম থ্রিপিস সিট কাপড় জাতীয় জিনিস কেনা কাটা করার জন্য। বাজারে অনেকগুলো দোকান থাকা সত্ত্বে এই দোকানটা আমাদের বেশ পরিচিত হয়ে উঠেছে দীর্ঘদিন কেনাকাটার জন্য। তাই প্রথমে অন্য কোন দোকানে না গিয়ে এই দোকানে এসে উপস্থিত হয়েছিলাম।
দোকানদার মধ্যে লক্ষ্য করে দেখলাম ছোট বড় সকল মেয়েদের বোরখা শাড়ি সিট কাপড় থ্রি পিসসহ অনেক কিছু রয়েছে। প্রথমে আমি আবার নিজের জন্য এবং ছোট বোনের জন্য থ্রি পিস দেখতে চাইলাম। দেখলাম এখানে গজ কাপড় বিছানার চাদরসহ অনেক কিছুই রয়েছে। একের পর এক দেখতে থাকলাম। বাজারে আসলে একটা সমস্যা। জিনিস যদি একটা বা দুইটা কিনতে চাই অনেক রকমের সুন্দর সুন্দর ডিজাইনের থ্রি পিস দেখলে যেন কোনটা নেব আর কোনটা নিব না এমনটা পর্যায় চলে আসে। আবার আর একটা ঝামেলা সৃষ্টি হয় দাম যদি হয় ১০০০ টাকা বলে বসে ২ হাজার টাকা। এজন্য দামাদামি করতেও অনেক ঝামেলা। এছাড়া মায়ের জন্য শাড়ি নিতে হবে তাই থ্রি পিসের পাশাপাশি শাড়ি বের করতে বলেছিলাম।
আর এভাবেই আলমডাঙ্গা বাজারে কিছুটা সময় উপস্থিত হয়ে মায়ের জন্য শাড়ি বোনের জন্য থ্রি পিস এবং আমার জন্য থ্রি পিস গজ কাপড়ের সিট নিয়েছিলাম। তবে আমার কাছে মনে হয়েছিল গাউনি বাজারের চেয়ে অনেকটা ছাত্রই আলমডাঙ্গা বাজারে কেনাকাটা। কারণ এখানে কুষ্টিয়া থেকে ঢাকা থেকে সরাসরি জিনিস নিয়ে এসে বিক্রয় করে থাকে যার জন্য অনেকটা দাম কম নিয়ে পাওয়া যায়। আর দামাদামির বিষয়টা সব জায়গাতে একই রকম। ব্যবসিকরা তাদের তিনি বিক্রয় করতে গিয়ে এমনটাই করে থাকে। তবুও হাতের নাগালের মধ্যেই আমাদের তিনজনার জন্য প্রয়োজনে জিনিস কিনতে সক্ষম হয়েছিলাম। যেখানে মায়ের শাড়ি ছোট বোনের থ্রি পিস এবং আবার সমস্ত জিনিস মিলে ২৫০০ টাকার মধ্যে কিনতে পেরেছিলাম।
আর এভাবেই প্রয়োজনীয় জিনিস কেনাকাটা শেষে দোকানের ছেলেরা জিনিসগুলো খুব সুন্দর ভাবে ভাঁজ করে প্যাকেট করে দিলেন। এরপর আমি টাকা পরিশোধ করলাম। অতঃপর আব্বুর ভাইকে চড়ে আলমডাঙ্গা বাজার ত্যাগ করে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। আর এভাবে একদিন আলমডাঙ্গা শহরে অবস্থিত হয়েছিলাম বিশেষ প্রয়োজনে, অতঃপর প্রয়োজনীয় কেনাকাটা শেষ করে বাড়ি ফিরে আসি।
পোস্ট বিবরণ
পরিচিতি | বিশেষ তথ্য |
---|---|
নাম | @simransumon |
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | Mobile |
ব্লগিং মোবাইল | Itel vision 1 |
আমার বাসা | মেহেরপুর |
What3words Location | Gangni-Mehepur |
আমার বয়স | ২২ বছর |
আমার ইচ্ছে | আমার বাংলা ব্লগে ব্লগ করা |
সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমি মোছাঃ সিমরান জারা। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সদস্য @sumon09 এর পরিবার। আমার বাসা গাংনী-মেহেরপুর। আমার জন্ম চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা থানায়। আমি একজন গৃহিণী। আমি ফটোগ্রাফি, ভিডিওগ্রাফি ও রেসিপি করতে বেশি পছন্দ করে থাকি। এছাড় বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরি করতে ভালো লাগে। আমি এসএসসি পাশ।
একই দোকান থেকে বারবার কেনাকাটা করলে দোকানের সবাই পরিচিত হয়ে যায়। আর তখন অনেক সুবিধা হয়। আপু আপনি কেনাকাটা করতে গিয়েছিলেন জেনে অনেক ভালো লাগলো। সুন্দর করে নিজের অনুভূতি শেয়ার করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো আপু।
হ্যাঁ এটা কিন্তু ঠিক বলেছেন আপনি।
অনেক কম খরচের মধ্যে আপনি অনেক কিছু কিনেছেন দেখছি। সর্বত্রই দরকষাকষি চলে৷ বাড়ির লোকজন নিশ্চই নতুন জামাকাপড় পেয়ে খুব খুশি হয়েছেন? আপনি আপনার সমস্ত অনুভূতিই খুব সুন্দর ও গুছিয়ে লিখেছে৷
হাই আপু অনেক খুশি হয়েছিল সবাই