আজকে আমি আপনাদের সামনে একটা অন্যরকম টপিক নিয়ে কথা বলতে এসেছি। আশা করছি আপনাদের সবার ভালো লাগবে। বর্তমানে আমাদের দেশের বেকারত্বের হার বেড়েই চলেছে। বর্তমান যুগের যুবকরা পড়াশোনা শেষ করে চাকরি-বাকরি খুঁজতে খুঁজতে বয়স শেষ হয়ে যায়। বর্তমান চাকরির বাজারে সরকারি চাকরি পাওয়া সোনার হরিণের মত। বর্তমান সময়ের সবার পড়াশোনা করলে যে চাকরি হবে তার কোন নিশ্চয়তা নেই। আমার ছোট ফুফা দীর্ঘ ২০ বছর চাকরি রত অবস্থায় ছিলেন। কিন্তু চাকরির সুবাদে তাকে অনেকদিন পরিবার পরিজন ছেড়ে দূরে থাকতে হয়েছে, নিজের মতো কাজ করতে পারতেন না, বসের হুকুম মেনে সব কাজ করতে হতো, ইচ্ছে হলেই বাড়িতে এসে পরিবারের সাথে থাকতে পারতেন না বসের নানান প্রেসারে অবশেষে সিদ্ধান্ত নেন তিনি আর চাকরি করবেন না।যেই চিন্তা সেই কাজ নিজে চাকরি ছেড়ে দিয়ে এসে নিজের বাড়িতে ছোট একটা ফ্যাক্টরি খুলে বসলেন এবং গ্রামের কিছু লোকদের কাজে নিতে শুরু করলেন। সেই ফ্যাক্টরিতে ঘুরতে গিয়েছিলাম। আমাদের সবারই চাকরির উপর ভরসা না রেখে নিজে উদ্যোক্তা হওয়া উচিত। আমার পরিচিত এক মামা অনেক কষ্ট করে ছোটবেলার লেখাপড়া করে বড় হওয়ার আগে বাবা মারা যায় এরপরে মাস্টার্স পরা অবস্থায় তার মা ও মারা যায়। তিরিশ বছরের শেষের দিকে এসে অবশেষে তিনি একটা চাকরি পেলেন। কিন্তু কি হলো যে বাবা-মা ছোটবেলায় কষ্ট করে লালন পালন করলেন সেই বাবা-মা ছেলের চাকরি দেখে যেতে পারলেন না।। সেই মামারও কতটা না কষ্ট দীর্ঘ কয়েক বছর চাকরির জন্য কষ্ট করলেন মায়ের চিকিৎসা এবং ভালো থাকার জন্য অনেক চেষ্টা করলেন কিন্তু যখন তার চাকরি হল তখন তার মাই আর থাকলো না। তাই আমাদের দেশের প্রত্যেকটা যুবকের ছোট থেকে উদ্যোক্তা হওয়া উচিত। বিদেশে ছোট বাচ্চারা পড়াশোনার পাশাপাশি অন্যান্য কাজে যুক্ত থাকেন কিন্তু আমাদের দেশের প্রেক্ষাপট সম্পূর্ণ ভিন্ন সবাই চাকরির পিছনে ছোটে।

---

তো আমি আমার পুরো পরিবার ফুপার নতুন ব্যবসায় দেখতে গেলাম। ছোট্ট একটা টিনের ঘর করে তার ওপরে সম্পূর্ণ সেটাপ করেছেন। ব্যবসার কোন ছোট বড় হয় না শুরু থেকে অল্প পুজি নিয়ে শুরু করলে এবং ধৈর্য ধরে কষ্ট করতে থাকলে একসময় না একসময় সফল হওয়া যায়। চাকরির থেকে এখানে সুবিধা হচ্ছে নিজের ইচ্ছামত কাজ করা যায় অন্যের বাধ্যতায় থাকা লাগে না।

দেখলাম সুন্দর পরিপাটি তিনি সব গুছিয়ে নিয়ে কাজ করছেন। গ্রামের আরো সাধারণ বেকার যুবকদেরও সাথে নিয়েছেন। তার অভিব্যক্তির শুনতে পেলাম তিনি যখন চাকরিরত অবস্থায় ছিলেন তখন মানসিক শান্তি পেতে না এখন নাকি তিনি মানুষের শান্তিতে আছেন।নিজের পরিবারের কাছে থাকতে পারছেন এবং গ্রামের বেকার যুবকদের কাজ দিতে পেরে তার নাকি অনেক মানসিক শান্তি লাগছে। সর্বোপরি আমারও ফুপার সেমাই এর ফ্যাক্টরিতে গিয়ে অনেক ভালো লাগলো কারণ এর আগে আমি কখনো সেমাই বানানো দেখিনি।

---

এতক্ষণ আমার পোষ্ট মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আজ এখানেই শেষ করছি, অন্য কোনদিন নতুন কিছু নিয়ে আপনাদের সামনে উন্মোচিত হব। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।

ধন্যবাদ সকলকে✨💖

ফোনের বিবরণ

ক্যামেরা	Redmi note 9
ক্যামেরা.মডেল	note9
কভার ফটো	ক্যানভা অ্যাপ।
অবস্থান	সিরাজগঞ্জ- বাংলাদেশ।

আমার পরিচয়

আমি শেলি। আমি বর্তমানে সিরাজগঞ্জ জেলার এনায়েতপুরে খাজা ইউনুস আলী বিশ্ববিদ্যালয়ে সি এস ই তে অধ্যায়নরত আছি। ছোটবেলা থেকেই ছবি আঁকতে ভালোবাসি। নতুন কিছু শিখতে এবং জানতে ভালোলাগে।ঘুরতে আর খেতে খুব ভালোবাসি।অবসর সময় পেলেই ছবি আঁকি। এই ছিল আমার সংক্ষিপ্ত পরিচয়, আপনারা সবাই আমার পাশে থেকে আমাকে সাপোর্ট দিয়ে উৎসাহিত করবেন, ধন্যবাদ সবাইকে। 🌼💖🌼

👉সবার প্রতি শুভেচ্ছা এবং পোস্টটি সমর্থনকারী সকল বন্ধুদের বিশেষ ধন্যবাদ।