আমার বাংলা ব্লগের কিছু ব্লগারদের মিলনমেলা

in আমার বাংলা ব্লগ12 days ago


আসসালামু আলাইকুম




হ্যালো বন্ধুরা,

আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদেরকে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। আজকে আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হলাম রকি ভাইয়া ও সোনিয়া আপু আসার মুহূর্তের অনুভূতি প্রকাশ করার জন্য। আশা করব এই পোস্ট করে আপনারা অনেক কিছু জানতে পারবেন।

IMG_20241212_155504_285.jpg


ফটোগ্রাফি সমূহ:


রকি ভাইয়া আর সোনিয়া আপু আমাদের এখানে ঘুরতে আসাতে আমরা অনেক আনন্দিত ছিলাম। দিনগুলো আমাদের জন্য যেন ঈদের দিনের মতো মনে হয়েছিল। রকি ভাইয়েরা আসার পর আমরা কয়েকটা প্ল্যান করেছিলাম। একটা বিষয় পিকনিকের আয়োজন। আরেকটা বিষয় ছিল ঘুরতে যাওয়া। তবে পিকনিকের আয়োজন টা আমরা সবাই সেভাবে করতে পারি নাই। ইচ্ছে ছিল রান্নাবাড়া খাওয়া-দাওয়া এ সমস্ত বিষয়গুলো পার্কের মধ্যে করবো। কিন্তু সবার পারিবারিক একেক সমস্যার জন্য পিকনিক করাটা হয়নি। তাই কাঙ্ক্ষিতদিনের দুপুরের খাওয়া-দাওয়া বিষয়টা হোটেল এর মাধ্যমেই সম্পূর্ণ করা হয়েছিল। কাঙ্খিত দিন আমি রেডি হয়ে পার্কের উদ্দেশ্যে বের হচ্ছি। এমন মুহূর্তে ইমন আমাকে ফোন দিয়ে প্রশ্ন করে ভাইয়া আপনি আসছেন কিনা। আমি বললাম রেডি হয়েছি বের হচ্ছি। তখন এমন বলল আপনি থামেন আমি মোটরসাইকেল নিয়ে আসছি। আসলে পিকনিকের দায়িত্বটা ইমন জাহিদের উপরে ছিল। ইমন আমাদের বাসায় চলে আসলো, তখন সে বিস্তারিত বলল গাংনী হোটেল থেকে খাবার আনতে হবে।

IMG_20241211_174342_775.jpg

IMG_20241212_140722_082.jpg

IMG_20241212_140733_164.jpg


আমরা দুইজন মোটরসাইকেল যোগের দ্রুত চলে গেলাম গাংনী সোবান হোটেলের দিকে। সেখানে উপস্থিত হয়ে যখন খাবারের অর্ডার করবো তখন দেখলাম ৩০ প্যাকেট খাবার প্রস্তুত করা হচ্ছে অন্য কোন কাস্টমারদের জন্য। তখন আমাদের একটু অপেক্ষা করতে বললেন। ততক্ষণে আমি আর ইমন বেশ কয়েকটা ফটো ধারণ করার চেষ্টা করলাম। অনেকদিন পর দুই ভাই গাংনী বাজারে এসেছি। এর আগে বেশ আসা হতো দুজনার। এমন সময় ছিল সাইকেল চালিয়ে দুই ভাই এসেছি এখানে। এখন দুইজন দুইটা মোটরসাইকেল নিয়ে আসার সৌভাগ্য হয়েছে। এমনই কথা হচ্ছিল।

IMG_20241212_140300_133.jpg

IMG_20241212_140307_316.jpg

IMG_20241212_141852_964.jpg

IMG_20241212_141618_979.jpg


বেশ কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে গিয়ে আমরাও ক্ষুধার্ত হয়ে পড়লাম। এদিকে দুপুর দুইটা পার হয়ে যায়। আমরা খেতে বসলে তো হবে না। খিদে তো সবার লেগেছে। তাই চিন্তা সবাই একসাথে পার্কের মধ্যে খাব। আমরা ১০ প্যাকেট খাবার অর্ডার করেছিলাম। আমাদের আগের অর্ডারকৃত কাস্টমার দের খাবার বুঝিয়ে দেওয়ার পর আমাদের খাবারগুলো প্রস্তুত করতে থাকলেন। ওদিকে হোটেলে খাবারের বেশ কার্যক্রম চলছে যার জন্য ভাতের সংকট পরল। তাই রান্না করা নতুন ভাত আমাদের প্যাকেটে পড়ল। এরপর প্যাকেট প্রস্তুত করে আমরা চলে আসলাম ব্যাগ কেনার সন্ধানে। রাস্তা ক্রস করে দেখলাম এক আখের রস বিক্রেতা তার দোকানে ব্যাগ বিক্রয় করেন। জীবন সেখান থেকে দুইটা ব্যাগ নিয়ে আসলো।

IMG_20241212_141929933_BURST0003.jpg

IMG_20241212_142418_853.jpg

IMG_20241212_141835_084.jpg


এরপর আমরা সমস্ত প্যাকেট গুলো দুইটা ব্যাগের মধ্যে প্রবেশ করানো হলো। প্রথমে আমাদের ভুল ছিল। দুইটা ব্যাগ যদি আগে থেকে নিতে পারতাম তাহলে রাস্তায় হাতে করে টানতে হতো না। অবশ্য আমরা ভেবেছিলাম হোটেলের দোকানে ব্যাগ থাকে। অনেক জায়গাতেও দেখেছি। কিন্তু এখানে বা তার পাশে দোকানেও নাই। তবে যাই হোক ভালোভাবে নিয়ে চলে আসলাম মিষ্টির দোকানে। সেখান থেকে দশটা কাপ দই নিয়ে নিলাম। ততক্ষণে ইমনের কাছে বারবার ফোন করছিল সবাই। আমাদের আসতে দেরি হচ্ছে কেন। ইমনকে বললাম ঠান্ডা মাথায় সুন্দর করে বুঝিয়ে বলতে। ইমন তার মত বলল, আর এভাবে একটি মুহূর্তে আমরা সবকিছু সংরক্ষণ করে দ্রুত চলে আসলাম গ্রামের কাঙ্ক্ষিত "বঙ্গ এগ্রো পার্কে" এর মধ্যে।

IMG_20241212_143817_497.jpg

IMG_20241212_144246_147.jpg

IMG_20241212_144309_394.jpg


আর এর পরে প্রথম স্বচক্ষে দেখতে পারলাম সোনিয়া আপুকে। যেখানে আমার বড় ভাই বিদ্যুৎ মোস্তাফিজুর ফাতেমা কিবরিয়া সহ অনেকের উপস্থিত ছিল। আর তাদের সাথে আমি ও ইমন যুক্ত হলাম। বেশ আনন্দ ফিল করছিলাম আমরা সবাই। অনেকদিন ধরে রকি ভাই আর আমাদের এখানে ঘুরতে আসবেন এমনটাই কথা হচ্ছিল। কিন্তু বিভিন্ন ব্যস্ততার কারণে তারা যেমন আসতে পারেনি মাঝখানে অনেকদিন আমরাও যোগাযোগ রাখতে পারিনি। তবে যাই হোক মহান সৃষ্টিকর্তা সুস্থ অবস্থায় তাদেরকে আমাদের মাঝে উপস্থিত করেছেন এটা দেখে আমরা খুবই খুশি হয়েছিলাম। আর এভাবেই কাঙ্ক্ষিত পিকনিকের দিন টা হোটেল থেকে খাবার এনেই আনন্দের সাথে উপভোগ করার চেষ্টা করেছিলাম। আশা করি, আনন্দের মুহূর্ত আগামী পর্বে দেখতে পারবেন।

IMG_20241212_144844_641.jpg

IMG_20241212_144910_020.jpg

IMG_20241212_151327_043.jpg


পোস্ট বিবরণ


বিষয়মিলন মেলা
ফটোগ্রাফি ডিভাইসInfinix Hot 11s
লোকেশনগাংনী-মেহেরপুর
ব্লগার@sumon09
দেশবাংলাদেশ


পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

received_434859771523295.gif


পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকুন সবাই। আল্লাহ হাফেজ।

TZjG7hXReeVoAvXt2X6pMxYAb3q65xMju8wryWxKrsghkLbdtHEKTgRBCYd7pi9pJd6nDf4ZPaJpEx3WAqvFVny2ozAtrhFXaDMnAMUAqtLhNESRQveVFZ7XHcED6WEQD48QkCkVTAvNg6.png


PUSS_VILLA.png

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 12 days ago 
 12 days ago 

ভাইয়া আগে বললে হয়তো আমি ও চলে যেতাম হা হা হা। আপনার সবাই মিলে বেশ ভালো ইনজয় করেছেন। আসলে সবাই এক জায়গায় হলে খাওয়া চেয়ে আমার মনে হয় আনন্দটাই বেশি হয়। বেশ ভালো লেগেছে আপনার পোস্ট।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর কাটানো মূহুর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 9 days ago 

আপনি চলে আসেন।

 12 days ago 

28-12-24

Screenshot_20241228-220516.jpg

Screenshot_20241228-220329.jpg

Screenshot_20241228-215802.jpg

 12 days ago 

আসলেই আমরা দিনটা অনেক সুন্দর ভাবে উদযাপন করেছিলাম। সকলে অনেক আনন্দঘন মুহূর্ত উপভোগ করেছিলাম আমাদের গ্রামের পার্কের মধ্যে। আর এই জিনিসটা রকি ভাই এবং সোনিয়া আপু এসেছিল বলেই সম্ভব হয়েছে।

 9 days ago 

অনেক সুন্দর দিন ছিল

 12 days ago 

আপনারা অনেক অনেক আনন্দ করেছেন। পার্কে আমার যাওয়ার খুব ইচ্ছে ছিল কিন্তু সম্ভব হয়ে ওঠেনি। ভালোলাগার মানুষ যদি উপস্থিত হয় সত্যি সেই দিনগুলো অনেক আনন্দের হয়ে থাকে। আমারও বেশ ভালো লেগেছে আপু আমার রুমে বসেছে এবং গল্প করেছে আমার সাথে। আমরা সব সময় যেন এভাবে আপন হয়ে থাকতে পারি।

 10 days ago 

একদম ঠিক কথা।

 12 days ago 

আপনাদের ভাগ্য ভালো এক সাথে মিলিত হয়েছেন। আপনারা সবাই মিলে খুব সুন্দর একটি মুহূর্ত উপভোগ করতে পেরেছেন। এ ধরনের মুহূর্ত আমার কাছে দেখতে এবং পড়তে ভীষণ ভালো লাগে। অনেক ভালো লাগলো বিস্তারিত লেখা গুলো পড়ে।

 10 days ago 

ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।

 11 days ago 

আমাদের প্রিয় রকি ভাই এবং সোনিয়া আপুকে পেয়ে আপনাদের ভালই সময় কেটেছে। আসলে এই প্লাটফর্মে প্রিয় মুখগুলো একসাথে হঠাৎ করে হলে তখন আলাদা একটা অনুভূতি আসে। আর অনেক সময় হোটেলে কাস্টমার বেশি থাকলেও খাওয়া-দাওয়া নিতে একটু দেরি হয়। ভালো লাগলো আপনাদের পোস্টটি দেখে। আর পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

 10 days ago 

হ্যাঁ ভাইয়া, পিকনিকের দিনটা এমনটাই ছিল।