রাতের বেলায় হঠাৎ আইসক্রিম খেতে যাওয়া
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। এবার বাড়িতে গিয়ে বেশ ভালো সময় কেটেছে। অবশ্য শ্বশুরবাড়িতে গেলে সব সময় খুব ভালো সময় কাটে। বিশেষ করে বাচ্চাদের আনন্দ দেখে আরো বেশি ভালো লাগে। ওদেরকে তো পাওয়াই যায় না। সারাদিন খেলতে থাকে। তাছাড়া বাড়ি ভর্তি অনেক লোকজন থাকার কারণে আমার ওদের নিয়ে খুব একটা চিন্তা করতে হয় না।এজন্য খুব রিলাক্স মুডেই থাকা যায় এ কয়দিন। রোজার মধ্যে গেলে কোথাও তেমন একটা ঘুরা হয় না। কারণ সারাদিন রোজা থেকে ইফতারির পর অনেক টায়ার্ড লাগে। তাছাড়া রাতে নামাজ থাকে। রোজার ঈদে সবসময় ঈদের আগেই বেশি ছুটি পাওয়া হয়। এজন্য ঈদের পরে খুব একটা ছুটি পাওয়া যায় না। ঈদের দুই এক দিন পরেই ফিরে আসতে হয় আবার নিজের গন্তব্যে।
যাইহোক ২৯ রোজায় ঈদের চাঁদ দেখা না যাওয়ার কারণে খুবই মন খারাপ হয়েছিলো বাচ্চাদের। আমরা যেমন ছোটবেলায় খুব মন খারাপ করতাম ৩০ রোজা হলে। বাচ্চাদেরও সেরকম অবস্থা। হঠাৎ করে হাজবেন্ড নামাজ পড়ে আসার বেশ কিছুক্ষণ পর বলছে যে চলো বাইরে থেকে আইসক্রিম খেয়ে আসি। বাচ্চাদের খুশি করার জন্য আরকি। গ্রামের দিকে এত রাতে আইসক্রিম পাওয়া যাবে নাকি তাই চিন্তা করছিলাম। পরে বাড়ির লোকজনকে জিজ্ঞাসা করলে তারা বলল যে রাত বারোটা একটা পর্যন্ত বাজারগুলো খোলা থাকে ঈদের আগে। অনেক আগে গ্রামের দিকে সন্ধ্যার পরপরই সব দোকানপাট বন্ধ হয়ে যেত। এখন আর সেই দিন নেই। গ্রামে অনেক রাত পর্যন্ত বাজারগুলো খোলা থাকে।
এত রাতে অবশ্য গ্রামের বাড়িতে কোন যানবাহন পাওয়া বেশ মুশকিল। আমরা যেহেতু গাড়ি নিয়ে গিয়েছিলাম তাই খুব একটা সমস্যা হয়নি। তাই রাতের বেলায় বেরিয়ে পড়লাম আইসক্রিম খাওয়ার জন্য। বাজারে গিয়ে দেখলাম বেশ লোকজনের সমাগম। আমরা একটি দোকান দেখে দাঁড়িয়ে পড়লাম এবং সবাই যার যার পছন্দমত আইসক্রিম নিয়ে নিলাম। আইসক্রিমের পাশাপাশি বাচ্চারা চিপস এবং বিভিন্ন ধরনের বাজি কিনলো যেগুলো ঈদের আগের দিন তারা ফাটাবে।
আইসক্রিম খাওয়া শেষ হলে টুকটাক কেনাকাটা করে আমরা বাড়িতে চলে আসলাম। আসার সময় দেখলাম যে ঈদ উপলক্ষে বিভিন্ন জায়গায় বেশ সুন্দর লাইটিং করেছেন। ভালোই লাগছে দেখতে।
যাইহোক এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | i phone11 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি অর্থনীতিতে অনার্স মাস্টার্স কমপ্লিট করেছি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা,আর্ট করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে এবং ব্লগিং করতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
আসলে ছোটবেলায় অনেক বেশি মন খারাপ হতো যদি ২৯ রোজায় চাঁদ না দেখা যেত তখন। তবে এখন তো খুবই কম বাচ্চা খেয়ে দেখা যায় এত বেশি আগ্রহ প্রকাশ করতে। আপনার বাচ্চারা দেখছি অনেক বেশি আগ্রহী ছিল ঈদের জন্য। ২৯ রোজায় চাঁদ দেখা না যাওয়াতে তারা মন খারাপ করে থেকেছিল বলে, ভাইয়া সবাইকে নিয়ে আইসক্রিম খাওয়ার জন্য নিয়ে গিয়েছিল শুনে ভালো লাগলো। পছন্দমত আইসক্রিম কিনে মজা করেই খেয়েছিলেন নিশ্চয়ই। রাতে তাহলে কিছুটা ঘুরাঘুরি হলো। ঈদ উপলক্ষে বাহিরে এমনিতেই সাজানো হয়েছিল। লাইটিং করা হয়েছিল দেখতে খুব ভালোই লাগছিল।
ছোটবেলার আনন্দ এখন ঈদে আর পাওয়াই যায় না। যাইহোক ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আসলেই আগে যখন ৩০ রোজা হতো তখন আমাদের কাছে সত্যিই খারাপ লাগতো। আমার এবার ৩০ রোজার কথা শুনে প্রথমে একটু কেমন লেগেছিল পরে আবার মনে হলো যে থাক একটা রোজা করা গেল । ওরাতো মন খারাপ করবেই । এত রাতে যে গ্রামের ভেতরে আইসক্রিম পেয়েছেন সেটাই বড় কথা । সবাই মিলে আইসক্রিম খেলেন মজা করলেন ভালো লাগলো ।
এখন ৩০ রোজা হলে মনে হয় যে রহমতের আরো একটা দিন পাওয়া গেল। যাইহোক আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
আইসক্রিম খাওয়ার সুন্দর অনুভূতি আপনি আমাদের মাঝে তুলে ধরছেন দেশে। আপনার এই অনুভূতি পড়ে যেন আইসক্রিম খাওয়ার প্রতি খুবই ইচ্ছা জেগে উঠলো। আমিও গত পরশুদিন দুই দুইটা আইসক্রিম খাওয়ার পর এখন সর্দিতে ভুগছি। কারণ প্রচন্ড রোদ গরমে নিজেকে একটু শান্তি দেওয়ার জন্য খেয়েছিলাম। কিন্তু এতটা অশান্তিতে ভুগতে হবে সেটা ধারণা করি নাই। যাই হোক বেশ ভালো লাগলো আপনার অনুভূতি জানে।
আপনার যেহেতু আইসক্রিম খেলে সর্দির সমস্যা হয়েছে তাহলে এরপর থেকে গরমের মধ্যে আইসক্রিম খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। যাই হোক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
আপনার হাসবেন্ড তো অনেক ভালো আপু। এজন্য রাতের বেলাও আপনাকে এবং বাচ্চাদের খুশি করার জন্য আইসক্রিম খেতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেছে। তাছাড়া আপু, আপনারা গাড়ি নিয়ে গিয়ে ঠিকই করেছিলেন কারণ গ্রাম অঞ্চলে এত রাতে তো যাতায়াতের অনেক সমস্যা থাকে। গ্রাম অঞ্চলে সাধারণত অনেক রাত অব্দি দোকানপাট খোলা থাকে না। তবে ঈদের সময় যেহেতু ছিল, এজন্য এই সুযোগটা পেয়েছেন আপনারা। যাইহোক, ভালো লাগলো আপু আপনার পোস্ট টি পড়ে।
আমার মনে হয় আমার হাজবেন্ডারই অনেক আইসক্রিম খেতে ইচ্ছা করছিল। এজন্য আমাদেরকেও সাথে নিয়ে গিয়েছে 😜। যাই হোক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
হিহিহি.. 😂 এটা দারুন বলেছেন আপু।
অনেক লোকজনের মাঝে বাচ্চারা আসলেই বেশ আনন্দে থাকে।তাছাড়া রোজার দিনে আপনার শ্বশুরবাড়িতে ভালো সময় কেটেছে জেনে ভালো লাগলো।রাতে আইসক্রিম খেলে অবশ্য ঠান্ডা লেগে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।তারপরও আপনারা চিপস ও আইসক্রিম খেয়েছেন রাতের বেলা গিয়ে ,নিশ্চয়ই গরমে অনেক প্রশান্তি এনে দিয়েছিল।যাইহোক সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন, ধন্যবাদ আপু।
জ্বী আপু শ্বশুরবাড়িতে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছিলাম। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।