বিভিন্ন ধরণের কেকের ফটোগ্রাফি
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজকে আপনাদের সঙ্গে মজাদার কিছু কেকের ফটোগ্রাফি শেয়ার করবো। বর্তমান সময়ে কেক ছাড়া যেন কোন অনুষ্ঠান পূর্ণ হয় না। যে কোন অনুষ্ঠানে কেক থাকতেই হয়। আগেকার দিনে শুধুমাত্র জন্মদিনের অনুষ্ঠানে কেক কাটা হত। কিন্তু এখন দেখা যায় বিয়ে বাড়িতে, হলুদের অনুষ্ঠানে, কাবিনের অনুষ্ঠানে, কোন একটি রেস্টুরেন্টের উদ্বোধনের সব জায়গায় কেক কাটার ছড়াছড়ি। তাছাড়া জন্মদিন ম্যারেজ ডে এগুলোতো রয়েছেই। বিশেষ দিনে কেক যেন সকলের প্রধান সঙ্গী। আর এত ফ্লেভারের কেক এখন পাওয়া যায় যে কোনটা রেখে কোনটা অর্ডার করবো তাই খুঁজে পাইনা। যদিও আমার বাসায় খুব একটা কেক কাটা হয় না। তারপরও বিভিন্ন জায়গায় গেলে এরকম কেকের ছবি দেখলে ফটোগ্রাফি না করে ভালো লাগে না। আসলে কেকগুলো এত সুন্দর হয় যে সাথে সাথে ফটোগ্রাফি করে ফেলি। সেইসব ফটোগ্রাফিগুলো মিলে আজকের পোস্ট করেছি। আশা করি আপনাদের কেকের ফটোগ্রাফিগুলো দেখে ভালো লাগবে।
প্রথমে যে কেকটি দেখতে পাচ্ছেন এই কেক ওয়াহিদা আপু এবং রূপক ভাইয়ের ম্যারেজ ডেতে তৌহিদা আপু নিয়ে এসেছিল। যদিও রূপক ভাইয়া একদমই কেক কাটতে রাজি ছিল না। কারণ এগুলো ঠিক না ইসলামিক দৃষ্টিতে। তারপরও তার মেয়ে মন খারাপ করবে তার জন্য কেটেছিলো। খুবই চমৎকার ছিল দেখতে। রেড ভেলভেট কেক। খেতেও খুবই মজাদার। ভিতরে কোকোনাট ফ্লেভার ছিল। নিচের কেক দুটি স্বপ্ন সুপার শপে থেকে তুলেছিলাম। বিভিন্ন ধরনের সুপার শপে এরকম কেক সাজিয়ে রাখে। অনেকে এখান থেকে কিনে নিয়ে যায়। আবার পিস করেও বিক্রি করে।
নিচের কেকটি সবথেকে মজার ছিলো। এখন এই ডিজাইনের কেক গুলো খুব দেখা যাচ্ছে। উপরে হ্যাপি বার্থডে লেখা থাকে এবং পেপারটি আগুনে পোড়াতে হয়। কাগজটি পুড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভিতরে থেকে ছবি বের হয়। এই বিষয়টি দেখতে খুবই মজা লাগে। এই কেকটি আমার ছেলের টিচারের ছেলে মেয়ের জন্মদিনে গিয়ে তুলেছিলাম। তার ছেলে মেয়ের জন্মদিন একই দিনে ছিল। তার মেয়ে বিদেশ থেকে আসা উপলক্ষে আমরা গিয়েছিলাম। গিয়ে দেখি যে জন্মদিনে এরকম বিশাল আয়োজন।
উপরের কেকটি আমার জন্মদিনের ছিল। অনেক আগে আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করেছিলাম। আমার বড় ছেলে আমার জন্য সারপ্রাইজ হিসেবে এই কেক এনেছিলো। তখনই ওকে না করে দিয়েছিলাম যেন পরবর্তীতে জন্মদিনে এরকম কেকের আয়োজন না করে। এর জন্য এইবার আর কেকের আয়োজন করেনি। নিচের কেকটি বড় ছেলের কোচিং থেকে তুলেছিলাম। কোচিং এর বর্ষপূর্তি উপলক্ষে এরকম কেক কেটেছিল। বাচ্চারা খুবই মজা পেয়েছিল তখন।
আমার জন্মদিনে সারপ্রাইজ কেকের ব্যবস্থা করার পর ছেলেও আশায় ছিল যেন তার জন্মদিনেও কেকের আয়োজন করি। তখন আমাদের বাসায় ছিলাম ফরিদপুরে। সেজন্য তার মামা তার জন্য কেকের আয়োজন করেছিল। চকলেট কেক ছিল। বাচ্চারা চকলেট কেক খুবই পছন্দ করে। নিচের কেকটি আমার মামাতো ননদের জন্মদিনের ছিল। তাদের বাসায় যখন গিয়েছিলাম তখন তার জন্মদিন ছিল। তার দুলাভাই এনেছিলো কেকটি। এটিও চকলেট কেক ছিল।
এই ছিল আমার মজাদার কিছু কেকের ফটোগ্রাফি। আশাকরি আপনাদের ভালো লেগেছে। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | oppo reno5 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি অর্থনীতিতে অনার্স মাস্টার্স কমপ্লিট করেছি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা,আর্ট করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে এবং ব্লগিং করতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
যদিও কেক খেতে আমি তেমন পছন্দ করি না। তবে আজ আপনার এমন সব কেক এর ফটোগ্রাফি দেখে কিন্তু বেশ ভালোই লাগছে। বেশ সুন্দর সুন্দর কিছু কেক এর ফটোগ্রাফি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপু আপনাকে।
কি বলেন আপু কেক খেতে পছন্দ করেন না। আমার কাছে খুবই মজা লাগে। যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
জাস্ট ওয়াও আপু আপনি অনেক সময় নিয়ে ধৈর্য্য সহকারে বিভিন্ন সময়ে সুন্দর সুন্দর বিভিন্ন ধরণের কেকের ফটোগ্রাফি মোবাইলে ক্যাপচার করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন যা দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম। তাছাড়া সকাল সকাল মোবাইলটা হাতে নিয়ে যখনই কমিউনিটিতে ঢুকলাম তখন আপনার এই লোভনীয় কেকের ফটোগ্রাফি দেখে মনটা জুড়িয়ে গেল। আপনার প্রত্যেকটা কেকের ফটোগ্রাফি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু অনেক সুন্দর সুন্দর কিছু লোভনীয় কেকের ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
এরকম লোভনীয় কেকের ছবি দেখলে মনে খেতে ইচ্ছা করে। যাই হোক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
ভিন্ন ভিন্ন আয়োজনের ভিন্ন ভিন্ন সৌন্দর্যের কেক জন্মদিনের আয়োজনে আবার বিবাহ বার্ষিকীর আয়োজনে আলাদা আলাদা সৌন্দর্যের কেক তবে টেস্টগুলোতে একই রকম আমার তো দেখে খেতে ইচ্ছে করছে আপু।
কেকের ভিন্নতার কোন শেষ নেই। এজন্যই তো একেক জায়গায় একেক রকম কেক দেখা যায়। যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে।
বর্তমানে কেক মানে একটি শিল্প। নানান ধরনের কেক তৈরি করে মানুষকে জাস্ট তাক লাগিয়ে দেওয়া যায়। আপনিও তেমনি চমৎকার সব শেয়ার করলে না আজ। সব থেকে মজাদার লেগেছে ওই সাদা কাগজ পুড়িয়ে ফটো বেরিয়ে আসা কেকটি।
ঠিক বলেছেন আপু কে কত সুন্দর করে কেক তৈরি করতে পারে তারই প্রতিযোগিতা চলে।ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
আপু আমিও এখন কেক বানাতে পারি। খুব কষ্ট করে কেকের কোর্স সম্পন্নন করেছি। তবে আজকে আপনার কেক এর ফটোগ্রাফি দেখে আরও নতুন নতুন কেক এর ডিজাইন শিখতে পারলাম। ধন্যবাদ আপু এমন দারুন কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
আমারও মাঝে মাঝে মন চায় যে কেকের কোর্স করি। কিন্তু আমি যে অলস মনে হয় না তাতে কোন লাভ হবে। যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে।
কেক এর ফটোগ্রাফি গুলো দেখে লোভ লাগছে আপু। খুবই চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি আপনি আজ আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন । অনেক দারুন ছিল।ধন্যবাদ সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য ।
লোভ যেহেতু লেগে গিয়েছে তাহলে বাজার থেকে কিনে খেয়ে ফেলুন। তাছাড়া কোন উপায় নেই ।ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
কেক আমার অনেক পছন্দের। কেক খেতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। বিভিন্ন ফ্লেভারের কেকের ফটোগ্রাফি আজকে আপনি আমাদের মধ্যে শেয়ার করেছেন, যেগুলো আপনি বিভিন্ন জায়গা থেকে তুলেছিলেন। প্রত্যেকটা কেক দেখেই বুঝতে পারছি অনেক মজাদার ছিল। আমার তো ইচ্ছে করছে সবগুলোর থেকে এক পিস নিয়ে টেস্ট করে দেখি। বর্তমানে কেক খেতে কিন্তু সবাই অনেক পছন্দ করে।
কেক খেতে কম বেশি সবাই পছন্দ করে। যাই হোক ধন্যবাদ মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আপনি লোভনীয় সব কেকের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন আপু।জন্মদিনে বিশেষ বিশেষ কেকের আয়োজন করা হয় প্রতিটি পরিবারে।আপনার ছেলে আপনার জন্য সারপ্রাইজ এর ব্যাবস্থা করেছিল একবার জন্মদিনে ভালো লাগলো জেনে,ধন্যবাদ।
আমার বাসায় অবশ্য জন্মদিনের কোন কেকের আয়োজন করা হয় না। যাইহোক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।