নর্থ সিকিম যাওয়ার পথে নাগা ঝর্ণা দেখা
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম সিকিম ভ্রমণের নতুন একটি পর্ব নিয়ে। গত দিন আপনাদের সঙ্গে নর্থ সিকিমের যাত্রা শুরু করেছিলাম। যাত্রাপথে বেশ কয়েকটি সুন্দর সুন্দর স্পট পরে। প্রতিটি স্পটে দাঁড়িয়ে আমরা বেশ কিছুক্ষণ সময় পার করছিলাম এবং ফটোগ্রাফি করছিলাম। সব পর্যটকই এই স্পটগুলোতে দাঁড়ায়। বিশেষ করে এক একটি ঝর্ণার পাশে দাঁড়াতে এত ভালো লাগছিল যে বলে বোঝানো যাবে না। আমরা প্রায় নর্থ সিকিমের চেকিং পয়েন্ট এর কাছাকাছি চলে এসেছি। চেকিং পয়েন্ট এর বেশ কিছুক্ষণ আগেই পরে নাগা ওয়াটারফল। নাগা ওয়াটারফল আসতে আসতে শুনতে পেলাম যে চেকিং পয়েন্ট ৩০ মিনিটের জন্য বন্ধ রয়েছে। তিরিশ মিনিট পর আবার চালু হবে। সে জন্য আমরা আগে না গিয়ে ৩০/৪০ মিনিট এখানেই কাটিয়েছি।
ওয়াটারফল দেখতে যেমন সুন্দর তেমন রাস্তার ওপর সাইডের পাহাড় গুলো দেখতে আরো বেশি ভালো লাগছিল। পানির একদম কাছাকাছি যাওয়া যায় না। তার সামনে বেরিকেট দিয়ে রেখেছে ।কিছুদিন আগে নাকি একটি এক্সিডেন্ট হয়েছে সেজন্য। তাই দূর থেকে দেখতে হয়েছে। খুব ইচ্ছা করছিল কাছে গিয়ে পানি ছুয়ে দেখতে। এত পরিষ্কার পানি দেখে মন ভালো হয়ে যায়।
এই ঝর্ণার পাশে ছোট ছোট কয়েকটি দোকান ছিল। সেখানে বিভিন্ন ধরনের খাবার পাওয়া যাচ্ছিল। এখানকার ম্যাগি খুব বিখ্যাত। সবাই ম্যাগি খায় এখানে। তাছাড়া চা,চকলেট,, জুস, চিপস এগুলো বিক্রি করছিল। আমরা দাঁড়িয়ে চা খেলাম এবং বাচ্চাদেরকে জুস, চিপস দিলাম। ঝরনার সামনে মেঘের মধ্যে দাঁড়িয়ে চা খাওয়ার মজাই আলাদা।
দুই পাশে সবুজ গাছপালা তার মাঝে দিয়ে পানির ধারা বয়ে যাচ্ছিল। এত সুন্দর পরিবেশ ছেড়ে যেতে মন চাচ্ছিল না। ৩০-৪০ মিনিট সময় যে কোথা দিয়ে পার হয়ে গেল বুঝতেই পারলাম না। চেক পয়েন্ট খোলার পর আমরা আবারো রওনা দিলাম নর্থ উদ্দেশ্যে। নর্থ সিকিমে কেনা প্লাস্টিকের পানির বোতল নেয়া যায় না। বাকি সব ধরনের প্লাস্টিকের বোতল নেয়া যায়। এমন নিয়ম কেন বুঝতে পারলাম না। তাই আমরা একটি প্লাস্টিকের পানির বোতল আলাদা কিনে নিলাম।
আজ এ পর্যন্তই। পরবর্তীতে দেখা হবে নর্থ সিকিমের নতুন কোন জায়গা নিয়ে। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
ধন্যবাদ
@tania
| Photographer | @tania |
|---|---|
| Phone | i phone11 |
| আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
|---|
VOTE @bangla.witness as witness
OR SET @rme as your proxy

















এই ওয়াটারফল গুলোর পাশে যাওয়া খুবই ভয়ংকর একটা ব্যাপার ।দেখে সুন্দর অনেক লাগে কিন্তু পাশে গেলে বিভিন্ন রকমের অ্যাক্সিডেন্ট হতে পারে। এ সবুজ পরিবেশের মধ্যে ঝর্নাটা দেখতে সত্যি খুব ভালো লাগলো আশা করব এরকম আরো ট্রাভেল পোস্ট আমাদের সামনে নিয়ে আসবেন।
একদম ঠিক বলেছেন এরকম ঝর্নার কাছে যাওয়া আসলেই অনেক রিস্ক। ধন্যবাদ আপনাকে।
নর্থ সিকিম ভ্রমণের আজকের পর্বটি জাস্ট চোখ ধাঁধানো সুন্দর ছিল। আপনার তোলা ছবিগুলো দেখছিলাম আর প্রকৃতির চমৎকার সৌন্দর্যের মাঝে হারিয়ে যাচ্ছিলাম। আর ঝর্ণাটা এতটাই সুন্দর লেগেছে আমার কাছে যা বলে বোঝাতে পারবো না। সত্যি বলতে ভেতরে ভেতরে একটা সুপ্ত বাসনা তৈরি হয়ে গেছে চমৎকার জায়গাটি দেখার জন্য। যদি কখনো সুযোগ হয় সত্যিই সিকিমে ঘুরতে যাব ইনশাআল্লাহ। আজকের পোস্টটি বেশ লেগেছে আমার কাছে, সামনের পর্বে হয়তো আরো দারুন কিছু দেখবো।
অসম্ভব সুন্দর জায়গা ভাইয়া। না গেলে বোঝা যায় না। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু নর্থ সিকিম যাওয়ার পথে নাগা ঝর্ণায় যাত্রা বিরতি দিয়ে আমাদের জন্য সুন্দর সুন্দর ঝর্ণার ফটোগ্রাফি করার জন্য প্রথমেই ধন্যবাদ জানায়। এত সুন্দর ঝর্ণার পানি হাত দিয়ে স্পর্শ করতে না পারলে আফসোস থেকে যায়। কত উপর থেকে ঝর্ণার পানি পড়ছে। ধন্যবাদ।
জি ভাইয়া মাঝে মাঝে ঝর্না দেখার জন্য বিরতি দিয়েছিলাম। খুব ভালো লেগেছিলো। ধন্যবাদ আপনাকে।
আহা! কোথায় যেন হারিয়ে গিয়েছিলাম। মাঝে মাঝে ভাবী আমাদের পৃথিবীটা এতো সুন্দর! আসলে পাহাড়ে উঠার পর ভিউটা জাস্ট অসাধারণ লাগলো আপু! তবে এটা আমিও বুঝলাম না, সিকিমের কেনা প্লাস্টিকের পানির বোতল কেন নেয়া যায় না? যাক, উপভোগ করলাম আপু 😍
আমরাও হারিয়ে গিয়েছিলাম ওখানে। সিকিম খুব পরিষ্কার জন্য এমন ব্যবস্থা। কঠিন এই নিয়মের জন্যই তো পরিস্কার রাখতে পেরেছে।