স্বরচিত ছোট কবিতা : "স্বাধীনতার আলো"
আসসালামু আলাইকুম, সবাই কেমন আছেন? আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই সুস্থ এবং ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি।
আজ আবারও নতুন একটি পোস্ট নিয়ে চলে আসলাম। আজ একটি কবিতা শেয়ার করবো। আমার কাছে কবিতা লিখতে ও পড়তে খুব ভালো লাগে। এখন মাঝে মাঝেই কবিতা লেখার চেষ্টা করি। আজকে স্বাধীনতা দিবস কে কেন্দ্র করে ছোট কবিতা নিয়ে এসেছি। আজ থেকে প্রায় ৫৫ বছর আগে বহু মানুষের রক্তের বিনিময়ে আমরা এই স্বাধীনতা পেয়েছি। স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে রক্ষা করা কঠিন। স্বাধীনতা অর্জনের জন্য বহু মানুষ একত্রিত হয়ে লড়াই করে, ত্যাগ স্বীকার করে এই স্বাধীনতার পতাকা উড়িয়েছে। কিন্তু যখন আমরা স্বাধীনতা পেয়ে গিয়েছি তখন সেটাকে আদো কি ঠিক মতো ধরে রাখতে পেরেছি? আপনারা কি বলেন? আমার তো মনে হয়, না, কারণ যেভাবে দেশে দুর্নীতি, চাঁদাবাজি রাহাজানির মতো বড় বড় অপরাধ বাড়ছে এতে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা একদমই নেই।
যেখানে সাধারণ মানুষ নিরাপদে স্বাধীন ভাবে বাঁচতে পারেনা সেখানে স্বাধীনতা রক্ষা করা হচ্ছে না। আমরা যাতে স্বাধীন ভাবে বাঁচতে পারি তারজন্য রফিক,জাব্বার,সালামসহ আরও অনেকে জীবন দিয়ে স্বাধীনতার লাল সবুজ পতাকা এনে দিয়েছেন। কিন্তু এই স্বাধীনতা পাওয়ার পর সেটিকে ধরে রাখতে হলে সুশাসন, ঐক্য, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা, সামাজিক ন্যায়বিচার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা দরকার। ইতিহাসে দেখা যায় যে, অনেক দেশ স্বাধীনতা পাওয়ার পর অভ্যন্তরীণ বিরোধ, দুর্নীতি, রাজনৈতিক অস্থিরতা বা বিদেশি শক্তির হস্তক্ষেপের কারণে স্বাধীনতা বজায় রাখতে ব্যর্থ হয়েছে। তাই স্বাধীনতা রক্ষার জন্য দেশপ্রেম, সঠিক নেতৃত্ব ও জনগণের দায়িত্বশীল ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। যাই হোক অনেক কথা বলেছি, চলুন কবিতার লাইনগুলো পড়ে নেই।
"স্বাধীনতার আলো"
২৬ মার্চ সকালে,
স্বাধীনতার গানটি বাজে
প্রাণের প্রতিটি তানে।
শত্রুর বুলেট, শৃঙ্খল ভাঙা,
স্বপ্ন ছিল একটাই,
বাংলার মাটি, বাংলার আকাশ
রইবে মুক্ত সবারই।
লাল সবুজের এই পতাকা,
বয়ে আনে গৌরব,
২৬ মার্চের সেই ইতিহাস
আমরা রাখবো মনে সব।
শপথ নেবো বারবার,
বাংলা রবে জয়ী,
স্বাধীন দেশের সন্তানেরা
থাকবে সদা অমিত শক্তিধর।
কবিতার মূলভাব
এই কবিতার মধ্যে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও তার গৌরবময় ইতিহাসের কথা তুলে ধরা হয়েছে। ২৬ মার্চ এ রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধ, শত্রুর বিরুদ্ধে সংগ্রাম, ও বিজয়ের চেতনাকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। লাল-সবুজের পতাকা আমাদের গর্ব ও আত্মত্যাগের প্রতীক হিসেবে এসেছে। পাশাপাশি, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের প্রতি দায়িত্ববোধ ও শপথ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে, যেন এই স্বাধীনতা ও জাতীয় গৌরব চিরকাল অক্ষুণ্ণ থাকে।
আশা করি আমার লেখা কবিতা পড়ে আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। আজকের মতো এখানেই শেষ করছি। আগামীতে আবার দেখা হবে নতুন কোন কবিতার মাধ্যমে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন এবং নিরাপদে থাকুন। ধন্যবাদ।
আমি তানজিমা। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি ফিন্যান্স বিভাগ থেকে বিবিএ শেষ করেছি।
আমি ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে ফটোগ্রাফি, রেসিপি এবং ডাই বানাতে খুব পছন্দ করি। আবার আমি ভ্রমণ বা ঘুরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে খুব পছন্দ করি। আমি চেষ্টা করি সব সময় যেন নতুন কোনো কিছু করা যায়।






Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power






.png)

Comment link
Comment link
Comment link
Comment link
Comment link
Comment link
Comment link
দারুন একটি কবিতা লিখেছেন আপু পড়ে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। স্বাধীনতার এই লাল সবুজ পতাকাটির জন্য যারা জীবন দিয়েছে তাদেরকে আমরা কখনই ভুলবো না শ্রদ্ধার সাথে তাদের স্মরণ করব আজীবন। কারণ আমার ভাইয়েরা রক্তের বিনিময়ে এনেছে এদেশের স্বাধীনতা। অনেক ধন্যবাদ আপু, দারুণ একটি কবিতা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।