লাইফ স্টাইল :- জন্মদিনের জন্য শপিং।
হ্যালো বন্ধুরা,
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আমাদের কারোর যদি জন্মদিন থাকে তাহলে কিন্তু কম বেশি কেনাকাটা করেই থাকি। তবে এই শপিং টা অনেকদিন আগে করা। আপনাদের সাথে শেয়ার করব করব করে আর করা হয়নি। তাই আজকে ভাবলাম করেই ফেলি। কিছুদিন আগে আমার মেয়ে নাশিয়ার জন্মদিন ছিল। জন্মদিনের মুহূর্তটা আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম। কিন্তু জন্মদিনের কেনাকাটা করেছি সেটা আসলে শেয়ার করা হয়নি। আজকে এটাই আপনাদের সাথে শেয়ার করতে আসলাম।
সত্যি বলতে নাশিয়ার এবারের জন্মদিনের জন্য কোন প্ল্যান ছিল না। কিন্তু ও যেহেতু ছোট, আর কিছুটা জন্মদিন সম্পর্কে বুঝতে শুরু করেছে। তাই জন্য ভাবলাম হালকা কিছু আয়োজন করলেও অনেক আনন্দ করতে পারবে। আর হালকা আয়োজনের জন্যই আমরা কেনাকাটা করতে গিয়েছিলাম। জন্মদিনের জন্য যেহেতু কেকের প্রয়োজন , তাই জন্য আমরা জন্মদিনের কেকের অর্ডার করতে গিয়েছিলাম। আমরা যেখান থেকে কেক কিনে থাকি, সেখানে রেডিমেড অনেক কেক পাওয়া যায়।
পরবর্তীতে বলেছিলাম সন্ধ্যাবেলায় আসলে কি এরকম পাওয়া যাবে কিনা। ওনারা বলেছিলেন তখন আসলে পাওয়া যাবে। তাই জন্য আর অর্ডার করিনি। ওইখানে থাকা কয়েকটা কেকের ফটোগ্রাফি করে নিয়েছিলাম। এখান থেকেই মূলত একটা ডিজাইন পছন্দ করেছিলাম। পরবর্তীতে চলে গেলাম জুতার দোকানে। আসলে জন্মদিন উপলক্ষে এক জোড়া কেনার ছিল না নাশিয়ার জন্য। আসলে ওর আগের ও জুতা ছিল। কিন্তু তারপরেও যেহেতু জন্মদিন তাই জন্য নতুন এক জোড়া কিনতে গিয়েছিলাম। আমি মূলত সাদা কালারের জুতা কিনব ভেবেছিলাম।
পরবর্তীতে নিজের পছন্দ অনুযায়ী সাদা কালারের জুতা পাওয়া গেল না। কিন্তু কিছুটা সাদার মতো এরকম একটা কালারের জুতা পেয়ে গেলাম। তাই জন্য পরবর্তীতে ওই কালারটা নিয়ে নিয়েছি। জুতো কেন শেষ হলে আমরা গিয়েছিলাম কসমেটিক্স দোকানে। নাশিয়ার জন্মদিনের জন্য একটা ক্রাউন কিনার ছিল। মূলত পাথরের গুলো পছন্দ করেছিলাম। কারণ এগুলো দেখতে বেশি ভালো লাগবে। তাই জন্য একটা পাথরের ক্রাউন কিনে নিয়েছিলাম। পরবর্তীতে একটা পরীদের মতো প্রজাপতি ডানা নিয়েছিলাম।
আসলে ও যেহেতু ছোট তাই জন্য প্রয়োজন ছিল। নিজের কাছেও দেখতে ভীষণ ভালো লেগেছে। আর ছোটরা এ ধরনের জিনিস গুলো বেশি পছন্দ করে। আপনারা হয়তো ভাববেন ড্রেস কিনিনি কেন। যারা আমার আগের পোস্ট পড়েছিলেন, সেখানে আমি লিখেছিলাম নাশিয়ার জন্মদিনের ড্রেস আমি নিজেই তৈরি করেছিলাম। আর নিজে তৈরি করতে পেরে আমার কাছে আরও বেশি ভালো লেগেছে। আসলে চাইলেই একটা ড্রেস কিনতে পারতাম। কিন্তু নিজে তৈরি করে আলাদা একটা আনন্দ পেয়েছিলাম। এছাড়াও তার সাথে বেলুন আর প্রয়োজনীয় আরো কিছু কেনাকাটা করেছিলাম।
এইসব কেনাকাটা গুলো করা শেষ করে এরপর আবারও বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। জন্মদিনটা আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছিলাম কিরকম কাটিয়েছি। আশাকরি আপনাদের ভালই লেগেছিল। আজকে এ পর্যন্তই। পরবর্তীতে আবার আসবো নতুন কিছু নিয়ে। এই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন।
আমার পরিচয়
আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অনার্স ফাইনাল ইয়ারের একজন ছাত্রী। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।
🎀 ধন্যবাদ সবাইকে 🎀 |
---|
ছোট বাচ্চাদের জন্মদিন পালন করলে তারা অনেক খুশি হয়। নাশিয়ার জন্মদিনে অনেক কিছু কেনাকাটা করেছেন। তবে ম্যাচিং করে কিছু কেনাকাটা করা অনেক কষ্টকর কারণ একটা সাথে একটা ম্যাচিং করতে ঠিকমতো পাওয়া যায় না। আপনার মেয়ের জন্মদিন উপলক্ষে পোশাক আপনি কাপড় কিনে নিজেই সেলাই করেছেন। নিজ হাতে কিছু রেডি করা সত্যি আলাদা একটা আনন্দ লাগে। এবং খুব সুন্দর করে নাশিয়ার জন্মদিনের কেনাকাটা এবং অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিক বলেছেন ম্যাচিং করে কেনাকাটা করা খুবই কঠিন। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
জন্মদিন মানেই তো আনন্দ আর জন্মদিন থাকলে একটু কম বেশি কেনাকাটা করতে হয় আপনারাও করেছেন। বেশ ভালো লাগলো। জি আপু দেখেছিলাম কিছুদিন আগে আপনার মেয়ের জন্মদিন ছিল। আপনি সেই মুহূর্তটি শেয়ার করেছিলেন কিন্তু কেনাকাটা শেয়ার করেন নাই। আজকে আপনার পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পারলাম ।জি আপু ছোট মানুষ হালকা কিছু আয়োজন করলেও আনন্দ পাবে। ওরা যদি আনন্দ পায় তাহলে মনের ভিতরে অনেক প্রশান্তি কাজ করে আর বাচ্চা মানুষ খুব অল্পতেই মন খুশি হয়ে যায়। জন্মদিনের জন্য সুন্দর একটি জুতার কিনেছেন। অনেক খুশি হলাম আমি দেখে। আপনি দেখছি আপনার মেয়ের জন্য অনেক কিছু কিনতেছেন। আসলে প্রতিটি বাপ-মায় তার মেয়েকে রানী করে রাখতে চাই। আমি তো এর আগেও দেখেছিলাম নাশিয়ার জন্য অনেক ড্রেস আপনি নিজেই তৈরি করেছিলেন। আপনারও মেধা যোগ্যতা নিয়ে আমার কোন প্রশ্ন নেই। আপনি অনেক দক্ষতার অধিকারী। সবকিছু কেনাকাটা শেষ করে আপনারা বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন এবং অনেক ভালো লাগলো। অনেক সুন্দর কেনাকাটার মুহূর্ত আপনি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন।
ভালো লাগলো আপনি পুরো পোস্ট পড়েছেন দেখে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
একদম ঠিক বলেছেন আপু বাচ্চাদের জন্মদিন আসলে কেনাকাটা করতেই হয়। তাছাড়া জন্মদিনের অনুষ্ঠান করলে তো তখন আরো নতুন নতুন জিনিস কিনতে হয়।পরির ডানাটা কিন্তু বেশ সুন্দর হয়েছে। বাচ্চাদের এরকম ডানা লাগলে একেবারে পরীর মত লাগে দেখতে । মেয়ের জন্মদিন উপলক্ষে ভালোই কেনাকাটা করেছেন। ভালো লাগলো দেখে। ধন্যবাদ আপু শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন আপু পরীর ডানাটা খুবই দারুণ ছিল। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
জন্মদিন উপলক্ষে সুন্দর কেনাকাটার মুহূর্তে আজকে আপনি আমাদের মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন আপু। বেশ ভালো লাগলো এই সুন্দর মুহূর্ত আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন আর দেখার সুযোগ করে দিয়েছেন দেখে। যেখানে আপনি কেনাকাটার বিশেষ বিশেষ মুহূর্ত একটা ফটোগ্রাফি করেছেন আর উপস্থাপন করেছেন এই পোস্টে। আর সব মিলে গড়ে তুলেছেন দারুণ একটি পোস্ট।
ভীষণ ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য পেয়ে । অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার মেয়ের জন্মদিন উপলক্ষে দেখছি ভালই কেনাকাটা করেছেন। যদিও প্রথম অবস্থায় জন্মদিন উদযাপন করার তেমন একটা উদ্দেশ্য ছিল না পরবর্তীতে নিজে থেকেই সুন্দর একটি উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। জন্মদিনের সকলেই চাই এই সুন্দর একটা আয়োজনের মাধ্যমে জন্মদিন পালন করতে। জন্মদিনের ড্রেস আপনি তৈরি করেছিলেন যেটা দেখেছিলাম ড্রেসটা আসলেই অনেক সুন্দর ছিল অবশেষে আপনার মেয়ের জন্য জুতা কিনেছেন এটা জেনেও খুশি হলাম। আপনার মেয়ের জন্মদিন উপলক্ষে কেনাকাটার সুন্দর মুহূর্তটা আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ।
আপনি আগের পোস্ট দেখেছেন এটা শুনে ভালো লাগলো। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
https://x.com/TASonya5/status/1723900887318552895?s=20
নাশিয়ার জন্মদিন উপলক্ষে আপনি কিছু কেনাকাটা করেছেন। তবে এটি শুনে খুব ভালো লাগলো আপনার মেয়ের জন্মদিনের কাপড়ের ড্রেস আপনি নিজ হাতে সেলাই করেছেন। আর নিজ হাতে তৈরি করার মজাই আলাদা। জুতা এবং হালকা বেলুন ও অন্যান্য জিনিস কিনলেন মার্কেট থেকে। তবে ছোট বাচ্চারা জন্মদিন অনুষ্ঠান করলে তারা অনেক খুশি হয়।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর করে পোস্টটি আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করার জন্য।
আসলেই নিজে ড্রেসটা তৈরি খুব ভালো লাগলো। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
শিশুদের সুস্থ্য বিকাশের জন্য জন্মদিন পালন করাটা গুরুত্বপূর্ণ আমি মনে করি। নাশিয়ার জন্মদিনের অগ্রীম শুভেচ্ছা আপু। জুতাগুলা সুন্দর হয়েছে।
জন্মদিনটা আসলে পেরিয়ে গেছে ভাইয়া। আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছিলাম। শপিং টা শেয়ার করা হয়নি, তাই এখন শেয়ার করলাম।