আমার ছেলেকে নিয়ে এলোমেলো কিছু কথা
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আমি আপনাদের সাথে আবার নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম । আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করব আমার ছেলেকে নিয়ে এলোমেলো কিছু লেখালেখি । আসলে আমরা যারা ঢাকা শহরে থাকি তারা তো বেশিরভাগ সময়ই বাসার ভেতরে বন্দী থাকি । এজন্য যখন এদিক-ওদিক যাওয়া হয় তখন ছেলে মেয়েরা যেন একটু বেশিই আনন্দ করে । বিশেষ করে আমার ছেলেটা খোলামেলা পরিবেশ পেলে একেবারে প্রাণ চঞ্চল হয়ে ওঠে । কি থেকে কি করবে তার আনন্দের যেন সীমা থাকে না । গ্রামে যাওয়ার সুযোগ আমাদের হয় না । যাওয়ার ভেতরে একটা জায়গা আমাদের রয়েছে সেটা হল ফরিদপুর
সে খুব খুশি
। ফরিদপুরে ওর দাদা বাড়ি এবং নানা বাড়ি দুটো একই জায়গায় । যেহেতু ওর দাদা-দাদি নাই সেহেতু আমরা আমাদের বাসাতেই বেশিরভাগ সময় থাকি । ওর দাদুর বাসায় ওর চাচা চাচি রয়েছে সেখানে কিছু সময়ের জন্য আমরা বেড়াতে যাই । সেখানে গিয়ে ওর একেবারে অস্থিরতা যেন শেষই হয় না । সবাই ওকে অনেক আদর করে সেটা সে বোঝে তাই যা খুশি তাই করে । সেখানে তার দুটো ভাই রয়েছে তাদের সাথে একেবারে অস্থির খেলাধুলা শুরু করে দেয় । এবার আবার গিয়েছিলাম একটু ঘোরাফেরা করতে । সেখানে খোলা মাঠে পেয়ে ছেলে যেন একেবারে সোনায় সোহাগা হয়ে উঠেছে । চারিদিকে শুধু বালি আর বালি তার ভিতরে হাঁটায় যাচ্ছিল না । কিন্তু সেই বালি পেয়ে ও যেন একেবারে যেন পেয়ে গিয়েছে এমন ভাব । বালির ভিতর দিয়ে শুধু ঘোরাঘুরি করেছে জামা কাপড় একেবারে নোংরা করে দিয়েছে । জুতা দিয়ে বালি ওড়ানো দৌড়াদৌড়ি ছবি তোলা মানে একেবারে অস্থির অবস্থা তৈরি করে ফেলেছিল । এরকম ধুলা বালিতে এই প্রথম তার যাওয়া ।
চাচা ও ভাইদের সাথে
ছেলের এই আনন্দ দেখে আসলেই ভালো লাগে । খোলামেলা পরিবেশে যাওয়ার তেমন সুযোগ হয় না যতটুকু পারি এদিক-ওদিক নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি । আবার এমন অনেক জিনিস রয়েছে সে ছোট থেকে একেবারে দেখেনি হঠাৎ করে দেখলে চিনতে পারেনা । সেরকম একটা ঘটনা আপনাদের সাথে বলি । বেশ কিছুদিন আগে ফরিদপুরে গিয়েছিলাম । ফরিদপুরে আমাদের বাসা একেবারে শহরের উপর এজন্য আমরা গ্রামীণ পরিবেশে যাওয়ার তেমন একটা সুযোগ পাই না । ওর দাদাবাড়ি গ্রামে হলেও সেখানে কেউ থাকেনা সবাই শহরে যার কারণে আমরা গ্রামে একেবারেই যাই না এজন্য ছেলে অনেক কিছুই ছোটবেলা থেকে দেখেনি ।
আমি একদিন বিকেলবেলা ওকে নিয়ে আমাদের বাসা থেকে ওর দাদার বাসায় যাচ্ছিলাম । হঠাৎ করে রাস্তার মাঝখানে দেখতে পারলাম গরুর গোবর । দূর থেকে আমি দেখেছিলাম ও আমার হাত ছাড়াই ছিল । তখন গোবরের কাছে এসে আমাকে জিজ্ঞাসা করল মা এগুলো কি আমি ওকে দূরে থেকে বলতে বলতেই দেখি সে গোবরের উপরে পা দিয়ে দিয়েছে । কারণ সে গরুর গোবর কি সেটা চিনে না এজন্য সে পা দিয়ে দেখতে গিয়েছে জিনিসটা কি । আমি ওকে রেডি করিয়ে বাসা থেকে বের করে নিয়ে গিয়েছি । কিন্তু রাস্তার মাঝখানে একেবারে গোবর পারা দিয়ে জুতাটাকে নষ্ট করে ফেলেছে । সেটা দেখে তো আমার একেবারে রাস্তার ভিতরে বমি চলে এসেছিল । এর ভিতরে আমি রিক্সাও ঠিক করে ফেলেছি কি আর করার সেই অবস্থায় আমরা রিকশায় উঠে ওর দাদু বাসায় চলে গেলাম । সেখানে যেয়ে অনেক কষ্ট করে পরিষ্কার করেছি এবং পরে তাকে সেটা বুঝালাম । গোবর মানে কি বোঝানো হয় পরে সেটা সে বুঝতে পারলো । আসলে আমাদের সবকিছু সাথেই বাচ্চাদেরকে পরিচয় করিয়ে দেওয়া উচিত । সেই সুযোগটা তো আমরা খুব একটা পাই না যার কারণে এখন আমরা যখনই ফরিদপুরে যাই তখনই এদিক অধিকার আনাচে-কানাচে ঘুরে বেরানোর চেষ্টা করি যাতে গ্রামীন কালচার সম্পর্কে কিছুটা হলেও ওরা জানতে পারে ।
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
---|---|
ডিভাইস | samsung Galaxy s8 plus |
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
---|
@tauhida
*** VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
আপনার ছেলে সম্পর্কে আপনার লেখাগুলো পড়ে বেশ ভালো লেগেছে আমার। একই সাথে আপনার ছেলের বিভিন্ন মুহূর্তের দেখতেও অনেক সুন্দর লাগছে। আর ছেলেদের আনন্দঘন মুহূর্ত দেখতে সকল পিতা-মাতারই ভালো লাগে। যাহোক অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আমার পোস্টটি পড়ে সুন্দর একটি মতামত দেয়ার জন্য ।
এটা একেবারেই ঠিক শহরে বড় হওয়া ছেলে মেয়েরা অনেক কিছুই চেনে না। এটা অনেকটা বাবা মায়ের জন্যও হয়। তারা ছেলে মেয়েদের সব সময় ঘর বন্ধি করে রাখে । যার ফলে বাচ্চারা আজকাল অনেক কিছুই চিনে না। তবে আপনি বেশ ভালো করেন। সময় পেলেই বাহিরে বেড়াতে নিয়ে যান। যা শিশুদের মানষিক বিকাশের জন্য বেশ গুরুতেপূর্ণ। বেশ ভালো লাগলো আপনার লিখা পড়ে। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য কথাগুলো।
ঠিকই বলেছেন আমাদের সবারই উচিত বাচ্চাদেরকে নিয়ে ঘোরাফেরা করা এবং সব জিনিসের সাথে কমবেশি পরিচয় করিয়ে দেওয়া ।
যারা সাধারণত শহরের চার দেওয়ালের ভিতর বন্দি থাকে তারা এরকম খোলা পরিবেশ পেলে একটু ঘোরাঘুরি কিংবা আনন্দ ফুর্তি করবে, এটাই স্বাভাবিক আপু। তবে আপনার ছেলের কথা কি আর বলবো আপু, আমি নিজেও ছোটবেলায় গরুর গোবর পাড়িয়ে পাড়িয়ে দেখতাম যে আসলে জিনিসটা কি! হা হা হা...🤭🤭 তবে আমারও মনে হয় যে, এখনকার বাচ্চারা যারা শহরে থাকে তাদের এই ব্যাপারগুলো সম্পর্কে একটু নলেজ দেওয়া উচিত।
তাহলে তো দেখছি আপনিও আমার ছেলের মত পা দিয়ে পরীক্ষা করে দেখেন যে আসলে জিনিসটা কি।
আপনার লেখাটি পড়ে হাসি আটকাতে পারি নি।গোবরে পা দিয়ে দেখতে গিয়েছে ওটা কি।সত্যি মজার ছিল।পরিস্কার করতে যেয়ে তো আপনার জীবন শেষ বুঝতে পারছি।বাচ্চাদের গ্রামীণ জিনিস গুলো আসলেই জনতা খুবই জরুরী। তাই যখনই সময় সুযোগ হবে ওকে গ্রামীণ পরিবেশে ঘুরতে নিয়ে যাবেন। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
পরিষ্কার করতে গিয়ে আমার একেবারে বমি চলে এসেছিল ।তারপরও অনেক কষ্ট করে করেছিলাম ।