আমার ঈদের দিনের আনন্দ
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আমি আবার আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম । আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করব আমার ঈদ কেমন গেল সেই মুহূর্তগুলো । আসলে একটা মাস রোজা থাকার পরে যখন ঈদ আসে তখন এমনিতেই খুব ভালো লাগে । ঈদটা শুরু হয়ে যায় রোজার আগে থেকেই । যখন থেকে শপিং শুরু হয় তখন থেকে ঈদের আনন্দ যেন শুরু হয় । সারাদিন কষ্ট করে রোজা রাখার পরে শপিং করতে কিন্তু একটুও কষ্ট লাগে লাগে না । আমারতো রোজা রেখে যতই কষ্ট হোক না কেন শপিং করা থেকে কখনো বিরত থাকি না । শপিং করতে আমার কাছে সব সময় খুব ভালো লাগে রোজার সময় বেশি ভালো লাগে । আমার মনে হয় যে প্রতিটি রোজার দিনে সন্ধ্যার পরে রাত বারোটা পর্যন্ত শপিং করতে থাকবো এটাই একটা আনন্দ । কিন্তু প্রতিদিন তো আর যাওয়া হয়নি তারপরও মাঝে মাঝে গিয়েছি ।
ছেলের তো আর আনন্দ শেষই হয় না । কারণ এখন সে ঈদটাকে বুঝতে শিখেছে । এজন্য ঈদের কয়েকদিন আগে থেকে সে শুধু গুনেই যাচ্ছে কবে ঈদ আসবে কবে ঈদ আসবে ।তার নতুন ড্রেস পড়তে পারবে । অনেকগুলো ড্রেস পেয়েছে কখন কোন ড্রেস পড়বে সেটা ঠিক করছে এবং কোনটার সাথে কোনটা পড়লে ম্যাচিং হবে । এখন আমরা বড় হয়ে গিয়েছি বাচ্চাদের এই আনন্দ দেখেই আমাদের কাছে ভালো লাগে ।ঈদের আগের দিন আমি প্রায় অনেক কিছুই রান্নাবারা করে গুছিয়ে রেখেছি । যাতে ঈদের দিন একটু ফ্রি থাকা যায় । আগের দিন গুছিয়ে রেখে মনে হয় ভালোই করেছিলাম । ঈদের দিন থেকে শরীরটা ভালোই খারাপ ঠান্ডা ঠান্ডা ভাব লেগে গিয়েছে মাথাব্যথা যেন একেবারে যাচ্ছেই না । মাথার ভিতরে একটা ঝিমঝিম ভাব লেগেই আছে এবং এখন পর্যন্ত ঠিক হয়নি । তারপরেও ঈদের আয়োজন এবং ঘোরাফেরা তো করতেই হবে ।
গেস্টরা রাতেরবেলা খাবে এইজন্য সব ধরনের কাজ আমাকে একাই করতে হয়েছে । কারণ কাজের মেয়েটা ঈদের দুদিন আগে ছুটিতে চলে গিয়েছে । কিছু কিছু খাবার আগের দিন রান্না করেছি কিছু সকালে রান্না করেছি এবং আবার কিছু খাবার সন্ধ্যার পরে রান্না করেছি । গরম গরম খাবার যাতে পরিবেশন করতে পারি আর গরম গরম খাবার খেতেই ভালো লাগে । ঈদের দিন সকালবেলা উঠে ছেলে আর ছেলের বাবা নামাজে চলে গিয়েছে যেহেতু সকালে ওঠার অভ্যাস নেই সেই কারণে ওদেরকে বিদায় দিয়ে আমি আবার বিছানায় শুয়ে পড়েছি । কিছুক্ষণ ঘুমানোর পরেই দেখি ওরা ফিরে এসেছে ।যেহেতু বেশিদূর যেতে হয়নি তাই নামাজ তাড়াতাড়ি শেষ হওয়ার সাথেই ওরা চলে এসেছে । তারপর সবাই মিলে আবার আরো একটা ঘুম দিয়েছি । কারণ সকালবেলা উঠে তো কোন লাভ নেই ।
ঘুম থেকে উঠে তিনজনে মিলে সকালের নাস্তা সেরেছি তারপর দুপুরে কিছু খাবার দাবার আয়োজন করেছি । এদিকে ছেলে বায়না ধরেছে ও আজকে রমনা পার্কে যাবে । আমর রমনা পার্কে যাওয়ার মোটেও ইচ্ছা ছিল না কিন্তু ছেলের বায়নার চটে বাধ্য হয়ে যেতে হল । কিন্তু রমনা পার্কে গিয়ে তো একেবারে হতবাক কারণ আজকে মনে হয় মানুষের ঢল নেমেছে ওখানে । চারিদিকে শুধু মানুষ আর মানুষ গেট দিয়ে ঢুকতেও লাইন ধরে ঢুকতে হয়েছে । আর বাচ্চাদের যে খেলার জায়গাটা ছিল সেখানে তো একেবারে ফাঁকাই ছিল না । এক একটা রাইডে উঠতে হলে লাইন ধরে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে । তারপরও ছেলে ওই লাইন ধরে ধরে প্রত্যেকটা রাইডে চড়েছে ।
তার এই আনন্দটা দেখতেই ভালো লেগেছে যদিও আমার হাঁটতে কষ্ট হয়েছিল তারপরও সে যতক্ষণ পর্যন্ত পেরেছে সেখানে খেলাধুলা ও ঘুরাঘুরি করেছে । পরে আমরা সেখান থেকে ফিরে এসে আমাদের পাশের বাসায় গেলাম সেখান থেকে হালকা কিছু নাস্তা করে তারপর বাসায় এসে আমি আমার বাকি রান্না গুলো কমপ্লিট করেছি । তারপর রাত এগারোটা সাড়ে এগারোটার দিকে সবাই মিলে একসাথে বসে খাবারটা সেরে নিয়েছি । তারপর আরো কিছু সময় আড্ডা দিয়ে এরপর আমি আমার ঈদ শেষ করেছি । ভালোই গেল এখন ইচ্ছা আছে পরের দিন বাবার বাড়িতে গিয়ে সপ্তাহখানেক বেরিয়ে আসবো বাকি সব আল্লার ইচ্ছা ।
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
---|---|
ডিভাইস | samsung Galaxy s8 plus |
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
---|
@tauhida
*** VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
হাজার কষ্ট হলেও আমরা মেয়েরা শপিং করতে খুবই পছন্দ করি। ঈদের আগের দিন কিছু কিছু খাবার তৈরি করে রাখলে ঈদের দিন একটু ফ্রি থাকা যায়।আপনার এই আইডিয়াটা আমার কিন্তু অনেক ভালো লেগেছে। আপনার ঈদের দিনের আনন্দ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
একদম তাই আপু শপিং করতে আমার কাছে সবসময়ই ভালো লাগে সে যত কষ্টই হোক না কেন ।
প্রথমে আপনাকে জানাই ঈদের শুভেচ্ছা ঈদ মোবারক। আসলে ছোটদের ঈদের আনন্দ একটু বেশি থাকে সবসময়। আর বাচ্চাদের ঈদের আনন্দের সাথে কিন্তু আমাদেরও আনন্দ। খুব সুন্দরভাবে আপনি ঈদের অনুভূতিটা প্রকাশ করেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো।
আপনাকেও ঈদের অনেক অনেক শুভেচ্ছা । ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপনার ঈদের দিনের আনন্দঘন কিছু মুহূর্ত। আপনি একদম ঠিক বলেছেন আপু আসলে দীর্ঘ এক মাস রমজান পালন করার পরে যখন ঈদ আসে সত্যি প্রত্যেকটা মানুষের মনেই বেশ খুশিতে দোলা দিয়ে যায়। আসলে আপু ঈদের দিন থেকে আমারও একটু শরীর খারাপ হয়েছে। আশা করি খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন। ধন্যবাদ ছেলেকে নিয়ে এত সুন্দর ভাবে ঈদের আনন্দঘন মুহূর্ত উপভোগ করার জন্য।
এক মাস রোজা থাকা হয় বলেই ঈদটাকে এত বেশি আনন্দের মনে হয় । ধন্যবাদ আপনাকে ।
ঈদের দিন কখন আসবে এটা নিয়ে আগে আমরা আগ্রহে বসে থাকতাম একমাস পর্যন্ত। আপনার ছেলে তো দেখছি অনেক বেশি আনন্দ করেছিল। বাচ্চারা এমনিতেই অনেক খুশি হয় যদি বিভিন্ন রাইডে চড়তে পারে তাহলে। বাচ্চাদের আনন্দ দেখলে নিজেদের কাছেই অনেক বেশি ভালো লাগে। ঈদের সময় যদি বাবার বাড়িতেই না যাওয়া হয় তাহলে ভালোই লাগে না একেবারে। ঈদের আগের দিন আমিও সকলের জন্য কিছু নাস্তা তৈরি করে রেখেছিলাম। যার কারণে সকালবেলায় এত বেশি ঝামেলা পোহাতে হয়নি আমাকে। খুব ভালো লাগলো আপনাদের কাটানো মুহূর্তটা।
আগে আমরা নিজেরা আগ্রহ নিয়ে বসে থাকতাম এখন বাচ্চা-কাচ্চারা আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করে সেটা দেখতেই ভালো লাগে ।
আসলেই আপু যেদিন থেকে ঈদের শপিং শুরু হয় সেদিন থেকেই ঈদের আনন্দ শুরু হয়ে যায়। শপিং করতে আমারও ভালোই লাগে। ছেলের বায়নার কারণে রমনা পার্ক থেকে ঘুরে এসেছেন। আসলে বাচ্চারা ঈদের দিন একটু ঘুরাঘুরি করতে পছন্দ করে। সে লাইন ধরে প্রত্যেকটা রাইডে উঠেছে জেনে ভালো লাগলো। ছবিগুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে আপনার ছেলে অনেক আনন্দে আছে।
এবার তো ঈদের আনন্দ সেই দুই মাস আগে থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে শপিংমলে গেলে সেটা বোঝা যায় ।
ঈদের দিনের আনন্দটা সব থেকে বেশি স্পেশাল ছিল সবার জন্য। ঈদের দিনে সবাই নিজের মতো করে অনেক ভালো সময় অতিবাহিত করেছে। আর ঠিক তেমনি আপনিও আপনার পরিবার খুব ভালো সময় কাটিয়েছেন দেখছি। যেটা অনেক ভালো লেগেছে। আপনার ছেলে তো দেখছি অনেক বেশি আনন্দিত ঈদের দিনে আর। খুবই আনন্দ করে সময়টা অতিবাহিত করেছিল। বিভিন্ন রাইডে চড়তে পেরে সে অনেক খুশি হয়েছিল মনে হয়।
ঠিক বলেছেন অন্যদিনের তুলনায় ঈদের দিনের স্পেশাল সময়টা সত্যিই খুব ভালো লাগে ।
ঈদের দিনটা বাচ্চাদের সাথে নিয়ে বেশ সুন্দর সময় কাটিয়েছেন দেখছি। বাচ্চারা ঈদের দিনে আনন্দ করে আর তাদের আনন্দই যেন আমাদের সুখ। আমি অবশ্যই ঈদের দিন কোথাও ঘুরতে যেতে পারি নাই তবে ঈদের পরের দিন বের হয়েছি মায়ের বাসায় এরপর ঘোরাঘুরি খাওয়া-দাওয়া আনন্দ উৎসব। যাইহোক বেশ ভালো লাগলো সুন্দর এই অনুভূতি পড়ে।
আসলে বাচ্চাটাকে নিয়ে অনেক সুন্দর একটি সময় কাটিয়েছি ও খুশি হয়েছে সেটা দেখেই ভালো লেগেছে ।
আপু আপনার ঈদের দিনের কাটানো মুহূর্তগুলো পড়ে বেশ ভালো লাগলো। ঈদের দিনে রমনা পার্কে ভিড় হবে এটা তো আমার আগেই মনে হয়েছে। কেননা ওখানে যে কোন অকেশন দেখলেই মানুষের বৃষ্টি নামে ।আপনারাও ভিড়ের মধ্যে পড়েছিলেন, তারপরেও একটু ঘোরাঘুরি করেছেন জেনে বেশ ভালো লাগলো ।সব মিলিয়ে দারুন একটি দিন কাটিয়েছেন দেখে ভালো লাগলো ।ধন্যবাদ আপনাকে।