ফুড ফটোগ্রাফি।
পরম করুনাময় অসীম দয়াল মহান সৃষ্টিকর্তার নামে শুরু করিতেছি।
হ্যালো আমার প্রিয় বাংলা ব্লগবাসি বন্ধুরা, আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে ঘরোয়াভাবে তৈরি করা কিছু মজার মজার খাবারের ফটোগ্রাফি শেয়ার করবো।
বন্ধুরা আমরা বাঙালিরা কিছুটা ভোজন প্রিয় মানুষ। আমার একটু খাবার-দাবার বেশি খাওয়ার চেষ্টা করি। বিশেষ করে আমাদের তৈলাক্ত খাবারটা একটু বেশি খাওয়া হয়। আমাদের বাংলাদেশের মতো তৈলাক্ত খাবার অন্যান্য দেশে খুবই কম খাওয়া হয়। তবে আমাদের আরেকটি খারাপ দিক রয়েছে, সেটা হলো আমরা প্রচুর খাবার নষ্ট করি। আমরা প্রয়োজনের তুলনায় একটু বেশি খাবার রান্না করি। যার ফলে প্রতিদিনই কোন না কোন খাবার আমাদের বাসায় নষ্ট হয়। আমরা বাঙালিরা এক মুঠো খাবার কম খেতে রাজি না। কিন্তু এক মুঠো খাবার নষ্ট করতে রাজি আছি। এটা আমাদের খুবই খারাপ একটি অভ্যাস। আমাদেরকে অবশ্যই এই অভ্যাসটাকে পরিবর্তন করতে হবে। আমাদেরকে খাবার নষ্ট করা থেকে বিরত থাকতে হবে। বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর কত মানুষ দুবেলা মুঠো খাবার খেতে পারে না। অথচ আমরা খাবার নষ্ট করার আগে এ বিষয়টি একটু চিন্তাও করি না। যাইহোক আমাদের মন মানসিকতার পরিবর্তন হোক।
আজকে আমি আপনাদের সাথে যে খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করতে যাচ্ছি সবগুলো আমাদের নিজের বাড়িতে তৈরি করা খাবার। আমাদের খুবই পছন্দের খাবার দাবার। সবগুলো খাবার আমি নিজে রান্না না করলেও সবগুলো খাবার তৈরি করতে আমি সাহায্য সহযোগিতা করেছিলাম। তো চলুন দেখে নেওয়া যাক আমাদের সেই খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো।
কিছুদিন আগে আমার হাজব্যান্ড আমাদের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল। আমার দেবরের বিয়ের পরের দিন ঢাকায় যাওয়ার আগে আমাদের বাড়িতে গিয়েছিলাম। তখন আমার আব্বু আমার হাজব্যান্ডকে একটি আস্তো মুরগি ভুনা করে দিতে বলেছিল। তখন এটা আমার ছোট বোন আর আমি দুইজন মিলে ভুনা করে আমার হাজব্যান্ড কে দিয়েছিলাম। তবে তিনি তেমন বেশি একটা খেতে পারেনা। মাত্র দুইটি লেগ পিস খেয়ে ছিল।
তারপর এখানে আরেকটি ফটোগ্রাফিতে দেখতে পাচ্ছেন দেশি মাছের ভুনা রেসিপি। এগুলো আমাদের বাড়ির পাশের তিতাস নদীর মাছ। দেশী মালগুলো খুবই সুস্বাদু। এখানে রয়েছে টেংরা মাছ, কানলা মাছ, রুই ও বাটকি মাছ। আমার আব্বু এবং ভাই সাধারণত সব সময় দেশি মাছ আনার চেষ্টা করে। আমাদের ঘরে চাষের মাছ তেমন একটা খাওয়া হয় না।
আপনারা সবাই জানেন যে বাজার নতুন ফুলকপি এসেছে। আমরা আরো একমাস আগে থেকেই ফুলকপির রেসিপি খাচ্ছি। ফুলকপিটা সবসময়ই ভালো লাগে। বিশেষ করে এখন নতুন ফুলকপি বাজারে এসেছে, এগুলো বিভিন্ন ভাবে মাছ দিয়ে রান্না করলে খেতে খুবই স্বাদ লাগে। এখানে আমার ছোট বোন নদীর বিভিন্ন মাছ দিয়ে ফুলকপি রেসিপি টা তৈরি করেছিল।
বন্ধুরা এখানে আরেকটি ফটোগ্রাফি দেখতে পাচ্ছেন, এই খাবারটা আমার বড় বোন বানিয়েছিল। এটাকে ঘরে বানানো লাচ্ছি ও বলতে পারেন। কারণ এই খাবারটিতে দুধ, কালোজিরা, তোকমা ইসুবগুলের ভুষি, কলা, খেজুর সহ আরো কয়েক প্রকার ফুল দিয়ে রেসিপিটা তৈরি করেছিল। একটু ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে খেলে খুবই সুস্বাদু লাগে।
বন্ধুরা এখানে আপনার ছোট মাছের একটি রেসিপি দেখতে পাচ্ছেন। এটাকে চাপিলা মাছের তরতরা রেসিপিও বলতে পারেন। এই ফটোগ্রাফি টা করেছিলাম গত মাসে ঢাকা যাওয়ার আগে। এই রেসিপিটাও খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। এ মাছগুলো কয়েকভাবে খাওয়া যায়। তবে তরকারি থেকে ভাজা ভাজা করে খেলেই বেশি সুস্বাদু লাগে।
বন্ধুরা এখানে দেখতে পাচ্ছেন পুঁইশাক দিয়ে চিংড়ি মাছের একটি রেসিপি। আমরা সবাই জানি যে পুঁইশাক দিয়ে চিংড়ি মাছ রান্না করলে খেতে খুবই ভালো লাগে। নদীর চিংড়ি মাছ দেশি পুঁইশাক দুইটার সমন্বয়ে দারুন একটি রেসিপি হয়েছিল। রেসিপির কালারটা খুবই সুন্দর হয়েছে।
আর সর্বশেষ যে ফটোগ্রাফি টা দেখতে পাচ্ছেন এটা হলো চান্দা মাছের ভুনা রেসিপি। এই মাছগুলো কেটেকুটে তৈরি করা একটু কঠিন। কারণ এই মাছগুলোর মধ্যে কাঁটা থাকে। কাঁটা গুলো কেটে সুন্দরভাবে প্রসেস করে এই মাছগুলো খাওয়ার জন্য রেডি করতে হয়। হালকা তেল দিয়ে ভাজা ভাজা করে খেলে খুবই ভালো লাগে।
তো বন্ধুরা দেখতে দেখতে আপনাদের সাথে অনেকগুলো লোভনীয় খাবারের ফটোগ্রাফি শেয়ার করে ফেললাম। কেমন হলো আমার আজকের ব্লগটি। অবশ্যই আপনাদের কাছে কমেন্টের মাধ্যমে জানার আশা রাখি। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, সবাই সবার জন্য দোয়া করবেন।
সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ,আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | রেডমি নোট-৮ |
শিরোনাম | ফুড ফটোগ্রাফি।। |
স্থান | ভাদুঘর ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ঢাকা,বাংলাদেশ। |
তারিখ | ১২-১১-২০২৪ |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @titash |
আমার পরিচিতি
আমি মোছাঃ মুসলিমা আক্তার নীলা। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @titash নামে পরিচিত। আমার জন্মস্থান চট্রাগ্রাম বিভাগের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ভাদুঘর গ্রামে। আমি বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজে অনার্স তৃতীয় বর্ষে বাংলা বিভাগ নিয়ে পড়াশোনা করতেছি। আমি বিবাহিত,আমার একটি কন্যা সন্তান আছে। আমি আমার হাসবেন্ডের সাথে ঢাকা বিভাগের অন্তর্গত নারায়নগঞ্জ জেলায় বসবাস করছি। আমি আমার হাসবেন্ডের মাধ্যমে স্টিমিট প্লাটফর্ম সম্পর্কে জানতে পারি। প্লাটফর্মটার বিষয়ে জেনে আমি এখানে কাজ করার আগ্রাহ প্রকাশ করি। তারপর ২০২৩ সালের ফ্রেব্রুয়ারী মাসে আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমে স্টিমিট প্লাটফর্মে যুক্ত হয়। আমি ভ্রমন করতে,মজার মজার রেসিপি করতে,বই পড়তে, নতুন নতুন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে ও সৃজনশীল জিনিষ তৈরী করতে ভালোবাসি। আমি বাঙ্গালী জাতি হিসাবে ও আমার বাংলা ব্লগের সদস্য হতে পেরে নিজেকে নিয়ে গর্ববোধ করি।
![image.png](
এটা অবশ্য ঠিক বলেছেন আপু আমরা বাঙালিরা খেতে অনেক ভালোবাসি। আর মজার মজার খাবার গুলো দেখতেও ভালোবাসি। আপনি আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে দারুণ দারুণ খাবারের ছবিগুলো তুলে ধরেছেন আপু। দেখে খুবই ভালো লাগলো।
জ্বী আপু, বাঙালি মানে আরামপ্রিয় আর খাদ্যপ্রিয়। ধন্যবাদ আপু।
খাবারের ফটোগ্রাফি দেখলেই আমার লোভ লাগে।কারণ খাবার লোভের ই জিনিস।খুব সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আপনি আজ আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করার জন্য।
খাবারের ফটোগ্রাফি দেখলে সবারই লোভ লাগে যেমন আপনারও, হাহাহা। আপনাকেও ধন্যবাদ ভাইয়া।
ফুড ফটোগ্রাফি মানে বিভিন্ন রকমের মজার মজার খাবার দেখার সুযোগ।আজকে আপনি মজাদার মজাদার সব খাবারের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন।বিশেষ করে আস্ত মুরগি দেখে সত্যিই আমার জিভে জল চলে এসেছে। কেননা আস্ত মুরগি খেতে আমি খুব বেশি পছন্দ করি।
এত রকমের খাবার দেখিয়ে তো খিদে বারিয়ে দিলেন৷ অসাধারণ সব ফুড ফটোগ্রাফি আমাদের সঙ্গে শেয়ার করেছেন আপু। কোনটা ছেড়ে কোনটার কথা বলি। মাংসের পদগুলি দেখলেই লোভ লেগে যায়। সব ছবিতেই বোঝা যাচ্ছে যে খাবারের মান অসাধারণ ছিল এবং খুব সুস্বাদু ছিল।
ফুড ফটোগ্রাফি গুলো দেখলেই জিহ্বায় জল চলে আসে। আপনি দেখছি আজকে বেশ কয়েকটি লোভনীয় খাবারের ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার শেয়ার করা প্রতিটি খাবারের ফটোগ্রাফী আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। বিশেষ করে আপনার শেয়ার করা ফুলকপি দিয়ে মাছ রান্নার রেসিপি টি একটু বেশি ভালো লেগেছে। আসলে ফুলকপি দিয়ে যে কোন ধরনের রেসিপি তৈরি করলে অনেক বেশি মজাদার হয়।
এত মজাদার খাবারের ফটোগ্রাফি দেখেই তো আমার একেবারে লোভ লেগে গেল, তাও আবার দেখলাম এই দুপুরবেলায়। প্রথম ফটোগ্রাফি টা দেখে একেবারে জিভে জল চলে আসলো আমার। এই দুপুর বেলায় যদি এত মজাদার খাবারগুলো পেতাম, তাহলে তো বেশ মজা করে খেয়ে নিতাম। প্রত্যেকটা খাবার দেখতে খুবই লোভনীয় লাগছে।