নাটক রিভিউ : সন্ধ্যা ৭ টা
হ্যাল্লো বন্ধুরা
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগবাসী,সকলকে আমার আদাব/ নমষ্কার 🙏🙏। আশা করছি আপনারা সকলে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও মহান সৃষ্টিকর্তার আশির্বাদে ভালো আছি। আজ আপনাদের সাথে আবারো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকের পোষ্ট টি আপনারা টাইটেল দেখেই বুঝতে পেরেছেন ইতিমধ্যে, নাটক রিভিউ পোস্ট। আশা করবো আপনাদের সকলের ভালো লাগবে। তো চলুন সবার আগে নাটকের কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেখে নেই এক নজরে.....
এক নজরে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য :
নাম: | সন্ধ্যা ৭ টা |
---|---|
ডিরেক্টর : | জিয়াউল হক পলাশ |
প্রডিউসার : | আকবর হায়দার মুন্না |
অভিনয়ে: | ইরফান, পারসা ইভানা, আবদুল্লাহ রানা, শামীমা নাজনীন ও আরো অনেকে |
প্রকাশ মাধ্যম : | ইউটিউব |
দৈর্ঘ্য : | ৫২:২০ মিনিট |
ভাষা: | বাংলা |
এই নাটকটির নায়কের নাম আজাদ আর নায়িকা শোভা। নাটকে দেখা যায় গ্রামে প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭ টা বাজে কারেন্ট চলে যায়। যখন কারেন্ট চলে যায়, এই সুযোগে আজাদ আর শোভা লুকিয়ে দেখা করে। আজাদ অন্য গ্রামে থেকে শোভার সাথে দেখা করতে আসে৷ কারণ আজাদের সাথে গ্রামের এক মাতবর আড়তদার মতিন এর খুবই কাটাকাটি মারামারি সম্পর্ক৷ মতিনের ভয়ে আজাদ সেই গ্রামে দিনের বেলা বা লুকিয়ে না এসে জনসম্মুখে সেই গ্রামে আসতে পারে না। ওদিকে প্রতিদিন এই কারেনগ যাওয়া কে কেন্দ্র করে গ্রামে নানা ধরনের অকাজ চলতে থাকে৷ চলতে থাকে মাদকের চোরাচালানি, চলতে থাকে চুরি, এমনকি কেউ শয়তানি করে অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে গ্রামের মহিলাদের টার্গেট করে জড়ায় ধরে পালিয়ে যায়!
এসব নিয়ে গ্রামবাসী বেশ হয়রান। দিনের বেলা সকলে মিলে কারেন্টের অফিসে গিয়ে কথা বলে। সেখানে মেম্বার, চেয়ারম্যান সকলেই থাকে। সকলের নানাবিধ সমস্যার কথা তুলে ধরে চেয়ারম্যান কে বলে এর সমাধান করার জন্য। কারেন্টের অফিসের লোক বলে লাইনে তো কোন সমস্যা নেই। কেন প্রতিদিন ৭ টা বাজে কারেন্ট চলে যায় তারা কেউ ধরতে পারছে না। ওদিকে মহিলাদের টার্গেট করা হয় দেখে মেম্বার অর্থাৎ নায়িকার বাবা নিজেদের বাসায় আইপিএস এর লাইন লাগিয়ে নেয়, যেন কারেন্ট চলে গেলেও তাদের বাসায় অন্ধকার না হয়। ওদিকে যেহেতু বাসায় এখন আইপিএস এর লাইন আছে, শোভাও আগের মতো প্রতিদিন যেতে পারে না আজাদের সাথে দেখা করতে। একদিন বাসায় অনেকে আসায় সুযোগ করে শোভা দেখা করতে চলে যায়, আর বিস্তারিত বলে৷ ওদিকে বাড়ি ফেরার পর বাবার কাছে ধরা খায় শোভা। শোভার বাবা বলেন যে পাত্র ঠিক করা হচ্ছে, তাকে বিয়ে দিয়ে দেয়া হবে।
এবার আমরা দেখবো আসলে আজাদ ই প্রতিদিন কারেন্ট এর লাইন সংযোগ খুলে দেয় যেন সেই সুযোগে শোভার সাথে দেখা করতে পারে। কিন্তু বাসায় ধরা খাওয়ার পর শোভা আর বের হতে পারে না৷ বাধ্য হয়ে দিনের বেলায় লুকিয়ে খবর নিতে আসে গ্রামে। শোভা বলে তাকে ভুলে যেতে, তার বাবা যেখানে তার বিয়ে ঠিক করবে সেখানেই বিয়ে করে নিবে৷ শুনে আজাদ বলে ধরা পরেছে জন্য বাবা বিয়ের কথা বলেছে নিশ্চয়ই৷ আর তাছাড়া বিয়ে ঠিক হলেও সন্ধ্যা ৭ টায় কারেন্টের লাইন অফ করে দিয়ে পালিয়ে যাবে একসাথে। তখন শোভা বলে তার বড় বোনের পালয়ে যাওয়ার শোক এখনো তার বাবা মা কাটিয়্র উঠতে পারে নি, তাই তার বড় বোনের মতো শোভা পালিয়ে যেতে পারবে না। ওদিকে সত্য সত্যিই শোভার বিয়ে ঠিক হয়ে যায়... কিন্তু তারপর কি করে শোভা? শোভা আর আজাদের সম্পর্ক পরে কোন মোড়ে এসে দাঁড়ায়, সেটা দেখতে হলে দেখতে হবে নাটকটি।
ব্যক্তিগত মতামত:
নাটকটি আমার কাছে ভীষণ ই ভালো লেগেছে।আগের দিকে যখন মোবাইল ফোনের এত প্রচলন ছিলো না, তার আগের সময়টার গ্রামের নানা দিক ই এই নাটকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। গল্প বলার ধরন ভালো, দারুণ স্ক্রিপ্ট এবং প্রত্যেকের অভিনয় যাস্ট অসাধারণ। মূলত ভালোবাসার গল্প, তবে অনেক কিছুই তুলে ধরা হয়েছে নাটকে। শেষে এসে মন ছুঁয়ে যেতে বাধ্য!
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপু আমি তো ভেবেছিলাম এটি ভূতের কোনো নাটক হবে এই জন্য কখনো দেখা হয়নি। তবে আপনার রিভিউ পড়ে পুরাই অবাক হয়ে গেলাম।অবশ্যই পুরো নাটকটি দেখার চেষ্টা করব।সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
হয়তো নামেওটার কারণে ভুতের নাটক মনে হয়েছে। তবে এটি ভুতুরে নাটক না। দেখলে আপনি বেশ ভালোই রিলেট করতে পারবেন আপু। আপনার দারুণ মতামতের জন্য ধন্যবাদ।
আপু আপনি খুব সুন্দর একটি নাটক রিভিউ দিয়েছেন। ইরফানের নাটক দেখতে আমি খুব পছন্দ করি কিন্তু অনেক দিন হয়েছে দেখা হয়না। তাই তো আপনার রিভিউ খুব মনোযোগ দিয়ে পড়ছিলাম। নাটকের প্রোফাইল আর নাম দেখে ভেবেছিলাম ভৌতিক হবে কিন্তু পড়ে বুঝতে পারলাম খুবই রোমান্টিক প্রেমের গল্প। রোমান্টিক নাটক দেখতে কিন্তু খুব ভালো লাগে। ধন্যবাদ এত সুন্দর নাটক রিভিউ দেওয়ার জন্য।
জি আপু। ছোটবেলায় কারেন্ট চলে গেলে যে ফীল হতো, অনেকটা সেই আবহ ফিরে পেয়েছি নাটকটি দেখে। আমার বেশ ভালো লেগেছে।
এই বছর ঈদে আমি একটা নাটকই দেখেছি সেটা হলো এই নাটক টা। নাটকের স্টোরি টা বেশ ভালো লেগেছেহ পাশাপাশি কাহিনী সাউন্ড এবং শ্যুটিং স্পটগুলো বেশ ভালো ছিল। নাটকে হাসি ইমোশন সবকিছু পর্যাপ্ত পরিমাণে ছিল। নাটক টার রিভিউ টা বেশ ভালো করেছেন আপু। নাটকের শেষটা একেবারেই অনাকাঙ্খিত ছিল। সবমিলিয়ে দারুণ করেছেন আপু।
এবছর ঈদে আপনি যে একটি নাটক ই দেখেছেন, সেটিই দারুণ একটি নাটক নিঃসন্দেহে ভাই! আসলেই শেষ টা ভীষণ অনাকাঙ্ক্ষিত ছিলো। সব মিলিয়ে অনেকদিন পর ভিন্ন রকমের একটি নাটক দেখেছি আমিও। পুরো টীম ই প্রশংসার যোগ্য!
এই নাটকটি কয়েকদিন আগেই দেখা হয়েছে আমার। নাটকের গল্পটা আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। যদিও প্রথমদিকে বেশ মজার কিছু দৃশ্য ছিল তবে এন্ডিং টা দেখে আসলেই খুব খারাপ লেগেছে। আপনি খুব সুন্দর ভাবে সম্পূর্ণ নাটকের রিভিউ দিয়েছেন। শেষ দিকে নাটকটা আসলেই মন ছুয়ে যাওয়ার মত। ধন্যবাদ আপু।
আসলেই শেষ এর অংশটুকু বেশ অনাকাঙ্ক্ষিত ছিলো। তবে হৃদয় ছুঁয়ে গেছে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
ইভানার নাটক আমি অনেক বেশি পরিমাণে পছন্দ করি। আজকে আপনি তার সুন্দর একটি নাটক এর রিভিউ শেয়ার করেছেন এবং এই নাটকের রিভিউ আপনার কাছ থেকে দেখে খুবই ভালো লাগছে৷ খুব সুন্দর ভাবে আপনি এই নাটকের মধ্যে ঘটে যাওয়া বিষয়বস্তুগুলো এখানে ফুটিয়ে তুলেছেন। অবশ্যই চেষ্টা করবো এই নাটকটি দেখে নেওয়ার৷ অসংখ্য ধন্যবাদ এই নাটকের রিভিউ শেয়ার করার জন্য৷
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই দারুণ মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।