কর্মসংস্থানের প্রয়োজন বেশি কাদের? পুরুষ/নারী
আচ্ছালামু আলাইকুম, আমি @toufiq777
আশা করি সবাই ভালো আছেন৷ আমিও আল্লাহর রহমতে ভালোই আছি।
পৃথিবীতে বাঁচতে হলে সকলকেই পরিশ্রম করতে হয়৷ পরিশ্রম ছাড়া কেউ কখনও কিছুই করতে পারবে না৷ আপনার যদি কোটি টাকার সম্পত্তিও থাকে আপনি যদি বসে বসে খান তাহলে সেটি ফুরিয়ে যাবে। কিন্তু আপনি যদি কর্ম করেন৷ তাহলে হয়তো আপনার দিনকাল টানাপোড়েনের মধ্যে থাকবে কিন্তু কখনও আপনার অর্থের অভাব হবে না।
আমরা একেক জন একেক ধরনের পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছি। কেউ উচ্চবিত্তের ঘরে কেউবা দারিদ্র্য পরিবারে। আমাদের সকলের জীবনযাত্রা এক নয়৷ যে ছেলে-মেয়ে গুলো উচ্চবিত্ত পরিবারে জন্ম নিয়েছে তাদের হয়তো ২০-২৫ বছর পর্যন্ত কোন কাজকর্ম করতে হয় না৷ কিন্তু যারা দারিদ্র্য পরিবারে জন্ম নিয়েছে। তাদের ৮-১৫ বছর বয়স থেকেই কাজকর্মের সন্ধ্যানে ঘুরতে হয়েছে। আমরা বাইরে বের হলেই দেখতে পাই বিভিন্ন মানুষ বিভিন্ন পেশায় কাজ করছেন।
আপনারা হয়তো বাইরে যেয়ে থাকেন৷ আপনারা বাইরে গেলে কয়জন নারী শ্রমীক দেখেন আর কয়জন পুরুষ শ্রমীক দেখেন৷ প্রায় ৮০% পুরুষ শ্রমীক তাই নয় কি। ৯৯% পুরুষকে সংসারের দায়ভার বহন করতে হয়৷ কিন্তু সেখানে ৩০% মেয়েকে মনে হয় না সংসারের দায়ভার নিতে হয়। মেয়েদেরকে আল্লাহ পরিবারের দায়ভার বহনের জন্য সৃষ্টি করেন নাই। পুরুষদের পরিবারের দেখাশোনার জন্য সৃষ্টি করেছেন। কিন্তু বর্তমান সমাজ মেয়েদের বেশি অগ্রাধিকার দিচ্ছেন৷ বিভিন্ন কাজে মেয়েদের কোঠা বেশি দেওয়া হয়৷ আরে ৫০ জন নারীকে যে চাকরি দেন আপনারা ৫০ জন নারী কি ৫০ টা পরিবারের দায়িত্ব নিচ্ছেন। হয়তো হাতে গুনা ২-৩ টা নারীর চাকরি প্রয়োজন হয় সংসারের জন্য। এদিকে ৫০ জন পুরুষকে যদি চাকরি দেওয়া হত তাহলে অন্তত ৫০-৬০ টা পরিবার সচ্ছল জীবনযাপন করতে পারতো। আমি যুক্তি দেখিয়ে কথা বলতেছি। হয়তো মেয়েদের কথা গুলো গায়ে লাগতে পারে।
প্রত্যেকটি পুরুষকেই একটা সময় কাজ করতে হয়৷ যদি সে বাড়িতে বসে থাকে তাহলে তাকে নিকর্মা বলা হয়৷ সমাজের লোকজন তাকে নিয়ে তুচ্ছ তাচ্ছিল্লো করে৷ আপনি কয়টা নারীকে দেখাতে পারবেন যারা বাড়িতে বসে থাকলে সমাজের লোকরা তাদের অপমান করতেছেন৷ হয়তো বলে এত বয়স হয়েছে বিয়ে দিয়ে দেওয়া উচিত৷ কিন্তু কেউ কিন্তু পুরুষদের ক্ষেত্রে বলে না বিয়ে দাও৷ সবাই বলে কাজ করো এত বড় হইছো এখনোও বাবার টাকায় বসে বসে খাইতেছো।
পরিবার গুলো সম্পূর্ণ ডিপেন্ডেবল একজন পুরুষের উপর৷ পরিবারের পুরুষ যদি কাজ না করে তাহলে সংসারে শান্তি থাকবে না৷ আমি বাসায় থাকি আমাকে কত কথা শুনতে হয়৷ কিন্তু আমার বউকে কিন্তু কিছু শুনতে হয় না৷ কারণ তার কাজ টাকা উপার্জন করা নয়৷ তার কাজ বাড়িঘর দেখাশোনা করা। এটা সমাজের যুক্তি আমার একার না। আবার সমাজই একসময় বলে নারীদেরও কাজের প্রয়োজন আছে৷ আসলে সমাজের মানুষ একেক সময় একেক মতবাদ/যুক্তি দেখায় আমাদের। হ্যা নারীদের কাজের প্রয়োজন আছে৷ তবে হাজারে ৫-১০ জন এর। ৩-৪০০ জন এর না৷ এটা মাথায় রাখা প্রয়োজন।
আমাদের সৈয়দপুর শহরে হয়তো ৪০,০০০ পরিবার রয়েছে। সেখানে হয়তো ১ লাখ পুরুষ মানুষ রয়েছে৷ ১ লাখ নারী রয়েছে৷ এর মধ্যে ৯৯% পুরুষ কাজ করেন এবং সংসার দেখাশোনা করেন৷ তারা কাজ না করলে ৮০% সংসারের মানুষকে না খেয়ে থাকতে হবে। ১ লাখ নারীর মধ্যে হয়তো ৩০% নারী কাজ করেন৷ কিন্তু সেখান থেকে ২০% নারী যদি কাজ নাও করেন। তারপরেও কোন সংসারের লোকজনকে হয়তো না খেয়ে থাকতে হবে না৷
আগে ঘরে ঘরে ডিভোর্স নামক মহামারী ছিলো না। উনিশদশকেও মনে হয় হাতে গুনা বছরে ১-২০০০ ডিভোর্স হতো। কিন্তু এখন ডেইলি ১-২০০ ডিভোর্স হয়৷ এর প্রধান কারণ কি জানেন মেয়েদের স্বাধীনতা ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধি। মেয়েরা যদি নিজেই সব কিছু করতে পারে তাহলে পুরুষকে সময় দেওয়ার তাদের কোন দরকার আছে৷ একটু কথা-কাটাকাটি হলেই বউ বাপের বাড়ি চলে যায়৷ পরে ডিভোর্স পেপার পাঠিয়ে দেন৷ আমার মতে মেয়েদের স্বাধীনতা বেশি না দেওয়াই ভালো৷ আপনি যতবেশি স্বাধীনতা দিবেন তত সমাজে অশান্তি বাড়বে৷ হয়তো ১০% মেয়ের চিন্তাভাবনা অন্য রকম হতে পারে৷ কিন্তু ৯০% মেয়ের চিন্তাভাবনা হলো আমি চাকরি করি আমি কেন আমার পরিবারের প্রধানের কথায় উঠাবসা করবো। এটাই হলো সমস্যা।
বর্তমানে নারীদের চাকরি বেশি হচ্ছে৷ আর আমরা পুরুষরা চাকরি পাই না৷ আমার মতে বাংলাদেশকে নারী তান্ত্রিক দেশ করে দিলেই ভালো হবে। যেহেতু সব কিছুতে নারীদের অগ্রাধিকার বেশি। ফালতু সমাজ ফালতু তাদের সমাজের রীতিনীতি। আমরা পুরুষরা মরে গেলেও ওরা নারীদের অগ্রাধিকারের কথা বলে তাদের চাকরি দিবেন 😔।


Vote for @bangla.witness
ধন্যবাদ
@toufiq777




Thank you, friend!


I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Thank you
We expected you to be friendly and active in the Steem For Tradition Community. We appreciate your effort. Thank you for sharing your beautiful content with us ❤️.
আপনার লেখাগুলো অনেক ভালো লাগছে ভাই আমার কাছে, যে ঘরে পুরুষের চেয়ে নারী বেশি কর্মক্ষম সে ঘরে পুরুষ নির্যাতিত। ১ টা পুরুষ নিতে পারে ১ টা পরিবার এর দ্বায়িত্ব আর নারীর চাকরি হলে অর্ধেক যায় তার রুপ সজ্জা করতে, পরকীয়া বেড়ে যায় নারী বেশি স্বাধীন হলে। ডির্ভোস এর সংখ্যা বেড়ে যায়। তাই পুরুষ এর বেশি কর্মসংস্থান জরুরি বলে আমি মনে করি। চমৎকার লিখেছেন ভাই অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ
ভাই আপনি খুবই সুন্দর একটা বিষয় নিয়ে পোস্ট শেয়ার করেছেন।তবে এইটা ঠিক যে ছেলেদের উপর প্রচুর প্রেসার পড়ে। তবে ছেলেদের উপর ভিত্তি করে একটি পরিবার পরিচালিত হয়। ধন্যবাদ ভাই চমৎকার একটা পোস্ট শেয়ার করার জন্য 💞
ধন্যবাদ
আপনার এ পোস্টে ভাই বর্তমান বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট পুরোটাই তুলে ধরেছেন।চাকরিতে নারী কোঠা রেখেছে, সেই কোঠায় নারীদের চাকরি হয় কিন্তু সেই নারী কখনোই একটা বেকার ছেলেকে বিয়ে করে না।সেও চাকরিজীবী খোঁজে আর এ কারণে বেকারত্ব দিন দিন বেড়েই চলেছে। অনেক ভালো লিখেছেন ভাই শুভকামনা রইল
ভাইয়া আমরা চাকরি পেলে হয়তো বেকার একটা মেয়েকে বিয়ে করবো। আপনার মতে একটা চাকরিজীবী মেয়ে চাকরি ওয়ালা পাত্র খোঁজে এটাই স্বাভাবিক। বাদ দেন ভাই বেডি মানুষ।
😁
ধন্যবাদ
অসাধারণ একটি জীবন বৃত্তান্ত পোস্ট করেছেন ভাইয়া। হারিয়ে গেছি আমি বাস্তবতার মাঝে। দিন দিন বেকারত্বের এটাই একমাত্র কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা হয়তো চাকরি পেলে একটা বেকার মেয়েকে বিয়ে করবো এটা স্বাভাবিক। অপরদিকে একটি মেয়ে চাকরি পেলে একটা বেকার ছেলেকে কখনোই বিয়ে করবে না। এটা আপনি সত্য কথা বলেছেন বাস্তবতার সাথে পুরোটাই মিল রয়েছে। ভাইয়া আমিও আপনার কথায় একমত বাংলাদেশকে নারী তান্ত্রিক দেশ হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হোক এতে করে আমাদের অনেকটাই ভালো হবে। ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
ধন্যবাদ
নারীদের চাকরির কি দরকার আছে ওনারা বাসায় বসে থাকবে সংসারের যাবতীয় কাজ গুলো করবে।কিন্তু এখন মেয়েদের এত কোঠা দেওয়া হয়েছে ছেলেদের আর তেমন সুবিধা নাই। দিন দিন বেকারত্ব বাড়ছে। ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি বিষয় আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই
বর্তমান সামাজে নারীর চেয়ে চাকরি-বাকরির ক্ষেত্রে পুরুষ কে প্রাধান্য দেওয়া দরকার।কারণ একজন পুরুষ তাকে তার সংসার চালাতে হয় কিন্তু একজন নারী তাকে সংসার চালাতে হয় না। আসলে ভাই আমাদের সমাজ ব্যবস্থা এখন আসলেই ফালতু হয়ে গেছে। খুব সুন্দর লিখেছেন আপনি ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
ধন্যবাদ
একজন নারী হয়ে এই পোস্টে কমেন্ট করলে সেখানে অনেক কিছু লিখতে হবে তারচেয় আমি একটা বিষয়েই বলি, সেটা হলো নারী কোটা। আমি নিজেও চাই নারী কোটা বাতিল করা হোক কেননা ৮-১০ মার্কের ব্যবধানে কোটায় চাকরী মনে হয় নারীদের এখন প্রয়োজন নেই। এখন নারীরাও বিশেষ কিছু পেশা ছাড়া কোটার বাইরেই চাকরী পাচ্ছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যা। অবস্থা ভয়াভয়।