সৈয়দপুর শহরের অনেক পুরাতন একটি কন্ফেকশোনারী গাউছিয়া দোকানের তৈরি লাচ্চা
আচ্ছালামু আলাইকুম, আমি @toufiq777
আশা করি সবাই ভালো আছেন৷ আমিও আল্লাহর রহমতে ভালোই আছি।
আমাদের সৈয়দপুর অনেক পুরাতন পুরাতন কিছু দোকান আছে। যেগুলো তাদের খাবার এর মান ধরে রাখার কারণে এখনও টিকে রয়েছে৷ প্রতিনিয়ত নতুন নতুন দোকান, কন্ফেকশোনারী খোলা হচ্ছে৷ কিন্তু একটি দোকান তখনি মার্কেট পাবে যখন তাদের খাবারের মান খুবই ভালো হবে৷ মানুষ সব দোকান থেকে পণ্য কিনেন না৷ আমাদের সৈয়দপুর পাঁচ মাথা মোড় সংলগ্ন এলাকায় একটি পুরাতন কন্ফেকশোনারী রয়েছে৷ কন্ফেকশোনারীটির নাম হলো গাউছিয়া৷ এই দোকানটি অনেক পুরাতন৷ দোকানটি বেশি বড় নয়৷ এই দোকানের মাল তৈরি হয় সৈয়দপুর হাতিখানা কবর স্থানের ঐখান থেকে৷ ঐখানে তাদের ফ্যাক্টোরী রয়েছে৷ এই দোকানে অনেক কর্মচারী রয়েছে৷ দোকানটি বেশি বড় নয় তবে কর্মচারী অনেক৷ এই দোকানে সবসময় ভিড় লক্ষ্য করা যায়৷ এখানে দোকানের নিজস্য তৈরি বিস্কুট, কেক লাচ্চাসেমাই, প্যাডিস, পাউরুটি ইত্যাদি পাওয়া যায়৷ এছাড়া অন্নান্য পণ্যও পাওয়া যায়।
আমি @tarpan, @sohanurrahman কয়েকদিন আগে ঐ দোকানে গিয়েছিলাম৷ @tarpan চিকিৎসার জন্য ঢাকা গিয়েছিলো। সে ঢাকা থেকে বিমানে সৈয়দপুর এসেছিলো৷ তো ওর কেমোথেরাপি দেওয়া হয়েছে৷ তাই তার কোন শক্ত খাবার নাকি খাওয়া যাবে না৷ ডাক্তার তাকে নরম খাবার খেতে বলেছেন৷ যেমন পাউরুটি, কেক ইত্যাদি৷ সে পাউরুটি কেনার জন্য ঐ দোকানে গিয়েছিলো৷ তখন দোকানের পিছনে দেখলাম দোকানের লোকরা লাচ্চা রেখে দিয়েছে৷ লাচ্চার ছবি উঠানো নিষেধ ছিলো৷ তাই সুন্দর করে ছবি তুলতে পারি নাই৷ কোন রকমে কিছু ছবি তুলেছি।
আমি এর আগে ঐ দোকান থেকে কখনও লাচ্চা কিনি নাই৷ আমরা ঈদে আকবোরিয়ার লাচ্চা বা বনফুলের লাচ্চা কিনে থাকি৷ তবে সৈয়দপুরের মানুষ তাদের এলাকার দোকান গুলো থেকে মাল কিনতে বেশি পছন্দ করেন৷ এই দোকানে প্রচুর ভিড় হওয়ার কারণই হলো, মানুষ তাদের উপর আস্থাশীল। তারা ভালো পণ্য দেয়৷ তাদের দোকানে অবশ্য সব জিনিসের দাম তুলনামূলক বেশি৷ লাচ্চার প্যাকেটে তাদের দোকানের নাম লেখা। তা দেখেই বুঝতে পেরেছি এগুলো তাদের ফ্যাক্টোরি থেকে তৈরি করা হয়েছে৷
আর মাত্র পাঁচ দিন পরে ঈদ-উল-ফিতর। মুসলমানদের সবথেকে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠানের একটি৷ এই ঈদকে সামনে রেখে প্রত্যেকটি দোকানে জমে উঠেছে লাচ্চাসেমাই বিক্রির ধুম৷ দোকান গুলো তাদের দোকানের সামনে লাচ্চাসেমাই এর পসরা সাজিয় রেখেছেন৷ আর মানুষ হুমড়ি খেয়ে পরেছে দোকান গুলোতে৷ কারণ ঈদ আসন্ন প্রায়৷ সবাই আগে ভাগেই তাদের পছন্দের জিনিস গুলো ক্রয় করে নিচ্ছেন৷ দোকান গুলোতে মালের ঘাটতি নেই৷ প্রত্যেকটি দোকানে পর্যাপ্ত পরিমাণে মাল রয়েছে৷
আসলে আমি অন্যদের মত তেমন একটা গুছিয়ে কন্টেন্ট লিখতে পারি না৷ কারণ সবার মত আমার ব্রেন অতটা সার্প না৷ আমার জ্ঞানে যতটুকু কুলায় আমি ততটুকু দিয়ে লেখার চেষ্টা করি৷ আমার পোস্ট গুলো কেউ ফলো করবেন না। আমাদের কমিউনিটিতে আরও অনেকে কাজ করেন৷ সবারই পোস্ট খুবই চমৎকার হয়৷ আপনারা তাদের পোস্ট গুলো ভালোভাবে দেখবেন৷ এবং সে অনুযায়ী কন্টেন্ট তৈরি চেষ্টা করার চেষ্টা করে যাবেন৷
ছবি গুলো @sohanurrahman মোবাইল থেকে তোলা৷ ছবি গুলো পরে ভাতিজ আমাকে হোয়াটসঅ্যাপে দিয়ে দিয়েছিলো৷
Vote for @bangla.witness
ধন্যবাদ
@toufiq777
এই কনফেকশনারী দোকান সম্পর্কে খুব ডিটেলসে জানলাম।বর্তমানে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে এই দোকানগুলোতে বেশ জমজমাট লাগে।বিশেষ করে খাবার সামগ্রীগুলোর চাহিদা বেড়ে যায়। খুব সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন সোহানুর ভাই।ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য।
ধন্যবাদ
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Thank you
লাচ্ছা সেমাই আমার খুব পছন্দের একটি খাবার। তবে লাচ্চা সেমাই নিয়ে মানুষের মধ্যে অনেক নেতিবাচক ধারণাও আছে। কারণ যে পরিবেশে তৈরি করা হয় অনেকেই পছন্দ করে না। আপনার পোস্ট দেখে মনে হল এই লাচ্ছা সেমাইয়ের প্রতি সবাই অনেক আস্থাশীল। তাই নির্দ্বিধায় কিনতে পারে। তপু ভাইয়ের জন্য অনেক দোয়া রইল আল্লাহ যেন তাকে সুস্থ করে দেয়। অসাধারণ একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন ভাই শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ধন্যবাদ
আমি সৈয়দপুর অনেকবার গিয়েছি। অনেক কনফেকশনারির দোকান চোখে পড়ছে। কিন্তু এই গাউছিয়া কনফেকশনারি দোকান পড়েনি। তবে এটা সত্য যে দোকানের খাবারের মান উন্নত সে দোকান সকলের কাছে জনপ্রিয়। লাচ্ছা সেমাই আমার ভীষণ পছন্দের। গাউসিয়া কনফেকশনারি নিয়ে সুন্দর একটি উপস্থাপনা।
ধন্যবাদ
এই ঈদের সময় প্রচুর সেমাই বিক্রি হয়। তবে ঈদের সময় মানুষ খু সেমাই খায়। কারন ঈদের দিন সকালে সেমাই খেয়ে অনেকে ঈদের নামাজ পড়তে যায়।
ধন্যবাদ
লাচ্ছা সেমাই আমার পছন্দের একটি খাবার। ঈদকে সামনে রেখে আরো উচ্ছে পড়া ভিড় হবে লাচ্ছা সেমাই। লাচ্ছা সেমাই সকলের পরিচিত খাবার আবার অনেকেই শুধু সাদাসেমাই খেতে ভালবাসে। সৈয়দপুর শহরের অনেক পুরাতন একটি কন্ফেকশোনারী গাউছিয়া দোকানের তৈরি লাচ্চা নিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করেছেন ভাই।
ধন্যবাদ
লাচ্ছা সেমাই নিয়ে খুব সুন্দর একটা পোস্ট শেয়ার করছেন ভাই। লাচ্ছা সেমাই আমার খুব পছন্দ। ঈদের সময় সবার বাড়িতে লাচ্ছা সেমাই রান্না হয়। সৈয়দপুরে লাচ্ছা সেমাই তৈরির দোকান আছে, সেটা আগে জানতাম না। আপনার পোস্ট এর মাধ্যমে জানতে পারলাম। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই
ধন্যবাদ
ঈদে দাওয়াত দেন ভাই আপনার বাসায় গিয়ে এই লাচ্চা সেমাই খেয়ে আসি। 😁😁😁 দারুণ ফটোগ্রাফি করেছেন এবং চাচ্চা সেমাই নিয়ে দারুণ লিখেছেন। ধন্যবাদ ❤️❤️❤️
বাড়ি যাবেন মাল মারতে আর দাওয়াত কি ভুতকে নিব নাকি 🤔
🫣🫣🫣🫣🫣
লাচ্ছা সেমাই আমার পছন্দের একটি খাবার। এই লাচ্ছা সেমাই সাধারণত দুধ দিয়ে খেতে ভাল লাগে। সৈয়দপুর থেকে নিয়ে আসে আমাদের গ্রাম্য হাট-বাজারের ব্যবসায়ীরা। লাচ্ছা সেমাই নিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করেছেন ভাই।
ধন্যবাদ